ভিক্টোরিয়া ক্রস

ভিক্টোরিয়া ক্রস (ইংরেজি: Victoria Cross) সর্বোচ্চ সামরিক পদক যা শত্রুর সম্মুখ সমরে অংশ নেয়ার অসম সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য প্রদান করা হয়। কমনওয়েলথভূক্ত দেশ ও সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভূক্ত উপনিবেশসমূহের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরকে এ পদক দেয়া হয়। পদকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য পদক হিসেবে স্বীকৃত যা অন্য যে-কোন স্তরের পদকের তুলনায় সর্বোৎকৃষ্ট।[২] ভিক্টোরিয়া ক্রসকে সংক্ষেপে ভিসি নামে অভিহিত করা হয়।

ভিক্টোরিয়া ক্রস
পুরস্কারদাতা দেশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য/কমনওয়েলথভূক্ত দেশ
ধরনসামরিক পদক
যোগ্যতাব্রিটিশ সাম্রাজ্য/কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সামরিক সদস্য
পুরস্কৃত হওয়ার কারণ"... most conspicuous bravery, or some daring or pre-eminent act of valour or self-sacrifice, or extreme devotion to duty in the presence of the enemy."[১]
মর্যাদাবর্তমান
বর্ণনাBronze Cross pattée with Crown and Lion Superimposed, and motto: 'For Valour'
পরিসংখ্যান
প্রতিষ্ঠিত২৯ জানুয়ারি, ১৮৫৬
প্রথম পুরস্কৃত১৮৫৬
শেষ পুরস্কৃত২০০৬
সর্বমোট পুরস্কৃত১,৩৫৬
পদকপ্রাপ্ত১,৩৫৩
পূর্ববর্তী
পরবর্তী (উর্ধতন)নেই
সমমানজর্জ ক্রস (for civil gallantry or military actions not in the face of the enemy)[১]
পরবর্তী (অধীনস্থ)ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অর্ডার, কন্সপিকুয়াস গ্যালান্ট্রি ক্রস, জর্জ মেডেল[১]
ডারহাম লাইট ইনফ্যান্ট্রি-র ভিক্টোরিয়া ক্রস বিজয়ীদের স্মৃতিস্তম্ভ

উৎপত্তি

শান্তির ৪০ বছর পর ১৮৫৪ সালে ব্রিটেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বৃহৎ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধটি ছিল প্রথমদিককার অন্যতম যুদ্ধ যা আধুনিক প্রতিবেদন নির্ভরশীল। উইলিয়াম হাওয়ার্ড রাসেল নামীয় যুদ্ধবিষয়ক সংবাদদাতা ব্রিটিশ সেনাদের সাহসিকতা ও নির্ভীকতার বিষয়ের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তারা পুরস্কারবিহীন অবস্থায় ছিলেন।[৩]

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পূর্বে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে সাহসিকতার প্রদর্শনের স্বীকৃতির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোন আদর্শ পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই কেবলমাত্র অধস্তন পদবীধারী সেনাদেরকে অর্ডার অব দ্য বাথ এবং ব্রেভেট পুরস্কার প্রদান করতেন। কিন্তু এ ধরনের পুরস্কার প্রদানের প্রথা খুবই সীমিত পর্যায়ে ছিল।

অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো স্তর কিংবা পদবীকে মূল্যায়িত না করেই পুরস্কার প্রবর্তিত করে। ফ্রান্স লিজিয়ন দোঁ’অনার (লিজিয়ন অব অনার) এবং নেদারল্যান্ড সরকার অর্ডার অব উইলিয়াম প্রদান করে। এরফলে জনগণ এবং রাজদরবারে নতুন পদক প্রবর্তনের কথা দাবী করে। ২৯ জানুয়ারি, ১৮৫৬ সালে (গেজেট আকারে প্রকাশ ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৬)[৪] মহারাণী ভিক্টোরিয়া ওয়ারেন্ট প্রদান করেন।[৩][৪] এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভিক্টোরিয়া ক্রস পদকের উৎপত্তি ঘটে। আদেশনামাটি ক্রিমিয়ার যুদ্ধকালীন ১৮৫৪ সাল থেকে কার্যকরী হবে।[৫]

রাণী ভিক্টোরিয়া তার নিয়ন্ত্রণাধীন যুদ্ধ দপ্তরকে নতুন পদক তৈরীর জন্য নির্দেশনা দেন। সাধারণ অঙ্গসজ্জ্বায় পদকটি অতি উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে এবং তা কেবলমাত্র সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্যেই বরাদ্দ থাকবে।[৬] প্রিন্স আলবার্টের পরামর্শক্রমে এর সাধারণত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়; কিন্তু তাতে তিনি ভেটো প্রয়োগ করে এ পদকের নামকরণ করেন দ্য মিলিটারী অর্ডার অব ভিক্টোরিয়া যা পরবর্তীতে ভিক্টোরিয়া ক্রসে রূপান্তরিত হয়। প্রকৃত আদেশনামায় বলা হয় যে, ভিক্টোরিয়া ক্রস কেবলমাত্র শত্রুর উপস্থিতিতে অসম সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্যে প্রদান করা হবে।[৭] ২৬ জুন, ১৮৫৭ সালে প্রথম পদক বিতরণী অনুষ্ঠান হাইড পার্কে উদযাপিত হয়। এতে রাণী ভিক্টোরিয়া ১১১জন ক্রিমিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত সৈনিকদের মধ্যে ৬২জনকে প্রদান করেন।[৩] চার্লস ডেভিস লুকাস ভিক্টোরিয়া ক্রস পদকের প্রথম গ্রহীতা ছিলেন।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ