ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চল

জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল

ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চল (茨城県? ইবারাকি কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্তোও অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[১] এর রাজধানী মিতো নগর।[২]

ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চল
茨城県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
 • জাপানি茨城県
 • রোমাজিIbaraki-ken
ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলকান্তোও
দ্বীপহোনশু
রাজধানীমিতো
আয়তন
 • মোট৬,০৯৫.৫৮ বর্গকিমি (২,৩৫৩.৫২ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম২৩শ
জনসংখ্যা (সেপ্টেম্বর ১, ২০১০)
 • মোট২৯,৬৪,১৪১
 • ক্রম১১শ
 • জনঘনত্ব৪৮৬.২৮/বর্গকিমি (১,২৫৯.৫/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-08
জেলা
পৌরসভা৪৪
ফুলগোলাপ (রোসা)
গাছউমে গাছ (প্রুনাস মুমে)
পাখিইউরেশীয় স্কাইলার্ক (অ্যালাউডা আর্ভেন্সিস)
ওয়েবসাইটwww.pref.ibaraki.jp

ইতিহাস

আগ্নেয়গিরির ছাই থেকে প্রাপ্ত নিদর্শন বিশ্লেষণ করে অনুমান করা হয় অধুনা ইবারাকি অঞ্চলে প্রায় ২৪,০০০ বছর আগে থেকে মানুষের বাস ছিল। খননকার্যের ফলে পাথরের ছুরি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা গেছে, এবং আগুনের ব্যবহারের চিহ্নও আবিষ্কৃত হয়েছে। এই প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতি উত্তরে সাখালিন দ্বীপ, হোক্কাইদোতোওহোকু অঞ্চল এবং দক্ষিণে কিউশু ও পশ্চিম জাপান থেকে এখানে সঞ্চারিত হয়েছিল। হিতাচিনাকার উশিরোনো-বি ক্ষেত্র থেকে অধিকাংশ নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে।[৩]

১৮৬৮ খ্রিঃ ও তার পরবর্তীকালে মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত ইবারাকি অঞ্চলটির শাসনভার মিতো পরিবার ও আরও ১৭ টি অভিজাত পরিবারের মধ্যে বিভক্ত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্ত গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে অঞ্চলটির মানচিত্রের বহু পরিবর্তন ঘটেছে। মেইজি পুনর্গঠনের সময়ও অঞ্চলটিতে একাধিক প্রাথমিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশাসনিক অঞ্চল ছিল। ১৮৭১ খ্রিঃ জুলাই মাসে পূর্বতন প্রদেশগুলির অনুসারী প্রশাসনিক অঞ্চলব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস হয় এবং ১৮৭৫ খ্রিঃ পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী ইন্‌বা ও শিঞ্জি প্রশাসনিক অঞ্চল ইবারাকির সাথে যুক্ত হয়। কিছু অঞ্চলকে চিবা প্রশাসনিক অঞ্চলের সাথে জোড়া হয়। বর্তমানে তোনে নদীকে ইবারাকির দক্ষিণ সীমা স্থির করা হয়েছে।

ভূগোল

ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চল হল কান্তোও অঞ্চলের উত্তর-পূর্ব অংশ। এর বিস্তার পশ্চিমে তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর অবধি; উত্তরে ফুকুশিমা, দক্ষিণে চিবা ও দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে সাইতামা প্রশাসনিক অঞ্চল। ইবারাকির উতর অংশ পর্বতময় হলেও অবশিষ্টাংশ সমতল ও বহু হ্রদ বিশিষ্ট।

২০১২ এর এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১৫ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সুইগো-ৎসুকুবা উপ-জাতীয় উদ্যান এবং নয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৪]

অর্থনীতি

ইবারাকির অর্থনীতির চালিকাশক্তি হল শক্তি উৎপাদন, বিশেষত পারমাণবিক বিদ্যুৎ। এছাড়া রাসায়নিক ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ। বিখ্যাত হিতাচি কোম্পানির জন্মস্থান ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের হিতাচি নগর।

২০১১ এর মার্চের হিসেব অনুযায়ী ইবারাকি জাপানের গোলমরিচ ও চীনা বাঁধাকপির ২৫ শতাংশ উৎপাদন করে।[৫]

সংস্কৃতি

ইবারাকির বাসিন্দা উয়েশিবা মোরিহেই মার্শাল আর্ট আইকিদোর উদ্ভাবন করেন। জীবনের শেষভাগ তিনি ইওয়ামা শহরে অতিবাহিত করেন, এবং তার নির্মিত আইকি তীর্থ ও দোজো এখনও অটুট আছে।

মিতো, কাসামা, য়ুউকি ইত্যাদি নগর ও শহরে প্রচুর দুর্গের ধ্বংসাবশেষ আছে।

রাজধানী মিতো নগরে রয়েছে জাপানের তিনটি সর্বাধিক বিখ্যাত উদ্যানের মধ্যে অন্যতম কাইরাকু-এন্‌। এর অন্যতম বিশেষত্ব হল ১০০ এরও বেশি রকমের ৩০০০ এরও বেশি জাপানি বেরি বা উমে গাছ।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ