এজরা পাউন্ড

এজরা ওয়েস্টন লুমিস পাউন্ড (৩০ অক্টোবর ১৮৮৫ - ১ নভেম্বর ১৯৭২) একজন প্রবাসী আমেরিকান কবি এবং সমালোচক, শুরুর দিকের আধুনিক কাব্য আন্দোলনের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ইতালির একজন ফ্যাসিবাদী সহযোগী। তাঁর কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রিপোস্টেস (১৯১২), হিউ সেলউইন মাউবারলি (১৯২০), এবং তার ৮০০ পৃষ্ঠার মহাকাব্য দ্য ক্যান্টোস (আনুমানিক ১৯১৭-১৯৬২)।

এজরা পাউন্ড

কবিতায় পাউন্ডের অবদান রাখার শুরু ২০ শতকের গোড়ার দিকে ইমাজিজমের বিকাশে তার ভূমিকার মধ্যদিয়ে। ইমাজিজম এমন একটি আন্দোলন যা ভাষার নির্ভুলতা এবং অর্থনীতির উপর জোর দেয়। বেশ কয়েকটি আমেরিকান সাহিত্য পত্রিকার বিদেশী সম্পাদক হিসাবে লন্ডনে কর্মরত অবস্থায় তিনি টিএস এলিয়ট, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং জেমস জয়েসের মতো সমসাময়িকদের কাজ আবিষ্কার ও গঠনে সহায়তা করেন। তিনি ১৯১৪ সালে জয়েসের এ পোর্ট্রেট অফ দ্য আর্টিস্ট অ্যাজ এ ইয়াং ম্যান, ইউলিসিসের ১৯১৮ সালের ধারাবাহিক প্রকাশ ও ১৯১৫ সালে এলিয়টের " দ্য লাভ সং অফ জে. আলফ্রেড প্রুফ্রক " প্রকাশে ভূমিকা রাখেন। হেমিংওয়ে 1932 সালে লিখেছিলেন, 19 শতকের শেষের দিকে বা 20 শতকের শুরুর দিকে জন্মগ্রহণকারী কবিদের পাউন্ডের দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া "যেন একটি বড় তুষারঝড়ের মধ্য গিয়েও তার শীতলতা অনুভব না করার" মতোই[ক]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের হত্যালীলায় ক্ষুব্ধ পাউন্ড অর্থনৈতিক পুঁজিবাদকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন, যাকে তিনি " সুদ " বলে অভিহিত করেন। [২] তিনি ১৯২৪ সালে ইতালিতে চলে আসেন এবং ১৯৩০ এবং ১৯৪০ এর মধ্যে সামাজিক ঋণ নামে পরিচিত একটি অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রচার করেন এবং ব্রিটিশ ফ্যাসিবাদী স্যার অসওয়াল্ড মোসলির মালিকানাধীন প্রকাশনার জন্য লেখালেখি করেন। তিনি বেনিটো মুসোলিনির ফ্যাসিবাদকে গ্রহণ করেন এবং অ্যাডলফ হিটলারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এবং ইতালিতে গণহত্যাকালীন সময়ে তিনি  জার্মান-অধিকৃত ইতালী ও ইতালিয়ান সরকারের জন্য কয়েকশত রেডিও ব্রডকাস্ট তৈরী করেন; এতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, গ্রেট ব্রিটেন, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, অস্ত্র প্রস্তুত এবং বিক্রয়কারী, ইহুদী এবং যুদ্ধে প্ররোচনাকারী ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িতকারীদের আক্রমণ করেন। যার ফলস্বরূপ তিনি ১৯৪৫ সালে ইতালিতে আমেরিকান বাহিনী দ্বারা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তিনি পিসার একটি মার্কিন সামরিক শিবিরে কয়েক মাস কাটান; এর মধ্যে তিন সপ্তাহ খোলা আকাশের নিচে রাখা একটি লোহার খাঁচায় কাটান। পরবর্তীতে তিনি বিচারের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হন এবং ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়াশিংটন, ডিসির সেন্ট এলিজাবেথ মানসিক হাসপাতালে বন্দী অবস্থায় কাটান।

ইতালিতে কাস্টাডিতে থাকাকালীন সময়ে, পাউন্ড দ্য ক্যান্টোসের কিছু অংশের কাজ শুরু করেন যা দ্য পিসান ক্যান্টোস (১৯৪৮) নামে প্রকাশিত হয়, তিনি এই কাজের জন্য ১৯৪৯ সালে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস কর্তৃক বলিঞ্জেন প্রাইজ ফর পয়েট্রি পুরস্কারে ভূষিত হন। তার এই পুরস্কার প্রাপ্তি ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। তার সহকর্মী লেখকদের প্রচারণার পর, তিনি ১৯৫৮ সালে সেন্ট এলিজাবেথ থেকে মুক্তি পান। পাউন্ড ১৯৭২ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সময় ইতালিতে কাটান। তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অভিমতের কারণে মৃত্যুর পরও তার জীবন ও কাজ বিতর্কিতই থেকে যায়।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা (১৮৮৫-১৯০৮)

পারিবারিক ইতিহাস

থাডিউস কোলম্যান পাউন্ড, পাউন্ডের পিতামহ, ১৮৮০’র দশকের শেষের দিকে

পাউন্ড 1885 সালে হেইলি, আইডাহো টেরিটরিতে একটি দুইতলা বিশিষ্ট ক্ল্যাপবোর্ড বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা-বাবা হোমার লুমিস পাউন্ড (১৮৫৮-১৯৪২) এবং ইসাবেল ওয়েস্টন (১৮৬০-১৯৪৮)[৩] ১৮৮৪ সালে বিয়ে করেন[৪]। পাউন্ড ছিলেন তাদের একমাত্র সন্তান। হোমার 1883 সাল থেকে হেইলিতে জেনারেল ল্যান্ড অফিসের রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করা শুরু করেন। [৩] [৫] পাউন্ডের দাদা, থাডিউস কোলম্যান পাউন্ড, একজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এবং উইসকনসিনের 10 তম লেফটেন্যান্ট গভর্নর, তার নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে হোমার কাঠের ব্যবসায় থাডিউসের হয়ে কাজ করেছিলেন। [৬]

পাউন্ডের পরিবারের উভয় পক্ষই ১৭ শতকে ইংল্যান্ড ত্যাগ করেন। তার বাবার দিকের অভিবাসী পূর্বপুরুষ ছিলেন জন পাউন্ড। জন পাউন্ড ছিলেন একজন কোয়েকার যিনি ১৬৫০ সালের দিকে ইংল্যান্ড থেকে এসেছিলেন। [৪] এজরার পিতামহী, সুসান অ্যাঞ্জেভাইন লুমিস, [৭] বিয়ে করেছিলেন থ্যাডিউস কোলম্যান পাউন্ডকে। [৬] আর তার মায়ের দিক থেকে, পাউন্ড ছিলেন উইলিয়াম ওয়াডসওয়ার্থের বংশধর। উইলিয়াম ওয়াডসওয়ার্থ ছিলেন একজন পিউরিটান যিনি ১৯৩২ সালে ইংলিশ ‘লায়ন’ নামক জাহাজ চড়ে বোস্টনে আসেন। ক্যাপ্টেন জোসেফ ওয়াডসওয়ার্থ কানেকটিকাট সংবিধান লিখতে সাহায্য করেছিলেন। [৮] ওয়েডসওয়ার্থ নিউইয়র্কের ওয়েস্টনে বিয়ে করেন; হার্ডিং ওয়েস্টন এবং মেরি পার্কার ছিলেন পাউন্ডের নানা-নানি। [৪] সামরিক বাহিনীতে চাকরি শেষের পর হার্ডিং বেকার হয়ে পড়েন, তাখন তার ভাই এজরা ওয়েস্টন এবং এজরার স্ত্রী, ফ্রান্সেস অ্যামেলিয়া ওয়েসেলস ফ্রিয়ার (আন্ট ফ্রাঙ্ক), পাউন্ডের মা ইসাবেলের দেখাশোনায় সাহায্য করেন। [৯]

প্রাথমিক শিক্ষা

চেলটেনহ্যাম মিলিটারি একাডেমির ইউনিফর্মে তার মায়ের সাথে পাউন্ড, ১৮৯৮

ইসাবেল পাউন্ড হেইলিতে সুখী ছিলেন না। ১৮৮৭ সালে তিনি ১৮ মাস বয়সী এজরাকে নিয়ে নিউইয়র্কে পাড়ি জমান। [১০] তার স্বামীও পরবর্তীতে নিউইয়র্কে আসেন এবং ফিলাডেলফিয়া মিন্টে একজন অ্যাসেয়ার হিসাবে একটি চাকরি খুঁজে পান। পাউন্ডের পরিবার জেনকিনটাউন, পেনসিলভানিয়ার ৪১৭ ওয়ালনাট স্ট্রিটে বাসাবদলের পর ১৮৯৩ সালে ১৬৬ ফার্নব্রুক অ্যাভিনিউ, উইনকোটে একটি ছয় বেডরুমের বাড়ি কিনেন। [৪] পাউন্ডের শিক্ষা শুরু হয় ডেম স্কুলে : ১৮৯২ সালে জেনকিনটাউনে মিস এলিয়টের স্কুলে এবং ১৮৯৩ সালে উইনকোটে হিথকক পরিবারের চেল্টেন হিলস স্কুলে। [৪] "রা" (উচ্চারণ "রে") নামে পরিচিত, তিনি ১৮৯৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উইনকোট পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। [১১] তার প্রথম প্রকাশনা ছিল ১৮৯৬ সালের ৭ নভেম্বর জেনকিনটাউন টাইমস- ক্রোনিকলে ("ইএল পাউন্ড, উইনকোট, ১১ বছর বয়সী") প্রকাশিত হওয়া উইলিয়াম জেনিংস ব্রায়ান সম্পর্কে একটি লিমেরিক, যিনি সবেমাত্র ১৮৯৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরজিত হন। [খ]

১৮৯৭ সালে ১২ বছর বয়সী পাউন্ড চেলটেনহ্যাম মিলিটারি একাডেমিতে (সিএমএ) স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি আমেরিকান গৃহযুদ্ধের ধাঁচের উর্দি গায়ে দিয়ে ড্রিলিং এবং কীভাবে গুলি করতে হয়- তার শিক্ষা নেন। [১৩] পরের বছর তিনি তার মা এবং আন্টি ফ্রাঙ্কের সাথে প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করেন। তার মা এবং আন্টি ফ্রাঙ্কের সাথে তিন মাসের এই সফরে তিনি ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, স্পেন এবং মরক্কো ভ্রমণ করেন। [১৪] তিনি 1900 সাল পর্যন্ত সিএমএতে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে কখনো কখনো একজন বোর্ডার হিসেবেও উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু ধারণা করা হয় শেষ পর্যন্ত তিনি স্নাতক হননি। [১৫] [গ]

বিশ্ববিদ্যালয়

হিলডা ডুলিটল, আনুমানিক ১৯২১

১৯০১ সালে ১৫ বছর বয়সী পাউন্ড পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লিবারেল আর্টস কলেজে ভর্তি হন। [১৭] কয়েক বছর পরে তিনি বলেছিলেন যে তার লক্ষ্য ছিল সামরিক একাডেমির মহড়া এড়ানো। [১৮] প্রথম বর্ষে তিনি জ্যামিতিতে একটি ডিস্টিঙ্কশন পান, [১৯] কিন্তু তাছাড়া ল্যাটিনসহ(তার মেজর) তার অন্যান্য গ্রেড বেশিরভাগই খারাপ ছিল। তিনি ইংরেজি রচনায় বি এবং ইংরেজি সাহিত্যে পাস করেন। [২০] "অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এড়াতে" তিনি তার দ্বিতীয়বর্ষে ডিগ্রি কোর্স "অ-ডিগ্রী বিশেষ ছাত্রের স্ট্যাটাসে" পরিবর্তন করেন। [২১] [ঘ] তিনি পেন’এ ফ্রেটারনিটির জন্য নির্বাচিত হননি, তবে তা তাকে বিব্রত করেছে বলে মনে হয় না। [২৩]

তার বাবা-মা এবং খালা ফ্রাঙ্ক তাকে 1902 সালে আরও তিন মাসের ইউরোপীয় সফরে নিয়ে যান এবং পরের বছর তিনি খুব সম্ভব তার গ্রেডের কারণে নিউইয়র্কের ক্লিনটনের হ্যামিল্টন কলেজে স্থানান্তরিত হন। [২৪] এবার আবারো ফ্রেটারনিটিতে যোগদানের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তবে এবার তিনি আমন্ত্রণ পাবার আশা করেছিলেন। তিনি ল্যাটিন-বৈজ্ঞানিক কোর্সে ভর্তি হন, তবে সম্ভবত তিনি কিছু ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলেন বলে মনে হয়। তার প্রতিলিপিতে ক্রেডিটের স্বল্পতা লক্ষণীয়। [২৪] তিনি প্রোভেনসাল উপভাষা নিয়ে অধ্যয়ন করেন এবং দান্তেঅ্যাংলো-স্যাক্সন কবিতা পড়েন, যার মধ্যে রয়েছে বেউলফ এবং দ্য সিফারার[২৫]

হ্যামিল্টন থেকে 1905 সালে পিএইচবি নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর তিনি পেনে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি হিলডা ডুলিটলের প্রেমে পড়েন। ব্রাইন মাওর কলেজে ডুলিটলের জন্য তাঁর ২৫টি কবিতা হাতে বাঁধাই করে প্রকাশ করেন যার নাম দেন হিল্ডা’স বুক। (ডুলটল নিজেই পরবর্তীতে একজন কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, পাউন্ড তার নাম দেন এইচ.ডি. ) [২৬] 1906 সালে রোমান্স ভাষায় এমএ পাস করার পর, তিনি লোপে দে ভেগার নাটকে জেস্টারদের উপর পিএইচডি থিসিস লেখার জন্য নিবন্ধন করেন। একটি দুই বছরের হ্যারিসন ফেলোশিপ তার শিক্ষা খরচ এবং $৫০০ অনুদান প্রদান করে, সেই অর্থ দিয়ে তিনি আবার ইউরোপে যান। [২৭] তিনি রয়্যাল লাইব্রেরি সহ মাদ্রিদের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে তিন সপ্তাহ কাটান। ৩১ মে ১৯০৬ -এ যখন রাজা আলফোনসোকে হত্যার চেষ্টা করা হয় তখন তিনি তিনি প্রাসাদের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, নৈরাজ্যবাদী বলে ভুল হওয়ার ভয়ে তিনি পরে সেই শহর ছেড়ে চলে যান। [২৮] স্পেনের পর তিনি প্যারিস এবং লন্ডন সফর করেন এবং 1906 সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে [২৯] ফিরে আসেন। তার প্রথম প্রবন্ধ "Raphaelite Latin", সেই সেপ্টেম্বরে বুক নিউজ মান্থলি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। [৩০] তিনি ১৯০৭ সালে ইংরেজির কোর্স শুরু করেন। সেখানে তিনি প্রায় সবার সাথেই ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়েন, বাদ যাননি বিভাগীয় প্রধান ফেলিক্স শেলিংও। [৩১] ১৯০৭ সালের বসন্তে তিনি বুঝতে পারেন যে তার ফেলোশিপ নবায়ন করা হবে না। [৩২] শেলিং তাকে বলেন যে তিনি সবার সময় নষ্ট করছেন এবং অবশেষে পাউন্ড তার ডক্টরেট শেষ না করেই চলে যান। [৩৩]

শিক্ষকতা

১৯০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পাউন্ড ওয়াবাশ কলেজে ফরাসি এবং স্প্যানিশ শেখানো শুরু করেন। [৩৪] ওয়াবাশ কলেজ ছিলো ক্রাফোর্ডসভিল, ইন্ডিয়ানায় ৩৪৫ জন ছাত্রের একটি প্রেসবিটেরিয়ান কলেজ, [৩৫] যাকে তিনি " নরকের ষষ্ঠ বৃত্ত " বলে অভিহিত করেন। [৩৬] তার একজন প্রাক্তন ছাত্র তাকে প্রাণবন্ত(ছাত্রের ভাষায়- ব্রেথ অফ ফ্রেশ এয়ার) হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু অন্য আরেক ছাত্রের মতে, তিনি ছিলেন "এক্সিবিশনিস্ট, অহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বেচ্ছাচারী"। [৩৭]

কয়েক মাস পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। সেখানে ধূমপান নিষিদ্ধ ছিল, তবে তিনি তার রুমে সিগারিলো ধূমপান করতেন, যে রুমটা আবার ছিল প্রেসিডেন্টের অফিসের একই করিডোরে। [৩৮] ১৯০৮ সালের জানুয়ারিতে তাকে কলেজ ছেড়ে যেতে বলা হয় যখন তার বাড়িওয়ালা- ইডা এবং বেলে হল- তার ঘরে একজন মহিলাকে দেখতে পান। [৩৯] বরখাস্ত করায় হতবাক হয়ে, [৪০] মার্চ মাসে নিউ ইয়র্ক থেকে আরএমএস স্লাভোনিয়া নামক জাহাজে করে ইউরোপের জন্য পাড়ি জমান। [৪১]

লন্ডন (১৯০৮-১৯১৪)

A Lume Spento

পাউন্ড ২৩ মার্চ ১৯০৮-এ জিব্রাল্টারে আসেন। তিনি সেখানে এবং স্পেনে আমেরিকান পরিবারের জন্য গাইড হিসাবে কাজ করে প্রতিদিন $15 করে উপার্জন করেন। [৪২] সেভিল, গ্রেনাডা এবং জেনোয়াতে থামার পর, এপ্রিলের শেষের দিকে তিনি ভেনিসে যাত্রা করেন। তিনি সেখানে সান ভিও ব্রিজের কাছে একটি বেকারিতে বাস করতেন। [৪৩] সেই গ্রীষ্মে তিনি 72-পৃষ্ঠা ও 44টি কবিতার প্রথম সংকলন A Lume Spento ("With Tapers Quenched") স্ব-প্রকাশ(self-publish) করার সিদ্ধান্ত নেন এর। বইটির ১৫০টি কপি জুলাই ১৯০৮ সালে মুদ্রিত হয়। [৪৪] শিরোনামটি দান্তের পুরগাটোরিওর তৃতীয় ক্যান্টো থেকে নেয়া, নামটি সিসিলির রাজা ম্যানফ্রেডের মৃত্যুকে ইঙ্গিত করে। পাউন্ড বইটি উৎসর্গ করেন ফিলাডেলফিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিল্পী বন্ধু উইলিয়াম ব্রুক স্মিথকে, যিনি খানিক পূর্বে যক্ষ্মা রোগে মারা যান। [৪৫]

লন্ডনে বসবাস

48 ল্যাংহাম স্ট্রিট, ফিটজরোভিয়া, লন্ডন W1

১৯০৮ সালের আগস্টে পাউন্ড এ লুম স্পেন্টোর ৬০টি কপি নিয়ে লন্ডনে চলে আসেন। [৪৬] মরিস হিউলেট, রুডইয়ার্ড কিপলিং এবং আলফ্রেড টেনিসনের মতো ইংরেজ কবিরা একটি বিশেষ ধরনের ভিক্টোরিয়ান শ্লোক জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন যার বৈশিষ্ট্য ছিল আলোড়ন, আড়ম্বরপূর্ণ এবং প্রচারমূলক। আধুনিকতাবাদী পণ্ডিত জেমস ন্যাপের মতে, পাউন্ড কবিতা "ভার্সিফাইড নৈতিক প্রবন্ধ" এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন; তিনি চেয়েছিলেন স্বতন্ত্র অভিজ্ঞতার উপর, বিমূর্ত না বরং মূর্তের উপর তার মনোযোগ নিবদ্ধ করতে। [৪৭]

পাউন্ড প্রথমে ব্রিটিশ মিউজিয়াম রিডিং রুমের কাছাকাছি ৮ ডাচেস স্ট্রিটের একটি বোর্ডিং হাউসে থাকতেন; তিনি 1906 সালে ইউরোপ ভ্রমণের সময় বাড়িওয়ালার সাথে পরিচিত হন [৪৮] । তিনি শীঘ্রই আইলিংটনে চলে যান (সপ্তাহে ১২শিলিং ৬পেন্সের একটি সস্তা বোর্ড এবং লজিং’এ)। কিছুদিন পর তার বাবার পাঠানো ৪পাউন্ড পেয়ে তিনি সেন্ট্রাল লন্ডনে, গ্রেট টিচফিল্ড স্ট্রিটের কাছে ৪৮ ল্যাংহাম স্ট্রিটে ফিরে যেতে সক্ষম হন। [৪৯] বাড়িটির বর্ণনা "ক্যান্টো LXXX" ( দ্য পিসান ক্যান্টোস )’এ পাওয়া যায়। [৫০]

ডরোথি শেক্সপিয়ারের সাথে পরিচয়, Personae

পাউন্ড 1914 সালে ডরোথি শেক্সপিয়ারকে বিয়ে করেন।

1909 সালে একটি সাহিত্য সভায় পাউন্ড ঔপন্যাসিক অলিভিয়া শেক্সপিয়ারের সাথে পরিচিত হন [৫১] এবং পরে কেনসিংটনের 12 ব্রান্সউইক গার্ডেনে শেক্সপিয়ারের বাড়িতে, তার মেয়ে ডরোথির সাথে পরিচিত হন, যিনি পরবর্তীতে 1914 সালে পাউন্ডের পত্নী হন। [৫২]

অচিরেই পাউন্ড মরিস হিউলেট, লরেন্স বিনয়ন, ফ্রেডেরিক ম্যানিং, আর্নেস্ট রাইস, মে সিনক্লেয়ার, এলেন টেরি, জর্জ বার্নার্ড শ, হিলেয়ার বেলোক, টিই হুলমে এবং এফএস ফ্লিন্ট ও সহ লন্ডনের প্রখ্যাত সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের স্রোতে মিশে যান। [৫৩] অলিভিয়া শেক্সপিয়ারের পাউন্ডকে তার প্রাক্তন প্রেমিক, বিখ্যাত কবি ডব্লিউবি ইয়েটসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পাউন্ড ইতিমধ্যেই ইয়েটসকে তার বই A Lume Spento- এর একটি কপি পাঠিয়েছিলেন এবং ইয়েটস বইটিকে "মনোহর" বলে গ্রহণ করেন। [৫৪] রিচার্ড অ্যাল্ডিংটনের মতে, লন্ডন পাউন্ডকে চিত্তাকর্ষক হিসেবে গ্রহণ করে। সংবাদপত্রগুলি তার সাক্ষাৎকার নেয়, [৫৫] এবং পাঞ্চ ম্যাগাজিনে তার উল্লেখ করা হয়, যেটি 23 জুন 1909-এ "মিস্টার এজেকিয়েল টন" কে বর্ণনা করে- " রবার্ট ব্রাউনিংয়ের পর কবিতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জিনিস"। ... নিরবচ্ছিন্ন পশ্চিমের চিত্র, ওয়ার্ডুর স্ট্রিটের শব্দভাণ্ডার, এবং বোরগিয়াক ইতালির অশুভ পরিত্যাগ"। [৫৬]

Erat Hora

"Thank you, whatever comes." And then she turned
And, as the ray of sun on hanging flowers
Fades when the wind hath lifted them aside,
Went swiftly from me. Nay, whatever comes
One hour was sunlit and the most high gods
May not make boast of any better thing
Than to have watched that hour as it passed.

— Personae: The Collected Poems of Ezra Pound (1926)[৫৭]

এপ্রিল ১৯০৯ সালে এলকিন ম্যাথিউস Personae of Ezra Pound (অর্ধেক কবিতা A Lume Spento থেকে নেয়া) [৫৮] [ঙ] এবং অক্টোবরে এক্সল্টেশনস নামে আরও ২৭ টি কবিতা (যার মধ্যে ১৬টি নতুন) প্রকাশ করেন। [৬১] এডওয়ার্ড থমাস ইংলিশ রিভিউতে Personae’কে "মানুষের আবেগ ও প্রাকৃতিক জাদুতে পরিপূর্ণ" বলে বর্ণনা করেন। [৬২] রুপার্ট ব্রুক কেমব্রিজ রিভিউতে অনুযোগ করেন যে পাউন্ড ওয়াল্ট হুইটম্যানের দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু তিনি পাউন্ডের প্রতিভার ব্যাপারে নিঃসন্দেহ ছিলেন। [৬৩]

সেপ্টেম্বরে বা তার কাছাকাছি সময়ে, পাউন্ড কেনসিংটন হাই স্ট্রিটের কাছে চার্চ ওয়াকের একটি নতুন কক্ষে চলে আসেন যেখানে তিনি ১৯১৪ সাল পর্যন্ত [৬৪] বেশিরভাগ সময় কাটান। তিনি ১৯১০ সালের মার্চ মাসে প্যারিসে তার এক বন্ধু ওয়াল্টার রুমেলের সাথে দেখা করেন এবং আমেরিকান উত্তরাধিকারী এবং পিয়ানোবাদক মার্গারেট ল্যানিয়ার ক্র্যাভেনসের সাথে পরিচিত হন। তাদের পরচেয়ের স্বল্প সময়েই বছরে $1,000’র বিনিময়ে তিনি তার সংগীতের পৃষ্ঠপোষক হওয়ার প্রস্তাব দেনে এবং তারপর থেকে ১৯১২ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পাউন্ডকে নিয়মিত অর্থ প্রেরণ করেন। [৬৫]

দ্য স্পিরিট অফ রোম্যান্স, ক্যানজোনি, দ্য নিউ এজ

1910 সালের জুন মাসে পাউন্ড আট মাসের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন। ঠিক একই সময় লন্ডন হতে তার প্রথম সাহিত্য সমালোচনার বই দ্য স্পিরিট অফ রোমান্সের প্রকাশিত হয়। [৬৬] বইটি পলিটেকনিকে তার লেকচার নোটের উপর ভিত্তি করে তৈরী করেছিলেন।পাত্রিয়া মিয়া নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রবন্ধগুলি এই সময়ে লেখা হয়েছিল। [৬৭] আগস্ট মাসে তিনি নিউ ইয়র্কে চলে যান। সেখানে ওয়েভারলি প্লেস এবং পার্ক অ্যাভিনিউ সাউথের গ্র্যামারসি স্কোয়ারের মুখোমুখি রুম ভাড়া নেন। [৬৮] যদিও তিনি নিউ ইয়র্ক পছন্দ করতেন, কিন্তু শহরটির ব্যবসাদার মনোবৃত্তি আর পূর্ব আর দক্ষিণ ইউরোপ হতে আসা নবাগত,যারা ক্রমাগত সাদা অ্যাংলো-স্যাক্সন প্রোটেস্ট্যান্টদের জায়গা দখল করছে, এসব কারণে তিনি এই নতুন এই নিউ ইয়র্ক থেকে আবেগ বন্ধনহীন অনুভব করেন। [৬৯] সম্প্রতি তৈরী হওয়ানিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরির প্রধান শাখাটিকে তিনি বিশেষভাবে আপত্তিকর মনে করতেন। [৭০] ঠিক এই সময়কালেই তার ইহুদি-বিদ্বেষ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি পাত্রিয়া মিয়ার একটা অংশে ইহুদিদের "ঘৃণ্য গুণাবলী" -বলে ইহুদিদের নিন্দা করেন। [৭১]

তার বাবা-মাকে ইউরোপে ফেরার অর্থায়নের জন্য রাজি করানোর পর, তিনি ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯১১ তারিখে নিউইয়র্ক হতে আরএমএস মৌরেটানিয়া নামক জাহাজে করে যাত্রা শুরু করেন। তিনি এরপর আবার যৃক্তরাষ্ট্রে পা রাখেন প্রায় ৩০ বছর পর—এপ্রিল ১৯৩৯’এ। [৭২]

১৮৯৭ সালে অক্সফোর্ড স্ট্রিট’এর, মিররড সিলিং সহ ভিয়েনা ক্যাফের প্রথম তলা। রুমটি পাউন্ড, উইন্ডহাম লুইস এবং অন্যান্য লেখকদের জন্য একটি মিলনস্থল হয়ে ওঠে।

লন্ডনে তিন দিন থাকার পর তিনি প্যারিসে যান, [৭৩] সেখানে তিনি কবিতার একটি নতুন সংকলন ক্যানজোনি (১৯১১) নিয়ে কাজ করেন। [৭৪] ওয়েস্টমিনস্টার গেজেট যার সমালোচনা করে এভাবে- "ভনিতার সাথে পান্ডিত্যের মিশ্রণ"। [৭৫] আরেক জায়গায় পাউন্ড ফোর্ড ম্যাডক্স ফোর্ডর মৃত্যুবার্তায়(obituary) লিখেছিলেন ফোর্ড তার "অলংকারবহুল ভাষা" দেখে হেসে মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়েছিলেন। [৭৬] আগস্ট মাসে তিনি লন্ডনে ফিরে আসার পর, তিনি ২এ গ্র্যানভিল প্লেসে মেরিলেবোনে একটি রুম ভাড়া নেন, তারপর 39 অ্যাডিসন রোড নর্থ, W11- এ একটি বাড়ি ভাগাভাগি(share) করে থাকতে শুরু করেন। [৭৭] নভেম্বরের মধ্যে এআর অরেজ, দ্য নিউ এজ নামক সমাজতান্ত্রিক জার্নালের সম্পাদক, তাকে একটি সাপ্তাহিক কলাম লেখার জন্য নিয়োগ করেন। [৭৮] অরেজকে পাউন্ডের লেখা দ্য ক্যান্টোসে পাওয়া যায় এভাবে: "কিন্তু এদের অনেকেরই, ইয়েটস, পসাম এবং উইন্ডহামের / পায়ের নিচে কোনো মাটি ছিল না / অরেজের ছিল।" (এখানে পোসাম হচ্ছেন টি. এস. এলিয়ট)[৭৯]

পাউন্ড ৩০ নভেম্বর ১৯১১ থেকে ১৩ জানুয়ারী ১৯২১ সাল পর্যন্ত নতুন যুগ পত্রিকায় অবদান রেখেছিলেন।[৮০] পাউন্ড তখন চ্যান্সেরি লেনে একটি নোংরা ABC টিরুমের বেসমেন্টে সম্পাদকীয় সভায় অংশ নিতেন। [৮১] সেখানে এবং অন্যান্য বৈঠকে তিনি আর্নল্ড বেনেট, সিসিল চেস্টারটন, বিট্রিস হেস্টিংস, এসজি হবসন, টিই হুলমে, ক্যাথরিন ম্যানসফিল্ড এবং এইচজি ওয়েলস -এর সাথে পরিচিত হন। [৮০] 1918 সালে নিউ এজ অফিসে, তিনি ব্রিটিশ প্রকৌশলী সিএইচ ডগলাসের সাথেও পরিচিত হন, যিনি তার সামাজিক ঋণের অর্থনৈতিক তত্ত্বের উন্নতিসাধন করছিলেন। পাউন্ডের কাছে বিষয়টি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। [৮২] কথিত আছে, ডগলাস বিশ্বাস করতেন যে ইহুদিরা একটি সমস্যা; তিনি আরও ভাবতেন ইহুদিদের নিজেদের "আধিপত্যশীল জাতি" ভাবার এই মেসিয়ানিক দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করা দরকার। [৮৩] কলিন হোমসের মতে, নিউ এজ ম্যাগাজিন নিজেই ইহুদি-বিদ্বেষী লেখা প্রকাশ করত[৮৪]

পয়েট্রি ম্যাগাজিন, রিপোস্টেস, ইমাজিজম

10 চার্চ ওয়াক, কেনসিংটন, লন্ডন W8. পাউন্ড 1909-1910 এবং 1911-1914 সালে প্রথম তলায় (বামে) থাকতেন। [চ]

হিলডা ডুলিটল ১৯১১ সালের মে মাসে কবি ফ্রান্সেস গ্রেগ এবং গ্রেগের মায়ের সাথে ফিলাডেলফিয়া থেকে লন্ডনে আসেন; অন্য সবাই সেপ্টেম্বরে ফিরে গেলেও ডুলিটল থেকে যান। পাউন্ড তাকে তার বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যার মধ্যে রিচার্ড অ্যাল্ডিংটনও(ডুলিটল যাকে ১৯১৩ সালে বিয়ে করেন) ছিলেন। এর আগে, তারা তিনজন চার্চ ওয়াক, কেনসিংটনে-পাউন্ড ১০ নম্বরে, অল্ডিংটন ৮ নম্বরে আর ডুলিটল৬ নম্বরে থাকতেন। তারা প্রতিদিন ব্রিটিশ মিউজিয়াম রিডিং রুমে কাজ করত। [৬৪]

ব্রিটিশ মিউজিয়ামে, লরেন্স বিনিয়ন পাউন্ডকে জাপানী উকিও-ই প্রিন্ট সহ পূর্ব এশীয় শৈল্পিক ও সাহিত্যিক ধারণার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পাউন্ড তার পরবর্তী কবিতায় এসব ধারণা কাজে লাগান। [৮৭]

১৯১২ সালের আগস্টে হ্যারিয়েট মনরো পাউন্ডকে শিকাগোর একটি নতুন পত্রিকাপোয়েট্রি: এ ম্যাগাজিন অফ ভার্স’এর বিদেশী সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন। [৮৮] অক্টোবরে প্রথম সংস্করণে তার নিজের দুটি কবিতা, "টু হুইসলার, আমেরিকান" এবং "মিডল এজড" প্রকাশ হয়। এছাড়াও সেই মাসে লন্ডনের স্টিফেন সুইফ্ট অ্যান্ড কোং. রিপোস্টেস অফ এজরা পাউন্ড প্রকাশ করে। এটি ছিল ২৫টি কবিতার একটি সংকলন, যার মধ্যে ৮ম শতাব্দীর পুরানো ইংরেজি কবিতা The Seafarer- এর একটি বিতর্কিত অনুবাদ রয়েছে, [৮৯] যা মিনিমালিস্ট ল্যাঙ্গুয়েজের দিকে তার পরিবর্তন প্রকাশ দেয়। [৬৪] পাউন্ডের কাজ ছাড়াও সংগ্রহটিতে টিই হুলমের পাঁচটি কবিতা ছিল। [৯০]

কবিতার প্রথম সংস্করণ, অক্টোবর 1912

এক বিকেলে ডুলিটল এবং অ্যাল্ডিংটনের সাথে ব্রিটিশ মিউজিয়াম টিরুমে, পাউন্ড ডুলিটলের একটি কবিতা সম্পাদনা করেন এবং নীচে "এইচডি ইমাজিস্ট" লিখে দেন; [৯১] তিনি এটিকে পরবর্তীতে কবিতায় ইমাজিজম আন্দোলনের উৎপত্তি হিসাবে বর্ণনা করেন। [৯২] [ছ] ১৯১২ সালের বসন্ত বা গ্রীষ্মের প্রথম দিকে, তারা একমত হন, পাউন্ড ১৯১৮ সালে তিনটি নীতিতে লিখেন:

১. বিষয় বা বস্তু যাই হোক না কেন তার সরাসরি বর্ণনা।

২. বর্ণনায় / উপস্থাপনায়(presentation) অবদান রাখে না এমন কোনও শব্দ একেবারেই ব্যবহার না করা।

৩. ছন্দ সম্পর্কিত: সঙ্গীতধর্মী শব্দগুচ্ছের রচনা করা, মাত্রানুসারে নয়। [৯৪]

কবিতা ১৯১৩ সালের মার্চ মাসে পাউন্ডের "এ ফিউ ডোন্ট‘স বাই অ্যান ইমাজিস্ট" প্রকাশ করে। অপ্রয়োজনীয় শব্দ, বিশেষ করে বিশেষণ, সেইসাথে "শান্তির মৃদু ভূমি(dim lands of peace)" এর মত অভিব্যক্তি এড়ানো উচিত। তার মতে: "এটি ছবিকে নিস্তেজ করে দেয়। এটি বিমূর্ততার সাথে মূর্ততাকে মিশ্রিত করে দয়ে। এটি লেখকের এই অনুপলব্ধি থেকে আসে যে প্রাকৃতিক বস্তু সর্বদাই যুতসই প্রতীক।" কবিদের উচিত "বিমূর্ততাকে ভয় পাওয়া"। [৯৫] পরবর্তীতে অ্যামি লোয়েলের উদ্দেশ্যে লেখা একটি লেখা অনুসারে তিনি চেয়েছিলেন ইমাজিজম যাতে ‘ধোঁয়াশাবিহীন আলোর, সুস্পষ্ট ধারের প্রতিনিধিত্ব করে(to stand for hard light, clear edges)’। [৯৬]

In a Station of the Metro

The apparition    of these faces    in the crowd:
Petals    on a wet, black   bough.

— Poetry (April 1913)[৯৭]

ইমাজিস্ট কবিতার একটি উদাহরণ হল পাউন্ডের " ইন এ স্টেশন অফ দ্য মেট্রো ",পয়েট্রি ম্যাগাজিনে ১৯১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত। কবিতাটি প্যারিসের আন্ডারগ্রাউন্ডের অভিজ্ঞতা দ্বারা অনুপ্রাণিত। ৬ জুন ১৯১৩-এ TP's Weekly- তে "How I begin"-নামক লেখায় তিনি লিখেছিলেন, "ট্রেন থেকে নামার পর, মনে হয় লা কনকর্ডে , এবং ধাক্কাধাক্কির মাঝেই আমি একটি সুন্দর মুখ দেখতে পেলাম, এবং তারপরে অন্য একটি মুখ এবং আরেকটি, এবং তারপর একটি সুন্দর শিশুর মুখ, এবং তারপর আরেকটি সুন্দর মুখ। সারা দিন আমি আমি সেই অনুভূতি প্রকাশের জন্য শব্দ খোঁজার চেষ্টা করলাম। . . . আমি শুধু রঙের দাগ ছাড়া কিছুই পেলাম না।" এক বছর পরে তিনি এর সারাংশকে জাপানি হাইকুর আকারে প্রকাশ করেন। [৯৮]

জেমস জয়েস, পাউন্ডের অজনপ্রিয়তা

জেমস জয়েস, গ. 1918

1913 সালের গ্রীষ্মে পাউন্ড দ্য ইগোইস্ট -এর সাহিত্য সম্পাদক হন। দ্য ইগোইস্ট জার্নাল সাফ্রাগেট ডোরা মার্সডেন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [৯৯] ডব্লিউবি ইয়েটসের পরামর্শে, পাউন্ড সেই বছরের ডিসেম্বরে জেমস জয়েসকে তার লেখা জমা দিতে উৎসাহিত করেন। [১০০] আগের মাসে ইয়েটস(তখন তার দৃষ্টিশক্তি ক্রমাগত নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল), সাসেক্সের কোলম্যানস হ্যাচে স্টোন কটেজ ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি পাউন্ডকে তার সেক্রেটারি হিসাবে তার সাথে থাকার আমন্ত্রণ জানান এবং এই সফরের সময়ই ইয়েটস পাউন্ডকে জয়েসের চেম্বার মিউজিক এবং তার "I hear an Army Charging Upon the Land" -এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। [১০১] পাউন্ড এবং ইয়েটস স্টোন কটেজে কাটিয়েছেন এমন তিনটি শীতের মধ্যে এটিই প্রথম, বাকি দুটি হলো ডরোথির সাথে, ১৯১৪ সালে [১০২] পাউন্ড এবং ডরোথির বিয়ের পর। "Canto LXXXIII" পাওয়া যায়: "so that I recalled the noise in the chimney / as it were the wind in the chimney / but was in reality Uncle William / downstairs composing / that had made a great Peeeeacock / in the proide ov his oiye." [১০৩] [জ]

পাউন্ডকে দেওয়া তার চিঠির উত্তরে, জয়েস "আই হেয়ার অ্যান আর্মি" ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং ডাবলিনার্স এবং তার উপন্যাস এ পোর্ট্রেট অফ দ্য আর্টিস্ট অ্যাজ এ ইয়াং ম্যান- এর প্রথম অধ্যায় সংযুক্ত করে পাঠিয়েছিলেন। [১০১] পাউন্ড জয়েসকে লিখেন যে উপন্যাসটি "অসাধারণ জিনিস"। [১০৪] হ্যারিয়েট শ ওয়েভার দ্য ইগোইস্টের জন্য উপন্যাসটি গ্রহণ করেন, যা ২ ফেব্রুয়ারী ১৯১৪ থেকে ধারাবাহিক প্রকাশ হতে থাকে, মুদ্রাকরদের "fart" এবং "ballocks" এর মত শব্দের কারণে এবং পতিতাদের সম্পর্কে স্টিফেন ডেডালাসের চিন্তাধারার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ভয় থাকা সত্ত্বেও। ধারাবাহিক প্রকাশের কারণে, যে প্রকাশক ডাবলিনার্সকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তিনি আবার পুনর্বিবেচনা করেন। জয়েস ইয়েটসকে লিখেন: "আপনার বন্ধু এজরা পাউন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য অজস্র ধন্যাবদও যথেষ্ট নয়, যিনি সত্যিই এক বিস্ময়কর কর্মী।" [১০৫]

এই সময়ে, নিউ এজ -এ পাউন্ডের নিবন্ধগুলি তাকে অজনপ্রিয় করে তুলে, অরেজ শঙ্কিত হয়ে পড়েন। [১০৬] স্যামুয়েল পুটনাম ১৯২০-এর দশকে প্যারিসে পাউন্ডের সাথে পরিচিত হন এবং তাকে একগুঁয়ে, অবাধ্য, ঝগড়াটে, কর্তৃত্বপ্রিয়, স্পর্শকাতর এবং "রসিকতাবির্জত" বলে বর্ণনা করেন; পুটনামের দৃষ্টিতে পাউন্ড "একজন আমেরিকান ছোট-শহরের বাসিন্দা" ছিলেন। তার মনোভাব লন্ডন এবং প্যারিস উভয় জায়গায়ই তাকে অসুবিধায় ফেলে। [১০৭] তিনি নিউ এজে লিখেন, ইংরেজ মহিলাদের মন "প্রধান্যবিস্তারকারী মৌলিকতাবর্জিত", তারা আমেরিকান মহিলাদের থেকে নিকৃষ্ট, যাদের নিজেস্ব মানসিক বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও ১৯১৩ সালে তিনি লিখেন, ইংলিশদের কী সঠিক সে সম্পর্কে ধারণা সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে, নৈতিকতার উপর নয়। লন্ডনতার শক্তি হারিয়ে “দাঁড়িয়ে আছে ভাঙনরত সাম্রাজ্যের পঁচা খোলকে”। ইংল্যান্ডের সেরা লেখক - কনরাড, হাডসন, জেমস এবং ইয়েটস - ইংরেজ নন। ইংরেজ লেখক এবং সমালোচকরা অজ্ঞ [১০৮]

বিবাহ

ডরোথির বাবা-মায়ের অসম্মতি সত্ত্বেও ২০ এপ্রিল ১৯১৪-এ কেনসিংটনের সেন্ট মেরি অ্যাবটসে শেক্সপিয়ার্সের প্যারিশ চার্চে এজরা এবং ডরোথির বিয়ে হয়।[১০৯] ডরোথির বাবা-মা এজরার উপার্জন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। গির্জায় বিয়ে করায় অর্থের দিক থেকে কিছুটা ছাড় তাকে সাহায্য করে। ডরোথির বার্ষিক আয় ছিল ৫০ পাউন্ড, এছাড়াও পরিবার থেকে পেতেন আরও ১৫০ পাউন্ড, [১১০] এবং এজরার ছিল ২০০ পাউন্ড। [১১১] ডরোথির বাবা, হেনরি হোপ শেক্সপিয়ার ১৯১১ সালে তাকে একটি আর্থিক বিবৃতি(financial statement) তৈরি করতে বলেন, যা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে তার আয়ের প্রধান উৎস ছিলেন আসলে তার বাবা। [১১২] বিয়ের পর তারা ৫ হল্যান্ড প্লেস চেম্বার্স, কেনসিংটনে বাথরুমবিহীন একটি অ্যাপার্টমেন্টে চলে যান। তাদের পাশের বাড়িতেই সদ্য বিবাহিত এইচডি এবং অ্যাল্ডিংটন বাস করতেন। [১১০] কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। এইচডি এজরাকে তার বিয়ের আগের দিন অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের বাইরে থাকার জায়গা খুঁজতে দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন। ডরোথি এবং এজরা বিল্ডিংয়ে চলে আসার পর, এজরা প্রায়ই তার লেখা নিয়ে আলোচনা করতে অঘোষিতভাবে এইচডির ঘরে চলে যেতেন। এইচডির ব্যাপারটি অপছন্দ ছিল, কারণ এজরার লেখালেখিতে তাদের সম্পর্কের ব্যক্তিগত দিকগুলি চলে আসত। শেষপর্যন্ত এইচডি এবং অ্যাল্ডিংটন বেশ কয়েক মাইল দূরে হ্যাম্পস্টেডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। [১১৩]

ডেস ইমাজিস্টেস, অ্যামি লোয়েলের সাথে বিবাদ

পাউন্ড দ্বারা সম্পাদিত Des Imagistes, An Anthology (১৯১৪) এর প্রকাশ ইরা নাদেলের মতে ইমাজিজমের "গুরুত্ব নিশ্চিত করেছে"। [১১৪] ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকান ম্যাগাজিন দ্য গ্লেবে এবং পরবর্তী মাসে বই হিসাবে প্রকাশিত হওয়া এই লেখাটি পাঁচটি ইমাজিস্ট অ্যান্থলজির মধ্যে প্রথম এবং পাউন্ডের কাজ ধারণ করা একমাত্র। [১১৫] এতে রিচার্ড অ্যাল্ডিংটনের দশটি কবিতা, এইচডির সাতটি, এফএস ফ্লিন্ট, স্কিপউইথ ক্যানেল, অ্যামি লোয়েল, উইলিয়াম কার্লোস উইলিয়ামস, জেমস জয়েস (যদিও "আই হিয়ার অ্যান আর্মি" কবিতাটি ইমাজিজমের উদাহরণ নয়), পাউন্ডের ছয়টি এবং ফোর্ড ম্যাডক্স হুফার (এ নামেই তিনি তখন পরিচিত ছিলেন), অ্যালেন আপওয়ার্ড এবং জন কার্নোসের কবিতাও ছিল। [১১৬]

বইটির প্রকাশের পরপরই, উইন্ডহাম লুইসের ব্লাস্ট নামক এক নতুন ম্যাগাজিনের একটি বিজ্ঞাপন এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে, এটি "কিউবিজম, ফিউচারিজম, ইমাজিজম এবং আধুনিক শিল্পের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রূপ" নিয়ে কাজ করবে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত, ব্লাস্ট মাত্র দুইবার প্রকাশিত হয়, ১৯১৪ এবং ১৯১৫ সালে। পাউন্ড ইমাজিজমকে শিল্পে সম্প্রসারিত করে এর নাম দেন ভর্টিসিজম। [ঝ] ১৯১৪ সালের জুন মাসে দ্য টাইমস ৩৮ গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিটে ভর্টিসিস্ট শিল্পের জন্য লুইসের নতুন Rebel Arts Centre নামের একটি আর্ট সেন্টারের ঘোষণা দেয়। [১১৯]

নিউ ইংল্যান্ডের কবি অ্যামি লোয়েল, যিনি ১৯২৬ সালে কবিতার জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতেন, তার শুধুমাত্র একটি কবিতা ডেস ইমাজিস্টেসে প্রকাশিত হয়েছে দেখে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি ১৯১৪ সালের জুলাই মাসে রাইডার স্ট্রিটের ডিউডোন রেস্তোরাঁয় দুটি নৈশভোজে যোগ দিতে লন্ডনে আসেন, প্রথমটি ব্লাস্টের প্রকাশনা এবং দ্বিতীয়টি ১৭ জুলাই, ডেস ইমাজিস্টেসের প্রকাশনা উদযাপনের জন্য। দ্বিতীয়টিতে, ফোর্ড ম্যাডক্স হুফার ঘোষণা করেন যে তিনি লোয়েল এবং পাউন্ডের অনেক আগে থেকেই একজন ইমাজিস্ট ছিলেন এবং তিনি তাদের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন; তার দৃষ্টিতে শুধুমাত্র অ্যালডিংটন এবং এইচডি এই উপাধি দাবি করতে পারে।

ইমাজিজম নিয়ে লুইসের আইডিয়ার সাথে পাউন্ড নিজেকে সংযুক্ত করায় এইচডি এবং অ্যাল্ডিংটন ইমাজিজমের উপর পাউন্ডের ধারণা থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন। [১২০] লোয়েল ইমাজিস্ট কবিদের একটি বার্ষিক সংকলন অর্থায়নে রাজি হন, কিন্তু তিনি সবার মতের স্বাধীনতার উপর জোর দেন; অ্যাল্ডিংটনের মতে, তিনি "এজরার জন্য একটি বোস্টন টি পার্টির প্রস্তাব করেন" এবং তার স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটান। [১২১] লোওয়েলের উপর বিরক্ত পাউন্ড ইমাজিজমকে "অ্যামিজিজম" বলে ডাকতে শুরু করেন; [১২২] তিনি আন্দোলনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং দলটির সবাইকে নিজেদের ইমাজিস্ট না বলার জন্য বলেন। কিন্তু তারা এটি পাউন্ডের আবিষ্কার ছিল তা মানতে অস্বীকার করে, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং শব্দটিকে ইংরেজীকরণ করে। [১২৩]

মৃত্যু

আইসোলা ডি সান মাইকেলে পাউন্ড এবং ওলগা রুজের কবর

১৯৭২ সালে তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে, আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস কমিটি, যার মধ্যে তার প্রকাশক জেমস লাফলিন অন্তর্ভুক্ত ছিল, পাউন্ডকে এমারসন-থোরো মেডেল প্রদান করার প্রস্তাব করেছিল। তুমুল প্রতিবাদের পর, একাডেমির কাউন্সিল ১৩ - ৯ ভোটে এর বিপক্ষে অবসস্থান নেয়। [১২৪]

১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর তার ৮৭ তম জন্মদিনে, তিনি তার শোবার ঘর থেকে বাইরে বোরোবার পক্ষেও যথেষ্ট সবল ছিলেন না। পরের রাতে তাকে ভেনিসের সান জিওভান্নি ই পাওলো সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি ১ নভেম্বর "হঠাৎ অন্ত্রে বিঘ্নতা" এর কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান। [১২৫] টেলিগ্রাম পেয়ে, ডরোথি পাউন্ড, যিনি ইংল্যান্ডের কেমব্রিজের কাছে একটি কেয়ার হোমে বাস করছিলেন, ভেনিসে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুরোধ করেন। টেলিগ্রামগুলি রোম এবং লন্ডনের আমেরিকান দূতাবাস এবং মিলানের কনস্যুলেটের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু রুজ 3 নভেম্বরের সকালের জন্য ইতিমধ্যে যে পরিকল্পনাগুলি তৈরি করেছিলেন তা পরিবর্তন করবেন না। ওমর পাউন্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেবার অ্যান্ড ফাবারের পিটার ডু সাউটয়ের সাথে প্লেনে ভেনিসে আসলেন, কিন্তু তিনি অনেক দেরিতে পৌঁছান। [১২৬] পাউন্ডের দেহ ভেনিসের পৌর কবরস্থানে, আইসোলা ডি সান মাইকেলে, যেখানে প্রোটেস্ট্যান্ট সেবার পরে তাকে অন্যান্য অ-ইতালীয় খ্রিস্টানদের সাথে দিয়াঘিলেভ এবং স্ট্রাভিনস্কির কাছে সমাহিত করা হয়। [১২৭] হিউ কেনারের মতে, পাউন্ড চেয়েছিলেন আইডাহোতে হেনরি গাউডিয়ার-ব্রজেস্কার তৈরী আবক্ষ মূর্তি সহ কবর হোক। [১২৮] ডরোথি পাউন্ড পরের বছর ৮৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে মারা যান। ওলগা রুজ ১৯৯৬ সালে ১০০ বছর বয়সে মারা যান। তাকে পাউন্ডের পাশে সমাহিত করা হয়। [১২৯]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ