জোন ক্রফোর্ড

মার্কিন অভিনেত্রী

জোন ক্রফোর্ড (ইংরেজি: Joan Crawford; জন্ম: লুসিল ফে লেসিউয়ার, ২৩শে মার্চ, আনু. ১৯০৪[ক] - ১০ই মে, ১৯৭৭) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী। নর্তকী ও মঞ্চের শোগার্ল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা নারী তারকার র‍্যাংকিংয়ে ১০ম স্থান অধিকার করেন।

জোন ক্রফোর্ড
Joan Crawford
পল হেসের তোলা ১৯৪৬ সালের ছবি
জন্ম
লুসিল ফে লেসিউয়ার

আনু. (১৯০৪-০৩-২৩)২৩ মার্চ ১৯০৪
মৃত্যু১০ মে ১৯৭৭(1977-05-10) (বয়স ৭৩)
সমাধিফার্নক্লিফ সিমেট্রি, হার্টসডেল, নিউ ইয়র্ক
পেশাঅভিনেত্রী, নর্তকী
কর্মজীবন১৯২৫–১৯৭৭
দাম্পত্য সঙ্গী
  • ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস জুনিয়র
    (বি. ১৯২৯; বিচ্ছেদ. ১৯৩৩)
  • ফ্রাঞ্চট টোন
    (বি. ১৯৩৫; বিচ্ছেদ. ১৯৩৯)
  • ফিলিপ টেরি
    (বি. ১৯৪২; বিচ্ছেদ. ১৯৪৬)
  • আলফ্রেড স্টিল
    (বি. ১৯৫৫; মৃ. ১৯৫৯)
সন্তান৪, (ক্রিস্টিনা ক্রফোর্ড সহ)
আত্মীয়হাল লেসিউয়ার (ভাই)
স্বাক্ষর

ক্রফোর্ড ১৯২৫ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সাথে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চুক্তি করেন। ১৯৩০-এর দশকে ক্রফোর্ডের তুমুল তার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, এবং পরবর্তীতে তার এমজিএমের সহকর্মী নর্মা শিয়েরারগ্রেটা গার্বোর চেয়ে অধিক সময় জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন। ক্রফোর্ড প্রায়শই কর্মঠ নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন, যে প্রণয় ও সফলতা অর্জন করে। এই গল্পগুলো মহামন্দাকালীন দর্শকদের কাছে এবং নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ক্রফোর্ড হলিউডের অন্যতম স্বনামধন্য চলচ্চিত্র তারকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নারী হয়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে তার চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলে তাকে "বক্স অফিস পয়জন" উপাধি পেতে হয়। ১৯৪০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি আবার সফলতা পেতে থাকেন। এ সময়ে তার বড় সাফল্য ছিল মিলড্রেড পিয়ার্স (১৯৪৫)। এতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি পজেস্‌ড (১৯৪৭) ও সাডেন ফিয়ার (১৯৫২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে কাজ করতে থাকেন। তিনি ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র হোয়াটেভার হ্যাপেন্ড টু বেবি জেন?-এ দিয়ে বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করেন। এই ছবিতে তিনি তার দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বেটি ডেভিসের সাথে অভিনয় করেন।[১৪]

হাল লেসিউয়ার ক্রফোর্ডের ভাই। ক্রফোর্ড চারবার বিয়ে করেন। তার প্রথম তিনটি বিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়, এবং শেষেরটিতে তার স্বামী আলফ্রেড স্টিল মারা যান। তিনি পাঁচটি সন্তান দত্তক নেন, যার একটিকে তার মা পুনরায় নিয়ে যায়। ক্রফোর্ডের বড় দুই সন্তান - ক্রিস্টিনা ও ক্রিস্টফারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল রুক্ষ। ক্রফোর্ড তাদের দুজনকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। ক্রফোর্ডের মৃত্যুর পর ক্রিস্টিনা মাম্মি ডিয়ারেস্ট (১৯৭৮) শিরোনামে একটি স্মৃতিকথা লিখেন।[১৫]

টীকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ


🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ