ধান

দানাশস্যের উদ্ভিদ

ধান (বৈজ্ঞানিক নাম: Oryza sativa ওরিজা সাতিভা) পোয়াসি গোত্রের দানাশস্য জাতীয় উদ্ভিদ। ধান উষ্ণ জলবায়ুতে, বিশেষত পূর্ব-এশিয়ায় ব্যাপকভাবে চাষ হয়। ধান বা ধান্য শব্দের উৎপত্তি অজ্ঞাত। ধানবীজ বা চাল সুপ্রাচীনকাল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রধান খাদ্য। চীন ও জাপানের রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১০,০০০ বছর আগে ধান চাষ শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। ব্যাপক অভিযোজন ক্ষমতার দরুন ধান উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, এমনকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৬০০ মিটার উচ্চতায়ও (জুমলা, নেপাল) জন্মায়।

ধান
পরিপক্ক অবস্থায়
পুষ্পস্তবক
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য:উদ্ভিদ (প্লান্টি)
গোষ্ঠী:সংবাহী উদ্ভিদ ট্র্যাকিওফাইট
ক্লেড:সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস)
গোষ্ঠী:মনোকট্‌স (Monocots)
গোষ্ঠী:Commelinids
বর্গ:Poales
পরিবার:পোয়াসি (Poaceae)
গণ:Oryza
এল.
প্রজাতি:O. sativa
দ্বিপদী নাম
Oryza sativa
এল.

ধান গাছের গঠন

ধান গাছ সাধারণত ১-১.৮ মিটার (৩.৩-৫.৯ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর পাতা সরু, লম্বা আকৃতির হয়। পাতা ৫০-১০০ সে.মি. (২০-৩৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা ও ২-২.৫ সে.মি. (০.৭৯-০.৯৮ ইঞ্চি) প্রশস্ত হয়ে থাকে। সাধারণত বায়ুর সাহায্যে এর পরাগায়ন হয়ে থাকে। পুষ্পমঞ্জরীতে ফুলগুলো শাখান্বিত অবস্থায় উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সাজানো থাকে। এক একটি পুষ্পমঞ্জরী ৩০-৫০ সেমি (১০-২০ ইঞ্চি) লম্বা হয়ে থাকে। যে বীজকে খাবার হিসেবে খাওয়া হয়, একে শষ্য বলা হয়। বীজ সাধারণত ৫-১২ মি.মি. লম্বা ও ২-৩ মি.মি. পুরু হয়ে থাকে। [২]

জলবায়ু

ধান মূলত ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের ফসল।

বৃষ্টিপাত: ধান চাষের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। সাধারণভাবে ১৫০ থেকে ২৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।

উষ্ণতা: সাধারণভাবে ১৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাযুক্ত অঞ্চলে ধান চাষ করা হয়। গড় তাপমাত্রা প্রয়োজন ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

বাংলাদেশে ধানের মৌসুম

বাংলাদেশের একটি ধানক্ষেত

চাষের সময়ের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের ধানকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই প্রধান তিনটি ভাগ হল আউশ, আমন ও বোরো।[৩][৪]

আউশ ধান

দ্রুত (আশু) ফসল উৎপন্ন হওয়ার বিচারে এই ধানের নাম করা হয়েছে আউশ। এই ধান সাধারণত জন্মে বর্ষাকালের আষাঢ় মাসে। এই কারণে এর অপর নাম আষাঢ়ী ধান। তবে এই ধান বৎসরের যে কোন সময়েই চাষ করা যায়। বাংলাদেশে আউশ ধানের যে নামগুলো পাওয়া যায়, তা হল- আটলাই, কটকতারা, কুমারী, চারনক, দুলার, ধলাষাইট, ধারাইল, পটুয়াখালী, পশুর, পানবিড়া, পাষপাই, পুখী, মরিচবেটি, হরিণমুদা, হাসিকলমি, সূর্যমুখ, শনি, ষাইটা, ভইরা, শঙ্ক পটি, কালা বকরি, খাড়াজামড়ি, মুলকে আউশ, কালামানিক, ভাতুরি ইত্যাদি। আউশ ধান উচ্চফলনশীল হয়।

আমন ধান

সংস্কৃত হৈমন' বা হৈমন্তিক' শব্দের অপভ্রংশ। ধান বিশেষ। এর অপর নাম আগুনী ও হৈমন্তিক। আমন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়।[৫] আমন ধান তিন প্রকার। যথা—

১. রোপা আমন : চারা প্রস্তুত করে, সেই চারা রোপণ করে এই ধান উৎপন্ন হয় বলে এর এরূপ নাম। রোপা আমন জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে বীজ তলায় বীজ বোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপণ করা হয় এবং অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কাটা হয়।

২. বোনা আমন : এই আমন ছিটিয়ে বোনা হয়। বোনা আমন চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাঠে বীজ বপন করা হয় এবং অগ্রহায়ণ মাসে পাকা ধান কাটা হয়। একে আছড়া আমনও বলে।

৩. বাওয়া আমন : বিল অঞ্চলে এই আমন উৎপন্ন করা হয়। একে এই কারণে গভীর পানির বিলে আমনও বলা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। এবং প্রতিটি প্রজাতির ধানের স্থানীয় নাম রয়েছে। যেমন— ইন্দ্রশাইল, কাতিবাগদার, ক্ষীরাইজালি, গদালাকি, গাবুরা, চিংড়িখুশি, চিটবাজ, জেশোবালাম, ঝিঙ্গাশাইল, ঢেপি, তিলককাচারী, দাউদিন, দাদখানি, দুদলাকি, দুধসর, ধলা আমন, নাগরা, নাজিরশাইল, পাটনাই, বাঁশফুল, বাইশ বিশ, বাদশাভোগ, ভাসা মানিক, মালিয়াডাক্র, রাজাশাইল, রূপশাইল, লাটশাইল, হাতিশাইল ইত্যাদি।

বোরো ধান

বোরো ধান
বোরো ধান
অন্যান্য নামইরি ধান
উৎপত্তিস্থলভারত,বাংলাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান

বোরো ধান প্রধানত সেচ নির্ভর। কার্তিক মাস থেকে বীজ তলায় বীজ বপন শুরু হয়। ধান কাটা চলে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান প্রবর্তনের পর থেকে ধান আবাদ তথা সমুদয় কৃষি ব্যবস্থার মস্তবড় একটা পরিবর্তন এসেছে। ফলে একদিকে যেমন আউশ ধানের আবাদ আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে, তেমনি রবি মৌসুমে প্রচলিত ফসল যেমন ডাল, তৈল বীজ, শাক সবজি, ফলমূল, গোলআলু, মসলা ইত্যাদির আবাদ কমে এসেছে। তবে বসন্তকালে এই ধান জন্মে বলে একে বাসন্তিক ধান বলা হয়। এই জাতীয় ধানের নামগুলো হলো- আমন বোরো, খৈয়াবোরো, টুপা, পশুশাইল, বানাজিরা, বোরোবোরো ইত্যাদি।

চাষাবাদ

বাংলাদেশে আউশ, আমন এবং বোরো এই তিন মৌসুমে ধান চাষ করা হয়।

কত দিন চাষ করা যায়

ধান সাধারণত একবর্ষজীবী উদ্ভিদ, কোন কোন অঞ্চলে বিশেষ করে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ধান দ্বি-বর্ষজীবী উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়। ধানকে ৩০ বছর পর্যন্ত চাষ করা যায়। ধানের বৃদ্ধি ও উৎপাদন অনেকসময় মাটির উর্বরতার উপর নির্ভর করে থাকে।

চাষ যোগ্য অঞ্চল

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি কিংবা নিচু জমি, সেসব অঞ্চলে ধান ভালো হয়। পাহাড় কিংবা পাহাড়ের ঢালেও এর চাষ হয়ে থাকে। ধান চাষ অত্যন্ত শ্রমনির্ভর। অনেক শ্রমিক প্রয়োজন হয়, এ কারণে যেসব এলাকায় শ্রমিক খরচ কম সেসকল অঞ্চলে ধান চাষ করা সহজ। এর মাতৃ উদ্ভিদের বাসস্থান এশিয়া এবং আফ্রিকা।

ধানের বীজতলা তৈরী

ধান চাষ করতে হলে প্রথমে বীজতলা তৈরী করতে হয়, সেখানে ধান বীজ ছিটিয়ে রেখে কয়েকদিন সেচ দিতে হয় তারপর ছোট চারা তৈরী হলে সেগুলোকে তুলে প্রধান জমিতে রোপন করা হয়। তাছাড়া সরাসরি বীজ প্রধান জমিতে ছিটিয়েও চাষ করা হয়। ধান চাষে প্রচুর পানির দরকার হয়। গাছের গোড়ায় অনেকদিন পর্যন্ত পানি জমিয়ে রাখা হয়। সাধারণত নল তৈরী করে, আইল বানিয়ে পানি ধরে রাখা হয়। আগাছা, রোগবালাই ও পোকামাকড় এর কারণে ধানের উৎপাদন কমে যেতে পারে। ধাড়ি ইঁদুর ধানের অন্যতম প্রধান শত্রু। সাধারণত জমিতে পানি আটকে রেখে আগাছাসহ এর উৎপাত কমানো যেতে পারে।

ধান থেকে উৎপন্ন দ্রব্যকে চাল বলে। এই চাল থেকে তৈরী হয় ভাত যা বাঙালির প্রধান খাদ্য।

ফসল সংগ্রহ

অধিকাংশ জাতের ধান পেকে গেলে হলুদ কিংবা হালকা সোনালী বর্ণ ধারণ করে। এরূপ হলুদ বর্ণে পরিণত হলে বুঝতে হবে ধান কাটার সময় হয়েছে।

ধানের প্রক্রিয়াজাতকরণ

ধান কাটার পর সাধারণ একে রোদে শুকানো হয়। রোদে শুকিয়ে এর বীজের আর্দ্রতা কমিয়ে আনা হয় যেনো একে গোলাজাত করার পর কোন ছত্রাক জাতীয় রোগ আক্রমণ করতে না পারে কিংবা যেনো পঁচে না যায়। এরপর একে ঢেঁকির সাহায্যে কিংবা মাড়াইকরণ যন্ত্রের সাহায্যে এর খোসা ছাড়ানো হয়। এ পদ্ধতিকে ইংরেজিতে বলা হয় হাস্কিং। এরপর একে কুলোর সাহায্যে ঝেড়ে বাছা হয়। এই প্রক্রিয়ার পরই পাওয়া যায় চাল।[৬]

ধান মাড়াইয়ের দৃশ্য

রান্না

সাধারণত চালকে সেদ্ধ করলে তা ভাতে পরিণত হয়। জলের সাথে চালকে মিশিয়ে তা আগুনে সেদ্ধ করলে প্রয়োজনীয় পানি শোষন করে ফেঁপে যায় এবং আরোও আঠালো হয়ে উঠে। সেটাকেই ভাত বলা হয়। এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু দেশে রাইস কুকারের সাহায্যে ভাত রান্না করা হয়। ভেজে রান্না করা হলে সেটা তুলনামূলক ভাবে কম আঠালো হয়। একে ফ্রাইড রাইস বলে। ধান থেকে আমরা চাল পাই।

ধান থেকে তৈরীকৃত খাদ্য

ধান থেকে সাধারণত ভাত, মুড়ি, খই, চালের গুঁড়ো, চালভাজা, চিঁড়ে এবং বিভিন্ন রকম পিঠা তৈরি করা হয়। চালের ভাঙা টুকরোকে খুদ বলা হয়। আগে গরীব মানুষ অনেকসময় খাদ্য হিসেবে খুদ ব্যবহার করত। এখন অবশ্য গোখাদ্য হিসেবেই এর ব্যবহার বেশি হয়। আজকাল ধানের খোসা বা তুষ থেকে উন্নত মানের তেল তৈরি করা হয়৷

ধানের পুষ্টিগুণ

উপাদানপরিমাণ ( ১০০ গ্রামে )
পানি১২
কার্বোহাড্রেট৮০
শক্তি১৫২৮ কিলোজুল
আমিষ৭.১
স্নেহ০.৬৬
আঁশ১.৩
চিনি০.১২

[৭]

চিত্রশালা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আবিষ্কৃত উন্নতজাতের ধানসমূহ

এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত উন্নত প্রজাতির ধান বেশির ভাগই আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীরা[৮]

ধানের জাতবৈশিষ্ট্য
বি আর ১ (চান্দিনা)১৯৭০ সালে ধানের প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর সময়কাল ১২০/১২৫ দিন। শস্যের আকৃতি মোটা ও ছোট। সাধারনত আউশ ও বোরো মৌসুমে হয়ে থাকে।প্রতি হেক্টরে ৪টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে।
বি আর ২ (মালা)১৯৭১ সালে প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এটি আউশ ও বোরো মৌসুমে হয়ে থাকে। এর সময়কাল ১২৫-১৬০ দিন। ৪ টন (প্রতি হেক্টরে) ফলন দিয়ে থাকে।
বি আর ৩ (বিপ্লব)১৯৭৩ সালে প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমেই হয়ে থাকে। সময়কাল ১৩০ থেকে ১৭০ দিন। প্রতি হেক্টরে ৪ থেকে ৬.৫ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে। এটি একটি উচ্চ ফলনশীল ধান ।
বি আর ৪ (ব্রিশাইল)১৯৭৫ সালে প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর সময়কাল ১৪৫ দিন, প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে। এটা সাধারনত আমন মৌসুমের ধান। এটি একটি আলোক সংবেদনশীল ধানের জাত।
বি আর৫ (দুলাভোগ)১৯৭৬ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৫ টন পর্যন্ত (প্রতি হেক্টরে) এর গড় ফলন। সময়কাল ১৫০ দিন। আমন মৌসুমের ধান। স্থানীয় বাদশাভোগ ধান থেকে বিশুদ্ধ সারি বাছাইকরণ পদ্ধতিতে এই ধানের উদ্ভব। এই ধানের সুগন্ধ আছে বিধায় পোলাও রান্নার জন্য উপযোগী। আলোক সংবেদনশীল জাত। নাবীচাষের জন্য উপযুক্ত।
বি আর৬১৯৭৭ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৪.৫-৫.৫ টন গড় উৎপাদন (প্রতি হেক্টরে)। সময়কাল ১১০ থেকে ১৪০ দিন পর্যন্ত। আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান
বি আর ৭ (ব্রি বালাম)১৯৭৭ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৪.৫-৫.৫ টন গড় উৎপাদন (প্রতি হেক্টরে)। সময়কাল ১২৫ থেকে ১৫৫ দিন পর্যন্ত। আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান
বি আর ৮ (আশা)আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৭৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১২৫ থেকে ১৬০ দিন এর সময়কাল। ৫ থেকে ৬ টন পর্যন্ত প্রতি হেক্টরে ফলন দিয়ে থাকে।
বি আর ৯ (সুফলা)আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৭৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১২৫ থেকে ১৫৫ দিন এর সময়কাল। ৫ থেকে ৬ টন পর্যন্ত প্রতি হেক্টরে ফলন দিয়ে থাকে।
বি আর ১০ (প্রগতী)১৯৮০ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আমন মৌসুমের ধান। ১৫০ দিন এর সময়কাল। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫.৫ টন ফলন দিয়ে থাকে। আন্ন্তর্জাতিক ফলন প্রতিযোগীতায় এই ধান শীর্ষস্থান অধিকার করে আছে। আলোকসংবেদনশীল জাত, হাটুপানিতেও রোপণ করা যায়।
বি আর ১১ (মুক্তা)বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় জাত। ১৯৮০ সালে স্বীকৃতি পায়। আমন মৌসুমের ধান। ১৪৫ দিন এর সময়কাল। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫.৫ টন ফলন দিয়ে থাকে।
বি আর ১২ (ময়না)১৯৮৩ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান। ১৩০ থেকে ১৭০ দিন পর্যন্ত এর সময়কাল। ৪.৫ থেকে ৫.৫ টন (প্রতি হেক্টরে) এর ফলন হয়ে থাকে।
বি আর ১৪ (গাজী)আউশ ও বোরো মৌসুমে চাষের জন্য ১৯৮৩ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড এর অনুমোদন লাভ করে থাকে। ১৫৫ থেকে ১৬০ দিন পর্যন্ত এর সময়কাল। ৫.৫ থেকে ৬.৫ টন পর্যন্ত (প্রতি হেক্টরে ) এর ফলন।
বি আর ১৫ (মোহিনী)আউশ ও বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৮৩ সালে চাষের জন্য অনুমোদন লাভ করে। ৫ থেকে ৫.৫ টন প্রতে হেক্টরে এর ফলন হয়ে থাকে। ১২৫ থেকে ১৬৫ দিন পর্যন্ত এর ব্যাপ্তিকাল।
বি আর ১৬ (শাহী বালাম)ইরি থেকে এ ধানের প্রবর্তন। এটি বোরো মৌসুমের ধান। এর জীবনকাল ১৫৫ থেকে ১৬০ দিন। ১৯৮৩ সালে চাষের জন্য অনুমোদন লাভ করে। ৫.৫ থেকে ৬.৫ টন পর্যন্ত (প্রতি হেক্টরে) এর ফলন হয়ে থাকে।
বি আর ১৭ (হাসি)প্রধানত হাওর এলাকার ধান। জীবনকাল ১৫৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ টন। বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৮৫ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ১৮ (শাহজালাল)প্রধানত হাওর এলাকার ধান। জীবনকাল ১৭০ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ টন। বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৮৫ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ১৯ (মঙ্গল)প্রধানত হাওর এলাকার ধান।জীবনকাল ১৭০ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ টন। বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৮৫ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ২০ (নিজামী)আউস মৌসুমের ধান। মাঝারি মোটা। জীবনকাল ১১৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৩.৫ টন। ১৯৮৬ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ২১ (নিয়ামত)আউস মৌসুমের ধান। মাঝারি মোটা। জীবনকাল ১১০ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৩ টন। ১৯৮৬ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ২২ (কিরণ)আমন মৌসুমের ধান। খাটো মোটা, সাদা। জীবনকাল ১৫০ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৫ টন। ১৯৮৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ২৩ (দিশারী)আমন মৌসুমের ধান। লম্বা চিকন, সাদা। জীবনকাল ১৫০ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৫.৫ টন। ১৯৮৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
বি আর ২৪ (রহমত)১৯৯২ সালে বীজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন পায়। বৃষ্টিবহুল অঞ্চলের জন্যে উপযোগী। চাল লম্বা চিকন ও সাদা। ৩.৫ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে। জাতটির জীবনকাল ১০৫ দিন। আউশ জাতের ধান।
বি আর ২৫ (নয়া পাজাম)এ ধানের কাণ্ড খুব মজবুত। বন্যায় বা বাতাসে হেলে পড়েনা। ১৯৯২ সালে এ জাতের উদ্ভব ঘটে। আমন মৌসুমের ধান। ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫ টন। জীবনকাল ১৩৫ দিন।
বি আর ২৬ (শ্রাবণী)রোপা আমন মৌসুমের জন্য অনুমোদিত একটি জাত। ১৯৯২ সালে এ জাত স্বীকৃতি পায়। রোপা আউশের প্রথম জাত এটি। কাণ্ড শক্ত তাই হেলে পড়েনা। হেক্টর প্রতি ৪ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে। জীবনকাল ১১৫ দিন।
ব্রি ধান ২৭আউশ মোসুমের ধান। ১৯৯২ সালে এ জাতের স্বীকৃতি হয়। ১১৫ দিন জীবনকাল। লম্বা ধান গাছের জাত এটী। বরিশালপটুয়াখালী অঞ্চলের জোয়ার-ভাটা এলাকায় চাষের উপযোগী। হেক্টর প্রতি ৪ টন ফলন দিয়ে থাকে।
ব্রি ধান ২৮বোরো মৌসুমে চাষোপযোগী। ১৯৯৪ সালে স্বীকৃতি পায়। এটি একটি আগাম জাতের ধান। বন্যা প্রবন এলাকার জন্য উপযোগী। ১৪০ দিন ব্যাপ্তিকাল। ৫.৫-৬ টন এর হেক্টরপ্রতি ফলন।
ব্রি ধান ২৯বোরো মৌসুমের ধান। এটি একটি উচ্চফলনশীল ধান। ১৯৯৪ সালে স্বীকৃতি পায়। ১৬০ দিন এর ব্যাপ্তিকাল। জীবনকাল ১৬০ দিন। [৯]
ব্রি ধান ৩০১৯৯৪ সালে এ জাতটির উদ্ভাবন হয়। আমন মৌসুমের ধান, এর আলোকসংবেদনশীলতা রয়েছে। এর ব্যাপ্তিকাল ১৪৫ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৫ টন
ব্রি ধান ৩১আমন মৌসুমের ধান। সংকরায়নের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালে এ জাতের উদ্ভাবন হয়। ১৪১ দিন ব্যাপ্তিকাল। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৫ টন।
ব্রি ধান ৩২আমন মৌসুমের ধান। ১৯৯৪ সালে এ জাতের উদ্ভাবন হয়। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৫ টন। জীবনকাল ১৩০ দিন।
ব্রি ধান ৩৩আমন মৌসুমের ধান। ১৯৯৭ সালে এ জাতের উদ্ভাবন হয়। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৪.৫ টন। জীবনকাল ১১৮ দিন। মঙ্গা এলাকায় এ ধান বেশ জনপ্রিয়।
ব্রি ধান ৩৪আমন মৌসুমের সুগন্ধ পোলাও জাতের ধান। এ ধান দেখতে কালিজিরার মতোই ছোট। যশোর অঞ্চলের খাসকানি নামক স্থান থেকে বাছাইকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে এ ধানের উদ্ভব ঘটে। জীবনকাল ১৩৫ দিন। ফলন হেক্টরপ্রতি ৩.৫ টন।
ব্রি ধান৩৫বোরো মৌসুমের ধান। ১৯৯৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৫ টন। ১৫৫ দিন এর ব্যাপ্তিকাল।
ব্রি ধান ৩৬১৯৯৮ সালে ইরি থেকে এ জাতের প্রবর্তন। চারা অবস্থায় ঠান্ডা সহনশীল। ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন পর্যন্ত এর ব্যাপ্তিকাল। ৫ থেকে ৫.৫ টন পর্যন্ত হেক্টরপ্রতি ফলন দিয়ে থাকে। যে সমস্ত এলাকায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর নিচে নেমে যায়। সে সকল এলাকায় উৎপাদন ভালো হয়।
ব্রি ধান৩৭আমন জাতের সুগন্ধি জাত। ১৯৯৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। জীবনকাল ১৪০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৩.৫ টন প্রায়।
ব্রি ধান৩৮আমন মৌসুমের ধান। ১৯৯৮ সালে এ জাতের উদ্ভাবন হয়। জীবনকাল ১৪০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৩.৫ টন প্রায়।
ব্রি ধান৩৯১৯৯৯ সালে এ জাতের উদ্ভাবন হয়। আমন মৌসুমের ধান। ১২২ দিন এর ব্যাপ্তিকাল। হেক্টরপ্রতি ফলন ৪.৫ টন প্রায়। এটি স্বল্প জীবনকালের জাত।
ব্রি ধান৪০আমন মৌসুমে উপকূলের লবণাক্ত এলাকায় চাষের উপযোগী। ১৪৫দিন এর ব্যাপ্তিকাল। হেক্টরপ্রতি ফলন ৪.৫ টন প্রায়।
ব্রি ধান ৪১আমন মৌসুমে উপকূলের লবণাক্ত এলাকায় চাষের উপযোগী। নিচু জমিতে চাষোপযোগী। ১৪৮ দিন ব্যাপ্তিকাল। হেক্টরপ্রতি ৪ থেকে ৪.৫ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে।
ব্রি ধান ৪২আউশ মৌসুমের ধান। সাধারণত খরা প্রবন এলাকায় চাষ করা হয়। ২০০৪ সালে চাষের অনুমোদন লাভ করে। ১০০ দিন এর ব্যাপ্তিকাল। ৩.৫ টন পর্যন্ত (হেক্টরপ্রতি) ফলন দিয়ে থাকে।
ব্রি ধান ৪৩খরা সহিষ্ণু ধান। ২০০৪ সালে স্বীকৃতিলাভ করে। ১০০ দিন এর ব্যাপ্তিকাল। ৩.৫ টন পর্যন্ত (হেক্টরপ্রতি) ফলন দিয়ে থাকে। আউশ মৌসুমের ধান।
ব্রি ধান ৪৪আমন জাতের ধান। অলবণাক্ত জোয়ার-ভাটা এলাকায় এ জাতের চাষ করা হয়। ২০০৫ সালে এ জাতের উদ্ভাবন। ১৪৫দিন এর ব্যাপ্তিকাল। হেক্টরপ্রতি ফলন ৬.৫ টন প্রায়।
ব্রি ধান৪৫বোরো মৌসুমের ধান। ২০০৫ সালে এ জাতের উদ্ভাবন। ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন এর জীবনকাল। ৬ থেকে ৬.৫ টন হেক্টরপ্রতি ফলন দিয়ে থাকে।
ব্রি ধান৪৬আমন মৌসুমে চাষের উপযোগী। বন্যাপ্রবন জাত। জীবনকাল ১৫০ দিন, হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৫ টন।
ব্রি ধান৪৭বোরো মৌসুমে চাষ করা হয়। লবণাক্ত এলাকায় চাষ করা হয়ে থাকে। ২০০৬ সালে চাষের অনুমতি লাভ করে। জীবনকাল ১৫২ দিন। ৬ টন হেক্টরপ্রতি ফলন দিয়ে থাকে।
ব্রি ধান৪৮আউশ মৌসুমে চাষ করা হয়। ২০০৮ সালে চাষের জন্য স্বীকৃতি লাভ করে। জীবনকাল ১১০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ৫ টন।
ব্রি ধান ৪৯আমন মৌসুমে চাষ করা হয়। খরা সহিষ্ণু জাত। ২০১১ সালে বীজ বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে। পশ্চাৎ সংকরায়ন করে বংশানুক্রম সিলেকশানের মাধ্যমে এ জাতের উদ্ভব। ১০৫ থেকে ১১০ দিন এর ব্যাপ্তিকাল। সাড়ে চার থেকে পাঁচ টন পর্যন্ত ফলন (হেক্টরপ্রতি) দিয়ে থাকে।
ব্রি ধান ৫0 (বাংলামতি)বোরো মৌসুমের ধান। লম্বা চিকন, সাদা এবং সুগন্ধী। জীবনকাল ১৫৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ টন। ২০০৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫১আমন মৌসুমের ধান। মাঝারি চিকন, সাদা। জীবনকাল ১৪২-১৫৪ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫ টন। ২০১০ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫২আমন মৌসুমের ধান। খাটো মোটা। জীবনকাল ১৪৫-১৫৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫-৫ টন। ২০১০ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫৩আমন মৌসুমের ধান। মাঝারি চিকন। জীবনকাল ১২৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫ টন। ২০১০ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫৪আমন মৌসুমের ধান। মাঝারি চিকন। জীবনকাল ১৩৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫ টন। ২০১০ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫৫বোরো ও আউস মৌসুমের ধান। লম্বা চিকন। জীবনকাল ১৪৫ (বোরো) ও ১০৫ (আউস) দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৭ (বোরো) ও ৫ (আউস) টন। ২০১১ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫৬রোপা আমন মৌসুমের ধান। লম্বা মোটা। জীবনকাল ১১০ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৫ টন। ২০১১ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫৭রোপা আমন মৌসুমের ধান। লম্বা চিকন। জীবনকাল ১০৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪.৫ টন। ২০১২ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি ধান ৫৮বোরো মৌসুমের ধান। মাঝারি চিকন, সাদা। জীবনকাল ১৫৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৭.৫ টন। ২০১২ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি হাইব্রিড ধান ১বোরো মৌসুমের ধান। মাঝারি চিকন, সাদা। জীবনকাল ১৫৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৮.৫ টন। ২০০১ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি হাইব্রিড ধান ২বোরো মৌসুমের ধান। মাঝারি মোটা। জীবনকাল ১৪৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৮ টন। ২০০৮ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি হাইব্রিড ধান ৩বোরো মৌসুমের ধান। মাঝারি মোটা। জীবনকাল ১৪৫ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৯ টন। ২০০৯ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ব্রি হাইব্রিড ধান ৪আমন মৌসুমের ধান। মাঝারি চিকন, সাদা। জীবনকাল ১১৮ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.৫ টন। ২০১০ সালে জাত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

তথ্যসূত্র

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ