ব্যবহারকারী:কামাল আহমেদ পাশা/সাধু পল
সন্ত পৌল | |
---|---|
অইহুদীদের কাছে প্রেরিত | |
স্থানীয় নাম | Sha'ul ha-Tarsi (তারসুসের শৌল) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আনু. ৫ খ্রিষ্টাব্দ[১] তারসুস, কিলিকিয়া, রোমান সাম্রাজ্য[২] |
মৃত্যু | আনু. ৬৪ বা আনু. ৬৭ খ্রিষ্টাব্দ (বয়স ৬১–৬২ অথবা ৬৪–৬৫)[৩][৪][৫][৬] সম্ভবত রোম, রোমান সাম্রাজ্য[৩][৪] |
পোপের আখ্যা | |
উৎসবের দিন | |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | All Christian denominations that venerate saints |
মহাত্ম্য | Pre-congregation দ্বারা |
বৈশিষ্ট্যাবলী | Christian martyrdom, Sword |
পৃষ্ঠপোষকতা | মিশন, ধর্মতত্ত্ববিদ, ধর্মপ্রচারক, এবং পরজাতীয় খ্রিস্টান দার্শনিক জীবন |
মাতৃশিক্ষায়তন | গমলীয়েল [৮] |
পেশা | খ্রিস্টান ধর্মপ্রচার |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | রোমীয়দের প্রতি পত্র গালাতীয়দের প্রতি পত্র করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত ১ম পত্র করিন্থীয়দের প্রতি প্রেরিত ২য় পত্র থিষলনীকীয়দের প্রতি প্রেরিত ১ম পত্র ফিলীমনের প্রতি পত্র ফিলিপীয়দের প্রতি পত্র |
যুগ | প্রেরিতদের যুগ |
অঞ্চল | খ্রিস্টান দর্শনশাস্ত্র |
ধারা | পলীয় খ্রিষ্টিয়বাদ Middle Platonism [৯] বৈরাগ্য[১০][১১] |
ভাষা | লাতিন, গ্রীক এবং হিব্রু |
প্রধান আগ্রহ | তাওরাত, দর্শনশাস্ত্র, ধর্মতত্ত্ব |
উল্লেখযোগ্য অবদান | পলীয় সুযোগ, খ্রিষ্টের নিয়ম পবিত্র আত্মা, অজানা ঈশ্বর যীশুর দেবত্ব, Thorn in the flesh পলীয় রহস্যবাদ, খাৎনাহীন উদ্ধার, ঈশ্বর পুত্র, ত্রিতত্ত্ব |
ভাবশিষ্য
|
খ্রিস্টধর্ম |
---|
ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
খ্রীষ্টীয় প্রবেশদ্বার |
প্রেরিত পৌল (লাতিন: Paulus; গ্রিক: Παῦλος; কিবতীয়: ⲡⲁⲩⲗⲟⲥ; আনু. 5 খ্রিষ্টাব্দ – আনু. ৬৪ বা ৬৭),[৩][৫][৬] সাধারণত পরিচিত সন্ত পৌল বা সাধু পল হিসেবে এবং আরো পরিচিত তার হিব্রু নাম তারসুসের শৌল (হিব্রু ভাষায়: שאול התרסי; গ্রিক: Σαῦλος Ταρσεύς),[১৫][১৬] ছিলেন একজন প্রেরিত (যদিও তিনি প্রেরিত বারো জনের মধ্যে নন) যিনি প্রথম শতাব্দীতে বিশ্বে যীশু খ্রিষ্টের সুসমাচার শিক্ষা দিয়েছেন।[১৭] পৌলকে সাধারণত প্রেরিত যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে মনে করা হয়[১৮][১৯] এবং তিনি খ্রিষ্টাব্দ ৩০-এর দশকের মধ্যভাগ হতে ৫০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এশিয়া মাইনর এবং ইউরোপে বেশ কিছু খ্রিস্টান সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ইহুদী ও রোমান নাগরিকের মর্যাদার কারণে ইহুদী এবং রোমান জনসাধারণের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
নতুন নিয়ম এর বই প্রেরিতদের কার্যবিবরণী (সচরাচর শুধুমাত্র প্রেরিত বলা হয়) অনুসারে, পৌল তার পরিবর্তনের আগে জেরুজালেম এলাকায় যীশুর প্রথম দিকের শিষ্যদেরকে অত্যাচার করেছিলেন।[২০] [note ১]প্রেরিত অধ্যায়ের বিবরণ অনুযায়ী, পৌল "যীশুর অনুসারীদেরকে গ্রেফতার এবং জেরুজালেমে ফিরিয়ে আনতে" জেরুজালেম থেকে দামাস্কাসের রাস্তায় ভ্রমণ করছিলেন, তখন পুনরুত্থিত যীশু অতি তীব্রআলো সহকারে তার সামনে আবির্ভূত হন।এর ফলে তিনি অন্ধ হয়ে যান, কিন্তু তিন দিন পর দামেস্কের অননিয় কর্তৃক তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে এবং পৌল প্রচার করতে শুরু করেন যে, নাজারাথের যীশুই ইহুদী মাসীহা এবং ঈশ্বরের পুত্র।[২১]প্রেরিত বইয়ের অর্ধেকের কাছাকাছি অংশ জুড়ে পৌলের জীবন এবং কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নতুন নিয়মের সাতাশটি বইয়ের মধ্যে তেরোটি বইয়ে ঐতিহ্যগতভাবে পলের অবদান রয়েছে।[২২] পৌলের পত্রের মধ্যে সাতটি বই অবিতর্কিতভাবে পণ্ডিতদের কাছে নির্ভরযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।ইব্রীয়দের পত্রের লেখক এই চিঠিতে নিজেই উত্থাপিত হয় নি এবং ইতিমধ্যে ২য় এবং ৩য় শতাব্দীতে সন্দেহ করা হয়।[২৩] এটি প্রায় ৫ম থেকে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত প্রশ্নাতীতভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল যে, পৌল ইব্রীয়র লেখক ছিলেন,[২৪] কিন্তু সেই দৃষ্টিভঙ্গি এখন প্রায় সর্বজনীন পণ্ডিতদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়।[২৫] অন্য ছয়টির ক্ষেত্রে কিছু পণ্ডিতদের বিশ্বাস যে সেগুলো পৌল জীবিত থাকা অবস্থায় তার লেখা পত্রের উপাদান ব্যবহার করে তার অনুসারীরা তার নামে লিখেছে।[১৭][১৮][২৬] অন্যান্য পণ্ডিতরা যুক্তি দেন যে বিতর্কিত পত্রের ক্ষেত্রে ছদ্মবেশী লেখকের ধারণাটি অনেক সমস্যার উদ্ভব ঘটায়।[২৭] বর্তমানে পলের পত্রগুলি লাতিন গীর্জা এবং পশ্চিমের প্রোটেস্ট্যান্ট ঐতিহ্যে, বিশেষত পূর্বদিকের ক্যাথলিক এবং অর্থোডক্স ঐতিহ্যে ধর্মতত্ত্ব, উপাসনা এবং যাজকীয় জীবনের প্রধান অংশে পরিণত হয়েছে।[২৮] খ্রিস্টান চিন্তা এবং অনুশীলনের উপর পল এর প্রভাব গভীরভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এর মধ্যে খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের বিস্তারের সাথে জড়িত অন্যান্য অনেক প্রেরিত ও মিশনারিদের মধ্যে এটি লক্ষ্য করা যায়।[১৭] মার্টিন লুথার পলের লেখনীর ব্যাখ্যায় প্রভাবিত হয়ে লুথারের সোলা ফাইড মতবাদ প্রকাশ করেন।
নাম
এটি বেশ জনপ্রিয় যে যখন তিনি যীশু খ্রিষ্টের অনুসারী হয়েছেন তখন থেকে শৌল নামটি পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু এটি কোনো কারণ নয়।[29][30] তার ইহুদি নাম ছিল "শৌল" (হিব্রু: שָׁאוּל, আধুনিক: Sha'ûl, তিবরিয়ান: Šāʼûl)। প্রেরিত বই অনুসারে, তিনি রোমান নাগরিক ছিলেন।[প্রেরিত ২২:২৫–২৯] রোমান নাগরিক হিসেবে তিনি লাতিন নাম "পৌল" গ্রহণ করেন (মূলত এটি শৌল এর লাতিন বর্ণে রূপান্তর)— গ্রিক বাইবেলে যেটি: Παῦλος (পৌলস),[31] এবং লাতিনে: পৌলুস।[32][প্রেরিত ১৬:৩৭][২২:২৫–২৮] সেই সময় ইহুদীদের সাধারণত দুটি নাম থাকতো, একটি হিব্রুতে এবং আরেকটি ল্যাটিন বা গ্রীক ভাষায়।[33][34][35] প্রেরিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখিত যে দামেস্কের রাস্তায় তার রূপান্তরের সময়[37] "হিব্রু উচ্চারণ অনুযায়ী" যীশু তাকে "শৌল, শৌল" নামে ডেকেছেন[36]। পরবর্তীতে দামেস্কের অননিয়ের নিকট " প্রভু" তাকে "তারসুসের শৌল" হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[16] যখন অননিয় তার দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে এসেছিল, তখন তিনি তাকে "ভাই শৌল" বলে ডেকেছিলেন।[38] প্রেরিত ১৩:৯ অনুযায়ী, সাইপ্রাস দ্বীপে সর্বপ্রথম শৌলকে "পৌল" নামে ডাকা হয়েছে—যা তার রূপান্তরের সময়কালের তুলনায় অনেক পরে ঘটেছে। লেখক (লুক) ইঙ্গিত দেন যে নামগুলি বিনিময়যোগ্য ছিল: "শৌল, যাকে আরো পৌল নামে ডাকা হতো"। পরবর্তীতে তিনি তাকে পৌল হিসেবেই উল্লেখ করেছেন, যখন তিনি তাকে উল্লেখ করেছেন তখন বাইবেলের অন্যান্য সকল বইতে তাকে পৌল নামেই ডেকেছেন, এর মধ্যে যেগুলোর তিনি লেখক সেগুলো অন্তর্ভুক্ত। তার রোমান নামটি গ্রহণ করা পৌলের মিশনারি রীতিতে সাধারণ ছিল। ১ম করিন্থীয় ৯:১৯–২৩ অনুযায়ী, তার পদ্ধতিতে মানুষকে স্বচ্ছন্দে রাখার জন্য তাদের ভাষা এবং রীতি দিয়ে নিজের বার্তার মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকা যায়।[29]
তথ্যসূত্র
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি