অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি

অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি[ক] (ফরাসি: Organisation internationale de la Francophonie বা OIF; কখনও সংক্ষিপ্তরূপে ফরাসি: La Francophonie [la fʁɑ̃kɔfɔni]),[৩][টীকা ১] যা ইংরেজি ভাষার প্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ লা ফ্র্যাঙ্কোফোনি নামেও অবিহিত হয়,[৪] হল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা সেইসব দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে যেখানে ফরাসি একটি লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা প্রথাগত ভাষা, যেখানে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অনুপাত ফ্রঁকোফোন (ফরাসিভাষী) অথবা যেখানে ফরাসি সংস্কৃতির সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সম্বন্ধ রয়েছে।

অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি
অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল
দ্য লা ফ্রঁকোফোনি
Organisation internationale de la Francophonie
ওইএফের লোগো
মানচিত্রে প্রদর্শিত লা ফ্রঁকোফোনির সদস্য রাষ্ট্রসমূহ (নীল)
সংক্ষেপেওইএফ
গঠিত২০ মার্চ ১৯৭০; ৫৪ বছর আগে (1970-03-20)
(আসেসেতে হিসেবে)
ধরনআন্তর্জাতিক সংস্থা
সদরদপ্তরপ্যারিস, ফ্রান্স
সদস্যপদ
৫৪টি পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র[১]
দাপ্তরিক ভাষা
ফরাসি
মহাসচিব
লুইজ মুশিকিওয়াবো
আপেএফ সাধারণ সম্পাদক
জাক ক্রাবাল
আপেএফ সভাপতি
ফ্রঁসোয়া পারাদি
ওয়েবসাইটfrancophonie.org
ইচ্ছাকৃতভাবে ফ্রান্সের নীতিবাক্যের দিকে ইঙ্গিত করে।

সংস্থাটি ৮৮টি সদস্য রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে গঠিত; এর মধ্যে ৫৪টি রাষ্ট্র ও সরকার পূর্ণ সদস্য, ৭টি সহযোগী সদস্য আর ২৭টি পর্যবেক্ষক। এছাড়া ফ্রঁকোফোনি (francophonie) বা ফ্র‍্যাঙ্কোস্ফিয়ার (francosphere) পরিভাষা দ্বারা ফরাসিভাষীদের বৈশ্বিক সম্প্রদায়কেও বোঝানো হয়,[৫] যা অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত নেটওয়ার্ক নিয়ে গঠিত। এটি সেসব দেশের মধ্যে সমান সম্পর্ক প্রচার করে যেখানে ফরাসি জাতি বা ফ্রান্স সাংস্কৃতিক, সামরিক বা রাজনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।

আধুনিক এই সংগঠনটি ১৯৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এর নীতিবাক্য হল “সমতা, পরিপূরকতা, সংহতি” (égalité, complémentarité, solidarité),[২] যা ফ্রান্সের নীতিবাক্য স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্বের (liberté, égalité, fraternité) একটি ইচ্ছাকৃত পরোক্ষোল্লেখ। ফরাসিভাষী দেশগুলোর একটি ছোট দল হিসেবে যাত্রা শুরু করে লা ফ্রঁকোফোনি আজ একটি বৈশ্বিক সংস্থায় বিকশিত হয়েছে যার অসংখ্য শাখা সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ন্যায়বিচার ও শান্তির ক্ষেত্রে তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা করে।

ইতিহাস

যে চুক্তির ভিত্তিতে আজঁস দ্য কঅপেরাসিওঁ ক্যুলত্যুর‍্যাল এ তেকনিক গঠিত হয়েছিল সেটি সেনেগালের লেওপল্দ সেদার সঁগর, তিউনিসিয়ার হাবিব বুরগিবা, নাইজারের হামানি দিওরি এবং কম্বোডিয়ার প্রিন্স নরোদম সিহানুকের মতো আফ্রিকান রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রভাবে ২০শে মার্চ ১৯৭০ সালে ২১টি দেশ ও সরকারের প্রতিনিধিদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

ফরাসি ভাষার অংশীদারির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই নতুন আন্তঃসরকারি সংস্থার লক্ষ্যগুলো হল এর সদস্যদের সংস্কৃতির প্রচার এবং তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার তীব্রতা, সেইসাথে সংহতি ও সংলাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সংযোগ। আজঁস দ্য কঅপেরাসিওঁ ক্যুলত্যুর‍্যাল এ তেকনিক তৈরির পর থেকে ফ্রঁকোফোনি প্রকল্পটি অবিরামভাবে বিকশিত হয়েছে, এটি ১৯৯৮ সালে তার আন্তঃসরকারি মর্যাদা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ফ্রঁকোফোনির আন্তঃসরকারি সংস্থা (আজঁস অ্যাঁত্যারগুভের্ন্যমঁতাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি) হয়ে ওঠে। অবশেষে ২০০৫ সালে ফ্রঁকোফোনির একটি নতুন সনদ (লা শার্ত দ্য লা ফ্রঁকোফোনি) গ্রহণের ফলে সংস্থাটির নতুন নামকরণ করা হয় অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁত্যারনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি।[৬]

সদস্য

লা ফ্রঁকোফোনির সদস্য ও অংশগ্রহণকারীগণ। রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি গাঢ় নীল রঙে বেলজীয়কানাডীয় প্রাদেশিক সদস্যপদও দেখানো হয়েছে।

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

  • Glasze, Georg (2007): "The Discursive Constitution of a World-spanning Region and the Role of Empty Signifiers: the Case of Francophonia." In: Geopolitics (12)4: 656–679. (pdf: Wayback Machine)
  • Milhaud, Olivier (2006): "Post-Francophonie?". EspacesTemps.net. Post-Francophonie?

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ