ইজিপ্টএয়ার ফ্লাইট ৮০৪

ইজিপ্টএয়ার ফ্লাইট ৮০৪ (MS804/MSR804)[ক] ইজিপ্টএয়ার পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান যেটি পারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দর থকে কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ১৯ মে ২০১৬ সালে ২ঃ৩০ মিনিটে   মিশর মান সময় ভূমধ্যসাগরে হারিয়ে যায়।[২][৩]

ইজিপ্টএয়ার ফ্লাইট ৮০৪
SU-GCC ২০১১ সালে
ঘটনা
তারিখ১৯ মে ২০১৬ (2016-05-19)
সারমর্মতদন্তাধীন
স্থানভূমধ্যসাগর
৩৩°৪০′৩৩″ উত্তর ২৮°৪৭′৩৩″ পূর্ব / ৩৩.৬৭৫৭° উত্তর ২৮.৭৯২৪° পূর্ব / 33.6757; 28.7924[১]
উড়োজাহাজ
বিমানের ধরনAirbus A320-232
পরিচালনাকারীইজিপ্টএয়ার
নিবন্ধনSU-GCC
ফ্লাইট শুরুশার্ল দ্য গল বিমানবন্দর, পারিস, ফ্রান্স
গন্তব্যকায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কায়রো, মিশর
যাত্রী৫৬
কর্মী১০
নিহত৬৬ (সবাই)
উদ্ধার0

বিমানটিতে ৬৬ জন ছিলেনঃ যার মধ্যে ৫৬ জন যাত্রী, ৭ জন ক্রু এবং ৩ জন নিরাপত্তা কর্মী।[৪] বহুজাতিক অণুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।[৫][৬][৭] মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া থেকে প্রায় ২৯০ কিমি (১৮০ মা) উত্তরে ভূমধ্যসাগরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। [৮]

গ্রিসের সামরিক রাডার তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইট ৮০৪ মিশরের ফ্লাইট তথ্য অঞ্চলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দিক পরিবর্তন করে। ৩৭,০০০ ফুট (১১,০০০ মিটার), উচ্চতায় বিমানটি ৯০ - ডিগ্রী উত্তর দিকে ঘুরে যায় এবং তারপরে ৩৬০ ডিগ্রী এবং এর পরে এটি দ্রুত নিচের দিকে নামতে থাকে। ১০,০০০ ফু (৩,০০০ মি) উচ্চতায় এটি রাডার থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়।[৯][১০]

বিমান

বিমানটি ১৩ বছরের পুরাতন। এই বিমানটি প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করে ২৫ জুলাই ২০০৩ এবং ইজিপ্টএয়ারকে সরবরাহ করে ৩ নভেম্বর ২০০৩ সালে।[১১]

ফ্লাইট

ফ্লাইট ৮০৪ -এর গতিপথ, লাল তারকা সঙ্কেত হারানোর স্থান এবং হলুদ দাগ উদ্দীষ্ট ফ্লাইট পথ।

বিমানটি পারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ১৮ মে ২০১৬ সালের ২৩ঃ০৯ মিনিটে (একই সময় অঞ্চল (ইউটিসি+০২), ফ্রান্স এবং মিশরের) মিশরের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু করে।[১২][১৩][১৪]

যাত্রী ও ক্রু

যাত্রী

৬৬ জন যাত্রী ১৩টি ভিন্ন দেশের। [১৫] তিনজন যাত্রী শিশু যার মধ্যে দুইটি নবজাতক ছিল।[১৯]

ক্রু

১০ জন ক্রূর মধ্যে দুইজন পাইলট, পাঁচজন বিমানবালা এবং তিনজন নিরাপত্তা কর্মী।[২০]

সন্ধান এবং উদ্ধান কার্যক্রম

প্রতিক্রিয়া

তদন্ত প্রতিবেদন

২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকাশিত ফরাসি বিশেষজ্ঞদের এক তদন্ত প্রতিবেদন মোতাবেক বিমানটির ককপিট থেকে শুরু হওয়া আগুনে এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। চলন্ত অবস্থায় ককপিটের ভেতর সিগারেট জ্বালিয়েছিলেন পাইলট কিংবা কো-পাইলট। এতে একটি আপদকালীন অক্সিজেন মাস্ক ফুটো হয়ে যায় এবং সেই অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে সিগারেটের আগুন প্রথমে ককপিট এবং পরে পুরো বিমানে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার চালিয়ে তদন্তকারীরা ককপিটের ভিতরে হাওয়া বেরোনোর মতো খুব মৃদু শব্দ শুনতে পান। পরে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, সেই সময় পাইলট কিংবা কো-পাইলট ধূমপান করছিলেন। তাতে অক্সিজেন মাস্ক ফুটো হয়ে গ্যাস বেরোতে শুরু করে। এই শব্দ মাইক্রোফোনে রেকর্ড হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় বিমান আরোহীর সকলে প্রাণ হারান।[২১]

নোট

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ