বন জভি
বন জভি একটি আমেরিকান রক ব্যান্ড। এটি ১৯৮৩ সালে নিউ জার্সির স্যারিভিলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলটিতে রয়েছেন কন্ঠশিল্পী জন বন জভি (জন ফ্রান্সিস বনজিওভি, জুনিয়র), কীবোর্ডিস্ট ডেভিড ব্রায়ান, ড্রামার টিকো টরেস, গিটারিস্ট ফিল এক্স, এবং বেইজিস্ট হিউ ম্যাকডোনাল্ড।[১] পূর্ববর্তী বেইজিস্ট অ্যালেক জন ১৯৯৪ সালে বরখাস্ত হন, এবং দীর্ঘকালীন গিটারিস্ট এবং সহ-গীতিকার রিচি সামবোরা ২০১৩ সালে দলটি ত্যাগ করেন।
বন জভি | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | স্যারিভিল, নিউ জার্সি |
ধরন | রক, হার্ড রক, গ্রাম মেটাল, হেভি মেটাল |
কার্যকাল | ১৯৮৩-বর্তমান |
লেবেল | Island, Mercury, Mercury Nashville |
সদস্য | Jon Bon Jovi David Bryan Tico Torres Richie Sambora Hugh McDonald Bobby Bandiera Lorenza Ponce(occasionally) |
প্রাক্তন সদস্য | এ্যালেক জন সাচ ডেভ সাবো |
ওয়েবসাইট | www |
১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ সালে বন জভি তাঁদের প্রথম দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করে এবং তাদের প্রথম সিংগেল "রানঅ্যাওয়ে" শীর্ষে ৪০ এ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়। ১৯৮৬ সালে ব্যান্ডটি তাঁদের তৃতীয় অ্যালবাম স্লিপারি হোয়েন ওয়েট প্রকাশ করে ব্যাপক সাফল্য এবং বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করে। অ্যালবামটির ২০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয় এবং শীর্ষ ১০ এ তাঁদের তিনটি সিংগেলস স্থান পায় যার মধ্যে দুটি ১ম স্থানে পৌঁছে ("ইউ গিভ লাভ আ ব্যাড নেইম" এবং "লিভিন' অন আ প্রেয়ার")[২] তাঁদের চতুর্থ অ্যালবাম নিউ জার্সি (১৯৮৮) ও ১০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি করে বেশ সফলতা অর্জন করে এবং শীর্ষ ১০ সিংগেলসের পাঁচটিই এই অ্যালবামের ছিল (একটি হার্ড রক অ্যালবামের জন্য যা একটি রেকর্ড), যার মধ্যে দুটি ১ম স্থানে পৌঁছে ("ব্যাড মেডিসিন" এবং "আই'ল বি দেয়ার ফর ইউ")। ১৯৮০-দশকের শেষদিকে ব্যান্ডটি ব্যাপকভাবে ট্যুর ও রেকর্ডিং করতে থাকে। ১৯৮৮-৯০ সালে নিউ জার্সি ট্যুর শেষ হবার পরে জন বন জভি এবং রিচি সাম্বোরা যথাক্রমে ১৯৯০ এবং ১৯৯১ সালে তাঁদের সফল একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৯২ সালে ব্যান্ডটি ডাবল-প্ল্যাটিনাম কিপ দ্য ফেইথ নিয়ে আবির্ভূত হয়। এরপর বের হয় তাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ও দীর্ঘতম সময় ধরে চার্টে থাকা সিংগেল "অলওয়েজ" (১৯৯৪) এবং অ্যালবাম "দিজ ডেইস" (১৯৯৫)। পরবর্তীতে দেখা যায় অ্যালবামটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপে বেশি সফলতা অর্জন করে এবং যুক্তরাজ্যে শীর্ষ দশের চারটি সিংগেলসই ছিল তাঁদের। দ্বিতীয়বারের মত বিরতি শেষে, তাদের ২০০০ সালের অ্যালবাম ক্রাশ, বিশেষত এটির লিড সিংগেল "ইট'স মাই লাইফ" অল্প বয়স্ক দর্শকদের কাছে এই ব্যান্ডটিকে পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। ব্যান্ডটি ২০০২ সালে বাউন্স অ্যালবামটি নিয়ে আসে। হ্যাভ আ নাইস ডে (২০০৫) এবং লস্ট হাইওয়ে (২০০৭) প্লাটিনাম অ্যালবামদুটিতে ব্যান্ডটি কান্ট্রি মিউজিকের কিছু উপাদানকে কয়েকটি গানে অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে ছিল ২০০৬ সালে প্রকাশিত সিংগেল "হু সেইস ইউ কান'ট গো হোম", যেটি প্রথমবারের মতো কোন রক ব্যান্ডের সিংগেল হিসেবে কান্ট্রি চার্টের ১ম স্থান অধিকার করে এবং যার বদৌলতে ব্যান্ডটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জেতে। সার্কেল (২০০৯) অ্যালবামটি জানান দেয় যে ব্যান্ডটি রক সাউন্ডে ফিরে এসেছে। ট্যুরিং এর ক্ষেত্রেও ব্যান্ডটি দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষত ২০০৫–০৬ এর হ্যাভ আ নাইস ডে ট্যুর এবং ২০০৭–০৮ এর লস্ট হাইওয়ে ট্যুর উভয়ই ২০০০ এর দশকের শীর্ষ ২০ সর্বাধিক উপার্জনকারী কনসার্ট ট্যুরের র্যাঙ্কিং এ স্থান দখল করে এবং ২০১৩ সালের বিকজ উই ক্যান ট্যুর ২০১০ এর দশকের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ট্যুরের র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়। ব্যান্ডটি বর্তমানেও ট্যুর এবং রেকর্ডিং অব্যাহত রেখেছে যার মধ্যে রয়েছে তাঁদের অতি সাম্প্রতিক অ্যালবাম দ্য হাউস ইজ নট ফর সেল এবং এর সাথে সম্পর্কিত ২০১৬–১৯ ট্যুর।
বন জভি এ পর্যন্ত ১৪ টি স্টুডিও অ্যালবাম, পাঁচটি সংকলন এবং তিনটি লাইভ অ্যালবাম প্রকাশ করেছে। তাঁদের রেকর্ড বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রিত হয়েছে যা তাঁদের করে তুলেছে সর্বোচ্চ বিক্রিত আমেরিকান রক ব্যান্ডসমূহের মধ্যে অন্যতম[৩][৪] এবং ব্যান্ডটি ৫০টিরও বেশি দেশে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি অনুরাগীর জন্য ২,৭০০ টিরও বেশি কনসার্ট করেছে।[৫][৬] বন জভিকে ২০০৬ সালে ইউকে মিউজিক হল অব ফেম এবং ইউএস রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম স্বীকৃতি প্রদান করে।[৭] ২০০৪ সালে আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে ব্যান্ডটি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট লাভ করে[৮] এবং জন বন জভি এবং রিচি সামোবোরাকে ২০০৯ সালে সংরাইটারস হল অব ফেম স্বীকৃতি প্রদান করে।[৯][১০]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
টেমপ্লেট:Bon Joviটেমপ্লেট:Bon Jovi songs
টেমপ্লেট:UK best-selling albums (by year) 1990–2009