জোন ক্রফোর্ড
জোন ক্রফোর্ড (ইংরেজি: Joan Crawford; জন্ম: লুসিল ফে লেসিউয়ার, ২৩শে মার্চ, আনু. ১৯০৪[ক] - ১০ই মে, ১৯৭৭) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী। নর্তকী ও মঞ্চের শোগার্ল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা নারী তারকার র্যাংকিংয়ে ১০ম স্থান অধিকার করেন।
জোন ক্রফোর্ড | |
---|---|
Joan Crawford | |
জন্ম | লুসিল ফে লেসিউয়ার আনু. ২৩ মার্চ ১৯০৪ সান আন্তোনিও, টেক্সাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১০ মে ১৯৭৭ | (বয়স ৭৩)
সমাধি | ফার্নক্লিফ সিমেট্রি, হার্টসডেল, নিউ ইয়র্ক |
পেশা | অভিনেত্রী, নর্তকী |
কর্মজীবন | ১৯২৫–১৯৭৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৪, (ক্রিস্টিনা ক্রফোর্ড সহ) |
আত্মীয় | হাল লেসিউয়ার (ভাই) |
স্বাক্ষর | |
ক্রফোর্ড ১৯২৫ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সাথে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চুক্তি করেন। ১৯৩০-এর দশকে ক্রফোর্ডের তুমুল তার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, এবং পরবর্তীতে তার এমজিএমের সহকর্মী নর্মা শিয়েরার ও গ্রেটা গার্বোর চেয়ে অধিক সময় জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন। ক্রফোর্ড প্রায়শই কর্মঠ নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন, যে প্রণয় ও সফলতা অর্জন করে। এই গল্পগুলো মহামন্দাকালীন দর্শকদের কাছে এবং নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ক্রফোর্ড হলিউডের অন্যতম স্বনামধন্য চলচ্চিত্র তারকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নারী হয়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে তার চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলে তাকে "বক্স অফিস পয়জন" উপাধি পেতে হয়। ১৯৪০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি আবার সফলতা পেতে থাকেন। এ সময়ে তার বড় সাফল্য ছিল মিলড্রেড পিয়ার্স (১৯৪৫)। এতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি পজেস্ড (১৯৪৭) ও সাডেন ফিয়ার (১৯৫২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কাজ করতে থাকেন। তিনি ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র হোয়াটেভার হ্যাপেন্ড টু বেবি জেন?-এ দিয়ে বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করেন। এই ছবিতে তিনি তার দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বেটি ডেভিসের সাথে অভিনয় করেন।[১৪]
হাল লেসিউয়ার ক্রফোর্ডের ভাই। ক্রফোর্ড চারবার বিয়ে করেন। তার প্রথম তিনটি বিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়, এবং শেষেরটিতে তার স্বামী আলফ্রেড স্টিল মারা যান। তিনি পাঁচটি সন্তান দত্তক নেন, যার একটিকে তার মা পুনরায় নিয়ে যায়। ক্রফোর্ডের বড় দুই সন্তান - ক্রিস্টিনা ও ক্রিস্টফারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল রুক্ষ। ক্রফোর্ড তাদের দুজনকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। ক্রফোর্ডের মৃত্যুর পর ক্রিস্টিনা মাম্মি ডিয়ারেস্ট (১৯৭৮) শিরোনামে একটি স্মৃতিকথা লিখেন।[১৫]
টীকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় জোন ক্রফোর্ড
- অলমুভিতে জোন ক্রফোর্ড
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে জোন ক্রফোর্ড (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জোন ক্রফোর্ড (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে জোন ক্রফোর্ড (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে জোন ক্রফোর্ড (ইংরেজি)