টনি কার্টিস

মার্কিন অভিনেতা

টনি কার্টিস (ইংরেজি: Tony Curtis; জন্ম বেনার্ড শোয়ার্জ; ৩রা জুন ১৯২৫ - ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১০)[১] ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকের জনপ্রিয় তারকা কার্টিস ছয় দশকের অধিক সময়ে এক শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি হাস্যরসাত্মক থেকে শুরু করে গুরুগম্ভীর নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কর্মজীবনের শেষ দিকে তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে কাজ করেছেন।

টনি কার্টিস
Tony Curtis
১৯৫৮ সালে টনি কার্টিস
জন্ম
বের্নার্ড শোয়ার্টজ

(১৯২৫-০৬-০৩)৩ জুন ১৯২৫
মৃত্যু২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০(2010-09-29) (বয়স ৮৫)
হেন্ডারসন, নেভাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিপাম মেমোরিয়াল পার্ক, লাস ভেগাস, নেভাডা
শিক্ষাদ্য নিউ স্কুল
মাতৃশিক্ষায়তননিউ ইয়র্ক সিটি কলেজ
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৪৮–২০০৮
রাজনৈতিক দলডেমোক্র্যাট
দাম্পত্য সঙ্গী
  • জ্যানেট লেই
    (বি. ১৯৫১; বিচ্ছেদ. ১৯৬২)
  • ক্রিস্টিন কফম্যান
    (বি. ১৯৬৩; বিচ্ছেদ. ১৯৬৮)
  • লেসলি অ্যালেন
    (বি. ১৯৬৮; বিচ্ছেদ. ১৯৮২)
  • অ্যান্ড্রেয়া স্যাভিও
    (বি. ১৯৮৪; বিচ্ছেদ. ১৯৯২)
  • লিসা ডেউটশ
    (বি. ১৯৯৩; বিচ্ছেদ. ১৯৯৪)
  • জিল ভ্যান্ডেনবার্গ
    (বি. ১৯৯৮)
সন্তান৬, কেলি, জেমি লি, ও অ্যালেগ্রা কার্টিস-সহ

তিনি সুইট স্মেল অব সাকসেস (১৯৫৭) চলচ্চিত্র দিয়ে নাট্যধর্মী অভিনেতা হিসেবে প্রথম সফলতা অর্জন করেন। পরের বছর তিনি দ্য ডিফায়্যান্ট ওয়ানস্‌ (১৯৫৮) ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে সাম লাইক ইট হট চলচ্চিত্রে তিনটি পরস্পর সম্পর্কিত চরিত্রে তিনি তার সেরা অভিনয় প্রদর্শন করেন। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা এক জরিপে এই চলচ্চিত্রটি এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে কৌতুকপূর্ণ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়।[২]

টনি কার্টিস ছয় বার বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী জ্যানেট লেই। তাদের সন্তান অভিনেতা জেমি লি কার্টিস ও কেলি কার্টিস।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন

টনি কার্টিস ১৯২৫ সালের ৩রা জুন নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের ১০৫তম স্ট্রিটের ফ্লাওয়ার ফিফথ অ্যাভিনিউ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম বের্নার্ড শোয়ার্টজ। তিনি হেলেন ক্লেইন ও এমানুয়েল শোয়ার্টজের তিন পুত্রের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ।[৪][৫] কয়েকটি জীবনীতে তার জন্মস্থান নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে যে তিনি ব্রনক্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কারণ খুব ছেলেবেলায় তার পরিবার সেখানে চলে গিয়েছিল, কিন্তু টনি নিজেই এক টিভি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন।[৬] তার পিতামাতা চেকোস্লোভাকিয়াহাঙ্গেরি থেকে আগত ইহুদি অভিবাসী। তার পিতা মাতেৎসালকার নিকটবর্তী ওপালিইতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার মাতা নাগিমিহালিতে (বর্তমান মিচালোভসে, স্লোভাকিয়া) জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিনি পরে ভালিকো (বর্তমান ভালকভো, স্লোভাকিয়া) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।[৭]

কর্মজীবন

কার্টিস বার্ট ল্যাঙ্কেস্টারজিনা লল্লোব্রিজিদার সাথে ট্রাপিজ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি সেই বছরের অন্যতম ব্যবসা সফল ও চতুর্থ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।[৮] এই চলচ্চিত্রের সফলতার পর তিনি ধীরে ধীরে আরও বিপুল নির্মাণব্যয়ের চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পেতে থাকেন। পরের বছর তিনি সুইট স্মেল অব সাকসেস (১৯৫৭) চলচ্চিত্রে এই চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজক ল্যাঙ্কেস্টারের সাথে গণমাধ্যম প্রতিনিধি সিডনি ফ্যালকো চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলেও এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করেন।

১৯৫৮ সালে কার্ক ডগলাস তাকে দ্য ভাইকিংস চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ দেন। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন তার স্ত্রী জ্যানেট লেই, চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ব্যবসা সফল হয়। এরপর তিনি ফ্রাঙ্ক সিনাত্রান্যাটালি উডের সাথে কিংস গো ফোর্থ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি মাঝারি মাপের ব্যবসা করে। ১৯৫৮ সালে তার বড় সফলতা আসে দ্য ডিফায়্যান্ট ওয়ানস্‌ (১৯৫৮) চলচ্চিত্র দিয়ে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তার ও জ্যানেট লেই অভিনীত ব্লেক এডওয়ার্ডসের হাস্যরসাত্মক দ্য পারফেক্ট ফারলো (১৯৫৮) চলচ্চিত্রটিও জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৫৯ সালে তিনি জ্যাক লেমনমেরিলিন মনরোর সাথে বিলি ওয়াইল্ডারের সাম লাইক ইট হট চলচ্চিত্রে তিনটি পরস্পর সম্পর্কিত চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি এই বছরের অন্যতম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র এবং পরবর্তী ধ্রুপদী চলচ্চিত্রের খ্যাতি লাভ করে। একই বছর ক্যারি গ্র্যান্টের সাথে ব্লেক এডওয়ার্ডসের সামরিক হাস্যরসাত্মক অপারেশন পেটিকোট (১৯৫৯) চলচ্চিত্রটিও একই রকম জনপ্রিয়তা লাভ করে।

কার্টিস ও লেই একসাথে আরেকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সেটি হল হু ওয়াজ দ্যাট লেডি? (১৯৬০)। একই বছর তিনি ডেবি রেনল্ডসের সাথে দ্য র‍্যাট রেস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬০ সালে ডগলাস পুনরায় তার প্রযোজিত মহাকাব্যিক ঐতিহাসিক স্পার্টাকাস চলচ্চিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচন করেন। চলচ্চিত্রটি সেই বছরের অন্যতম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।[৯]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ