লাতিন বর্ণমালা

লাতিন ভাষা লেখার জন্য ব্যবহৃত বর্ণমালা

ক্লাসিক্যাল লাতিন বর্ণমালা, যা রোমান বর্ণমালা নামেও পরিচিত, একটি লিখন পদ্ধতি যা প্রাচীন রোমানরা লাতিন ভাষা লেখার কাজে ব্যবহার করতো। লাতিন বর্ণগুলো দেখতে প্রায় একইরকম দেখতে গ্রীক ভাষা'র কুমে বর্ণমালা থেকে এসেছে, যার উৎপত্তি হয়েছিল ফিনিশীয় আবজাদ বর্ণমালা থেকে, যা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক থেকে বিবর্তিত হয়েছিল। [১] এট্রুস্‌কানরা যারা প্রাচীন রোম শাসন করেছিল, তারা কুমীয় গ্রীক বর্ণমালা রপ্ত করেছিল। যা পরবর্তীতে নানাভাবে সংশোধিত হয়ে এট্রুস্‌কান বর্ণমালাতে রুপ নেয়, যাকে পরে রোমানরা লাতিন বর্ণমালায় রুপ দেয়।

এই মানচিত্রের গাঢ় রঙ করা অংশে যেসব দেশ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে লাতিন বর্ণমালাকে প্রধান বা জাতীয় বর্ণমালা হিসেবে ব্যবহার করে তাঁদের, ও হালকা রঙ করা দেশগুলো ২য় প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণমালা হিসেবে এর ব্যবহার করে।

মধ্যযুগ চলাকালে লাতিন বর্ণমালা (কিংবা এর পরিবর্তিত কিছু রুপ) রোমান ভাষা লেখার কাজে ব্যবহৃত হতো, যা লাতিন ভাষার সরাসরি উত্তরসুরি, এছাড়াও কেল্টিক, জার্মানিক, বাল্টিক, ও কিছু স্লাভিক ভাষা'র ও উত্তরসুরি। প্রথম ইউরোপীয় উপনিবেশ ও খ্রিস্টধর্ম প্রচার লাতিন বর্ণমালা ইউরোপ পেরিয়ে যায়, যাকে পরে অ্যামেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান ও আফ্রিকান রা তাদের স্থানীয় ভাষা লেখার কাজেও ব্যবহার শুরু করে। সম্প্রতি ভাষাবিদগণ অ-ইউরোপীয় ভাষা লেখার আদর্শ রুপ তৈরির কাজে লাতিন বর্ণ বা আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা ব্যবহার করছেন।

লাতিন বর্ণমালা বলতে লাতিন বা লাতিন ভিত্তিক ভাষা লেখার কাজে ব্যবহৃত বর্ণমালা উভয়কেই বোঝাতে পারে। যে বর্ণসমূহ লাতিন হতে উদ্ভূত অনেক ভাষার বর্ণমালাতেই রয়েছে, যেমন ইংরেজি বর্ণমালা। এরকম অনেক বর্ণমালা রয়েছে যার কয়েকটি কিছু লাতিন বর্ণ বাদ দিয়ে গঠিত (যেমনঃ রোটোকাস বর্ণমালা), আর কিছু লাতিন বর্ণমালার সাথে নিজস্ব কিছু বর্ণ যোগ করেছে (যেমনঃ ড্যানিশ বর্ণমালা ও নরওয়েজিয়ান বর্ণমালা)। বর্ণের আকার বহু শতাব্দী ধরে পরিবর্তিত হয়েছে, যার সূচনা মধ্যযুগ থেকে হয়েছিল, যখন ক্লাসিক বর্ণমালার অস্তিত্ব ছিল না।

ইতিহাস

উৎপত্তি

ধারণা করা হয় রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে কুমেদের থেকে (দক্ষিণ ইতালি'র একটি গ্রীক উপনিবেশ) কুমে বর্ণমালা আত্মস্থ করে, যা কিনা গ্রীক বর্ণমালা'র একটি ধরন। (গাইয়াস জুলিয়াস হাইজিনাস ফ্যাব ২৭৭ এ উল্লেখ করেন, কিংবদন্তি আছে কারমেন্তা, অন্ধকার যুগের জ্যোতিষী, যিনি গ্রীক বর্ণমালার ১৫টি বর্ণ পরিবর্তন করে লাতিন বর্ণমালা তৈরি করেন। যা তার ছেলে এভান্ডার ট্রয়ের যুদ্ধ'র ৬০ বছর আগে লাতিনামে প্রচলন করেন, কিন্তু এ গল্পের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই)। প্রাচীন গ্রীক বর্ণমালা ফোয়েনিসিয়ান আবজাদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কুমে ভাষা থেকে এট্রুসকান বর্ণমালা'র উৎপত্তি হয়, আর রোমানরা এট্রুসকান বর্ণমালার ২৭টির মধ্যে ২১টি নিয়ে তাদের বর্ণমালা গঠন করে।

প্রাচীন লাতিন বর্ণমালা

পুরনো Italic বর্ণমালা
বর্ণসমুহ𐌀𐌁𐌂𐌃𐌄𐌅𐌆𐌇𐌈𐌉𐌊𐌋𐌌𐌍𐌎𐌏𐌐𐌑𐌒𐌓𐌔𐌕𐌖𐌗𐌘𐌙𐌚
রূপান্তরABCDEVZHΘIKLMNΞOPŚQRSTYXΦΨF
প্রাচীন লাতিন বর্ণমালা
পুরনো Italic রুপ𐌀𐌁𐌂𐌃𐌄𐌅𐌆𐌇𐌉𐌊𐌋𐌌𐌍𐌏𐌐𐌒𐌓𐌔𐌕𐌖𐌗
লাতিন রূপABCDEFZHIKLMNOPQRSTVX

⟨C⟩ বর্ণটি গ্রীক গামা বর্ণের পশ্চিমা রূপ, কিন্তু এর ব্যবহার/ɡ//k/ উচ্চারণে ব্যবহৃত হয়, সম্ভবত এট্রুসকান ভাষা থেকে উচ্চারণের এ ধারণা নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে, সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে লাতিন লিখতে ⟨Z⟩ এর ব্যবহার প্রয়োজনীয় ছিল না, তখন এর বদলে ⟨G⟩, ও ⟨C⟩ এর মাথায় একটি দাগ দিয়ে তা বর্ণমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ⟨G⟩ দিয়ে স্পর্শীয় /ɡ/, ও⟨C⟩ দিয়ে /k/ উচ্চারণ করা হতো। ⟨K⟩ খুব অল্প ব্যবহৃত হতো, যেমন ক্যালেন্ডে, এর বদলে প্রায়ই ⟨C⟩ ব্যবহৃত হতো।

ক্লাসিক লাতিন বর্ণমালা

খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে গ্রীসের রোম দখলের পর, লাতিনরা গ্রীক বর্ণ ⟨Y⟩ ও⟨Z⟩ কে লেখার কাজে বেছে নেয় এবং বর্ণমালার শেষে স্থান দেয়। সম্রাট ক্লডিয়াস আরও তিনটি অতিরিক্ত বর্ণ যোগ করতে চান, যা বাস্তবায়িত হয়নি। সুতরাং ক্লাসিক লাতিন সময়কালে লাতিন বর্ণমালাতে ২৩টি বর্ণ ছিলঃ

ক্লাসিক্যাল লাতিন বর্ণমালা
বর্ণABCDEFGH
লাতিন নামá · ā · · · é · ēef · ef · ·
লাতিন উচ্চারণ (IPA)/aː//beː//keː//deː//eː//ɛf//ɡeː//haː/
 
বর্ণIKLMNOPQ
লাতিন নাম · ī · el · elem · emen · enó · ō · q ·
লাতিন উচ্চারণ (IPA)/iː//kaː//ɛl//ɛm//ɛn//oː//peː//kuː/
 
বর্ণRSTVXYZ 
লাতিন নামer · eres · es · · ūix · ix graeca · ī Graecazéta · zēta
লাতিন উচ্চারণ (IPA)/ɛr//ɛs//teː//uː//iks//iː ˈɡraɪka//ˈdzeːta/
খ্রিস্টপূর্ব ৬ শতাব্দীর দুয়েনো লিপি, যাকে লাতিন ভাষার লৈখিক রুপের এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রথম শতাব্দীর মাত্রাযুক্ত বর্ণের মাত্রাগুলো অনেক হালকা ছিল। (প্রথম সারির ó এর উপর একটি আছে।) স্বরবর্ণ I এর উপর মাত্রা না দিয়ে একটু লম্বা করে লেখা হয়েছে। মধ্যবর্তী যতিগুলো কিছুটা কমার মতো দেখতে, কিছুটা ত্রিকোণ আকৃতির। হারকুলেনিয়াম এর অগাস্টালেস মন্দির থেকে।

তবে এসব নাম নিয়ে অনেকের দ্বিমত আছে। সাধারণত রোমানরা গ্রীক বর্ণমালার মতো করে এ নামগুলো ব্যবহার করতো না। স্পর্শবর্ণগুলোতে /eː/ যোগ করে উচ্চারণ করা হতো (⟨K⟩ ও ⟨Q⟩ বাদে, যাদেরকে ⟨C⟩ থেকে আলাদা বানাবার জন্য ভিন্ন স্বরবর্ণ লাগতো) বাকি বর্ণগুলোর উচ্চারণ স্বাভাবিক বা /e/ এর মতো করে উচ্চারিত হতো।

⟨Y⟩ বর্ণটি শুরুতে "hy" /hyː/ উচ্চারিত হতো, এর আপসাইলন নামটি তখনো প্রচলিত হয়নি। পরবর্তীতে একে "i গ্রীসা" (গ্রীক i) নাম দেয়া হয়, কারণ লাতিনদের কাছে /y//i/ এর পার্থক্য বের করা কষ্টসাধ্য ছিল। ⟨Z⟩কে এর গ্রীক নাম, জেটা নামেই ডাকা হতো। এটা লাতিন ভাষাভাষী সবাই গ্রহণ করেছিল। লাতিন উচ্চারণের জন্য বিভিন্ন বর্ণের তালিকা জানুনঃ লাতিন বানান ও উচ্চারণ; ইংরেজিতে বর্ণগুলোর নাম জানতে দেখুন ইংরেজি বর্ণমালা

ডায়াক্রিটিক খুব একটা প্রচলিত ছিল না, কিন্তু মাঝে মাঝে এর দরকার হতো, কিন্তু স্বরবর্ণের উপরে চিহ্ন দিয়ে দীর্ঘবর্ণ হিসেবে প্রকাশ করা হতো, যাদেরকে আগে দু'বার করে লেখা হতো। কিন্তু, কোন চিহ্ন ব্যবহার না করে i বর্ণটিকে দীর্ঘ আকারে লেখা হতঃ ⟨á é ꟾ ó v́⟩। উদাহরণস্বরূপ, এখন যাকে Lūciī a fīliī লেখা হয়, পূর্বে তাকে ⟨lv́ciꟾ·a·fꟾliꟾ⟩ লেখা হতো।

প্রধান যতিচিহ্ন ছিল "মধ্যবর্তী যতি", যা শব্দ বিভাজক হিসেবে এখন ব্যবহৃত হয়। যদিও এটা ২০০ খ্রিষ্টাব্দের পর আর ব্যবহৃত হতো না।

পুরনো রোমান হাতের লেখা, যাকে বড় হাতের লেখাও বলা হয়, তা দৈনন্দিন পত্র, বাচ্চাদের পড়ালেখা এমনকি রোমান সম্রাটদের আদেশ লেখার কাজেও ব্যবহৃত হতো। রোমান স্কয়ার ক্যাপিটাল ছিল লেখার আরেকটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি, কিন্তু হাতের লেখা পদ্ধতি দ্রুত, অনানুষ্ঠানিক পত্র বা লেখা ইত্তাদি কাজে ব্যবহৃত হতো। এটা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী থেকে তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে, তবে এর আগেও এর অস্তিত্ব ছিল বলে ধারণা করা হয়। এটা পরবর্তীতে আন্‌সিয়াল লিপিতে প্রবর্তিত হয়, যা খ্রিস্টপূর্ব ৩য় থেকে ৮ম শতাব্দীতে গ্রীক ও লাতিন লেখকগণ ব্যবহার করতেন।

নব্য রোমান হাতের লেখা যাকে ছোট হাতের লেখা বলা হয়, তা ৩য় থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে। আর সে বর্ণগুলো এখনকার আধুনিক মানুষের কাছেও পরিচিত মনে হবে।; ⟨a⟩, ⟨b⟩, ⟨d⟩, ও ⟨e⟩ বর্ণগুলো আরও পরিচিত রুপ ধারণ করেছে, এবং এদের আনুপাতিক আকার নির্দিষ্ট হয়েছে। এই লিপি পরবর্তীতে মধ্যযুগীয় মেরোভিঙ্গিয়ান লিপি ও ক্যারোলিঙ্গিয়ান লিপিতে রুপ নিয়েছে।

মধ্যযুগ ও এর পরবর্তী ক্রমবিকাশ

ন্যুরেমবার্গ এ পাওয়া জেটন, আনুঃ ১৫৫৩খ্রিঃ
De chalcographiae inventione (১৫৪১, মেইন্‌জ) W, UJ বাদে ২৩টি বর্ণ।

মধ্যযুগের আগ পর্যন্ত ⟨W⟩ লাতিন বর্ণমালার অন্তর্গত ছিল না, যা পরবর্তীতে জার্মানিয় ভাষা প্রকাশের জন্য যোগ করা হয়, আর রেনেসাঁ'র পরে ⟨I⟩ ও⟨U⟩ কে স্বরবর্ণ, এবং ⟨J⟩ ও⟨V⟩ কে ব্যঞ্জনবর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এর পূর্বে এদেরকে অ্যালোগ্রাফি হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, মধ্যযুগে নানাভাবে লেখার ধরন বদলেছে, এমনকি ছাপাখানা আবিষ্কারের পরেও। ক্লাসিক্যাল রুপ থেকে সর্বপ্রথম আন্‌সিয়াল লিপি উদ্ভূত হয়, যা কিনা পুরনো রোমান হাতের লেখার উন্নত সংস্করণ এছাড়াও বিভিন্ন ছোট হাতের বর্ণও উদ্ভূত হয়, যাদের মধ্যে ক্যারোলিঙ্গিয়ান বর্ণমালা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এ সময় থেকেই বর্তমান সময়কার আদর্শ লৈখিক পদ্ধতির অনেকটা অংশ গৃহীত হয়।

যেসব ভাষা লাতিন বর্ণমালা ব্যবহার করে, তারা সাধারণত বাক্যের প্রথম বর্ণ, নামবাচক শব্দের প্রথম বর্ণ হিসেবে বড় হাতের বর্ণ ব্যবহার করে। বড় হাতের বর্ণ ব্যবহারের নিয়ম সময়ের সাথে অনেকবার পরিবর্তিত হয়েছে, এবং বিভিন্ন ভাষা বিভিন্নভাবে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহারের নিয়ম বদলেছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় নামবাচক শব্দের প্রথম বর্ণ হিসেবে বড় হাতের অক্ষরের তেমন একটা প্রচলন ছিল না; কিন্তু ১৮শ শতকের আধুনিক ইংরেজি ভাষায় এর ব্যবহার লক্ষণীয়, একইভাবে আধুনিক জার্মান ভাষার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।

প্রসার

লাতিন ভাষার সাথে সাথেই লাতিন বর্ণমালার প্রসার ঘটে, রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তারের ফলে ইতালিয় পেনিনসুলা থেকে শুরু করে ভূমধ্য সাগর এর আশেপাশের অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। পূর্বাঞ্চলের সাম্রাজ্য তথা গ্রিস, তুরস্ক, লেভ্যান্ট, ও মিশর, গ্রীক ভাষাকে সার্বজনীন ভাষা হিসেবে ব্যবহার শুরু করে, কিন্তু পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপকভাবে লাতিন ভাষার ব্যবহার হতো, এবং পশ্চিমা রোমান্স ভাষা এই লাতিন থেকেই উদ্ভূত হবার ফলে তারা লাতিন ভাষা ও বর্ণমালা আত্মস্থ করে নেয়।

মধ্যযুগ এ পশ্চিমা খ্রিস্টানদের প্রসারের সময় এ বর্ণমালা উত্তর ইউরোপ এ কেল্টিক ভাষা, জার্মানিক ভাষা , বাল্টিক ভাষা, কিছু ইউরালিক ভাষা, এছাড়াও হাঙ্গেরিয় ভাষা, ফিনিশ ভাষা, এস্তোনিয় ভাষা'র স্থান দখল করে। লাতিন বর্ণমালা পশ্চিম স্লাভিক ভাষা ও কিছু দক্ষিণ স্লাভিক ভাষা লেখার কাজে ব্যবহার শুরু হয়, কারণ এসব ভাষাভাষী মানুষ রোমান ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

পরবর্তীতে অ-ক্যাথলিক সম্প্রদায়ও এটা গ্রহণ করে নেয়। রোমানিয়ান ভাষা, যার বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ছিলেন পূর্ব-দেশীয় রক্ষণশীল, এটিই প্রথম কোন গুরুত্বপূর্ণ ভাষা যা ১৯শ শতাব্দীতে ক্রিলিক থেকে লাতিন বর্ণমালায় স্থানান্তরিত হয়, যদিও মলদোভা সোভিয়েত দের পতনের আগ পর্যন্ত এটি করেনি।

১৯২০ সালে তুরস্কসহ এটি তুর্কি ভাষাভাষী মুসলমানদের কর্তৃকও ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। সোভিয়েত পতনের পর, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, ও উজবেকিস্তান সবাই ক্রিলিক থেকে লাতিনে স্থানান্তরিত হয়। কাজাখ সরকার ২০১৫ সালে ২০২৫ সালের মধ্যে লেখার কাজে ক্রিলিকের পরিবর্তে লাতিন ব্যবহারের ঘোষণা দেন। [২]

অশিক্ষিত জনতার কাছে লাতিনের প্রসার লেখার নতুন ধরনের সৃষ্টি করে, যেমন ভানুয়াটু'র অ্যাভোইউলি বর্ণমালা, যা লাতিন বর্ণমালার বর্ণগুলোকে অন্য চিহ্ন দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

আরও দেখুন

  • ক্যালিগ্রাফি
  • একত্রীকরণ
  • ইউবোইয়ান বর্ণমালা
  • কিবোর্ড বিন্যাস
  • ইউনিকোডে লাতিন বর্ণ
  • ISO basic লাতিন বর্ণমালা
  • লাতিন-১
  • রোমান সাম্রাজ্যের কিংবদন্তি
  • লাতিন বর্ণতালিকা
  • প্রাচীন লিপিবিজ্ঞান
  • লিপিবিদ্যা
  • ফিনিশিয় বর্ণমালা
  • পিনইন
  • গণিতে ব্যবহৃত রোমান বর্ণ
  • মুদ্রণবিদ্যা
  • পশ্চিমা লাতিন বর্ণচক্র (গণনা)

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ