পেনাল্টি কিক

ফুটবলের এক ধরনের বাধাহীন কিক

অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলে পেনাল্টি কিক (ইংরেজি: Penalty kick; পেনাল্টি বা স্পট কিক নামেও পরিচিত) হল এক ধরনের ডাইরেক্ট ফ্রি কিক, যা গোলপোস্টের ১২ গজ (প্রায় ১১ মিটার) দূরে অবস্থিত পেনাল্টি দাগ থেকে নেওয়া হয়।

ফুটবল খেলোয়াড় বিরজিট প্রিঞ্জ পেনাল্টি কিক নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পেনাল্টি কিক সাধারণ খেলা চলাকালে নেওয়া হয়। যখন কোনো খেলোয়াড় নিজেদের পেনাল্টি অঞ্চলের মধ্যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে, তখন প্রতিপক্ষ দলকে পেনাল্টি কিক দেওয়া হয়। এটি পেনাল্টি শুটআউটের মতই। তবে নিয়মে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।

অধিকাংশ সময়েই পেনাল্টি কিক গোলে পরিণত, তা সেটি বিশ্বমানের গোলরক্ষকের বিরুদ্ধেই হোক না কেন। পেনাল্টি কিকে বলে বাধাদান করার পর বল মাঠের ভেতরে থাকলে সেখান থেকেই খেলা শুরু হয়ে যায়। পেনাল্টি শুটআউটে কোনো খেলোয়াড় গোল করলে সেই গোলটি তার মোট গোলের হিসাবের মধ্যে ধরা না হলেও, পেনাল্টি কিক থেকে করা গোল খেলোয়াড়ের গোলের হিসাবের মধ্যে ধরা হয়।

পুরস্কার

খেলা চলাকালে যদি কোনো খেলোয়াড় নিজেদের পেনাল্টি অঞ্চলের (সাধারণত “পেনাল্টি বক্স” বা “১৮-গজের বক্স” নামে পরিচিত) মধ্যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে, তখন প্রতিপক্ষ দলকে পেনাল্টি কিক দেওয়া হয়।

রেফারি তার বাঁশি বাজিয়ে এবং পেনাল্টি দাগের দিকে ইশারা করে পেনাল্টি কিক নির্দেশ করে থাকেন।

পদ্ধতি

পেনাল্টি কিক নিচ্ছেন ডেভিড ভিয়া

পেনাল্টি বক্সের ভেতরে থাকা পেনাল্টি দাগ থেকে পেনাল্টি কিক নেওয়া হয়। যিনি পেনাল্টি কিক নেবেন তাকে রেফারি এবং গোলরক্ষকের কাছে পরিষ্কারভাবে পরিচিত হতে হয়। পেনাল্টি কিক নেওয়ার সময় দায়িত্বে থাকা গোলরক্ষক এবং যিনি পেনাল্টি কিক নিচ্ছেন তিনি ছাড়া অন্য খেলোয়াড়দের অবস্থান হবে:

  • মাঠের ভেতরে।
  • পেনাল্টি অঞ্চল এবং আর্কের বাহিরে।
  • পেনাল্টি দাগের পেছনে।
  • পেনাল্টি দাগ থেকে দূরত্ব হবে কমপক্ষে দশ গজ (৯.১৫ মিটার)।

খেলোয়াড়রা নিজ নিজ অবস্থান গ্রহণ করার পর রেফারি কিক নেওয়ার নির্দেশ দেন। বলে কিক করার সাথে সাথে স্বাভাবিক নিয়মে খেলা শুরু হয়ে যায়। ফলে এ সময় অন্যান্য খেলোয়াড়রাও পেনাল্টি অঞ্চলের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন। অনেক সময় বল গোলরক্ষকের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এ সময় যদি গোল হয় তবে তা পেনাল্টি গোল হিসেবে ধরা হয় না। বলটি যদি ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে তাহলে যিনি কিক নিয়েছেন তিনি বলটি দ্বিতীয়বার স্পর্শ করতে পারেন না, যতক্ষন না অন্য কোনো খেলোয়াড় তা স্পর্শ করছে, অবশ্য বলটি যদি গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফিরে আসে তবে তিনি তা স্পর্শ করতে পারেন।

পেনাল্টি কিক হল এক ধরনের ডাইরেক্ট ফ্রি কিক। এর থেকে একটি গোল সরাসরি হয়ে যেতে পারে। যদি কোনো গোল না হয়, তবে স্বাভাবিক নিয়মেই খেলা চলতে থাকে।

যে দল পেনাল্টি কিক নিচ্ছে, পেনাল্টি কিক থেকে সে দলের সরাসরি ওন গোল (আত্মঘাতী গোল) হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ এমনটা ঘটার জন্য কিক নেওয়ার পর বলটিকে ক্রসবারে লেগে ফিরে এসে পুরো মাঠ পাড়ি দিয়ে কিক গ্রহণকারী দলের গোলপোস্টে ঢুকে যেতে হবে, যা একটি অত্যন্ত অপছন্দনীয় দৃশ্য। যদি এমনটা হয় তবে তা হবে ওন গোল, আর যদি বল গোলপোস্টে না ঢুকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় তবে প্রতিপক্ষ দলকে কর্ণার কিক দেওয়া হবে।

ট্যাপ পেনাল্টি

ম্যাচ চলাকালে পেনাল্টি গোল হলে তা পয়েন্ট টেবিলে হিসাব হয় না। শুধুমাত্র পয়েন্ট হিসেবে তিন পয়েন্ট পাবে দলটি।

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ