বিপ্লব
একটি বিপ্লব হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন যা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে ঘটে যখন জনগণ চলমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেগে উঠে। এরিস্টটল দুই ধরনের রাজনৈতিক বিপ্লবের বর্ণনা দিয়েছেন:
- এক সংবিধান থেকে অন্য সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন
- একটি বিরাজমান সংবিধানের সংস্কার।[১]
বিপ্লব মানব ইতিহাস জুড়ে ঘটেছে এবং পদ্ধতি, স্থায়িত্ব, এবং প্রেরণাদায়ী মতাদর্শ হিসেবে খুব বিস্তৃত। এসবের ফলে সংস্কৃতি, অর্থনীতি, এবং সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশাল পরিবর্তন সাধিত হয়।
রাজনৈতিক এবং সমাজার্থনৈতিক বিপ্লবসমূহ
অধিকাংশ সময়, "বিপ্লব" শব্দটি সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে একটি পরিবর্তন সূচিত করা বোঝায়।[২][৩][৪] ডেভিসের মতে বিপ্লব হচ্ছে
হিংসার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত শাসকশ্রেণিকে হিংসার মাধ্যমে উৎখাত করে জনসাধারণের অধিকাংশের সমর্থনপুষ্ট কোনো শ্রেণির রাষ্ট্রক্ষমতা দখল।[৫]
এবং অন্য অর্থে ক্রেন ব্রিনটনের মতে,
প্রতিষ্ঠিত সরকারকে বিধিবহির্ভূতভাবে সশস্ত্র উপায়ে পরিবর্তন করাই হলো বিপ্লব।[৫]
কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস সামাজিক সম্পর্কসমূহের গুণগত পরিবর্তনকেই বিপ্লব আখ্যা দিয়েছেন। তারা দেখান যে ইতিহাস মূলগতভাবে গতিময় এবং এই গতিময়তার উৎস হলো সমাজের বিভিন্ন সম্পর্কের, বিশেষত অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্রমাগত পরিবর্তন।[৫]