গাম্বিয়া

পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র

গাম্বিয়া (রাষ্ট্রীয় নাম গাম্বিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র) পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এটি আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখন্ডের ক্ষুদ্রতম দেশ।[৪] এটি উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে সেনেগাল দ্বারা পরিবেষ্টিত। পশ্চিমে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরগাম্বিয়া নদী দেশটির মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। গাম্বিয়া সাগর উপকূল থেকে প্রায় মহাদেশের প্রায় ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তর পর্যন্ত চলে গেছে। তবে এর সর্বোচ্চ প্রস্থ মাত্র ৫০ কিলোমিটার। বন্দর শহর বাঞ্জুল দেশটির রাজধানী।[৫] সেরেকুন্দা দেশের বৃহত্তম শহর।[৬]

গাম্বিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র
গাম্বিয়ার জাতীয় পতাকা
পতাকা
গাম্বিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: Progress, Peace, Prosperity
(অনুবাদ: "প্রগতি, শান্তি, উন্নতি")
গাম্বিয়ার অবস্থান
রাজধানীবাঞ্জুল
বৃহত্তম নগরীসেরেকুন্ডা
সরকারি ভাষাইংরেজি
সরকারপ্রজাতন্ত্র
• রাষ্ট্রপতি
অ্যাডামা ব্যারো[১]
স্বাধীনতা
ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৯৬৫
• প্রজাতন্ত্র ঘোষিত
এপ্রিল ২৪ ১৯৭০
আয়তন
• মোট
১০,৬৮৯ কিমি (৪,১২৭ মা) (159th)
• পানি (%)
১১.৫
জনসংখ্যা
• ২০১৩ আদমশুমারি
১৮,৮২,৪৫০
• ঘনত্ব
১৭৬.১/কিমি (৪৫৬.১/বর্গমাইল) (৭৪তম)
জিডিপি (পিপিপি)২০১৭ আনুমানিক
• মোট
$৩৬০.৭০ কোটি[২]
• মাথাপিছু
$১,৬৯৭[২]
জিডিপি (মনোনীত)২০১৭ আনুমানিক
• মোট
$১০৪.১০ কোটি[২]
• মাথাপিছু
$৪৯০[২]
জিনি (১৯৯৮)৫০.২
উচ্চ
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৫)বৃদ্ধি ০.৪৫২[৩]
নিম্ন · ১৭৩তম
মুদ্রাডালাসি (জিএমডি)
সময় অঞ্চলগ্রিনিচ মান সময়
কলিং কোড২২০
ইন্টারনেট টিএলডি.জিএম

গাম্বিয়া একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র।[৭] চীনাবাদাম এখানকার প্রধান উৎপাদিত শস্য এবং প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। পর্যটন শিল্প থেকেও আয় হয়। আটলান্টিক সাগরের উপকূলের সমুদ্রসৈকতগুলিতে ঘুরতে এবং গাম্বিয়া নদীর বিচিত্র পাখপাখালি দেখতে পর্যটকেরা গাম্বিয়াতে আসেন।

গাম্বিয়া ১৯শ শতকে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৬৫ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর দেশটি একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র হিসেবে গণ্য হয়। ১৯৯৪ সালে একটি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হয় এবং সামরিক নেতা ইয়াহিয়া জাম্মেহ তার স্থান নেন। জাম্মেহ পরবর্তীকালে গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জামমেহকে পরাজিত করার পরে জানুয়ারী ২০১৭ সালে অ্যাডামা ব্যারো গাম্বিয়ার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হন।[৮]

ইতিহাস

ধারণা করা হয় যে নবম ও দশম শতাব্দীতে গাম্বিয়া অঞ্চলে আরব ব্যবসায়ীদের আগমণ ঘটে। দশম শতাব্দীতে, মুসলিম বণিক এবং আলেমগণ পশ্চিম আফ্রিকায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। তারা ট্রান্স-সাহারান বাণিজ্য রুট স্থাপন করেছিলেন, যার ফলে এ অঞ্চল থেকে সোনা ও হাতির দাঁতের রফতানি করা হতো। পাশাপাশি বিভিন্ন তৈরি পণ্য আমদানি করা হত। আর এ কারণেই গাম্বিয়াতে ইসলামের প্রসার ঘটে।

রাজনীতি

গাম্বিয়া ১৯ শতকের দিকে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়।[৯] ১৯৬৫ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯৪ সালে একটি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হয় এবং সামরিক নেতা ইয়াহিয়া জাম্মেহ ক্ষমতা নেন। জাম্মেহ পরবর্তীতে গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জামমেহকে পরাজিত করার পরে জানুয়ারী ২০১৭ সালে অ্যাডামা ব্যারো গাম্বিয়ার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হন।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

দেশটির রাজধানী শহর বাঞ্জুল। তবে দেশটির বৃহত্তম শহরের নাম সেরেকুন্ডা।

ভূগোল

গাম্বিয়ার মানচিত্র

গাম্বিয়া নদী থেকেই মূলত দেশটির নামকরণ। নদীটি দেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। আর এই নদীকে কেন্দ্র করেই মূলত গাম্বিয়া গড়ে উঠেছে। সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় মহাদেশের প্রায় ৩২০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত চলে গেছে। তবে এর সর্বোচ্চ প্রস্থ মাত্র ৫০ কিলোমিটার।

অর্থনীতি

গাম্বিয়া একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। চীনাবাদাম এখানকার প্রধান উৎপাদিত শস্য। সেইসাথে এটি প্রধান রপ্তানিযোগ্য পণ্যও। এছাড়াও পর্যটন শিল্প থেকেও বেশ কিছু আয় হয়। কারণ, আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় সাগরের উপকূলের সমুদ্র-সৈকতে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন। এছাড়াও সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই দেশে প্রচুর পাখি রয়েছে। তাই পর্যটকরা পাখি দেখতেও ভীড় করেন এই দেশে।[১০]

সংস্কৃতি


সাম্প্রতিক তথ্য

পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান একটি দেশ গাম্বিয়া। এই দেশটি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে জাতিসংঘে সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজে-তে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।[১১] এই অভিযোগে গাম্বিয়া বলেছে, রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংস সামরিক অভিযান চালানোর মাধ্যমে ১৯৪৮ সালে গৃহীত জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদ লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার। দেশটি বলছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ৫৭ জাতির সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স বা ওআইসি'র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ওআইসি'র ১৪তম সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস বা আইসিজে-এ তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ওআইসি'র এড-হক মিনিস্ট্রিয়াল কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গাম্বিয়া এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে।[১২]

আরও দেখুন

  1. গাম্বিয়া নদী

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

সরকারী
সাধারণ তথ্য
পর্যটন
🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ