ফিল জোন্স
ফিলিপ অ্যান্টনি জোন্স (ইংরেজি: Phil Jones; জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২; ফিলিপ জোন্স নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ইংরেজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় এবং রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফিলিপ অ্যান্টনি জোন্স[১] | ||
জন্ম | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ | ||
জন্ম স্থান | প্রেস্টন, ইংল্যান্ড | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ৪ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০২–২০০৯ | ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৯–২০১১ | ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স | ৩৫ | (০) |
২০১১– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১৬৫ | (২) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৯–২০১০ | ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ | ৪ | (০) |
২০১০–২০১১ | ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ | ৯ | (০) |
২০১১– | ইংল্যান্ড | ২৭ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৭:০৯, ২৬ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৭:০৯, ২৬ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
২০০২–০৩ মৌসুমে, মাত্র ১০ বছর বয়সে, ইংরেজ ফুটবল ক্লাব ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে জোন্স ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৯–১০ মৌসুমে, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের হয়ে তিনি ৩৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১১–১২ মৌসুমে, তিনি প্রায় ১৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স হতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০০৯ সালে, জোন্স ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৩ বছর যাবত ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ২৭ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে এপর্যন্ত ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১৪ এবং ২০১৮) এবং উয়েফা ইউরো ২০১২-এ অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৮ সালে গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ফিফা বিশ্বকাপের চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন। দলগতভাবে, জোন্স এপর্যন্ত ৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার সবগুলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ফিলিপ অ্যান্টনি জোন্স ১৯৯২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে ইংল্যান্ডের প্রেস্টনে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবল
জোন্স ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১০ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে তিনি ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে তিনি ২০১১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[২] তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৩] ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ১৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে করেছেন।
২০১১ সালের ৭ই অক্টোবর তারিখে, মাত্র ১৯ বছর ৭ মাস ১৬ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী জোন্স মন্টিনিগ্রোর বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক করেছেন।[৪][৫] তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, ম্যাচে তিনি ২ নম্বর জার্সি পরিধান করে ডান পার্শ্বীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।[৬] ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হয়েছিল।[৭] ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের বছরে জোন্স সর্বমোট ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
জোন্স ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য রয় হজসনের অধীনে ঘোষিত ইংল্যান্ড দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[৮][৯] ২০১৪ সালের ১৪ই জুন তারিখে, তিনি কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন।[১০][১১][১২] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি মাত্র ১ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।[১৩] অতঃপর জোন্স ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য প্রকাশিত ইংল্যান্ডের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[১৪][১৫] উক্ত বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে তার দল বেলজিয়ামের কাছে ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।[১৬]
পরিসংখ্যান
আন্তর্জাতিক
- ২৬ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ইংল্যান্ড | ২০১১ | ৩ | ০ |
২০১২ | ২ | ০ | |
২০১৩ | ৪ | ০ | |
২০১৪ | ৪ | ০ | |
২০১৫ | ৭ | ০ | |
২০১৭ | ৪ | ০ | |
২০১৮ | ৩ | ০ | |
সর্বমোট | ২৭ | ০ |
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ফিল জোন্স – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- ফিল জোন্স – উয়েফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (আর্কাইভ) (ইংরেজি)
- সকারওয়েতে ফিল জোন্স (ইংরেজি)
- সকারবেসে ফিল জোন্স (ইংরেজি)
- বিডিফুটবলে ফিল জোন্স (ইংরেজি)
- ট্রান্সফারমার্কেটে ফিল জোন্স (ইংরেজি)
- ওয়ার্ল্ডফুটবল.নেটে ফিল জোন্স (ইংরেজি)
- ইএসপিএন এফসিতে ফিল জোন্স (ইংরেজি)
- ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে ফিল জোন্স (ইংরেজি)