তাসুকু হনজো

চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (২০১৮) জাপানি অনাক্রম্যবিজ্ঞানী


তাসুকু হনজো (本庶 佑, Honjo Tasuku, জন্ম ২৭ জানুয়ারী, ১৯৪২ কিয়োটো) হচ্ছেন জাপানী প্রতিষেধকবিজ্ঞানী, তিনি সর্বাধিক পরিচিত প্রোগ্রাম করা কোষ মৃত্যু প্রোটিন ১ (পিডি-১) শনাক্তকরণের জন্য।[১]তিনি সাইটোকিন্স: আইএল-৪ ও আইএল-৫ এর আণবিক শনাক্তকরণের জন্য প্রখ্যাত।[২] ক্লাস সুইচ রিকম্বিনেশন ও সোমাটিক হাইপারমিউটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় এক্টিভেশন-ইন্ডিউজড সাইটিডিন ডিমিনিজ আবিষ্কারের জন্য প্রখ্যাত।[৩]

তাসুকু হনজো
本庶 佑
তাসুকু হনজো
জন্ম (1942-01-27) জানুয়ারি ২৭, ১৯৪২ (বয়স ৮২)
কিয়োতো জাপান
জাতীয়তাজাপানী
মাতৃশিক্ষায়তনকিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণক্লাস সুইচ রিকম্বিনেশন
আইএল-৪, আইএল-৫, এসিডি
ক্যান্সার রোগপ্রতিরোধ থেরাপি
পিডি১
পুরস্কারইমপেরিয়াল পুরস্কার (১৯৯৬)
কোচ পুরস্কার (২০১২)
অর্ডার অব কালচার (২০১৩)
ট্যাং পুরস্কার (২০১৪)
কিয়োটো পুরস্কার (২০১৬)
আলপার্ট পুরস্কার (২০১৭)
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল (২০১৮)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রআণবিক প্রতিষেধক
প্রতিষ্ঠানসমূহকিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়
ডক্টরাল উপদেষ্টাইয়াসুতোমী নিশিজুকা
ওসামু হায়াইশি

তিনি ২০০১ এ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্সের বিদেশী সদস্য, ২০০৩ সালে জার্মান একাডেমী অব ন্যাচারাল সায়েন্টিস্টের লিওপলডিনার সদস্য এবং জাপান একাডেমী (২০০৫) এর সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালে তিনি জ্যামস পি অ্যালিসনের সাথে যুগ্মভাবে চিকিৎশাস্ত্রে নোবেল অর্জন করেন।[৪] তিনি এবং এলিসন একত্রে ২০১৪ সালে একইকারণে জৈবঔষধি মুলক বিজ্ঞানে ট্যাঙ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[৫]

জীবনী

তানসুকু হনজো কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন থেকে এমডি করেন। ১৯৭৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল রসায়ন তগেকে পিএইচডি করেন। তার উপদেষ্টা ছিলেন ইয়াসুতোমী নিশিজুকা ও ওসামু হায়াইশি।[৬]

১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত তিনি ওয়াশিংটনের কার্নেগী ইন্সটিউশনে, ন্যাশনাল ইন্সটিউট অব চাইল্ড হেলথ এবং ন্যাশনাল ইন্সটিউট অব হেলথ হিউম্যান ডেভেলপম্যান্টে ভিসিটিং ফেলো ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার পর টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত চিকিৎসা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যক্ষ ছিলেন এবং ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ অবধি অসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যক্ষ ও প্রধান ছিলেন।[৬]

১৯৮৪ থেকে তিনি কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে আছেন।[৭]

অর্জন

সম্রাট আখিহিতো থেকে ৩ নভেম্বর ২০১৩ শুনছি আইওয়াসাক, কেন তাকাকুরা, শিইকাকু তাগারী, সুসুমু নাকানিশি এবং হনজো অর্ডার অব কালচার পুরস্কার পান। এরপরে তারা ইমপেরিয়াল প্যালেসে শিনজো আবের সাথে ইস্ট গার্ডেনে একসাথে আলোকচিত্রে বন্দী হন

হনজো তার জীবনে অনেক সম্মাননা এবং পুরস্কার প্রাপ্ত করেন। ২০১৬ তে তিনি "এন্টিবডির পৃথকীকরণ ফাংশনের আবিষ্কার, প্রতিষেধক অনু ও পিডি-১ এর ক্লিনিক্যাল প্রয়োগ আবিষ্কারের" কারণে বেসিক বিজ্ঞানে কিয়োটো পুরস্কার পান।[৭]

অন্যান্য বড় পুরস্কার এর তালিকা:

  • ১৯৭৮ – তরুন বিজ্ঞানী পুরস্কার, জাপানীজ জৈব রাসায়নিক সমাজ
  • ১৯৮১ – নগুচি এওয়ার্ড মেমরিয়াল পুরস্কার[৭]
  • ১৯৮১ – আসাহি পুরস্কার[৮]
  • ১৯৮৪ – কিহারা পুরস্কার,
  • ১৯৮৪ – অসাকা সায়েন্স পুরস্কার
  • ১৯৮৮ – তাকেদা মেডিক্যাল পুরস্কার[৭]
  • ১৯৯২ – বেহেরিং কিতাসাও পুরস্কার
  • ১৯৯৩ – উহেরা পুরস্কার[৭]
  • ১৯৯৬ – ইমপেরিয়াল প্রাইজ অব দ্য জাপান একাডেমি[৯]
  • ২০০০ – পার্সন অব কালচারাল মেরিট
  • ২০১২ – রবার্ট কোচ পুরস্কার[৭]
  • ২০১৩ – অর্ডার অব কালচার[৭]
  • ২০১৪ – যুগ্নভাবে জেমস পি. এলিসনের সাথে জৈব ঔষুধ বিজ্ঞানে ট্যাং পুরস্কার
  • ২০১৪ – উইলিয়াম বি. কলি পুরস্কার[৭]
  • ২০১৫ – রিচার্ড ভার্স স্মলি, স্মারক পুরস্কার[৭]
  • ২০১৬ – কিয়ো মেডিক্যাল বিজ্ঞান পুরস্কার[১০]
  • ২০১৬ – ফুদান-ঝংজি বিজ্ঞান পুরস্কার[১১]
  • ২০১৬ – থমসন রয়টার্স সাইটেশন বিজয়ী [১২]
  • ২০১৭– ওয়ারেন আলপার্ট ফাউন্ডেশন পুরস্কার[১৩]
  • ২০১৮ – জেমস পি. অ্যালিসনের সাথে যুগ্মভাবে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ


🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ