কম্পাস

নৌপথে অথবা জরীপ কার্যে ব্যবহৃত প্রধান উপকরণ

দিগদর্শী বা কম্পাস (ইংরেজি: Compass)নৌপথে অথবা জরীপ কার্যে ব্যবহৃত প্রধান উপকরণ বা যন্ত্রাংশ যা কাঠামো নির্দেশক হিসেবে চৌম্বকীয় দণ্ডের সাহায্যে দিক নির্দেশনা করে। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম - এ চারটি মৌলিক দিক কম্পাসে উল্লেখ থাকে। এছাড়াও অন্যান্য দিকগুলোও সংক্ষিপ্ত আকারে এতে চিহ্নিত থাকতে পারে। গোলাকৃতি কাঠামোর ব্যাসার্ধটি কম্পাস রোজ নামে পরিচিত। যখন এটি সমান্তরালে রাখা হয়, তখন এর কাটা সর্বদাই উত্তর দিককে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। কৌণিকভাবে উত্তরকে ০ (শূন্য), পূর্বকে ৯০, দক্ষিণকে ১৮০ এবং পশ্চিমকে ২৭০ ডিগ্রীরূপে প্রকাশ করা হয়। এর সাহায্যে ব্যক্তি ভূ-ত্বকে সঠিক দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যস্থল খুঁজে পায়। চৌম্বক অথবা ঘূর্ণায়মান নীতিমালার সাহায্যে এ যন্ত্রের সাহায্যে পরিচালিত হয় কিংবা সূর্য অথবা তারার মাধ্যমেও দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সাগর-মহাসাগরের জাহাজ চলাচলে এবং মরুভূমিতে কিংবা অন্যকোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্দেশনায় এর জুরি মেলা ভার।

সাধারণ শুষ্ক ও বহনযোগ্য চৌম্বকীয় কম্পাস
স্মার্টফোনকে ম্যাগনেটোমিটারের সাহায্যে কম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ইতিহাস

একটি ইলেকট্রনিক কম্পাস সেন্সর।

খ্রিষ্ট-পূর্ব ২০৬ সালের হ্যান রাজত্বকালে প্রাচীন চীনারা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্যে প্রথম কম্পাস আবিষ্কার করেছিল বলে ধারণা করা হয়।[১][২][৩] বড় ধরনের চামচের ন্যায় চুম্বকজাতীয় পদার্থের সাহায্যে বর্গাকৃতি ব্রোঞ্জ প্লেটে এটিকে রাখা হয়েছিল।[৪] পরবর্তীতে ১০৪০-১০৪৪ সাল পর্যন্ত সং রাজত্বকালে সামরিকবাহিনীর মাধ্যমে নৌপথ পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করতো।[৫][৬][৭] এছাড়াও, ১১১১-১১১৭ সাল পর্যন্ত নৌপথ নজরদারীতে এর প্রয়োগ লক্ষ করা যায়।[৮] কিন্তু পশ্চিম ইউরোপে সর্বপ্রথম কম্পাসের ব্যবহারের প্রামাণ্য দলিল চিত্রিত রয়েছে ১১৮৭ থেকে ১২০২ সালের মধ্যে।[৯][১০][১১] পারস্যে ১২৩২ সালে কম্পাস ব্যবহার করা হয়েছিল।[৫] ইউরোপে ১৩০০ সালে শুষ্ক কম্পাস আবিষ্কৃত হয়।[১২] বিংশ শতকের প্রথমার্থে এর পরিবর্তে তরল পদার্থে পরিপূর্ণ চৌম্বকীয় কম্পাসের প্রচলন ঘটে।[১৩] প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও কম্পাস ব্যবহৃত হয়েছিল।

প্রকারভেদ

বিশ্বব্যাপী দুই ধরনের কম্পাস ব্যবহার করা হয়। (ক) চৌম্বকীয় কম্পাস এবং (খ) জাইরো কম্পাস। মৌলিকভাবে এক হলেও কম্পাসের আকার-আকৃতি ভিন্নতর হতে পারে। তন্মধ্যে, চৌম্বকীয় কম্পাসে চুম্বক পদার্থ রয়েছে যা পৃথিবী পৃষ্ঠের চৌম্বক ক্ষেত্রগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং চৌম্বক দণ্ডের সাহায্যে দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।[১৪] এটি সর্বদাই উত্তর মেরু পথকে নির্দেশ করে।

তথ্যসূত্র

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Flight instrumentsটেমপ্লেট:Aircraft componentsটেমপ্লেট:Aviation listsটেমপ্লেট:Orienteering

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ