লিব্রভিল
লিব্রভিল গ্যাবনের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। লিব্রেভিলি এস্তুয়ার প্রদেশে ৬৫ বর্গকিলোমিটার (২৫ বর্গ মাইল) জুড়ে গিনি উপসাগরের নিকটে কোমো নদীর তীরে একটি বন্দর নগরী। ২০১৩ সালের আদম শুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ৭,০৩,৯০৪ জন।[২]
লিব্রভিল | |
---|---|
গ্যাবনে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ০°২৩′২৫″ উত্তর ৯°২৭′১৫″ পূর্ব / ০.৩৯০২৮° উত্তর ৯.৪৫৪১৭° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | Gabon |
প্রদেশ | এস্তুয়ার প্রদেশ |
রাজধানী জেলা | লিব্রভিল |
আয়তন | |
• স্থলভাগ | ৬৫.৪২ বর্গকিমি (২৫.২৬ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১৮৯ বর্গকিমি (৭৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৩) | |
• শহর | ৭,০৩,৯০৪ |
এইচডিআই (২০১৮) | ০.৭৩৮[১] উচ্চ |
ওয়েবসাইট | www |
ফরাসীরা ১৮৩৯ সালে এই জমি অধিগ্রহণের আগে এই অঞ্চলে এমপংওয়েবাসীদের বসবাস ছিল। ফরাসী নিরক্ষীয় আফ্রিকার উপনিবেশের প্রধান বন্দর হওয়ার আগে এটি আমেরিকান খ্রিস্টান মিশন ও একটি ক্রীতদাস পুনর্বাসনের স্থান ছিল। গাবোনিসের স্বাধীনতার সময় ১৯৬০ সালে শহরটি ৩২,০০০ জন জনসংখ্যার সাথে একটি বাণিজ্য কেন্দ্র এবং ছোটখাটো প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। ১৯৬০ সাল থেকে লিব্রেভিলি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন জাতীয় জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শহরটিতে রয়েছে।
পরিবহন
লিব্রভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গ্যাবনের বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং এটি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
জাতীয় ট্যাক্সিগুলি শহর জুড়ে চলাচল করে। প্রতিটি জেলার ট্যাক্সিগুলির জন্য নির্দিষ্ট রঙ রয়েছে এবং লিব্রভিলের ট্যাক্সিগুলি লাল রঙের হয়।
ন্যাশনাল সোসাইটি অফ ট্রান্সপোর্ট (এসোগ্রা) ২০১৪ সালে নতুন ট্যাক্সি চালু করে, যা একটি কাউন্টার ব্যবস্থার দ্বারা পরিচালিত হয়।[৩]
গ্যাবোনিসি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিব্রভিলের সমস্ত জেলায় একটি বাস পরিষেবা পরিচালনা করে।
শিক্ষা
ওমর বনগো বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
লিব্রেভিলিতে কয়েকটি উচ্চ আন্তর্জাতিক স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব লিব্রভিল - আমেরিকান পাঠ্যক্রম
- লাইসি ব্লাইজ পাস্কেল ডি লিব্রভিলি - ফরাসি পাঠ্যক্রম
- গ্যাবন রুবান ভার্টের আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় - আইবি পাঠ্যক্রম
ভাষা
বেশ কয়েকটি আফ্রিকান শহরগুলির মধ্যে একটি হল লিব্রভিল, যেখানে স্থানীয় কিছু বৈশিষ্ট্য সহ ফরাসি ভাষা জনগণের মাতৃভাষা হয়ে উঠছে।[৪]
অর্থনীতি
শহরটিতে একটি জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র ও কিছু করাতকল রয়েছে। শহরটি থেকে কাঁচামাল হিসাবে কাঠ, রাবার ও কোকো শহরের প্রধান বন্দর এবং ওভেন্দোর গভীর জলের বন্দরের মাধ্যমে রফতানি করা হয়।[৫]
গ্যাবন এয়ারলাইন্সের সদর দফতর লিব্রভিলে অবস্থিত।[৬] একত্রীভূত হওয়ার আগে, এয়ার গ্যাবন ও গ্যাবন এক্সপ্রেস উভয়ের সদর দফতরটি লিব্রভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল।[৭][৮]
ফরাসি সেনাবাহিনীর ৬ষ্ঠ সামুদ্রিক পদাতিক ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি শহরের উত্তর রয়েছে।