দাভিদ ভিয়া
ডেভিড ভিয়া (ইংরেজি: David Villa; স্পেনীয় উচ্চারণ: [daˈβið ˈβiʎa]; জন্মঃ ৩ ডিসেম্বর ১৯৮১) স্পেনীয় পেশাদার ফুটবলার যিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) এর ক্লাব নিউইয়র্ক সিটি এফসি এবং স্পেন জাতীয় দল এর হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড ভিয়া সনছেজ[১] | ||
জন্ম | [২] | ৩ ডিসেম্বর ১৯৮১||
জন্ম স্থান | ল্যাংরো, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)[৩] | ||
মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | নিউ ইয়র্ক সিটি | ||
জার্সি নম্বর | ৭ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯১–১৯৯৯ | ল্যাংরো | ||
১৯৯৯-২০০০ | স্পোর্তিং গিহন | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০০–২০০১ | স্পোর্তিং গিহন বি | ৬৫ | (২৫) |
২০০১–২০০৩ | স্পোর্তিং গিহন | ৮০ | (৩৮) |
২০০৩–২০০৫ | রিয়াল জারাগোজা | ৭৩ | (৩২) |
২০০৫–২০১০ | ভালেনসিয়া | ১৬৬ | (১০৮) |
২০১০–২০১৩ | বার্সেলোনা | ৭৭ | (৩৩) |
২০১৩–২০১৪ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ৩৬ | (১৩) |
২০১৪– | নিউ ইয়র্ক সিটি | ১০৪ | (৭১) |
২০১৪–২০১৫ | → মেলবোর্ন সিটি (ধারে) | ৪ | (২) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০০–২০০৩ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ৭ | (০) |
২০০৫– | স্পেন | ৯৮ | (৫৯) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২৬ মে ২০১৮ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ভিয়া ২০০৫ সালের স্পেন জাতীয় দলে হয়ে তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি চারটি প্রধান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং ২০০৮ সালের ইউরো এবং ২০১০ সালে স্পেন জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অবিচ্ছেদ্য একজন সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ৩টি গোল করেন, ২০০৮ সালে ইউরো কাপে সর্ব্বোচ্চ গোলদাতার মর্যাদা এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপে সিলভার বুট অর্জন করেন। তিনি হলেন প্রথম কোন স্প্যানিশ খেলোয়াড় যিনি ৫০টি আন্তর্জাতিক গোল করেন এবং ৯৭ ম্যাচে ৫৯টি গোল নিয়ে ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক খেলা থেকে অবসরগ্রহণ করেন। তিনি স্পেনের সর্বকালের সর্ব্বোচ্চ গোলদাতা এবং বিশ্বকাপে ৯টি গোল নিয়েও তিনি দেশের হয়ে সর্ব্বোচ্চ গোলদাতার মর্যাদা অর্জনকারী একমাত্র খেলোয়াড়।[৪]
বাল্যকাল ও প্রাথমিক ক্যারিয়ার
ভিয়া উত্তর স্পেনের অঞ্চল তুইল্লা, ল্যাঙ্গিরিও, আস্তুরিয়াস এর একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জোসে ম্যানুয়েল ভিয়া, যিনি একজন খনিজীবী।[৫][৬] ডেভিড ভিয়ার বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় ফুটবলার হবে। মূলত বাবার অনুপ্রেরণাতেই ভিয়ার ফুটবল জগতে আসা। ২০০০ সালে স্পোর্টিং ডি গিজন ক্লাবের হয়ে স্প্যানিশ সেকেন্ড ডিভিশনে তিনি পেশাদার ফুটবল শুরু করেন। এরপর লা লীগায় জারগোজা ক্লাবের হয়ে অভিষেক ঘটে ভিয়ার। সেখানে ৭৩ খেলায় ৩১ গোল করেন।
ক্লাব ক্যারিয়ার
ভালেনসিয়া
২০০৫ সালে তিনি ভালেনসিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। সেবার ২০০৫-২০০৬ মৌসুমে ২৫টি গোল করে ভিয়া লা লীগার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ২০০৬-২০০৭ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে তার অভিষেক ঘটে।
বার্সেলোনা
২০১০ সালের ১৯ মে তিনি ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তিনি বার্সেলোনার সঙ্গে ৪ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন[৭][৮]। ক্লাবে তাকে তার প্রিয় ৭ নম্বর জার্সি দাওয়া হয়। ডেভিড ভিয়া বার্সেলোনার হয়ে নিয়মিত গোল করে ও গোল করিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ২৯ নভেম্বর ২০১০-এর এল ক্লাসিকোতে দলের ৫-০ জয়ের প্রথম ২টি গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন[৯]
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
২০০৬ সালের শেষের দিক থেকেই ভিয়া স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের একজন গুরুতবপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নেন । ২০০৮ সালের ইউরো কাপে তিনি গোল্ডেন বুট লাভ করেন[১০]। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ভিয়া অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন। তিনি এ আসরে ৫টি গোল করে সিলভার শু অর্জন করেন। ২০১১ সালের ২৫ মার্চ মাসে তিনি রাউলকে অতিক্রম করে স্পেন জাতীয় দলের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে ভিয়া বিবাহিত। ২০০৩ সালে তিনি বাল্যবান্ধবী প্যাট্রিসিয়া গঞ্জালেজকে বিয়ে করেন। তিনি তিন সন্তানের জনক।
কর্মজীবনের পরিসংখ্যান
ক্লাব
২০১৪ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী[১১][১২][১৩]
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ[nb ১] | মহাদেশ[nb ২] | সর্বমোট | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এপস | গোল | সহযোগী | এপস | গোল | সহযোগী | এপস | গোল | সহযোগী | এপস | গোল | সহযোগী | ||
স্পোর্টিং গিজন বি | ১৯৯৯–২০০০ | ৩০ | ১২ | ০ | — | — | ৩০ | ১২ | — | ||||
২০০০–০১ | ৩৫ | ১৩ | ০ | — | — | ৩৫ | ১৩ | — | |||||
মোট | ৬৫ | ২৫ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ৬৫ | ২৫ | — | |
স্পোর্টিং গিজন | ২০০০–০১ | ১ | ০ | ০ | — | — | ১ | ০ | — | ||||
২০০১–০২ | ৪০ | ১৮ | ০ | ৪ | ২ | ০ | — | ৪৪ | ২০ | — | |||
২০০২–০৩ | ৩৯ | ২০ | ০ | ১ | ০ | ০ | — | ৪০ | ২০ | — | |||
মোট | ৮০ | ৩৮ | ০ | ৫ | ২ | ০ | ০ | ০ | ০ | ৮৫ | ৪০ | — | |
জারাগোজা | ২০০৩–০৪ | ৩৮ | ১৭ | ৬ | ৮ | ৪ | 1 | — | ৪৬ | ২১ | ৭ | ||
২০০৪–০৫ | ৩৫ | ১৫ | ৫ | ১ | ২ | ০ | ১০ | ৩ | ২ | ৪৬ | ২০ | ৭ | |
মোট | ৭৩ | ৩২ | ১১ | ৯ | ৬ | ১ | ১০ | ৩ | ২ | ৯২ | ৪১ | ১৪ | |
ভালেনসিয়া | ২০০৫–০৬ | ৩৫ | ২৫ | ৮ | ৪ | ২ | ০ | ১ | ১ | ০ | ৪০ | ২৮ | ৮ |
২০০৬–০৭ | ৩৬ | ১৫ | ১২ | ২ | ০ | ২ | ১১ | ৫ | ৩ | ৪৯ | ২০ | ১৭ | |
২০০৭–০৮ | ৩০ | ১৮ | ৭ | ৬ | ১ | ২ | ৭ | ৩ | ২ | ৪৩ | ২২ | ১১ | |
২০০৮–০৯ | ৩৩ | ২৮ | ৬ | ২ | ১ | ০ | ৫ | ১ | ১ | ৪০ | ৩০ | ৭ | |
২০০৯–১০ | ৩২ | ২১ | ৫ | ২ | ০ | ১ | ১১ | ৭ | ৪ | ৪৫ | ২৮ | ১০ | |
মোট | ১৬৬ | ১০৭ | ৩৮ | ১৬ | ৪ | ৫ | ৩৫ | ১৭ | ১০ | ২১৭ | ১২৮ | ৫৩ | |
বার্সেলোনা | ২০১০–১১ | ৩৪ | ১৮ | ৭ | ৬ | ১ | ০ | ১২ | ৪ | ২ | ৫২ | ২৩ | ৯ |
২০১১–১২ | ১৫ | ৫ | ১ | ৩ | ১ | ০ | ৬ | ৩ | ১ | ২৪ | ৯ | ২ | |
২০১২–১৩ | ২৮ | ১০ | ৫ | ৫ | ৫ | ০ | ৭ | ১ | ১ | ৪০ | ১৬ | ৬ | |
মোট | ৭৭ | ৩৩ | ১৩ | ১৪ | ৭ | ০ | ২৫ | ৪ | ৪ | ১১৬ | ৪৮ | ১৭ | |
আতলেতিকো মাদ্রিদ | ২০১৩–১৪ | ৩৬ | ১৩ | ৪ | ৪ | ২ | ০ | ৭ | ০ | ০ | ৪৭ | ১৫ | ৪ |
মোট | ৩৬ | ১৩ | ৪ | ৪ | ২ | ০ | ৭ | ০ | ০ | ৪৭ | ১৫ | ৪ | |
নিউ ইয়র্ক সিটি এফসি | ২০১৫ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | - | - | - | ০ | ০ | ০ |
মোট | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | |
কর্মজীবনের সর্বমোট | ৪৯৭ | ২৪৮ | ৬৫ | ৪৮ | ২১ | ৬ | ৭৭ | ২৮ | ১৬ | ৬২২ | ২৯৭ | ৮৮ |
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান
২০১৩ সালের ২০ জুন এর হিসাব মোতাবেক
জাতীয় দল | ক্লাব | বছর | বন্ধুত্বপূর্ণ | প্রতিযোগিতা | মোট | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এপস | গোল | এপস | গোল | এপস | গোল | অনুপাত | |||
স্পেন | জারাগোজা | ২০০৪–০৫[১৪] | ০ | ০ | ১ | ০ | ১ | ০ | 0 |
ভালেনসিয়া | ২০০৫–০৬[১৪] | ৫ | ১ | ৭ | ৪ | ১২ | ৫ | 0.42 | |
২০০৬–০৭[১৫] | ৪ | ১ | ৭ | ৬ | ১১ | ৭ | 0.64 | ||
২০০৭–০৮[১৬] | ৪ | ২ | ৮ | ৪ | ১২ | ৬ | 0.5 | ||
২০০৮–০৯[১৭] | ৪ | ৫ | ১০ | ৮ | ১৪ | ১৩ | 0.93 | ||
২০০৯–১০[১৮] | ৬ | ৪ | ৯ | ৭ | ১৫ | ১১ | 0.73 | ||
বার্সেলোনা | ২০১০–১১[১৯] | ৬ | ১ | ৫ | ৪ | ১১ | ৫ | 0.42 | |
২০১১–১২[২০] | ৩ | ১ | ৩ | ৩ | ৬ | ৪ | 0.67 | ||
২০১২–১৩[২১] | ৪ | ২ | ৫ | ৩ | ৮ | ৫ | 0.63 | ||
কর্মজীবনের মোট[২২][২৩] | ৩৬ | ১৭ | ৫৫ | ৩৯ | ৯১ | ৫৬ | 0.62 |
মন্তব্য: প্রতিটি মৌসুম সেপ্টেম্বর - আগস্ট
অর্জন
ক্লাব
- রিয়াল জারাগোজা
- কোপা দেল রে (১): ২০০৩–০৪
- স্পেনীয় সুপার কাপ (১): ২০০৪
- ভালেনসিয়া
- কোপা দেল রে (১): ২০০৭–০৮
- বার্সেলোনা
- লা লিগা (২): ২০১০–১১, ২০১২–১৩
- কোপা দেল রে (১): ২০১১–১২
- স্পেনীয় সুপার কাপ (২): ২০১০, ২০১১
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ (১): ২০১০–১১
- উয়েফা সুপার কাপ (১): ২০১১
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (১): ২০১১
- এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
- লা লিগা (১): ২০১৩–১৪
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল (১): ২০১৩–১৪
দেশ
- স্পেন
- ফিফা বিশ্বকাপ (১): ২০১০
- উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (১): ২০০৮
নোট
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুলাই ২০০৯ তারিখে
- ২০১০ বিশ্বকাপ প্রোফাইল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে