মিগ-২১

চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান

মিগ ২১ একটি যুদ্ধবিমান। মিকোয়ান ডিজাইন ব্যুরো মিগ ২১ বিমানের নকশা তৈরি করে। এর ন্যাটো কোডনেম ফিসবেড। মিগ ২১-এর জন্ম হয় সোভিয়েত ইউনিয়নে। এটি ইতিহাসে সর্বাধিক নির্মিত ফাইটার জেট। এটি মালালাইকা নামে অধিক পরিচিত ছিল।[৩]

মিগ-২১
রোমানীয় মিগ-২১ ল্যান্সাএ-সি ইন ফ্লাইট
ভূমিকাযুদ্ধ বিমান ও ইন্টারসেপ্টর এয়ারক্রাফট
উৎস দেশসোভিয়েত ইউনিয়ন
নকশা প্রণয়নকারী দলMikoyan-Gurevich
প্রথম উড্ডয়নJune 16, 1955 (Ye-4)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রবর্তন1959 (MiG-21F)
অবস্থাIn service
মুখ্য ব্যবহারকারীSoviet Air Forces (historical)
Indian Air Force
Croatian Air Force
Romanian Air Force
নির্মিত হচ্ছে1959–1985
নির্মিত সংখ্যা11,496[১]
(10,645 produced in the USSR, 840 in India, 194 in Czechoslovakia)
ইউনিট খরচMiG-21FL (Indian version): $2 million (1974)[২]
রূপভেদChengdu J-7

এর পূর্বসুরি মিগ ১৯, যা ছিল মূলত গ্রাউন্ড এট্যাক ফাইটার। ১৯৪৮-৪৯ সালে সোভিয়েতরা মিগ-১৭, মিগ-১৯ এবং সুখোই-৭ এর সমন্বয়ে একটা সুপারসনিক ফাইটার বিমান তৈরির ডিজাইন সম্পন্ন করে। মিগ-২১ এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরে সোভিয়েতরা বুঝতে পারে যে ফাইটার অনুপাতে ইঞ্জিনের ক্ষমতা কম তখন এই ঝামেলা সারিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি প্রটোটাইপ। এই প্রটোটাইপও ডানার ঝামেলার কারণে বিফল হয়। একই অবস্থায় পড়ে তাদের টেস্টিং প্রটোটাইপও। অবশেষে ১৬ জুন ১৯৫৫ সালে সর্বশেষ প্রটোটাইপ চূড়ান্তভাবে বানানোর অনুমতি পায়, এবং এই ফাইটার সার্ভিসে আসে ১৯৫৯ সালে। পরে সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান বাহিনী বহরে এই বিমান যুক্ত করা হয়। ১৯৫৯ সালের আগে এটি নিয়ে মার্কিন মুল্লুক কিছুই জানতো না, কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে তারা এটা সম্পর্কে জানতে পারে।

মিগ ২১ একটি সুপারসনিক ফাইটার। এটি আকাশ থেকে থেকে আকাশে, আকাশ থেকে মাটিতে সবদিকেই কার্যকরি। মিগ ২১-এর আছে শক্তিশালী ইঞ্জিন ও হালকা বডি। এছাড়া উন্নত ম্যানুয়েভার পাওয়ার এই ফাইটারকে অন্যসব ফাইটারগুলো থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। মিগ ২১-এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশ কম। এই বিমানের জন্য আলাদা শেড-এর দরকার হয় না। খোলা আকাশের নিচে এই বিমান ফেলে রাখা যায়।

১৯৫৯ সালে সার্ভিসে আসার ৫০ বছর পরেও মিগ ২১ এবং চীনা সংস্করণ জে-৭ / এফ-৭ এয়ারগার্ড বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রধান কারণ এর উন্নত সংস্করণ। এই ফাইটার-এর বডি বাদে মোটামুটি সব পার্টসই কম-বেশি উন্নত হয়েছে। আর এই আপগ্রেডেশন এই ফাইটারকে আধুনিক রাখতে সাহায্য করেছে।

এই মিগ ২১ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম ফাইটার বিমান, যা উপহার দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মিগ ২১-এর চীনা সংস্করণ জে-৭ / এফ-৭ এয়ারগার্ড ফাইটার হিসাবে ব্যবহার করে।

বিশদ বিবরণ

  • পাইলট: ১ বা ২ জন
  • দৈর্ঘ্য: ১৪.৫ মিটার
  • উচ্চতা: ৪.১২৫ মিটার
  • বোঝাই অবস্হায় ওজন: ৮,৮২৫ কেজি
  • শক্তির উৎস:
  • সর্বোচ্চ গতিসীমা: ঘণ্টায় ২,৩৫০ কিলোমিটার(ঘণ্টায় ১,৪৬৮ মাইল)
  • পাল্লা: ১,২১০ কিলোমিটার

অস্ত্রসমূহ

  • ১*৩০ মিলিমিটার জিএসএইচ-৩০-১ কামান (১৫০ রাউন্ড)
  • সর্বোচ্চ ৩৫০০ কেজি ওজনের অস্ত্র ৪ টি এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল

ব্যবহারকারী দেশসমুহ

গ্যালারী

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ