জিরাফ

স্তন্যপায়ী এবং চতুষ্পদী প্রাণী

জিরাফ একটি বন্য প্রাণী। বনের বিশেষ বিশেষ জায়গায় এদেরকে দলবেঁধে চলাফেরা করতে দেখা যায়। জিরাফের গায়ে আঁকাবাঁকা দাগ থাকে। তবে দুটি জিরাফের গায়ের দাগ কখনোই একরকম হয় না।

জিরাফ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:প্রাণী জগৎ
পর্ব:কর্ডাটা
শ্রেণী:স্তন্যপায়ী
বর্গ:আর্টিওড্যাক্টাইলা
পরিবার:জিরাফিডি
গণ:জিরাফা
প্রজাতি:জি. ক্যামেলোপার্দালিস
দ্বিপদী নাম
জিরাফা ক্যামেলোপার্দালিস
লিনিয়াস, ১৭৫৮
বাসস্থান

গঠন

পৃথিবীর সবচাইতে লম্বা প্রাণী হিসেবে জিরাফের অবস্থান। দৈর্ঘ্য একটি জিরাফ প্রায় ১৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এছাড়া জিরাফের লম্বা উঁচু বলে উচ্চতম প্রাণীদের ক্ষেত্রে জিরাফের অবস্থান প্রথম সারিতে। এদের দৃষ্টিশক্তি খুব প্রখর। ফলে বহুদূরের শত্রুকেও জিরাফ সহজেই দেখতে পারে। এছাড়া জিরাফ খুব জোরে দৌড়াতে পারে। আক্রমণের শিকার হলে জিরাফকে ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে দেখা গেছে।জন্মের সময় একটি জিরাফ প্রায় ৬ ফুট লম্বা হয় এবং এর ওজন থাকে গড়ে ৬৮ কেজি। অনেক জিরাফের মাথায় দুইটি বা চারটি ভোঁতা শিং থাকে। জিরাফের জিভ খুব লম্বা। নিজের কান পরিষ্কারের জন্য জিরাফ তার প্রায় ২১ ইঞ্চি লম্বা জিভ ব্যবহার করে।

স্বভাব ও প্রকৃতি

জিরাফ মূলত নিরীহ স্বভাবের প্রাণী। তবে আক্রান্ত হলে যুদ্ধংদেহী রূপ ধারণ করে। জিরাফ মূলত সিংহ, বন্য কুকুরহায়েনা দ্বারা আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর সিংহের আক্রমণে বেশ কিছু জিরাফ মারা যায়। তবে একটি পূর্ণবয়স্ক জিরাফকে সিংহ খুব সহজে আক্রমণ করতে চায় না, কারণ জিরাফের লাথির আঘাতে সিংহ মারাত্মক আহত হতে পারে। জিরাফের লাথির আঘাতে সিংহ মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ। তাই শিশু ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিরাফই সিংহের আক্রমণে মারা পড়ে। তবে বাচ্চা জিরাফকে আক্রমণ করার সময় সিংহকেও সাবধানে থাকতে হয়। কারণ বাচ্চা জিরাফের আশেপাশে মা জিরাফ থাকে। এছাড়া দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করার সময় সিংহ কখনো জিরাফকে আক্রমণ করে না।এছাড়া আক্রমণের ভয়ে জিরাফ কখনো বসে ঘুমায় না বা বিশ্রাম নেয় না। কারণ জিরাফের বসতে যেমন সময় লাগে প্রচুর, তেমনি বসা থেকে দাঁড়াতেও অনেক সময় নেয়। এছাড়া প্রকৃতিগতভাবেই জিরাফ লম্বা হওয়ায় বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তবে দলগতভাবে থাকা অবস্থায় কিছু কিছু জিরাফ মাঝে মাঝে বসে বিশ্রাম নেয়।জল পান করা, ঘুমানো কিংবা দিনের বেলা বিশ্রামের সময় অন্তত একটি জিরাফ আশেপাশে নজর রাখে শত্রুর উপস্থিতি জানানোর জন্য। খুব নিচু আওয়াজে এরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। এদের গলার আওয়াজ ২০ হার্জেরও নিচে। ফলে জিরাফের আওয়াজ মানুষ শুনতে পায় না।জিরাফ সাধারণত নিজেদের মধ্যে লড়াই করে না। তবে খেলাধুলা করার সময় কিংবা খুব বেশি রাগান্বিত হলে পুরুষ জিরাফরা মাঝেমধ্যে একে অন্যের সাথে

করে।

আহার

জিরাফের প্রধান খাদ্য গাছের পাতা। বিশেষ করে অ্যাকাশিয়া গাছের পাতা এদের খুব প্রিয়। যদিও এই গাছ বেশ উঁচু হয়, কিন্তু লম্বা গলার জন্য জিরাফ খুব সহজেই এই গাছের পাতা খেতে পারে। যে কারণে যে এলাকায় অ্যাকাশিয়া গাছ বেশি দেখা যায়, সেখানে জিরাফের দেখা মেলে বেশি বেশি।জিরাফের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা উটের মতো জল না পান করে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দিতে পারে। স্বাভাবিকভাবে একটানা সাতদিন জল না খেলেও এদের কোনো সমস্যা হয় না। গাছের পাতায় যে জল থাকে, তা দিয়েই তাদের চাহিদা মিটে যায়।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ