সিসটোসোমায়োসিস

সিসটোসোমায়োসিস (বিলহার্সিয়া, স্নেইল ফিভার, এবং কাটাইয়ামা ফিভার হিসাবেও পরিচিত)[১][২] সিসটোসোমা ধরনের পরজীবী কৃমি দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এটি মূত্রনালী অথবা অন্ত্রসমূহকে আক্রান্ত করতে পারে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্ত পায়খানা অথবা মূত্রে রক্ত চিহ্ন অথবা উপসর্গ হিসাবে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিতরা যকৃতের ক্ষতি, কিডনি অকৃতকার্যতা, বন্ধ্যাত্ব, মূত্রাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি কম বৃদ্ধি এবং শেখার অক্ষমতার কারণ হতে পারে।[৩]

সিসটোসোমায়োসিস
বিশেষত্বসংক্রামক রোগ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

পরজীবীপূর্ণ দূষিত পানির সংস্পর্শে রোগটি ছড়ায়। সংক্রমিত মিঠা পানির শামুক দ্বারা এই পরজীবীগুলো ছড়ায়। এই রোগটি বিশেষভাবে উন্নয়নশীল দেশসমূহের শিশুদের মধ্যে দেখা যায় যেহেতু তারা দূষিত পানিতে বেশি খেলা করে। অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন গ্রুপের মধ্যে আছে কৃষক, জেলে এবং দৈনন্দিন কাজে অপরিষ্কার পানি ব্যবহারকারী মানুষ।[৩] এটি হেলমিন্থ সংক্রমণ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত।[৪] মানুষের মূত্র অথবা মলে পরজীবীর ডিম খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়। রক্তে রোগটির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমেও এটি নিশ্চিত করা যায়।[৩]

এই রোগ প্রতিরোধের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং শামুকের সংখ্যা হ্রাস। যে সব এলাকায় সাধারণত এই রোগটি দেখা যায় সে সব এলাকার সকল গ্রুপসমূহকে বছরে একসাথে প্রসিকান্টেল ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে। সংক্রমিত লোকের সংখ্যা কমাতে এবং রোগের বিস্তার হ্রাসে এটি করা হয়। প্রসিকান্টেল ঔষধটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কতৃর্ক আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সুপারিশ করা হয়।[৩]

সিসটোসোমায়োসিস বিশ্বজুড়ে ২১০ মিলিয়ন মানুষকে আক্রান্ত করে,[৫] এবং প্রতি বছর আনুমানিক ১২,০০০[৬] থেকে ২০০,০০০ জন মানুষ এতে মারা যায়।[৭] এই রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায়[৩] প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মানুষ বাস করে যেখানে এই রোগটি সচরাচর দেখা যায়।[৭][৮] গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশসমূহের অর্থনীতিতে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী পরজীবী ঘটিত রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়ার পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিসটোসোমায়োসিস।[৯] প্রাচীনকাল থেকে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক পর্যন্ত, সিসটোসোমায়োসিসের উপসর্গ হিসেবে মূত্রে রক্তের উপস্থিতিকে মিশরে মাসিকের পুরুষ সংস্করণ হিসেবে দেখা হত এবং এভাবে বালকদের রূপান্তর হিসাবে বিবেচিত হত।[১০][১১] এটাকে অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের শ্রেণীভুক্ত করা হয়।[১২]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ