এম৪ কারবাইন
এম৪ কারবাইন আনুষ্ঠানিক নাম:কারবাইন,ক্যালিবার ৫.৫৬মিমি,এম৪ এম১৬এ২ এর একটি ছোট এবং হালকা সংস্করণ। এটি একটি ৫.৫৬×৪৫মিমি ন্যাটো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সরাসরি যুদ্ধের উপযোগী গ্যাস-চালিত, ম্যাগাজিন-ফেড কারবাইন। এর ১৪.৫ ইঞ্চি (৩৭০ মিমি) ব্যারেল এবং টেলিস্কোপিক স্টক রয়েছে।
এম৪ কারবাইন | |
---|---|
এসিওজি স্কোপ এবং ফোরগ্রীপসহ একটি এম৪ কারবাইন | |
প্রকার | কারবাইন |
উদ্ভাবনকারী | যুক্তরাষ্ট্র |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | ১৯৯৪–বর্তমান |
ব্যবহারকারী | দেখুন ব্যবহারকারীরা |
যুদ্ধে ব্যবহার | ১৯৯৮ কসোভো যুদ্ধ |
উৎপাদন ইতিহাস | |
নকশাকাল | ১৯৮৪–৯৩ |
উৎপাদনকারী | দেখুন উৎপাদনকারীসমূহ |
উৎপাদন খরচ (প্রতিটি) | $৭০০ (অনুমিত ব্যয়)[১] |
উৎপাদনকাল | ১৯৯৩–বর্তমান |
সংস্করণসমূহ | এম৪এ১ |
তথ্যাবলি | |
ওজন | ৬.৩৬ পা (২.৮৮ কেজি) খালি অবস্থায় ৭.৫ পা (৩.৪ কেজি) ৩০ রাউন্ডসহ |
দৈর্ঘ্য | ৩৩ ইঞ্চি (৮৪০ মিমি) (স্টক বর্ধিত) ২৯.৭৫ ইঞ্চি (৭৫৬ মিমি) (স্টক ছাড়া) |
ব্যারেলের দৈর্ঘ্য | ১৪.৫ ইঞ্চি (৩৭০ মিমি) |
কার্টিজ | ৫.৫৬×৪৫ মিমি ন্যাটো |
ক্যালিবার | ৫.৫৬ মিমি (.২২৩ ভিতরে) |
ব্যারেলের দৈর্ঘ্য | ১ |
কার্যপদ্ধতি/অ্যাকশন | গ্যাস-চালিত, ঘুরন্ত বোল্ট (সরাসরি যুদ্ধের উপযোগী) |
গুলির হার | ৭০০–৯৫০ রাউন্ড/মিন সাইক্লিক[২] |
নিক্ষেপণ বেগ | ২,৯০০ ফুট/সে (৮৮০ মি/সে)[৩] |
কার্যকর পাল্লা | ৫০০ মি (৫৫০ গজ) |
ফিডিং | ৩০-রাউন্ড বক্স ম্যাগাজিন অথবা স্টাং ম্যাগাজিন ন্যাটোর অন্যান্য ম্যাগাজিনও ব্যবহার করা সম্ভব |
সাইট | আয়রন সাইট অথবা আরোও বিভিন্ন প্রকার। |
এম৪ কারবাইন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এর দ্বারা।বর্তমানে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এম১৬ রাইফেল গুলোর জায়গায় প্রাথমিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। [৪][৫]
এম৪ এম২০৩ গ্রেনেড লঞ্চার অবরহণ করতেও সক্ষম। এর ব্যারেলের দূরবর্তী ধাপটি তৈরী করা হয়েছে এম২০৩ ধারণ করার উপযুক্ত হার্ডওয়্যার দ্বারা।তাছাড়া এম৪ অধা-স্বয়ংক্রিয় এবং তিন রাউন্ড বার্স্ট মোড (এম১৬এ২ এবং এম১৬এ৪ এর মতো) সহ আরোও অনেক রকমে গুলি চালাতে সক্ষম যেখানে এম১৬এ১ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় গুলি চালাতে সক্ষম।ফলে এর ৫.৫৬×৪৫মিমি ন্যাটো কার্তুজ অনেক দ্রুত গতিতে নিক্ষিপ্ত হয় এবং আঘাতের সময় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করে।
ইতিহাস
পূর্বে বেশিরভাগ জটিল যুদ্ধ এবং সংঘাতের ক্ষেত্রে এম১৬ রাইফেল ব্যবহার করা হতো। তাছাড়া ভিয়েতনাম যুদ্ধ এ সিএআর-১৫ গোত্রভূক্ত রাইফেলগুলো ব্যবহৃত হয়েছিলো। এইসব রাইফেলের ডিজাইনে একটি সমস্যা ছিলো।এবং তা ছিলো এগুলোর ব্যারেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ইঞ্চি এর অর্ধেক ছিলো। যার ফলে এর গতি ছন্দে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিলো। ফলে এর পাল্লা আর নিশানা লাগানোর সঠিকতা কমে গিয়েছিলো। [৬]তাছাড়া বড় ধরনের দমনমূলক কাজে এইসব ছোট নিশানার রাইফেলগুলোর ব্যবহারে তাই তেমন ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই ১৯৮৮ সালে কোল্ট নামের এক কোম্পানি "কোল্ট কোমান্ডো" এবং "এম১৬এ২" রাইফেল দুইটির সেরা ফিচারগুলোর সমন্বয়ে "এক্সএম৪" নামের নতুন এক রাইফেল তৈরির কাজ শুরু করে। [৬]
"এক্সএম৪" কে ১৪.৫ ইঞ্চির ব্যারেল এবং ১:৭ অনুপাতের রিফ্লিং টুইস্ট দেয়া হয় যাতে এটি ৬২ রাউন্ডের ভারী এম৮৫৫ ব্যবহার করতে পারে। ব্যারেলের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়াতে এর গতি আর নিশানা উন্নত হয়,এর সামনের আগায় একটি নল লাগানো সম্ভব হয় যাকে বেয়নেট বলে। ফলে এটি এম২০৩ গ্রেনেড লঞ্চার ধারণ করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া এর মধ্যে "এম১৬এ২" রাইফেলের উন্নত রিয়ার সাইট এবং কার্তুজ গার্ড যুক্ত করা হয়।পরিশেষে ১৯৯৪ সালে অফিসিয়ালভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী "এক্সএম৪" রাইফেল গ্রহণ করে এবং এর নাম দেয়. "এম৪ কারবাইন"। এটি "এম১৬এ২" রাইফেলগুলোর স্থলাভিষিক্ত হয়। [৭]এছাড়া এটি বেশিরভাগ সাবমেশিন গানগুলোকে সরিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি দ্বারা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রাইফেলগুলোর একটিতে পরিণত হয়। [৭]যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন করপোরেশন পর্যন্ত সকল কর্ণেল,লেফটেনেন্ট অফিসারদের ব্যারেটা এম-৯ এর পরিবর্তে এম৪ কারবাইন ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়। [৮]
ব্যবহারকারী
- আফগানিস্তান[৯][১০][১১][১২]
- আলবেনিয়া[১৩]
- আলজেরিয়া[১৪]
- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা[১৪]
- আর্জেন্টিনা[১৪]
- অস্ট্রেলিয়া[১৫]
- আজারবাইজান[১৬]
- বাংলাদেশ[১৭][১৮]
- বাহরাইন[১৪]
- বেলিজ[১১][১৪]
- বলিভিয়া[১৯]
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা[১২]
- ব্রাজিল[২০][২১]
- কানাডা[২২]
- ক্রোয়েশিয়া[২৩]
- চেক প্রজাতন্ত্র[২৪]
- গণচীন[২৫]
- কলম্বিয়া[১২][১৪]
- ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র[২৬]
- ইকুয়েডর[১২]
- মিশর[২৭]
- এল সালভাদোর[২৮]
- ফ্রান্স[২৯]
- জর্জিয়া[৩০][১৪]
- ঘানা[৩১]
- গ্রীস[৩২]
- হাঙ্গেরি[৩৩][১৪]
- ভারত[১২][৩৪][৩৫]
- ইন্দোনেশিয়া[৩৬][৩৭]
- ইরাক[৩৮][৩৯][১৪]
- ইসরায়েল[৪০]
- ইতালি[৪১]
- জামাইকা[২৮]
- জাপান[১২][৪২]
- জর্ডান[২৮]
- কেনিয়া[৩১]
- কুয়েত[৪৩]
- লেবানন[৪৪]
- লাইবেরিয়া[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
- মালয়েশিয়া[৪৫][৪৬]
- নেপাল[৪৭][৪৮]
- নিউজিল্যান্ড[৪৯][৫০][৫১]
- উত্তর মেসিডোনিয়া[১২]
- ওমান[১৪]
- পাকিস্তান[৫২][৫৩]
- ফিলিস্তিন[৫৪]
- পানামা[১২]
- ফিলিপাইন[১২][৫৫][৫৬]
- পোল্যান্ড[৫৭]
- পর্তুগাল[৫৮]
- রোমানিয়া[১৪]
- রাশিয়া[৫৯]
- সেনেগাল[১৪][৬০]
- সার্বিয়া[৬১]
- সিঙ্গাপুর[৬২]
- স্লোভাকিয়া[১৪]
- দক্ষিণ কোরিয়া[৬৩]
- তাইওয়ান[৬৪]
- থাইল্যান্ড[১১]
- টোঙ্গা[১২]
- তিউনিসিয়া[৬৫]
- তুরস্ক[৪৮][৬৬]
- উগান্ডা[৩১]
- সংযুক্ত আরব আমিরাত[৬৭]
- যুক্তরাজ্য[৬৮][৬৯][৭০]
- যুক্তরাষ্ট্র[৭১]
- ইয়েমেন[১১]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- কোল্ট এম৪ এর আইনানুগ পাতা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে এবং কোল্ট এম৪ এর মিলিটারি পাতা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে
- ইউএস আর্মি ফ্যাক্ট ফাইল
- এআর১৫/এম১৬ ম্যাগাজিন ফ্যাক
- আর্মি কেনো এম৪ ছাড়া অন্য রাইফেল ব্যবহার করেনা
- অনলাইন আর্মি স্টাডি গাইড ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে