দেশ ও অঞ্চল অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী এবং চীনের ৭ম বৃহত্তম নগরী উহান নগরীতে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যাকে নোভেল করোনাভাইরাস (২০১৯-এনসিওভি) নামকরণ করে। ক্রমেই ভাইরাসটি চীনের বাইরে আরও কয়েকটি দেশে ধরা পরে। এই নিবন্ধে দেশ অনুযায়ী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তুলে ধরা হয়েছে।
দেশ ও অঞ্চল অনুযায়ী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ২০১৯-২০
সর্বশেষ হালনাগাদকৃত তথ্য পেতে নিচের তালিকাটি অনুসরণ করুন।
অবস্থান | মামলা | মৃত্যু |
---|---|---|
বিশ্ব | ২৫৩,৩৯১,৩২৪ | ৫,১০৮,০০৮ |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৪৭,৮৩৪,৮১০ | ৭৮২,৯৩৩ |
ইউরোপীয় ইউনিয়ন | ৩৯,২৬৯,১৮৫ | ৭৮৭,৭৭২ |
ভারত | ৩৪,৪২৬,০৩৬ | ৪৬৩,২৪৫ |
ব্রাজিল | ২১,৯৪০,৯৫০ | ৬১০,৯৩৫ |
যুক্তরাজ্য | ৯,৪৮৭,৩০২ | ১৪২,৬৭৮ |
রাশিয়া | ৯,০৩১,৮৫১ | ২৫৪,১৬৭ |
তুরস্ক | ৮,৩৬৩,৯৫৯ | ৭৩,১২৭ |
ফ্রান্স | ||
ইরান | ||
আর্জেন্টিনা | ||
স্পেন | ||
কলম্বিয়া | ||
ইতালি | ৪,৮৪৩,৯৫৭ | ১৩২,৬৮৬ |
জার্মানি | ||
ইন্দোনেশিয়া | ||
মেক্সিকো | ||
পোল্যান্ড | ||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ||
ইউক্রেন | ||
ফিলিপাইন | ||
মালয়েশিয়া | ||
পেরু | ||
নেদারল্যান্ডস | ||
ইরাক | ||
থাইল্যান্ড | ||
চেক প্রজাতন্ত্র | ||
জাপান | ||
কানাডা | ||
চিলি | ||
বাংলাদেশ | ১,৫৭২,১২৭ | ২৭,৯১২ |
রোমানিয়া | ||
ইসরায়েল | ||
বেলজিয়াম | ||
পাকিস্তান | ১,২৭৯,৩৭৩ | ২৮,৫৯৫ |
সুইডেন | ||
পর্তুগাল | ||
সার্বিয়া | ||
কাজাখস্তান | ||
মরক্কো | ||
কিউবা | ||
ভিয়েতনাম | ||
সুইজারল্যান্ড | ||
জর্ডান | ||
হাঙ্গেরি | ||
নেপাল | ||
অস্ট্রিয়া | ||
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ||
তিউনিসিয়া | ||
গ্রিস | ||
জর্জিয়া (দ্ব্যর্থতা নিরসন) | ||
লেবানন | ||
গুয়াতেমালা | ||
বেলারুশ | ||
বুলগেরিয়া | ||
কোস্টা রিকা | ||
সৌদি আরব | ||
শ্রীলঙ্কা | ||
ইকুয়েডর | ||
আজারবাইজান | ||
বলিভিয়া | ||
মিয়ানমার | ||
পানামা | ||
প্যারাগুয়ে | ||
ফিলিস্তিন | ||
শ্লোভাকিয়া | ||
ক্রোয়েশিয়া | ||
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড | ||
কুয়েত | ||
ভেনিজুয়েলা | ||
উরুগুয়ে | ||
লিথুয়ানিয়া | ||
ডেনমার্ক | ||
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র | ||
হন্ডুরাস | ||
ইথিওপিয়া | ||
লিবিয়া | ||
দক্ষিণ কোরিয়া | ||
মঙ্গোলিয়া | ||
মলদোভা | ||
মিশর | ||
শ্লোভেনিয়া | ||
ওমান | ||
আর্মেনিয়া | ||
বাহরিন | ||
কেনিয়া | ||
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ||
কাতার | ||
নাইজেরিয়া | ||
জাম্বিয়া | ||
আলজেরিয়া | ||
নরওয়ে | ||
উত্তর ম্যাসেডোনিয়া | ||
ল্যাটভিয়া | ||
বতসোয়ানা | ||
উজবেকিস্তান | ||
কিরঘিজস্তান | ||
আলবানিয়া | ||
এস্তোনিয়া | ||
সিঙ্গাপুর | ||
কসোভো | ||
আফগানিস্তান | ||
অস্ট্রেলিয়া | ||
ফিনল্যান্ড | ||
মোজাম্বিক | ||
মন্টেনিগ্রো | ||
জিম্বাবোয়ে | ||
ঘানা | ||
নামিবিয়া | ||
উগান্ডা | ||
সাইপ্রাসের | ||
কম্বোডিয়া | ||
এল সালভাদর | ||
ক্যামেরুন | ||
রুয়ান্ডা | ||
চীন | ||
জামাইকা | ||
মালদ্বীপ | ||
লুক্সেমবুর্গ | ||
সেনেগাল | ||
অ্যাঙ্গোলা | ||
মালাউই | ||
আইভরি কোস্ট | ||
কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র | ||
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ||
ফিজি | ||
সুরিনাম | ||
ইস্তেনী | ||
মাদাগাস্কার | ||
সিরিয়া | ||
সুদান | ||
কেপ ভার্দে | ||
মাল্টা | ||
মৌরিতানিয়া | ||
গায়ানা | ||
গ্যাবন | ||
লাওস | ||
গিনি | ||
পাপুয়া নিউ গিনি | ||
তানজানিয়া | ||
টোগো | ||
বেলিজ | ||
বেরিন | ||
হাইতি | ||
বাহামা | ||
সেশেলস | ||
লেসোথো | ||
সোমালিয়া | ||
বুরুন্ডি | ||
পূর্ব তিমুর | ||
তাজিকিস্তান | ||
মরিশাস | ||
কঙ্গো প্রজাতন্ত্র | ||
তাইওয়ান | ||
নিকারাগুয়া | ||
মালি | ||
অ্যান্ডোরা | ||
বুরকিনা ফাসো | ||
বার্বাডোস | ||
জিবুতি | ||
নিরক্ষীয় গিনি | ||
আইসল্যান্ড | ||
সেন্ট লুসিয়া | ||
হংকং | ||
দক্ষিণ সুদান | ||
ব্রুনেই | ||
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র | ||
গাম্বিয়া | ||
ইয়েমেন | ||
ইরিত্রিয়া | ||
সিয়েরা লিওন | ||
নাইজার | ||
গিনি-বিসাউ | ||
লাইবেরিয়া | ||
গ্রেনাডা | ||
নিউজিল্যান্ড | ||
সান মারিনো | ||
চাদ | ||
সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস | ||
ডোমিনিকা | ||
কোমোরোস | ||
অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা | ||
সাও টোম এবং প্রিন্সিপ | ||
লিচেনস্টাইন | ||
মোনাকো | ||
সেন্ট কিটস এবং নেভিস | ||
ভুটান | ||
ভ্যাটিকান সিটি | ||
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | ||
প্যালেস | ||
ভানুয়াটু | ||
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ | ||
সামোয়া | ||
কিরিবাটি | ||
মাইক্রোনেসিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস |
নিশ্চিত হওয়া অঞ্চল
উৎপত্তি (চীন)
২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণের কথা অবহিত করা হয়। তখন পর্যন্ত চীনে প্রায় ১৩০০ ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ৯ই জানুয়ারি প্রথম ব্যক্তিটি মারা যায়। ২৫শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ভাইরাসটির কারণে চীনে ৪১ জন ব্যক্তি মারা যায়। উহান শহরে ও হুপেই প্রদেশের আরও ১২টি শহরে অন্তর্গামী ও বহির্গামী সমস্ত গণপরিবহন সেবা স্থগিত করা হয়েছে। ৭ মে, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত চীনে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৩,৯৭০ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৪,৬৩৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮,৯২৯ জন।[৩] ৯১
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ৮ মার্চ তিন জন করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন পুরুষ, ১ জন নারী। তিনজনের দু’জন ইতালি ফেরত। তাদের বয়স ২০-৩৫ হবে। এছাড়া আরও দু’জনকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।[৪] ২০জুন ২০২০ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে সর্বমোট ৫,৯৯,৫৭৯ জনের; দেশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১,০৮,৭৭৫ জন। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন ৪৩,৯৯৩ জন। মোট মৃত্যু ঘটেছে ১,৪২৫ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০ জুন-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে সুস্থ হওয়ার হার ৪০.৪৪%, মৃত্যুর হার ১.৩১% এবং আইইডিসিআর এর ১০ জুন-এর তথ্যানুসারে সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টাইন) ও আইসোলেশনে (রোগ-অন্তরণ) আছে ৫৮.০%। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০ লাখে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩,৫৫৭ জনের। ২০২০ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী#cite note-:1-4
ভারত
ভারত সরকার সকল নাগরিকদের ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।[৫] বিশেষ করে উহানে ভারতের ৫০০ মেডিকেল শিক্ষার্থী রয়েছে। চীন থেকে আগত যাত্রীদের সাতটি বিমানবন্ধরে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।[৬][৭] ৩০ জানুয়ারি, কেরলতে প্রথম একজনের শরীরে এ ভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি উহান বিশ্বাবদ্যালয় থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন।[৮] ৭ মে, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৩,০৪৫ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ১,৭৮৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৫,৩৩১ জন।[৩]
হংকং
৮ জানুয়ারি হংকং-এর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা ভাইরাসটির ব্যাপারে নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ শুরু করে।[৯] একইসাথে হাসপাতালে ভ্রমণ ও অন্যান্যদের মাস্ক পরিধানের ব্যাপারে নোটিশ জারি করে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং ২০২০ সালের প্রথম সপ্তাহে অন্তত ২০ জনকে পরীক্ষা করে প্রায় সবার মধ্যে অন্যান্য ভাইরাস পাওয়া যায়।[১০][১১] ২২ জানুয়ারি, ৩৯ বছর বয়সী একজনের প্রথম এই ভাইরাস ধরা পড়ে। এর পূর্বে তিনি উহান ভ্রমণ করেছিলেন। ৫৬ বছর বয়সি আরেক জনের শরীরেও ভাইরাস পাওয়া যায়।[১২][১৩][১৪]
হংকং সরকার ‘লেডি ম্যাকলেহোজ হলিডে ভিলেজ’কে রোধ প্রতিরোধী অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। ২৩ জানুয়ারি, আরও ৩ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায় যারা এর পূর্বের দুই জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। হংকং ট্যুরিজম বোর্ড লুনার নববর্ষ কাপ ও চার দিন ব্যাপী পূর্বঘোষিত লুনার ফেস্টিভাল বাতিল করে। ২৪ জানুয়ারি পঞ্চম ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে। একইদিন সরকার এটিকে ‘জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। একইসাথে হংকং-এর জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে।[১৫]
২৮ জানুয়ারি হংকং ও চীনের মূলভূখণ্ডের মধ্যকার দ্রুত গতির রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।[১৬] ৩০ জানুয়ারি থেকে ফেরি যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিছু কিছু সীমান্ত চেক পয়েন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া, জাদুঘর ও গ্রন্থাগারসহ সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।[১৭]
জাপান
৩০ বছর বয়সি একজন চীনা নাগরিক উহানে যায় এবং ৩ জানুয়ারি জ্বর ধরা পড়ে এবং ৬ জানুয়ারি জাপান ফিরে আসে। জাপানে ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ভাইরাস ধরা পড়ে।[১৮][১৯] ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় একজন চীনা নাগরিকের শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে।[২০] তিনিও উহান ভ্রমণ করেছিলেন। ২৫ জানুয়ারি উহান থেকে আসা একজন নারীর শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে।[২১]
২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক সামনে রেখে জাপান সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।[২২] ২৮ জানুয়ারি, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম কেইস ধরা পড়ে। এর মধ্যে একজন বাস চালক রয়েছেন যিনি জানুয়ারির প্রথম দিকে উহান থেকে আগত একদল পর্যটকদের বহন করছিলেন।[২৩][২৪] ৩০ জানুয়ারি আরও ৩ জনের শরীরে এ ভাইরাস ধরা পড়ে।[২৫] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত জাপানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩,৬১৪ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৩৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,৮৯৯ জন।[৩]
কম্বোডিয়া
২৭ জানুয়ারি কম্বোডিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে একজন ব্যক্তির করোনাভাইরাস আক্রান্তের কথা জানান এবং আরও চারজন চীনা নাগরিকে সহেন্দজনক হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।[২৬]
মাকাও
২২ জানুয়ারি মাকাও-এ ২জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। একজন ৫২ বছর বয়সী নারী ও ৬৬ বছর বয়সি পুরুষ। তারা উভয়েই উহান থেকে এসেছেন।[২৭] ২৬ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ আরও তিনটি নিশ্চিত কেইসের কথা জানায় যারা সকলেই উহান থেকে এসেছেন।[২৮] মাকাও সরকার তখন থেকে অস্থায়ীভাবে সকল স্কুল ও কলেজ বন্ধ রেখেছে। একইসাথে সীমান্তে শরীরের তাপমাত্র নির্ণয় করা শুরু করেছে। বছরের এ সময়ে অনুষ্ঠিতব্য সকল ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[২৯] ২৭ জানুয়ারি র্পূবের একজন রোগীর ১৫ বছর বয়সী ছেলের ভাইরাসটি ধরা পড়ে।[৩০] ২৮ জানুয়ারি সপ্তম ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটি পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করা হয়।[৩১]
মালয়েশিয়া
২৪ জানুয়ারি ৮ জন চীনা নাগরিককে ভাইরাস সন্দেহে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।[৩২] প্রাথমিকভাবে তাদের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ত্ব ধরা না পড়লেও ২৫ জানুয়ারি তাদের মধ্যে তিনজনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়।[৩৩][৩৪] মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে বলে জানায়। সাবা প্রদেশ থেকে উহানে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়।[৩৫] ২৪ জানুয়ারি ২ বছরের এক শিশুকে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়। তার পিতামাতাকে সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে পর্যবেক্ষণে রাখে।[৩৬] ২৬ জানুয়ারি, ভাইরাসের চতুর্থ কেইস ঘোষণা করা হয়।[৩৭] ২৯ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ আরও তিনজনের শরীরে ভাইরাসের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়।[৩৮] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫,৮৫১ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ১০০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪,০৩২ জন।[৩]
নেপাল
২৪ জানুয়ারি হংকং সেন্টারে একজন নেপালি শিক্ষার্থীর শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়।[৩৯] তিনি উহান থেকে ফিরছিলেন।[৪০][৪১] তার অবস্থার উন্নতি হলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।[৪২][৪৩] ২৭ জানুয়ারি উহান থেকে আগত একজন মার্কিন নাগরিকের শরীরে ভাইরাস ধরা পরে।[৪৪][৪৫]
ফিলিপাইন
ফিলিপাইনে ৩০ জানুয়ারি সর্বপ্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।[৪৬] ৩৮ বছর বয়সি চীনা নারী উহানের বাসিন্দা যিনি ২১ জানুয়ারি হংকং থেকে ম্যানিলাতে আসেন। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চীন থেকে আগতদের জন্য ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ দেওয়া বন্ধ রয়েছে।[৪৭] ৩০ জানুয়ারি বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং এক জন মৃত্যুবরণ করেন। তবে যিনি মত্যুবরণ করেছেন তিনি অন্য রোগে মারা গেছেন বলে জানানো হয়।[৪৮]
সিঙ্গাপুর
২৩ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়।[৪৯] পরেরদিন আরও দুই জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পরে। তারা সকলেই চীনা নাগরিক।[৫০][৫১] ২৫ জানুয়ারি একজন, ২৭ জানুয়ারি একজন এবং ২৮ জানুয়ারি আরও দুই জনের শরীরে ভাইরসা ধরা পড়ে।[৫২][৫৩] ২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও তিনটি কেইসের কথা বলেন।[৫৪] পরেরদিন আরও তিনটির কথা জানা যায়। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ জনের ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।[৫৫] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪,৯৫১ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ১৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,১২৮ জন।[৩]
দক্ষিণ কোরিয়া
৮ জানুয়ারি একজনকে সন্দেহ করে প্রথমে পরীক্ষা করা হয়।[৫৬] তখন থেকে ৪ জনকে সন্দেহ ও ৩ জনের শরীরে ভাইরাসের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।[৫৭][৫৮] ৩০ জানুয়ারি আরও ২ জনের শরীরে ভাইরাস নিশ্চিত হয়।[৫৯] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০,৭৫২ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ২৪৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮,৮৫৪ জন।[৩]
শ্রীলঙ্কা
২৭ জানুয়ারি ৪৩ বছর বয়সি একজন চীনা পর্যটকের শরীরে প্রথম ভাইরাস ধরা পড়ে।[৬০] এরপূর্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বন্দরনায়েক বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ জন সন্দেজনক কেইস রিপোর্ট করা হয়েছে। ২২ জনের সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব রোধ করার জন্য।[৬১][৬২]
তাইওয়ান
২১ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে।[৬৩] ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ জন ব্যক্তিতে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।[৬৪] এর মধ্যে ৫০-এ কোঠায় এক ব্যক্তিকে ৩ লক্ষ তাইওয়ানী মুদ্রা জরিমানা করা হয়েছে কারণ তিনি পূর্বে তার লক্ষণ গোপন করেছিলেন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করেছেন বলে।[৬৫]
থাইল্যান্ড
৩ জানুয়ারি থেকে থাইল্যান্ডের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করা হয়।[৬৬][৬৭]১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। চীনের বাইরে এটিই প্রথম কেইস।[৬৮][৬৯][৭০] ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে যিনি উহান থেকে থাইল্যান্ডে আসেন। ২২ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও দুটি কেইস নিশ্চিত করে।[৭১][৭২] ২৪ জানুয়ারি পঞ্চম ব্যক্তি আক্রান্ত হন। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ জনের শরীরে ভাইরাসের ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।[৭৩] ২৮ জানুয়ারি আরও ৬ জন আক্রান্ত হন।[৭৪][৭৫] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২,৯৩৮ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২,৬৫২ জন।[৩]
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২৩ জানুয়ারি থেকে চীনে আগত যাত্রীরা আবুধাবি বিমানবন্দর এবং দুবাই বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।[৭৬][৭৭] ২৯ জানুয়ারি চীনা একজন নাগরিকের প্রথম এ ভাইরাস ধরা পড়ে।[৭৮][৭৯] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১,৩৮০ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৮৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২,১৮১ জন।[৩]
ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম চীনের সাথে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ২৪ জানুয়ারি তারা উহানের সকল ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।[৮০][৮১] ২২ জানুয়ারি দুইজন আক্রান্তের নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়। তারা দুই জনেই চীনের নাগরিক। দুই জন আক্রান্তের মধ্যে একজন সুস্থ হয়েছে বলে জানা যায়।[৮২]
অস্ট্রেলিয়া
২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি সর্বপ্রথম অনুমানিক ৫০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাস ধরা পরে। তিনি চীন সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১৯ জানুয়ারি চীনের কুয়াংচৌ থেকে মেলবোর্নে আসেন।[৮৩][৮৪] ২৫ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ জানায় যে, আরও তিনজন ব্যক্তি মেলবোর্নের একটি হাসপাতালে এ ভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।[৮৫][৮৬] একইসাথে আরও ছয় জন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে দুই জনের শরীরে সন্দেজনক ভাইরাস পাওয়া যায় এবং বাকী চার জন এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন বলে ধারণা করা হয়।[৮৭] ২৭ জানুয়ারি আরও পঞ্চম ব্যক্তির শরীেরে এ ভাইরাস ধরা পরে।[৮৮][৮৯]
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি থেকে উহান থেকে আসা সকল ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এছাড়া, যাত্রীদের তথ্য যুক্ত লিফলেট দিয়ে যদি জ্বর হয় বা সন্দেহ করেন সেক্ষেত্রে তাদের সাথে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।[৯০] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬,৭২১ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৮৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫,৬৩০ জন।[৩]
কানাডা
বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর কানাডার বর্ডার সার্ভিস সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে এবং চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। ২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ থেকে ৬ জনকে সহেন্দজনকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।[৯১][৯২] ২৫ জানুয়ারি ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম সন্দেহজনকভাবে এ ভাইরাস ধরা পরার কথা জানানো হয়। পরে জাতীয় মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষাগার পরীক্ষা করে ২৭ জানুয়ারি ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।[৯৩][৯৪] একই দিনে ওন্টারিওরে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, উক্ত ব্যক্তি স্ত্রীর শরীরেও এ ভাইরাস রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত, কর্মকর্তারা এরকম ১৯টি কেস তদন্ত করছেন বলে জানান।[৯৫][৯৬] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৯,৭৫১ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ২,৮৫১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯,০৪৫ জন।[৩]
ফিনল্যান্ড
২৮ জানুয়ারি একজন চীনা নারীর শরীরে সন্দেজনক ভাইরাস পাওয়া যায়। পরেরদিন ভাইরাসটি করোনাভাইরাস হিসেবে শনাক্ত হয়। ২৭ জানুয়ারি ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিনীয় নাগরিকদের চীনে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে।[৯৭][৯৮][৯৯][১০০][১০১] পরের দিন ফিন এয়ার মার্চ পর্যন্ত চীনের দুটি স্থানে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়।[১০২] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪,৭৪০ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ১৯৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২,৮০০ জন।[৩]
ফ্রান্স
২৪ জানুয়ারি ইউরোপে সর্বপ্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ফ্রান্সে। দুইজন স্বামী-স্ত্রী প্রথমে আক্রান্ত হন। ২৮ জানুয়ারি আরেকজন চীনা পর্যটকের শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে। ২৯ জানুয়ারি পঞ্চম কেইস নিশ্চিত হয়।[১০৩][১০৪][১০৫][১০৬] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১,৬৬,০৩৬ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ২৩,৩২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৬,৩৯৪ জন।[৩]
জার্মানি
২৭ জানুয়ারি প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রান্ত একটি কেইস রিপোর্ট করা হয়।[১০৭] পরে ২৮ জানুয়ারি আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তারা তিনজনই একই কোম্পানিতে চাকরি করেন।[১০৮] ২৮ এপ্রিল, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত জার্মানিতে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫৯,২৩৯ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৬,১৭৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,১৭,৪০০ জন।[৩]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ভাইরাসটি ধরা পড়ে।[১০৯] ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয়, ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ও ২৬ জানুয়ারি চতুর্থ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৬৫ জনকে সন্দেজনকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ৫ জনের শরীর ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।[১১০] ৭ মে, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে ১,২২৮,৬০৯ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৭৩,৭৩১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৮৯,৯১০ জন।[৩]
ইতালি
ইতালিতে সর্বপ্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে ৩১ জানুয়ারি, ২০২০। দু'জন চীনা পর্যটক রোমে ঘুরতে এসে অসুস্থ বোধ করায় তাদের পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এই দু'জন চীনা নাগরিক হচ্ছে ইতালিতে আক্রান্ত শনাক্তের প্রথম কোন ঘটনা।[১১১] এর এক সপ্তাহ পরে, একজন ইতালীয় নাগরিক চীনের উহান শহর থেকে ইতালি ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায় ফলে এটি ইতালিতে আক্রান্ত শনাক্তের তৃতীয় ঘটনা।[১১২] এখন পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ৭ মে, ২০২০ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ইতালিতে করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১৪,৪৫৭ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছে ২৯,৬৮৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৩,২৪৫ জন।[৩]