ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল

ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল (岡山県? ওকায়ামা কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউগোকু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[১] এর রাজধানী ওকায়ামা নগর।[২][৩][৪]

ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল
岡山県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
 • জাপানি岡山県
 • রোমাজিOkayama-ken
ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল পতাকা
পতাকা
ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল অফিসিয়াল লোগো
ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক
ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান
দেশজাপান
অঞ্চলচুউগোকু
দ্বীপহোনশু
রাজধানীওকায়ামা
আয়তন
 • মোট৭,১১৩.২১ বর্গকিমি (২,৭৪৬.৪৩ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম১৫তম
জনসংখ্যা (১লা মে ২০১৫)
 • মোট১৯,২০,৬৫৪
 • ক্রম২১তম
 • জনঘনত্ব২৭০/বর্গকিমি (৭০০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-33
জেলা১০
পৌরসভা২৭
ফুলপীচ ফুল (প্রুনাস পার্সিকা বি. ভাল্গারিস)
গাছলাল পাইন (পাইনাস ডেন্সিফ্লোরা)
পাখিছোট কোকিল (কুকুলাস পলিওসেফালাস)
ওয়েবসাইটwww.pref.okayama.jp

ইতিহাস

ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে কুরাশিকি নগরের ওয়াশুযান ধ্বংসাবশেষ প্রাগৈতিহাসিক বসতির সাক্ষ্য দেয়। উত্তরে অবস্থিত কাগিনো শহরের এগাহারা ধ্বংসাবশেষে পুরা প্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে।

বর্তমান ওকায়ামা অঞ্চলটি ১৮৬৮ খ্রিঃ মেইজি পুনর্গঠন শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত বিচ্চুউ, বিযেন ও মিমাসাকা প্রদেশে বিভক্ত ছিল। ১৮৭১ খ্রিঃ ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের নামকরণ হয় এবং ১৮৭৬ খ্রিঃ তা আজকের আকার লাভ করে।[৫]

ভূগোল

ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের সংলগ্ন অন্যান্য প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল হিয়োগো, তোত্তোরিহিরোশিমা। দক্ষিণে সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের অপর পাড়ে আছে কাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের সীমানা, এবং সাগরের ৯০টি দ্বীপও ওকায়ামার আওতায় পড়ে।

অধিকাংশ জনবসতি ঐতিহাসিক শহর কুরাশিকি ও রাজধানী নগর ওকায়ামায় কেন্দ্রীভূত। উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামগুলির জনবিন্যাসে বয়স্ক মানুষের অনুপাত ক্রমবর্ধমান এবং সার্বিকভাবে জনসংখ্যা ক্ষীয়মাণ। ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের অর্ধেকেরও বেশি পৌরসভাকে সরকারীভাবে জনহীন ঘোষণা করা হয়েছে।[৬]

২০১৪ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী ওকায়ামা প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১১ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে দাইসেন-ওকি ও সেতোনাইকাই জাতীয় উদ্যান; হিয়োনোসেন-উশিরোয়্যামা-নাগিসান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং সাতটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৭]

অর্থনীতি

কৃষিকাজ

সায়ামা উচ্চ মালভূমি অঞ্চলে গবাদি পশুপালন করা হয়। দক্ষিণে কোজিমা উপসাগরের তীর বরাবর বিস্তীর্ণ জমি সমুদ্রগর্ভ থেকে উদ্ধার করার ফলে কৃষিজমির পরিমাণ বেড়েছে। উত্তরে ৎসুয়্যামা উপত্যকায় প্রাচীন কাল থেকেই ধান চাষ হত। এখনও অবধি ধানই প্রধান কৃষিজ পণ্য। বিভিন্ন প্রকার ধানের মধ্যে কোশিহিকারি, আসাহি, হিনোহিকারি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ফুলের ব্যবসাও ওকায়ামার কৃষিকাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।

ফলের মধ্যে ওকায়ামা জাপানের চতুর্থ আঙুর উৎপাদক ও ষষ্ঠ পীচ উৎপাদক প্রশাসনিক অঞ্চল। সাম্প্রতিক অতীতে এই সমস্ত পণ্যকে চীন, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশের সাথে বাণিজ্যে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা আরম্ভ হয়েছে।

মৎস্যচাষ

সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের উপকূলে মাছ ধরা ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্রিয়া। কিন্তু মেইজি থেকে শোওয়া যুগ অবধি ক্রমাগত দূষণ ও সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধারের ফলে মাছের বিচরণক্ষেত্র খুবই কমে গেছে।

শিল্প

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে অবধি ওকায়ামা ছিল কৃষিপ্রধান অঞ্চল। বস্ত্রবয়ন শিল্প ছিল একমাত্র উল্লেখযোগ্য শিল্প। কিন্তু যুদ্ধোত্তর পর্বে তেল শোধনাগার, ইস্পাত শিল্প, গাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি শিল্প গড়ে উঠেছে। এদো যুগের দুর্গনগর ওমাচি এবং ১৯৭২ খ্রিঃ সান্‌ইয়ো শিন্‌কান্‌সেন লাইন উদ্বোধনের সময় থেকে ওকায়ামা স্টেশন অঞ্চল দুটি প্রধান বাণিজ্যভিত্তিক এলাকা হিসেবে উঠে এসেছে। কিন্তু নগরকেন্দ্রিক জনস্রোতের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনহ্রাস একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ