সাপ

হাত-পাবিহীন দীর্ঘ, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ

সাপ হাত-পা বিহীন দীর্ঘ শরীরের, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ। এদের চোখের পাতা এবং বহিকর্ণ না থাকায়, সাপ পা-বিহীন টিকটিকি থেকে আলাদা। বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, প্রাণী জগৎ (প্রাণী) জগতের, কর্ডাটা (কর্ডটা) পর্বের, ভার্টিব্রাটা (মেরুদণ্ডী) উপপর্বের বা শ্রেণীর, রেপটিলিয়া (সরোপ্সিডা) শ্রেণীর , Squamata বর্গের, Serpentes (সার্পেন্টেস) উপবর্গের সদস্যদের সাপ বলে অভিহিত করা হয়। Squamata (স্কোয়ামান্টা) বর্গের সকলের মতোই সাপ এক্টোথার্মিক [from the Greek ἐκτός (ektós) "outside" and θερμός (thermós) "hot") যার অর্থ হল একটি অংশ যাতে অভ্যন্তরীণ তাপ উতপন্নকারী জৈবিক উৎস রয়েছে।

সাপ [সৌম্য]
সময়গত পরিসীমা: ১৪.৫–০কোটি
কা
পা
ক্রি
প্যা
Cretaceous – বর্তমান
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:প্রাণী জগৎ
পর্ব:কর্ডাটা
উপপর্ব:Vertebrata
শ্রেণী:Reptilia
উপশ্রেণী:Diapsida
অধঃশ্রেণী:Lepidosauromorpha
মহাবর্গ:Lepidosauria
বর্গ:Squamata
উপবর্গ:Serpentes
Linnaeus, 1758
Infraorders and Families

এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে।[১][২] সুদূর উত্তর গোলার্ধের স্কান্ডিনেভিয়া থেকে দক্ষিণে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এদের বসবাসের বিস্তৃতি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশে প্রায় ষোলো হাজার ফিট (৪,৯০০ মি) ওপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও। আবার আশ্চর্যের ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (যদিও নিউজিল্যান্ড এর জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ্ এমন সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইট এর দেখা পাওয়া যায়)।

এদের আকার কখনও খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগর ও অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা।

বিষধর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন হয় এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে। কিছু সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা মৃত্যু ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকারে আসে, যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাপ একটি নিরীহ প্রাণী।

ব্যুৎপত্তি

ইংরেজি snake শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি sanca থেকে, যা এসেছে প্রোটো জার্মানিক *sank-an- (cf. জার্মান Schnake "ring snake", এবং সুইডিশ snok "grass snake" থেকে। এছাড়া প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান শাখা (s)nēg-o- "to crawl, creep" (বুকে হাঁটা); এখান থেকে এসেছে এর সংস্কৃত নাম nāgá বা সাপ[৩] সাপের অন্য একটি নাম serpent, একটি ফরাসি শব্দ, এটি এসেছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান *serp- to creep[৪] এবং এখান থেকেই এসেছে সাপের গ্রীক নাম érpein (ερπω) ও সংস্কৃত নাম সর্প।

বিবর্তন

সাপের জীবাশ্ম (fossil) পাওয়া খুব দুরূহ, কারণ সাপের কঙ্কাল ছোটো এবং ভঙ্গুর, যার ফলে অশ্মীভবন (fossilization) খুব একটা হয় না। যদিও দক্ষিণ আমেরিকাআফ্রিকায় পাওয়া ১৫ কোটি বছরের পুরোনো নমুনা থেকে সাপের অস্তিত্ত্ব বোঝা যায়, যেটার গঠন বর্তমানকালের গিরগিটির মতো।[৫] তুলনামূলক শারীরস্থানবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে এই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে যে গিরগিটি থেকেই সাপের উৎপত্তি।[৫][৬]

শ্রেণিবিন্যাস

লিলিয়ান শ্রেণিবিন্যাসে আধুনিক কালের সকল সাপ স্কোয়ামান্টা বর্গের সার্পেন্টেস উপশ্রেণীভুক্ত, যদিও স্কোয়ামান্টার ভেতর তাদের রাখার বিষয়টি বিতর্কিত।[১] সার্পেন্টেস বর্গের দুটি অধিবর্গ রয়েছে: Alethinophidia (অ্যালিথিনোফিডিয়া) ও Scolecophidia (স্কোলেকোফিডিয়া)। শারীস্থানিক বৈশিষ্ট্য ও মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-এর সদৃশ্যতার ওপর ভিত্তি করে এই পৃথকীকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে কলুব্রইডে (কলুব্রয়েড সাপ) ও অ্যাক্রোকরডিডস অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে, অ্যালিথিনোফিডিয়াকে মাঝে-মধ্যে হেনোফিডিয়া ও সেনোফিডিয়া-এই দুভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য অ্যালিথিনোফিডিয়ান পরিবার হেনোফিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত।[৭] যদিও এখন অস্তিত্ত্ব নেই, কিন্তু Madtsoiidae (ম্যাডসোইডে) নামক পরিবারের বৃহৎ, আদিম, এবং অনেকটা অজগরের মতো দেখতে সাপের অস্তিত্ত্ব প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে ছিলো বলে জানা যায়, যার অনেকগুলো গণের মধ্যে একটা হচ্ছে ওনাম্বি।

স্থান দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন সূত্রে Boidae (বোইডে) ও Pythonidae (পাইথনিডে)-কে একই পরিবারভুক্ত হিসেবে শ্রেণিবিন্যাসে উল্লেখ করেছে।

আধুনিক সাপ্
Scolecophidia

Leptotyphlopidae

 

Anomalepididae

Typhlopidae

Alethinophidia

Anilius

Core Alethinophidia
Uropeltidae

Cylindrophis

 

Anomochilus

Uropeltinae

Macrostomata
Pythonidae

Pythoninae

Xenopeltis

Loxocemus

Caenophidia

Colubroidea

Acrochordidae

Boidae

Erycinae

Boinae

Calabaria

Ungaliophiinae

Tropidophiinae

পরিবার

অধিবর্গ অ্যালিথিনোফাইডিয়া (১৫টি পরিবার)
পরিবার[১]নামকরণকারী[১]গণ[১]প্রজাতি[১]প্রচলিত নামভৌগোলিক সীমা[৮]
এক্রোকর্ডিডিবোনাপার্ট, ১৮৩১আঁচিল সাপপশ্চিমে ভারতশ্রীলঙ্কাসহ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে ফিলিপাইন, দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়ানমালয়েশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে তিমুর পর্যন্ত, পূর্বে নিউ গিনি হয়ে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূল থেকে নাসাউ দ্বীপ পর্যন্ত এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বিসমার্ক আর্কিপেলাগো ও গুয়াডালক্যানাল দ্বীপ-এ।
অ্যানিলিডিস্টেজনেগার, ১৯০৭মেকি কোরাল সাপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ আফ্রিকা
এনোমোকিলিডিওয়ালাচ কান্ড্যাল, ১৯৯৩ছোট পাইপ আকৃতির সাপ
পশ্চিম মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া সুমাত্রা দ্বীপে।
অ্যাট্রাক্টাসপিডিডিগুন্থার, ১৮৫৮১২৬৪Burrowing aspsআফ্রিকামধ্যপ্রাচ্য[৫][৯][১০]
বোইডিগ্রে, ১৮২৫৪৩বোয়াউত্তর, মধ্যদক্ষিণ, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ এবং এশিয়া মাইনর, উত্তর, মধ্যপূর্ব, মাদাগাস্কার, এবং রিইউনিয়ন দ্বীপ, আরব উপদ্বীপ, মধ্যদক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, ভারতশ্রীলঙ্কা, এবং মেলানেশিয়াসামোয়া হয়ে মালাক্কা ও নিউ গায়ানা।
বলিইরিডিহফস্ট্যাটার, ১৯৪৬চোয়ালকাটা সাপমারুতি.
কলুব্রিডিওপেল, ১৮১১৩০৪[২]১৯৩৮[২]প্রচলিত সাপঅ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল দেশেই দেখতে পাওয়া যায়।[১১]
হোমালোপসিডিবোনাপার্ট, ১৮৪৫২৮৫৩HomalopsidsSoutheastern Asia and northern Australia.
ল্যাম্প্রোপিডিফিটজিঞ্জার, ১৮৪৩৬০৩১৪Lamprophiids (includes former Atractaspididae as well as 6 other subfamilies formerly considered colubrids)Africa, southern Europe, and western-central Asia; two species into southeastern Asia.
সিলিন্ড্রোফিডিফিটজিঞ্জার, ১৮৪৩এশিয়ান পাইপ সাপশ্রীলঙ্কা, হয়ে পূর্বে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, এবং মালয় আর্কিপেলাগো ও এরও উত্তরে নিউ গায়ানার দক্ষিণপশ্চিম উপকূল পেরিয়ে অরু দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত। এছাড়া দক্ষিণ চীনের ফুজুয়ান, হংকং, হাইনান দ্বীপ ও লাওস-এও দেখা যায়।
এলাপিডিবোই, ১৮২৭৬১২৩৫এলাপিড
স্থলভাগে, ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের উঞ্চ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্থানে। ভারত মহাসাগরীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয়অঞ্চলের সাপগুলো।[১২]
লক্সোসিমিডিকোপে, ১৮৬১মেক্সিকান বারোয়িং সাপ
মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দক্ষিণে কোস্টারিকা পর্যন্ত।
পারিইডিরোমার, ১৯৫৬২০শামুক খেকো সাপদক্ষিনপূর্ব এশিয়া এবং সুন্দা শেলফের দ্বীপসমূহে (সুমাত্রা, বর্নিও, জাভা এবং এর আশেপাশের ছোট ছোট দ্বীপগুলোতে)
পাইথনিডিফিটজিঞ্জার, ১৮২৬২৬অজগরআফ্রিকার উপসাহারীয় অঞ্চলে, ভারতীয় উপসাহারীয়ান আফ্রিকা, পেনিনসুলার ভারত, মায়ানমার, দক্ষিণ চীন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকে দক্ষিণপূর্ব হয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়া।
ট্রফিডোপিডিBrongersma, 1951২২ক্ষুদ্রাকৃতির বোয়াদক্ষিণ মেক্সিকো থেকে মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ থেকে উত্তরপশ্চিমে দক্ষিণ আমেরিকাকলোম্বিয়া, (আমাজনিয়ান) ইকুয়েডর এবং পেরু পর্যন্ত। এছাড়াও উত্তরপশ্চিম এবং দক্ষিণপশ্চিম ব্রাজিলসহ ওয়েষ্ট ইন্ডিজে দেখতে পাওয়া যায়।
ইউরোপিলটিডিমুলার, 1832৪৭প্রতিরক্ষামূলক লেজাকৃতির সাপদক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কা
ভাইপারিডিওপেল, 1811৩২২২৪ভাইপারআমেরিকা, আফ্রিকা এবং ইউরোএশিয়া
জেনোডারমিডিকোপে, ১৯০০১৮ড্রাগন ও অদ্ভুত আঁশের সাপদক্ষিণ ও দক্ষিনপূর্ব এশিয়া এবং সুন্দা শেলফের দ্বীপসমূহে (সুমাত্রা, বর্নিও, জাভা এবং এর আশেপাশের ছোট ছোট দ্বীপগুলোতে)
জেনোপেলটিডিবোনাপার্ট, ১৮৪৫সানবিম সাপদক্ষিণপূর্ব এশিয়াআন্দামান এবং নিকোবর থেকে, পূর্ব হতে মায়ানমার দক্ষিণ চীন, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয় উপদ্বীপ এবং পূর্ব ইন্ডিজ থেকে সুলাওয়েজিসহ ফিলিপাইনে
জেনোপিডিডিWallach & Günther, 1998Spine-jawed snakesবোর্নিও এবং মালয়েশিয়া পেনিনসুলা
অধিবর্গ Scolecophidia (৩টি পরিবার)
পরিবার[১]নামকরণকারী[১]গণ[১]প্রজাতি[১]প্রচলিত নামভৌগোলিক সীমা[৮]
এনোমালিপিডিTaylor, 1939১৫প্রাচীন অন্ধ সাপFrom southern Central America to northwestern South America. Disjunct populations in northeastern and southeastern South America.
গারথোপিলিডিVidal, Wynn, Donnellan and Hedges 2010১৮ইন্দো-মালয়ের অন্ধসাপSouthern & southeastern Asia, including Sri Lanka, the Philippines, and New Guinea.
লেপ্টোটাইপলোপিডিStejneger, 1892৮৭Slender blind snakesAfrica, western Asia from Turkey to northwestern India, on Socotra Island, from the southwestern United States south through Mexico and Central America to South America, though not in the high Andes. In Pacific South America they occur as far south as southern coastal Peru, and on the Atlantic side as far as Uruguay and Argentina. In the Caribbean they are found on the Bahamas, Hispaniola and the Lesser Antilles.
টাইপলোপিডিMerrem, 1820২০৩সাধারণ অন্ধ সাপMost tropical and many subtropical regions around the world, particularly in Africa, Madagascar, Asia, islands in the Pacific, tropical America and in southeastern Europe.
জেনোটাইপলোপিডিVidal, Vences, Branch and Hedges 2010গোল নাকের অন্ধ সাপউত্তর মাদাগাস্কার

মানুষের সাথে সংশ্লিষ্টতা

কোনো দশংনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গসমূহ।[১৩] [১৪] [১৫] বিভিন্ন প্রকার সাপদংশনের অনেক পার্থক্য আছে।[১৩]

সর্পদংশন

যদিও বিষধর নয়, তবুও গ্রীন ট্রি অজগর (Morelia viridis) কামড় দেবার ক্ষমতা রাখে।


সাপ প্রকৃতপক্ষে মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোনো কারণে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। ব্যাতিক্রম ছাড়া কনস্ট্রিক্টর ও বিষহীন সাপগুলো মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়। বিষহীন সাপের কামড় মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কারণ তাদের দাঁত মূলত কোনো কিছ আঁকড়ে ধরা ও ধরে রাখার মতো। বর্ষার পানি মাটির গর্তে ঢুকলে বেঁচে থাকার জন্য সাপ বের হয়ে আসে এবং মানুষকে দংশন করতে পারে। বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে­ বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্খানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা, ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে আক্রান্ত জায়গা নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত বা পায়ে কামড় দিলে হাতের পেছনের দিকে কাঠ বা বাঁশের চটা বা শক্ত জাতীয় কিছু জিনিস রেখে শাড়ির পাড় বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্প্লিন্ট তৈরি করে বেঁধে দিতে হবে। আক্রান্ত জায়গা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখবেন বেশি টাইট করে বাঁধা যাবে না। বাঁধলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। বিষ শিরা দিয়ে নয়, লসিকাগ্রন্থি দিয়ে শরীরে ছড়ায়। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা-বৈদ্য বা কবিরাজ না দেখিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্খ হাসপাতালে নিয়ে যান। আক্রান্ত জায়গায় কাঁচা ডিম, চুন, গোবর কিছুই লাগাবেন না। এতে সেল্যুলাইটিস বা ইনফেকশন হয়ে রোগীর জীবনহানি ঘটতে পারে।

তথ্যসূত্র

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ