পাইরিডক্সিন
পাইরিডক্সিন (ইংরেজি: Pyridoxine) ভিটামিন বি৬ এর একটি রূপভেদ। এর হাইড্রোক্লোরাইড লবণ, পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড ভিটামিন বি৬ এর অভাবজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক খাবার খেলে অতিরিক্ত পাইরিডক্সিন ওষুধ হিসাবে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
নামসমূহ | |
---|---|
ইউপ্যাক নাম 4,5-Bis(hydroxymethyl)-2-methylpyridin-3-ol | |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল) | |
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
কেমস্পাইডার | |
ড্রাগব্যাংক | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০০০.৫৪৮ |
ইসি-নম্বর | |
কেইজিজি | |
ইউএনআইআই | |
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA) | |
| |
এসএমআইএলইএস
| |
বৈশিষ্ট্য | |
C8H11NO3 | |
আণবিক ভর | ১৬৯.১৮ g·mol−১ |
গলনাঙ্ক | ১৫৯–১৬২ °সে (৩১৮–৩২৪ °ফা; ৪৩২–৪৩৫ K) |
ঔষধসংক্রান্ত | |
ATC code | |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
যাচাই করুন (এটি কি ?) | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
কাজ
পাইরিডক্সিন মানব শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন, ত্বক ও স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা প্রভৃতি কাজে এর ভূমিকা অনেক।[২]
ব্যবহার
কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন বি৬ এর পরিমাণ হ্রাস পায় যেমন অ্যালকোহল আসক্তি, লিভারের রোগ, হাইপারথাইরয়ডিজম, হার্ট ফেইলিউর। এ ছাড়া কিছু ওষুধ যেমন আইসোনিয়াজিড, সাইক্লোসেরিন, হাইড্রালাজিন, পেনিসিলামিন ইত্যাদি ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি তৈরি করে। পাইরিডক্সিন পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি রোগের চিকিৎসায় বা প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়। কিছু হেরেডিটারি বা বংশানুক্রমিক রোগ যেমন হোমোসিস্টিনিউরিয়া, হাইপার-অক্সালিউরিয়া, জ্যান্থিউরেনিক অ্যাসিডিউরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় পাইরিডক্সিন ব্যবহৃত হয়।[৩]
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এটা শরীরে খুবই সহনীয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, অনিদ্রা, হাত-পা ঝিনঝিন করা,পাকস্থলীর সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।এটা গর্ভাবস্থা ও মাতৃদুগ্ধ দানকালীন সময়ে নিরাপদ[২]