অ্যালেক্স ফার্গুসন

স্কটিশ ফুটবল পরিচালক এবং খেলোয়াড়

স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (ইংরেজি: Alex Fergusson) (জন্ম ডিসেম্বর ৩১, ১৯৪১ গ্লসগোতে) একজন স্কটল্যান্ডীয় ফুটবল কর্মকর্তা ও প্রাক্তন খেলোয়াড়। উনি (১৯৮৬-২০১৩) ২৭ বছর (১৯৮৬-২০১৩) ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরা কর্মকর্তা হিসাবে বিবেচিত হয়েছেন[১][২][৩][৪] এবং কর্মকর্তা হিসেবে ইংলিশ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ের গৌরবের অধিকারী তিনি।[৫][৬] ১১০০ রও বেশি ম্যাচে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন।

অ্যালেক্স ফার্গুসন

ফার্গুসন ডানফর্মলাইন অ্যাথলেটিক এবং রেঞ্জার্স সহ বেশ কয়েকটি স্কটিশ ক্লাবে ফরোয়ার্ড খেলোয়াড় হিসাবে খেলেন। তিনি ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে ডানফারমলাইনের হয়ে খেলার সময় স্কটিশ লিগের শীর্ষস্থানীয় গোলদাতা ছিলেন। তাঁর খেলোয়াড় জীবনের শেষদিকে তিনি কোচ হিসাবেও কাজ করেন, তারপরে ইস্ট স্ট্রিলিংশায়ার এবং সেন্ট মিরেনের সাথে তার কর্মকর্তা জীবনের সূচনা হয়েছিল। তারপর, ১৯৮৩ সালে ফার্গুসন আবারডিনের কর্মকর্তা হিসাবে অত্যন্ত সফলতার সাথে তিনটি স্কটিশ লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ, চারটি স্কটিশ কাপ এবং ইউইএফএ কাপ জেতাতে সাহায্য করেন। পরবর্তীকালে, জক স্টিনের মৃত্যুর পরে, অল্প সময়ের জন্য স্কটল্যান্ড দলের কর্মকর্তা হয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।

১৯৮৬ সালের নভেম্বরে, তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত হন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে ২৭ বছরের সময়কালে তিনি ১৩ টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, পাঁচটি এফএ কাপ এবং দুটি ইউইএফএ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা সহ ৩৮ টি ট্রফি জিতেছিলেন।[৭] ১৯৯৯ সালে, ফুটবলে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।[৮] ফার্গুসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দীর্ঘতম কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন, ১৯ ডিসেম্বর ২০১০-এ স্যার ম্যাট ব্যসবির করা "দীর্ঘতম কর্মকর্তা" রেকর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। ২০১২-১৩ মৌসুমের শেষের দিকে তিনি অবসর নিয়েছিলেন এবং তাঁর জীবনের শেষ প্রিমিয়ার লিগ কর্মকর্তা হিসাবে তাঁর দলকে জয়ী করিয়েছিলেন।

প্রাথমিক জীবন

৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪১ তারিখে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্লাটারের সাহায্যকারী আলেকজান্ডার বিটন ফার্গুসন এবং এলিজাবেথ (না হার্ডি)[৯] দম্পতির সন্তান অ্যালেক্স চ্যাপম্যান ফার্গুসন গোভানের শিল্ডহল রোডে তাঁর ঠাকুমার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যদিও তিনি তাঁর বাবা-মা এবং তাঁর ছোট ভাই মার্টিনের সাথে বেড়ে ওঠেন ৬৬৭ গোভান রোডের বাড়িতে (যা পরে ভেঙে দেওয়া হয়)।.[১০]

তিনি ব্রুমলান রোড প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরে গোভান উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।[১১] তিনি তাঁর ফুটবল জীবন প্রথমে গোবানের হারমনি রো বয়েজ ক্লাবের সাথে শুরু করেছিলেন[১২][১৩]এবং পরে সিনিয়র ফুটবলারদের প্রখ্যাত খ্যাতি সম্পন্ন যুবক ক্লাব ড্রামচেল অ্যামেটার্সে যোগ দেন।[১৪] তিনি হিলিংটনের একটি কারখানায় একজন সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হিসাবে একটি ইউনিয়ন শপ স্টিয়ার্ড নিযুক্ত হয়ে শিক্ষানবিশও গ্রহণ করেছিলেন।[১২]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ