হংকং–চুহাই–মাকাও সেতু

হংকং–চুহাই–মাকাও সেতু (এইচজেডএমবি) হল ৫৫-কিলোমিটার (৩৪ মাইল) দীর্ঘ একটি সেতু–সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা, যা তিনটি ঝুলন্ত সেতু ও একটি সমুদ্রগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ ও ৪ টি কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এটি দীর্ঘতম সমুদ্র পারাপার ও সমুদ্রে স্থায়ীভাবে নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু। লিংতিংইয়াং প্রণালী ও চিউচৌইয়াং প্রণালী অতিক্রমকারী সেতুটি চুচিয়াং নদী বদ্বীপের তিন প্রধান শহর মাকাও, চুহাই ও হংকংয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

হংকং–চুহাই–মাকাও
স্থানাঙ্ক ২২°১৭′ উত্তর ১১৩°৪৭′ পূর্ব / ২২.২৮° উত্তর ১১৩.৭৮° পূর্ব / 22.28; 113.78
বহন করেচুচিয়াং নদী ব-দ্বীপ চক্রএক্সপ্রেসওয়ে
অতিক্রম করে
  • চুচিয়াং নদীর মোহনা
    • লিংতিংইয়াং প্রণালী
    • চিউচৌইয়াং প্রণালী
স্থানচুচিয়াং নদীর বদ্বীপ
ওয়েবসাইটhzmb.org (চীন)
hzmb.hk (হংকংয়)
www.dsat.gov.mo/hzmb/index.aspx (মাকাওয়)
বৈশিষ্ট্য
নকশাসেতু–সুড়ঙ্গ
মোট দৈর্ঘ্য৩৯ কিলোমিটার (২৪ মা)
লেনের সংখ্যা
ইতিহাস
চালু হবেঅক্টোবর ২০১৮ (পরীক্ষামূলক)
অবস্থান
মানচিত্র
হংকং–চুহাই–মাকাও সেতু
হংকং এবং মাকাউকে সংযুক্তকারী হংকং–চুহাই-মাকাউ সেতু মহাসড়ক এবং সমুদ্রগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের (বিন্দু দিয়ে চিহ্নিত) চিত্র
চীনা নাম
ঐতিহ্যবাহী চীনা 港珠澳大橋
সরলীকৃত চীনা 港珠澳大桥
ক্যান্টনীয় উপভাষা ইয়েলGóngjyūou Daaihkìuh
হান-ইউ ফিনিনGǎngzhū'ào Dàqiáo
পর্তুগিজ নাম
পর্তুগিজপোন্তি হংকং-জুহাই-মাকাউ

হংকং–চুহাই–মাকাও সেতুটি ১২০ বছরের কার্যকালের আয়ুর সঙ্গে নকশা করা হয়েছিল, এবং এটি নির্মাণে মোট ১২ হাজার ৭০০ কোটি চীনা ইউয়ান ব্যয় হয়েছিল। মূল সেতু নির্মাণের আনুমানিক ব্যয় ৫ হাজার ১১০ কোটি চীনা ইউয়ান (ইউএস$৭.৫৬ বিলিয়ন) ব্যাঙ্ক ঋণ দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল, এবং ঋণের অর্থ মূল ভূখণ্ডের চীন, হংকং ও মাকাও সরকারের মধ্যে ভাগ করা হয়েছিল।[১]

মূলত ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে যানচলাচলের জন্য নির্ধারিত ছিল,[২][৩] সেতুর কাঠামোটি ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ৬ই ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ হয়েছিল[৪] এবং পরবর্তীকালে সাংবাদিকগণ সেতুতে যাত্রা করেছিল।[১][৪][৫] হংকং–চুহাই–মাকাও সেতুটি চীনের নেতা শি চিনফিং কর্তৃক উদ্বোধনের এক দিন পরে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে অক্টোবর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

পরিকল্পনা

প্রেক্ষাপট

হোপওয়েল হোল্ডিংসের প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোর্তুন উ চীন, হংকংম্যাকাওকে সংযুক্তকারী একটি সেতু–সুড়ঙ্গের ধারণা ১৯৮০-এর দশকে প্রস্তাব করেছিলেন। কোর্তুন উ বলেছিলেন যে তিনি চেসিপেক বে সেতু–সুড়ঙ্গের থেকে ধারণাটি ১৯৮৩ সালে খুঁজে পেয়েছিলেন। কোর্তুন উ কর্তৃক ধারণাটি ১৯৮৮ সালে কুয়াংতুং ও বেইজিং কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তিনি বর্তমান নকশাটির তুলনায় আরও উত্তরে একটি সংযোগের পরিকল্পনা করেছিলেন, এটি হিউং কংয়ের থুয়েন মুনের নিকটবর্তী ব্ল্যাক পয়েন্টে থেকে শুরু করে নেইলিংতিং দ্বীপ ও কুইও দ্বীপ হয়ে চুচিয়াং নদীর মোহনা অতিক্রম করে। প্রস্তাবিত সেতুটি চীনের থাংচিয়া গ্রামে সমাপ্ত হয়ে যেত এবং মাকাওয়ে শেষ হওয়ার আগে একটি নতুন রাস্তা চুহাইয়ের মধ্য দিয়ে দক্ষিণে চলে যেত।[৬] ১৯৮৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিয়েনআনমেন চত্বরে গণহত্যার পর আলোচনায় স্থগিত গিয়েছিল, এই ঘটনাটি কোর্তুন উ ও অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারী উদ্বিগ্ন করেছিল এবং হোপওয়েল সংস্থার হংকংয়ের শেয়ারের দাম হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।[৭]

উ-এর প্রস্তাবিত রুটটি চুহাই সরকার লিংতিংইয়াং ব্রিজ নামে প্রচার করেছিল। মূল ভূখণ্ডের চুহাই ও কুইও দ্বীপের মধ্যে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে একটি সেতু নির্মাণ করেছিল, যা এই রুটের প্রথম পর্যায় হিসাবে অভিহিত ছিল, যদিও সম্পূর্ণ প্রকল্পটি তৎকালীন সময়ে চীন বা হংকং সরকারের দ্বারা অনুমোদিত ছিল না।[৮] চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯৭ সালের ৩০শে ডিসেম্বর এই প্রকল্পের জন্য সমর্থন প্রদর্শন করেছিল।[৯] নতুন হংকং সরকার অনিচ্ছুক ছিল, হংকং সরকারের পখ্য পক্ষ্য থেকে জানানো হয়েছিল যে তারা এখনও আন্তঃসীমান্ত যান চলাচলের অধ্যয়নের ফলাফলের অপেক্ষায় আছে, এবং বায়ু দূষণ ও সামুদ্রিক জীবন সম্পর্কে হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলি প্রকল্পটির পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল।[১০]

হংকংয়ের আইন পরিষদ ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে হংকং, চুহাই ও মাকাওকে সংযোগকারী একটি সেতু নির্মাণ সহ লজিস্টিক শিল্পের বিকাশের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছিল। মেজর ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্টস (সম্মেলন) ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত চীন/হংকং সম্মেলনের তৃতীয় বৈঠকে হংকংপার্ল নদী সম্পর্কিত পরিবহন সংযোগে যৌথ গবেষণায় সম্মত হয়। ২০০৩ সালের আগস্টে হংকং-জুহাই-ম্যাকও ব্রিজ অ্যাডভান্স ওয়ার্ক কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রস্তুতি

হংকং ও চুচিয়াং নদী বদ্বীপের পশ্চিম তীরের মধ্যে পরিবহন সংযোগ স্থাপনের জন্য জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন এবং হংকং সরকার একটি গবেষণা সম্পন্ন করেছিল। গবেষণায় বলা হয়েছিল যে হংকং, চুহাই ও মাকাওকে সংযুক্তকারী সেতু হংকং সহ বৃহত্তর চুচিয়াং নদী বদ্বীপ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃহৎ আর্থ-সামাজিক সুবিধা প্রদান করবে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ