ওয়ারেন বাফেট

মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী

ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট (ইংরেজি: Warren Edward Buffett; জন্মঃ ৩০ আগস্ট ১৯৩০)[৫] একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী ব্যক্তি। তাকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী।[৬] তিনি ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।[৭] ২০১১ সালে বাফেট বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন।[৮] ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘোষণা করে।[৯]

ওয়ারেন বাফেট
ইউনিভার্সিটি অফ কানসাস-এ ওয়ারেন বাফেট বক্তৃতা করছেন
জন্ম
ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট

(1930-08-30) আগস্ট ৩০, ১৯৩০ (বয়স ৯৩)
ওমাহা, নেব্রাস্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয়তামার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষাঅর্থনীতিতে স্নাতকত্তোর
মাতৃশিক্ষায়তনইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা-লিঙ্কন
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি
পেশাচেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে
কর্মজীবন১৯৫১-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীSusan Thompson Buffett (বি. ১৯৫২২০০৪)
Astrid Menks (বি. ২০০৬)[১]
সন্তানসুসান অ্যালিস বাফেট
হাওয়ার্ড গ্রাহাম বাফেট
পিটার অ্যান্ড্রু বাফেট
স্বাক্ষর

বিপুল ধনসম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও ওয়ারেন বাফেট অত্যন্ত মিতব্যয়ী।[১০] বাফেট একজন প্রখ্যাত জনহিতৈষী ব্যক্তি। তিনি তার সম্পদের ৯৯ ভাগ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।[১১] ২০১২ সালে তার প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে।[১২]

শৈশব

ওয়ারেন বাফেট নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহাতে ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাওয়ার্ড বাফেট ও মায়ের নাম লিলা বাফেট। রোজ হিল এলিমেন্টারি স্কুলে বাফেট লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯৪২ সালে বাফেটের বাবা কঙগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং সপরিবারে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলে আসেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে বাফেট অ্যালিস ডিল জুনিয়র হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং উড্রো উইলসন হাই স্কুল থেকে পাস করেন।

ছোট থেকেই বাফেট অর্থ উপার্জন ও সংগ্রহের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি অল্প কিছুকাল তার দাদার মুদি দোকানে কাজ করেছিলেন। স্কুলে থাকাকালে বাফেট পত্রিকা, কোকাকোলা ইত্যাদি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন। ছোটকালেই বাফেটের শেয়ার বাজার ও বিনিয়োগের উপর আগ্রহ জন্মায়। দশ বছর বয়সে বাফেট নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ দেখতে নিউ ইয়র্ক শহরে আসেন। ১১ বছর বয়সে তিনি তিনটা শেয়ার ক্রয় করেন। হাই স্কুলে থাকাকালে তিনি তার বাবার কিছু সম্পত্তি বিনিয়োগ করেন এবং একটা খামার ক্রয় করেন।

১৯৪৭ সালে বাফেট ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়াতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি প্রায় দুই বছর পড়ালেখা করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা-লিঙ্কন থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক হন। এরপর তিনি কলাম্বিয়া বিসনেস স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকত্তোর হন।  

কর্মজীবন

১৯৫১-৫৪ সালে বাফেট বাফেট-ফক কোম্পানিতে বিনিয়োগ কর্মকর্তা, ১৯৫৪-৫৬ সালে গ্রাহাম নিউম্যান কর্পোরেশনে নিরাপত্তা বিশ্লেষক, ১৯৫৬-৬৯ সালে বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেডে সাধারণ অংশীদার এবং ১৯৭০ থেকে বর্তমান অবধি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ইনকর্পোরেটেড-এ চাকরি করছেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান পদে কর্মরত আছেন।

১৯৫০ সালে বাফেট ২০ বছর বয়সে ৯৮০০ মার্কিন ডলার জমা করেন। ওমাহাতে বাফেট সিঙ্কলেয়ার টেক্সাকো নামের একটি গ্যাস স্টেশন ক্রয় করেন। কিন্তু এতে বাফেট সফল হতে পারেননি।১৯৫২ সালে তিনি সুসান থম্পসনকে বিয়ে করেন। ১৯৫৪ সালে বেঞ্জামিন গ্রাহামের অংশীদারে তিনি চাকরি করেন। এসময় তার প্রাথমিক বেতন ১২০০০ মার্কিন ডলার। ১৯৫৬ সালে বেঞ্জামিন গ্রাহাম অবসর নেন এবং তঁর প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন। এসময় বাফেটের ব্যক্তিগত সঞ্চয় ছিল ১৭৪০০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই অর্থ দিয়ে তিনি বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেড নামে ওমাহাতে তার প্রথম প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে তার তিনটা অংশীদার ব্যবসা চলছিল। এসময় তিনি ওমাহাতে ৩১৫০০ ডলারে একটি বাড়ি ক্রয় করেন। এই বাড়িতে তিনি এখনো থাকেন।১৯৫৮ সালে বাফেটের পাঁচটা অংশীদার ব্যবসা চলছিল। ১৯৫৯ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ছয়টি হয়। ১৯৬০ সালে বাফেটের সাতটা অংশীদার ছিল।

১৯৪৭ সালে বাফেট ইউনিভার্সিটিঅফ পেন্সিলভানিয়াতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি প্রায় দুই বছর পড়ালেখা করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা-লিঙ্কন থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক হন। এরপর তিনিকলাম্বিয়া বিসনেস স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেঅর্থনীতিতে স্নাতকত্তোর হন।  ১৯৬২ সালে বাফেটমিলিওনিয়ারে পরিনত হয়। ১৯৬২ সালে তার অংশীদার ব্যবসায় অতিরিক্ত ৭১৭৮৫০০ ডলারঅতিরিক্ত অর্থ ছিল, যার মধ্যে তার নিজস্ব পরিমাণ ছিল ১০২৫০০০ ডলারেরও বেশি।ইতোমধ্যে বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে নামের এক তৈরি পোশাক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেনএবং ক্রমেই এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। কিন্তু পোশাক ব্যবসা পরবর্তিতে সফল না হওয়ায় বাফেট এই কোম্পানির অধীনে বীমা ব্যবসা শুরু করেন।[১৩] ১৯৮৫ সালে এই কোম্পানির শেষকয়েকটি পোশাক নির্মাণ কারখানা বাফেট বিক্রয় করে দেন। 

১৯৭৩ সালে বাফেটওয়াশিংটন পোস্ট কোম্পানির শেয়ার ক্রয় শুরু করেন। বাফেট ঐ কোম্পানির নিয়ন্ত্রকক্যাথরিন গ্রাহামের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন। পরবর্তিতে বাফেট কোম্পানিটির বোর্ড অফ ডিরেক্টরস-এর একজন সদস্য হন। ১৯৭৭ সালে বার্কশায়ার কোম্পানি ৩২.৫ মিলিয়ন ডলারে বাফেলো ইভিনিং নিউজ কোম্পানিকে কিনে নেয়।    

১৯৮৭ সালে বার্কশায়ার সলোমন ইনকর্পোরেটেডের ১২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়, যা এক কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ার গ্রহীতায় পরিণত করে এবং বাফেট এর ডিরেক্টর হয়। পরবর্তিতে বাফেট সলোমনের চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হন। ১৯৮৮ সালে বাফেট কোকা-কোলা কোম্পানির শেয়ারক্রয় শুরু করেন। তিনি ক্রমেই কোম্পানিটির ৭ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেন। এতে তিনি ১.০২বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন।      

বাফেট বিলিওনিয়ার হয়ে উঠে যখন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ১৯৯০ সালে ২৯ মে A শ্রেণীর শেয়ার বিক্রয় শুরু করে।[১৪] ১৯৯৮ সালে তিনি বীমা কোম্পানি জেনরি কিনে নেন। . ২০০২ সালে বাফেট এআইজি বীমা কোম্পানির গ্রিনবার্গের সাথে পুনর্বীমা প্রদান প্রসঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। মার্চ ১৫, ২০০৫ সালে এআইজি-এর বোর্ড গ্রিনবার্গকে চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করে। গ্রিনবার্গকে নিয়ে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এলিয়ট স্পিটজারের সমালোচনায় এআইজি এ কাজ করে। ফেব্রুয়ারি ৯, ২০০৬ এ এআইজি এবং নিউ ইয়র্ক রাজ্য এটর্নি জেনারেল কার্যালয় একটি চুক্তিতে সম্মত হয় যাতে এআইজি ১.৬ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিবে।[১৫] ২০১০ সালে অঙ্গ্রাজ্যের সরকার ও বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সাথে বিষয়ে একমত হয় যে, ৯২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফার্মটি এআইজি-এর সাথে জড়িত জালিয়াতি মামলা থেকে পরিত্রান পাবে।[১৬]      

২০০২ সালে, বাফেট একটা চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন যাতে অন্যান্য মুদ্রায় বিনিমিয়ে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার মার্কিন ডলার সরবরাহ করবেন। এপ্রিল ২০০৬ নাগাদ, এই চুক্তির মাধ্যমে তার মোট অর্জন ছিল ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে। ২০০৬ সালে, বাফেট ঘোষণা করেন যে তিনি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ৮৫ ভাগ শেয়ার পাঁচটি ফাউন্ডেশনকে দিয়ে দেবেন। ২০০৬ এর জুলাইয়ে শুরু হয়ে বার্ষিক স্টক আকারে এটি করা হবে। এই অনুদানের সবচেয়ে বড় অংশ বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে যাবে।[১৭] ২০০৭ সালে শেয়ারহোল্ডারদের দেয়া একটি চিঠিতে, বাফেট বলেন যে তিনি তার বিনিয়োগ ব্যবসা চালানোর জন্য একজন তরুণ উত্তরাধিকারী খুজছিলেন।[১৮] বাফেট এর আগে লু সিম্পসন নামের একজন ব্যক্তিকে নিরবাচন করেছিলেন তার ব্যবসা দেখাশোনা করার কাজে। কিন্তু সিম্পসন বাফেটের চেয়ে মাত্র ছয় বছর ছোট।

২০০০ পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা

২০০৮ সালে বাফেট বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন।[১৯] তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ফোর্বসের মতে ৬২ বিলিয়ন ডলার ও ইয়াহুর মতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার।[২০] ২০০৯ সালে গেটস পুনরায় ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন, যা তিনি ২০০৮ এর আগে ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অধিকার করে ছিলেন।[২১] ২০০৯ সালে বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪০ বিলিয়ন এবং বাফেটের ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাফেটের সম্পদ ২৫ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পায়।[২২]

২০১১ সালের নভেম্বরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, আট মাস ধরে বাফেট আইবিএম কোম্পানির ৬৪ মিলিয়ন শেয়ার ক্রয় করেছেন, যার মোট মূল্য প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। এই অনাকাঙ্খিত বিনিয়োগ আইবিএম কোম্পানিতে তার মালিকানা ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে। এর পূর্বে বাফেট বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেকবার বলেছিলেন যে তিনি কোন প্রযুক্ত খাতে বিনিয়োগ করবেন না। কারণ প্রযুক্তি বিষয়ে তিনি ভালভাবে বোঝেন না। তাই এ পদক্ষেপে অনেক পর্যবেক্ষক ও বিনিয়োগকারী বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বাফেট এব্যাপারে বলেন যে, তিনি কর্পোরেট গ্রাহকদের ধরে রাখার বিষয়ে আইবিএম-এর সক্ষমতা তাকে অবাক করেছে। তিনি বলেন "আমি এমন কোন বড় দেখিনি যেটি তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আইবিএম-এর মত এতটা সুনির্দিষ্ট।"[২৩]

২০১২ সালে ওয়ারেন বাফেট মিডিয়া জেনারেল কোম্পানির স্বত্ত কিনে নেয়। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রকাশিত ৬৩টি সংবাদপত্রের মালিক।[২৪] একই বছরে এটি বাফেটের দ্বিতীয় সংবাদপত্র কোম্পানি ক্রয়।[২৫]

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৫২ সালে বাফেট সুসান বাফেটকে বিয়ে করেন।[২৬] তাদের তিন সন্তান রয়েছে- সুসি, হাওয়ার্ড ও পিটার। ১৯৭৭ সালে বাফেট দম্পতি পৃথকভাবে থাকতে শুরু করে যদিও ২০০৪ সালে সুসান মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা বিবাহিত ছিল। তাদের সন্তান সুসি ওমাহাতে থাকে এবং সেখানে জনহিতৈষীমূলক কাজ করে। ২০০৬ সালে ছিয়াত্তরতম জন্মদিনে বাফেট তার দীর্ঘদিনের পরিচিত অ্যাসট্রিড ম্যাঙ্কসকে বিয়ে করেন। বাফেটের ছেলে পিটার ২০০৬ সালে নিকোল নামে এক মেয়ে দত্তক নেয়। যদিও পিটারের প্রথম স্ত্রী নিকোলকে গ্রহণ করেছিলেন[২৭] কিন্তু বাফেট এক পত্রের মাধ্যমে নিকোলকে জানিয়ে দেন যে, তিনি এবং তার পরিবার নিকোলকে মেনে নেয়নি।[২৮][২৯][৩০]

বাফেট একজনঅত্যন্ত উৎসাহী কনট্র্যাক্ট ব্রিজ খেলোয়াড়। বিল গেটসের সাথে তিনি প্রায়ই ব্রিজ খেলেন। তিনি সপ্তাহের প্রায় ১২ ঘণ্টা এ খেলা খেলেন। বাফেট নেব্রাস্কা ফুটবলের ভক্ত। তিনি তার ব্যস্ত সময় থেকে যতটা সম্ভব ফুটবল খেলা দেখতে যান। বাফেট দৈনিক পাঁচটিসংবাদপত্র পড়েন। তিনি চীনদেশের তৈরি ট্র্যান্ডস ব্র্যান্ডের স্যুট পরিধান করেন, এর আগে তিনি আরম্যানিগিল্ডো যিগনা ব্র্যান্ডের স্যুট পড়তেন।

২০০৬ সালে বাফেটের বার্ষিক বেতন ছিল ১০০০০০ ডলার, যা বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সমকক্ষ অন্যান্য কোম্পানির সিনিয়র নির্বাহীর বেতনের চেয়ে কম।[৩১] ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তিনি মোট ১৭৫০০০ ডলার বেতন পান; এর মধ্যে মূল বেতন ছিল মাত্র ১০০০০০ ডলার।[৩২][৩৩] ১৯৫৮ সালে বাফেট যে বাড়িটি কিনেছিলেন, এখনো তিনি ওমাহার সেই বাড়িতেই বাস করেন। এর বর্তমান মূল্য ৭০০০০০ ডলার, যদিও সেসময়ে তিনি ৩১৫০০ ডলারে বাড়িটি কিনেছিলেন।[৩৪] ১৯৮৯ সালে বাফেট ব্যক্তিগত জেট বিমান ক্রয়ে প্রায় ৬.৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন 'ইন ডিফেন্সিবল্‌'। এটি ছিল তার অন্যান্য সময়ের মানসিকতার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পদক্ষেপ; তিনি সবসময়ই বড় বড় কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের ব্যয়বহুল খরচের প্রতি নিন্দা জানাতেন এবং নিজেও অধিকাংশ সময় গণপরিবহন ব্যবহার করতেন।[৩৫]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ