জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল

দেশের ৪৭ প্রশাসনিক অঞ্চল

জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল বা প্রিফেক্‌চার (都道府県?,তোদোওফুকেন) বলতে আধুনিক জাপান রাষ্ট্রের ৪৭ টি প্রশাসনিক ও বিচার বিভাগীয় একককে বোঝায়। এদের মধ্যে ৪৩ টি হল যথাযথ প্রশাসনিক অঞ্চল (県 কেন্‌), ২ টি নগর-প্রশাসনিক অঞ্চল (府 ফু, ওসাকা এবং কিয়োতো), একটি "বর্ত্ম" বা "এলাকা" (道 দোও, হোক্কাইদো) এবং একটি "মহানগর" (都 তো, টোকিও)। ১৮৬৮ খ্রিঃ ক্ষমতাপ্রাপ্ত মেইজি ফুহাংকেন সাঞ্চিসেই প্রশাসন ১৮৭১ খ্রিঃ জাপানের পূর্বতন প্রদেশগুলিকে পুনর্বিন্যস্ত করে বর্তমান প্রশাসনিক অঞ্চল ব্যবস্থার সূচনা করে।[১]

প্রশাসনিক অঞ্চল
都道府県
তোদোওফুকেন
শ্রেণিএককেন্দ্রিক রাষ্ট্র
অবস্থানজাপান
সংখ্যা৪৭
জনসংখ্যা৫,৮৪,৯৮২ (তোত্তোরি) – ১,২০,৫৯,২৩৭ (টোকিও)
আয়তন১,৮৬১.৭ কিমি (৭১৮.৮ মা) (কাগাওয়া) – ৮৩,৪৫৩.৬ কিমি (৩২,২২১.৬ মা) (হোক্কাইদো)
সরকার
উপবিভাগ
  • জেলা

প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলের কর্ণধার হলেন একজন প্রত্যক্ষ নির্বাচিত গভর্নর (知事 চিজি)। স্থানীয় বিচারবিভাগীয় সিদ্ধান্ত ও বাজেট পেশ করে একটি এককক্ষবিশিষ্ট সভা (議会 গিকাই)। এই সভার সদস্যরা চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন।

বর্তমান স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন অনুযায়ী প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চল কয়েকটি করে নগর (市 শি) ও জেলায় (郡 গুন) বিভক্ত। প্রতিটি জেলা কয়েকটি শহর (町 চোও/মাচি) ও গ্রামে (村 সোন/মুরা) বিভক্ত। যেমন, হোক্কাইদো ১৪ টি জেলা বা উপপ্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত, যেগুলো হোক্কাইদো প্রশাসনিক অঞ্চলের শাখা কার্যালয় (支庁 শিচোও) হিসেবে কাজ করে। অন্য কোনও কোনও প্রশাসনিক অঞ্চলেও এই ধরনের শাখা কার্যালয় আছে যেখানে রাজধানীর বাইরে থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালানো হয়। জাপানের রাজধানী টোকিও একটি মিশ্র নগর-প্রশাসনিক অঞ্চল বা মহানগর; এর মধ্যে নগর ও প্রশাসনিক অঞ্চল - উভয়েরই বৈশিষ্ট্য আছে।

প্রেক্ষাপট

মেইজি সরকার ১৮৭১ খ্রিঃ জুলাই মাসে পূর্বতন প্রদেশ বিভাজনের হান পদ্ধতি বাতিল করে দিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল পদ্ধতি বলবৎ করে। প্রাথমিকভাবে ৩০০ টির বেশি প্রশাসনিক অঞ্চল ছিল। এদের অনেকগুলোই ছিল পূর্বতন হান বা প্রদেশ। ক্রমে সংলগ্ন প্রদেশগুলোকে জুড়ে দিয়ে ১৮৮৮ খ্রিঃ তাদের সংখ্যা ৪৭ এ নামিয়ে আনা হয়। ১৯৪৭ খ্রিঃ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন আইন প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোকে অধিকতর রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয় এবং প্রশাসনিক অঞ্চলভিত্তিক গভর্নর ও আইনসভা স্থাপন করে।

২০০৩ খ্রিঃ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইযুমি প্রস্তাব দেন বর্তমান প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোকে দশটা রাজ্যে সংবদ্ধ করার। এই নতুন রাজ্যগুলোকে বর্তমান প্রশাসনিক অঞ্চলের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার কথা বলা হয়। এতে উপপ্রশাসনিক কার্যালয়ের সংখ্যা কমবে এবং সার্বিকভাবে প্রশাসনের ব্যয় কমবে।[২] জাপান সরকার অনেকগুলো প্রশাসনিক অঞ্চলকে জুড়ে দিয়ে ৯ থেকে ১৩ টির মত উপ-জাতীয় প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করার একটা প্রস্তাবও বিবেচনা করছে। এই ব্যবস্থারও লক্ষ্য স্থানীয় সরকারের স্বায়ত্তশাসনের গণ্ডি বাড়ানো।[৩] অবশ্য ২০১২ এর আগস্ট অবধি কোনও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ