ইয়েকাতেরিনবুর্গ
ইয়েকাতেরিনবুর্গ (রুশ: Екатеринбу́рг) মধ্য রাশিয়ার একটি শহর। ইসেত নদীর তীরে অবস্থিত শহরটি স্ভের্দ্লভ্স্ক্ ওবলাস্ত-এর প্রশাসনিক কেন্দ্র। শহরটি উরাল পর্বতমালার পূর্ব ঢালে একটি খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চলে অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর। শহরটি আন্তঃসাইবেরীয় রেলপথের উপর অবস্থিত। এখানে প্লাটিনাম শোধনাগার, তামা ও লোহার আকরিক গলানোর কারখানা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য এবং ভারী যন্ত্রপাতি বানানোর কারখানা রয়েছে।
ইয়েকাতেরিনবুর্গ | |
---|---|
ইয়েকাতেরিনবুর্গের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৫৬°৫০′৮″ উত্তর ৬০°৩৬′৪৬″ পূর্ব / ৫৬.৮৩৫৫৬° উত্তর ৬০.৬১২৭৮° পূর্ব | |
দেশ | রাশিয়া |
ফেডারেল বিষয় | Sverdlovsk Oblast |
প্রতিষ্ঠাকাল | 1723 |
আয়তন | |
• মোট | ৪৬৮.০ বর্গকিমি (১৮০.৭ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২৩৭ মিটার (৭৭৮ ফুট) |
সময় অঞ্চল | ইয়েকাতেরিনবুর্গ সময় [১] (ইউটিসি+5) |
ডাক কোড[২] | 620000–620999 |
যমজ শহর | স্যান হোসে, প্লোভদিভ, উপপের্টাল, পজেন, জেনোভা, কুয়াংচৌ, ইন্ছন, গোথেনবার্গ, বিশকেক, বার্মিংহাম, তুরিন, হো চি মিন সিটি |
OKTMO আইডি | 65701000001 |
ইয়েকাতেরিনবুর্গে উরাল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইয়েকাতেরিনবুর্গ সরকারি মেডিকাল ইন্সটিটিউটসহ মোট ১৬টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাকাডেমি রয়েছে এখানে। এটি উরাল অঞ্চলের একটি শিক্ষাকেন্দ্র।
রুশ সম্রাট মহান পিটার ১৭২১ সালে একটি লৌহ কারখানা শহর হিসেবে শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার স্ত্রী ইয়েকাতেরিনার নামে এটি নামকরণ করা হয়। ১৮শ শতকের শেষ দিকে বৃহৎ সাইবেরীয় মহাসড়ক নির্মাণের সময় শহরটির শিল্পোন্নতি শুরু হয়। রুশ বিপ্লবের পর রুশ রাজা দ্বিতীয় নিকোলাস ও তার পরিবারকে বলশেভিকেরা এখানে অন্তরীণ করে রাখে ও পরবর্তীকালে ১৯১৮ সালে তাদেরকে হত্যা করে। ১৯২৪ সালে বলশেভিক ও সোভিয়েত নেতা ইয়াকভ সভের্দফের সম্মানে শহরটির নাম বদলে সভের্দলভ্স্ক রাখা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশে হুমকির সম্মুখীন শিল্পগুলি এই শহরে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর শহরের নাম বদলে আবার ইয়েকাতেরিনবুর্গ রাখা হয়।
এখানে প্রায় ১৩ লক্ষ লোক বাস করেন।
চিত্রশালা
- রাতের দৃশ্য
- অল সেন্টস গির্জা
- উরাল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন
- শহর বাঁধের পুকুরের দৃশ্য
- ১৮শ শতকের শেষে নির্মিত একটি পুরাতন গির্জা
- পুরাতন রেল স্টেশন
- উরাল সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- সিটি হল ভবন
- গভর্নরের বাসভবন
- লেনিনা সড়কের পাশে মনোরম পায়ে চলার পথ
- কসমস সিনেমা হল