চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (চীনা: 国家航天局; ফিনিন: Guójiā Hángtiān Jú কুওচিয়া হাংথিয়েন চু) পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। এটি চীনের জাতীয় মহাকাশ কর্মসূচির দায়িত্বে নিয়োজিত।[২] এছাড়া এটি চীনের মহাকাশ সংক্রান্ত কার্যকলাপের পরিকল্পনা ও উন্নয়নের সাথে জড়িত। আদিতে চীনের বায়বান্তরীক্ষ মন্ত্রণালয় এই সংস্থাটির পরিচালনায় ছিল। বর্তমানে এটি চীনের শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনের অবস্থিত জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্প সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় প্রশাসন নামক সংস্থার একটি উপসংস্থা। এর প্রধান কার্যালয়টি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের হাইতিয়েন পৌরজেলাতে অবস্থিত।

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন
国家航天局
চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনের লোগো
সংস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
সংক্ষেপCNSA (ইংরেজি)
গঠিত২২শে এপ্রিল ১৯৯৩
প্রকারSpace agency
সদর দপ্তরহাইতিয়েন পৌরজেলা, বেইজিং, চীন
প্রশাসকচাং খচিয়েন
প্রাথমিক মহাকাশ বন্দরচিউছুয়ান কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র
থাই-ইউয়ান কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র
শিছাং কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র
ওয়েনছাং কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র
মালিকচীনের শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
বার্ষিক বাজেটআনু. ১ হাজার ১ শত কোটি মার্কিন ডলার (২০১৮-এর প্রাক্কলন)[১]
ওয়েবসাইটwww.cnsa.gov.cn
চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন
সরলীকৃত চীনা 国家航天
ঐতিহ্যবাহী চীনা 國家航天
আক্ষরিক অর্থজাতীয় মহাকাশযান চালনা প্রশাসন

ইতিহাস

১৯৯৩ সালে চীনের বায়বান্তরীক্ষ শিল্প মন্ত্রণালয়টিকে চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন ও চীনের বায়বান্তরীক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান--- এই দুইটি অংশে ভেঙে দেওয়া হয়। প্রথমোক্তটির দায়িত্ব ছিল নীতিমালা প্রণয়ন এবং শেষোক্তটিকে নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে বাস্তবপক্ষে দুইটি সংস্থা একত্রে একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবেই কাজ করত এবং এদের কর্মচারীবৃন্দ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ একই সাথে দুই সংস্থাতেই কাজ করত।[২]

১৯৯৮ সালে একটি বিশাল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চীনের বায়বান্তরীক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে অনেকগুলি ক্ষুদ্রতর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। আপাতদৃষ্টিতে পশ্চিমা দেশগুলির প্রতিরক্ষা শিল্পখাতের আদলে এই ব্যবস্থাটির প্রবর্তন করা হয়েছিল। [২]

কার্যাবলি

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনের মূল দায়িত্বগুলি নিম্নরূপ: মহাকাশ খাতে বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তঃসরকারী বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিনিময়ের ক্ষেত্রে সরকারী চুক্তিগুলি সম্পাদন করা; চীনের জাতীয় মহাকাশ নীতিমালার প্রয়োগ; এবং চীনের জাতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পের ব্যবস্থাপনা।

এ পর্যন্ত চীন ব্রাজিল, চিলি, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইতালি, পাকিস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কিছু দেশের সাথে সরকারী মহাকাশ সহযোগিতামূলক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক প্রযুক্তি বিনিময় ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বলে দাবী করেছে।[২]

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনের প্রশাসকদেরকে কাজে নিয়োগ দান করে থাকে।

চীনা মহাকাশচারীগণ (টাইকোনট)

২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী নিম্নোক্ত ১১ জন চীনা ব্যক্তি মহাকাশে ভ্রমণ করেন।

  • চাং শিয়াওকুয়াং (张晓光)
  • ছেন তুং (陈冬)

প্রশাসক

সংস্থাটির সাম্প্রতিকতম প্রশাসক হলেন চাং খচিয়েন। উ ইয়ানহুয়া উপ-প্রশাসক এবং থিয়েন ইউলুং মহাসচিব।[৩]

  • এপ্রিল ১৯৯৩: লিউ চি-ইউয়ান
  • এপ্রিল ১৯৯৮: লুয়ান এনচিয়ে
  • ২০০৪: সুন লাই-ইয়েন
  • জুলাই ২০১০: ছেন ছিউফা [৪]
  • মার্চ ২০১৩: মা শিংরুই [৫]
  • ডিসেম্বর ২০১৩: শু তাচো [৩]
  • মে ২০১৭: থাং তেংচিয়ে
  • মে ২০১৮: চাং খচিয়েন

বিভাগ

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন চারটি বিভাগে বিভক্ত:

  • সাধারণ পরিকল্পনা বিভাগ
  • ব্যবস্থা প্রকৌশল বিভাগ
  • বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ
  • বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগ

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনের পরিচয়জ্ঞাপক শব্দ-প্রতীক বা "লোগো"-র নকশা চীনের বায়বান্তরীক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শব্দপ্রতীকের (লোগো) অনুরূপ।[৬] প্রতীকের মধ্যভাগে অবস্থিত তীরটি চীনা অক্ষর 人 (রেন)-এর মতো দেখতে, যার অর্থ মানুষ বা জনগণ। এটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে মানুষেরা সমস্ত মহাকাশ অভিযাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। তিনটি সমকেন্দ্রিক উপবৃত্ত দ্বারা তিন ধরনের মুক্তিবেগ-কে নির্দেশ করা হয়েছে (একটি টেকসই কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য, একটি পৃথিবী ব্যবস্থা থেকে মুক্তির জন্য এবং তৃতীয়টি সৌর জগৎ থেকে মুক্তির জন্য ন্যূনতম বেগ)। এই তিনটি হল মহাকাশ অভিযাত্রার একেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। দ্বিতীয় উপবৃত্তটিকে মোটা রেখায় আঁকা হয়েছে, যার অর্থ চীন মহাকাশ যাত্রার প্রথম ধাপটি অতিক্রম করেছে এবং দ্বিতীয় ধাপে বিরাজ করছে (সৌর জগতের ভেতরে)। যে 人 অক্ষরটি তিনটি বলয়ের উপরে অবস্থিত, সেটি মানবজাতির মুক্তি ও অভিযাত্রার সামর্থ্যের প্রতীক। জলপাই গাছের ডালগুলি দিয়ে চীনের মহাকাশ অভিযানের শান্তিকামী প্রকৃতিকে নির্দেশ করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ