গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস
গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস (লিবনিজ)[ক] (জার্মান: Gottfried Wilhelm Leibniz , জুলাই ১, ১৬৪৬ – নভেম্বর ১৪, ১৭১৬) একজন জার্মান দার্শনিক ও গণিতবিদ যাকে ক্যালকুলাসের আবিষ্কর্তা হিসেবে সম্মান দেয়া হয়। তার ব্যবহৃত ক্যালকুলাসের অঙ্কপাতন পদ্ধতি বা নোটেশনগুলো বর্তমানে অনুসরণ করা হয়। আধুনিক কম্পিউটারের মূল ভিত্তি বাইনারি পদ্ধতি তার উদ্ভাবন। পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, সম্ভাবনা তত্ত্ব, তথ্য বিজ্ঞানে তার ব্যাপক অবদান আছে।
গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস (লিবনিজ ) | |
---|---|
জন্ম | ১ জুলাই (২১ জুন Old Style) ১৬৪৬ লাইপ্ৎসিশ, স্যাক্সনি, জার্মানি |
মৃত্যু | ১৪ নভেম্বর ১৭১৬ হানোফার, জার্মানি | (বয়স ৭০)
জাতীয়তা | জার্মান |
শিক্ষা | |
যুগ | সপ্তদশ/অষ্টদশ শতাব্দীর দর্শন |
অঞ্চল | পাশ্চাত্য দর্শন |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | বার্থলমাউস লেওনহার্ড শোয়েন্ডেনডরফার (Dr. jur. উপদেষ্টা)[২][৩] |
অন্যান্য একাডেমিক উপদেষ্টা | |
ডক্টরাল শিক্ষার্থী | ইয়াকপ বের্নুলি ক্রিস্টিয়ান ফন উল্ফ |
প্রধান আগ্রহ | অধিবিদ্যা, গণিত, |
উল্লেখযোগ্য অবদান | Infinitesimal calculus, ক্যালকুলাস, Monadology, Theodicy, Optimism |
স্বাক্ষর | |
জীবনী
প্রারম্ভিক জীবন
গটফ্রিড ভিলহেল্ম ফন লাইবনিৎস ১৬৪৬ সালের ১লা জুলাই জার্মানির লাইপৎসিগ শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফ্রিডরিখ লাইবনিৎস ও মাতা কাথারিনা স্মুক। লাইবনিৎসকে ৩রা জুলাই লাইপৎসিগের সেন্ট নিকোলাস চার্চে অভিসিঞ্চন করানো হয়। তার ধর্মপিতা ছিলেন লুথেরান ধর্মতাত্ত্বিক মার্টিন গেইয়ার।[৮] মাত্র ছয় বছর বয়সে তার পিতা মারা যান এবং এরপর থেকে তার মা তাকে লালন পালন করেন।[৯]
তার তিনপুরুষ স্যাক্সনি সরকারের অধীনে পদস্থ কর্মচারী ছিলেন এবং তার পিতা লাইপৎসিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দর্শন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তাই একটি শিক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশে লাইবনিৎসের বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। পিতৃবিয়োগের পর তিনি তার পিতার গ্রন্থাগারের উত্তরাধিকার হন। সাত বছর বয়সে তাকে এই গ্রন্থাগারে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। তার বিদ্যালয়ের পড়াশুনা কর্তৃপক্ষের অল্প কিছু মূলনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়ায় তিনি তার পিতার গ্রন্থাগারের বিভিন্ন দর্শন শাস্ত্রীয় ও ধর্মতাত্ত্বিক বইগুলো পড়তে শুরু করেন, যে বইগুলো পড়ার জন্য তাকে কলেজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।[১০] বেশিরভাগ বইগুলো লাতিন ভাষায় লিখিত হওয়ার কারণে তিনি আট বছর বয়সে তিনি লাতিন ভাষায় শিক্ষা শুরু করেন এবং বার বছর বয়সে লাতিন দক্ষতা অর্জন করেন। তেরো বছর বয়সে এক সকালে তার বিদ্যালয়ের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য তিনি ৩০০ হেক্সামিটারের একটি লাতিন ভাষায় কবিতা রচনা করেন।[১১] অতঃপর তিনি সম্পূর্ণ নিজ চেষ্টায় গ্রিক ভাষা আয়ত্ত করেন। এই সময়ে তার মানসিক উৎকর্ষ রনে দেকার্তের অনুরুপ ছিল। প্রাচীন সাহিত্যে ও শিল্প বিষয় অনুশীলনে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না, তাই তিনি ন্যায় শাস্শ্র অনুশীলনে মনোনিবেশ করেন। গীক ও ল্যাটিন পন্ডিতগন এবং দার্শনিকগন ও খৃষ্টান যাজতবৃন্দ ন্যায়শাস্শ্রকে যে পর্যায়ে এনেছিল তার সংস্কার করার প্রচেষ্টা হতেই লাইবনিৎসের characterstic Universalis, বা Universal Mathematis, এর বীজ অঙ্কুরিত হয় এবং এর থেকেই তিনি দর্শন শাস্ত্র ও মনস্তত্বের আস্বাদ পেয়েছিলেন।