উৎপাদন

শ্রম ও যন্ত্র ব্যবহার করে বিক্রয়ের জন্য পণ্য উৎপাদনের শিল্প কর্মকাণ্ড

উৎপাদন বা শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন বলতে ব্যবহার বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে শ্রম, যন্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পণ্য সৃষ্টি বা প্রস্তুত করাকে বোঝায়। শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনকে ঐতিহ্যগতভাবে অর্থনীতির দ্বিতীয় খাতের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়।[১] হস্তশিল্প থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন এর আওতায় পড়ে। তবে সাধারণত শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন বলতে যান্ত্রিক উপায়ে কারখানাতে কোনও পণ্যের গণ-উৎপাদনকেই বোঝানো হয়, যেখানে অর্থনীতির প্রথম খাত থেকে প্রাপ্ত কাঁচামাল থেকে বিপুল পরিমাণে সমাপ্ত পণ্য প্রস্তুত করা হয়। উৎপাদিত পণ্যগুলিকে অর্থনীতির তৃতীয় খাতের মাধ্যমে অন্তিম ব্যবহারকারীর কাছে বিতরণ করা হয় (সাধারণত প্রথমে এগুলি পাইকারী বিক্রেতার নিকট বিক্রি করা হয়, যারা সেগুলি আবার খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে এবং খুচরা বিক্রেতারা সেগুলো শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের নিকট বিক্রি করে)। তবে কখনো কখনো উৎপাদিত পণ্যগুলিকে আরও জটিল পণ্য (যেমন বিমান, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, ক্রীড়া সরঞ্জাম বা মোটরযান, ইত্যাদি) প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সকল ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেই শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের গুরুত্ব অপরিসীম। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে, সাধারণত ভোক্তার নিকট বিক্রয় করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যেই শিল্পজাত পণ্যের উৎপাদন করা হয়ে থাকে। সমষ্টিগত অর্থনীতিতে, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন মূলত রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পিত অর্থনীতির চাহিদা যোগানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার উপর সরকারের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে।

উৎপাদন উৎপাদন প্রকৌশল ও শিল্প নকশা ক্ষেত্রগুলির সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। উৎপাদন প্রকৌশল ক্ষেত্রে উৎপাদন প্রক্রিয়ার নকশা ও কাম্যকরণ করা হয়, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধাপে ধাপে কাঁচামাল অন্তিম দ্রব্যে রূপান্তরিত হয়।

বিশ্ব পর্যায়ে বৃহৎ শিল্প উৎপাদকদের মধ্যে উত্তর আমেরিকার জেনারেল মোটরস, জেনারেল ইলেক্ট্রিক্স, ইউরোপের ভোক্সওয়াগেন, সিমেন্স ও মিশেলিন উল্লেখযোগ্য। এশিয়ার শিল্প উৎপাদকদের মধ্যে রয়েছে স্যামসাং, টয়োটা ও ব্রিজস্টোন। প্রথম দিকে উৎপাদন মূলত কারিগর এবং তার সহকারীদের দ্বারা পরিচালিত হত। প্রশিক্ষণ দেওয়া হত শিক্ষানবিশের দ্বারা। শিল্পজগতের পূর্বে যখন মানুষ শিল্প সম্মন্ধে ততটা শিক্ষিত হয়নি তখন বণিকসংঘের দ্বারা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ হত।শিল্প বিপ্লবের পূর্বে বেশিরভাগ উৎপাদন সম্পাদন হত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে কৃষিকার্যের সম্বন্ধীয় গৃহকেন্দ্রিক উৎপাদন বাবস্থা পরিচালিত হত দ্বিতীয় পেশা হিসেবে। প্রায় সমস্ত গৃহে এইসব উৎপাদন পরিচালিত হত।

শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনকে ইংরেজিতে ম্যানুফ্যাকচারিং বা কদাচিৎ ফ্যাব্রিকেশন বলা হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ