পিটার জে. র্যাটক্লিফ
স্যার পিটার জন র্যাটক্লিফ (জন্ম ১৪মে ১৯৫৪) হলেন চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীদের অন্যতম। এছাড়াও তিনি রয়েল সোসাইটির একজন ফেলো।[১]) পেশাগত জীবনে তিনি একজন ব্রিটিশ চিকিৎসক, কোষ ও আণবিক বায়োলজিস্ট। তিনি হাইপোক্সিয়া কোষীয় বিক্রিয়া ও অক্সিজেনের প্রাপ্যতার সাপেক্ষে কোষসমূহ কীভাবে খাপ খাইয়ে নেয় তা আবিষ্কারের জন্য বেশ পরিচিত, যেটি তাকে ২০১৯ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের একজন হিসেবে স্থান পেতে সুযোগ করে দেয়। এছাড়াও তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জন র্যাডক্লিফ হসপিটালের একজন ডাক্তার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড ক্লিনিক্যাল মেডিসিন বিভাগ এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি ফ্রান্সিস ক্রিক ইন্সটিটিউট এর ক্লিনিক্যাল রিসার্চ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২][৩]
পিটার জে. র্যাটক্লিফ এফআরএস FMedSci | |
---|---|
জন্ম | মুরক্যাম্ব, ল্যাঙ্কাশায়ার |
মাতৃশিক্ষায়তন | গনভিল্ অ্যান্ড কায়াস কলেজ, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য |
পুরস্কার | রয়েল সোসাইটির ফেলো (সভ্য) বেসিক মেডিক্যাল এ লাসকার অ্যাওয়ার্ড |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ফ্রান্সিস ক্রিক ইন্সটিটিউট ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড |
ওয়েবসাইট | https://www.ndm.ox.ac.uk/principal-investigators/researcher/peter-ratcliffe |
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
র্যাটক্লিফ ১৯৫৪ সালে ল্যাঙ্কশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ল্যাঙ্কশায়ার রয়েল গ্রামার স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে গনভিল অ্যান্ড কায়াস কলেজ, ক্যামব্রিজ থেকে ওপেন স্কলারশিপ পান এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনের সেন্ট বার্থোলোমিও হসপিটাল থেকে লেখাপড়া সম্পন্ন করেন।[৪]১৯৭৮ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেনাল মেডিসিন ও রেনাল অক্সিজেনেশন এর ওপর প্রশিক্ষণ নেন।
গবেষণা
১৯৮৯ সালে তিনি তার কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করে ওয়েলকাম ট্রাস্ট থেকে সিনিয়র ফেলোশিপ পেয়ে নতুন ল্যাবে কোষীয় অক্সিজেন সেনসিং পরিবহন নিয়ে কাজ করেন।[৪]রেটক্লিফ ১৯৯৯ সালে প্রমাণ করেছিলেন যে VHL এবং HIF-1α এর মধ্যে একটি সম্পর্ক ছিল এবং VHL, HIF-1α - পোস্ট-ট্রান্স-লন্যাশনাল এবং অক্সিজেন সংবেদনশীল অবক্ষয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। অবশেষে, উইলিয়াম কায়েলিন জুনিয়র এবং র্যাটক্লিফ গোষ্ঠীগুলি একই সাথে দেখিয়েছিল যে VHL দ্বারা HIF -1α এর এই নিয়ন্ত্রণটি HIF -1α এর হাইড্রোক্লিকেশন উপর নির্ভর করে, একটি সমবায়ু পরিবর্তনের জন্য যা নিজেই অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীল।[৫]
পুরস্কার ও সম্মাননা
র্যাটক্লিফ তার কাজ হাইপোক্সিয়ার জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
- দ্য মিলনে-মুরকে ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড (1991)
- দ্য গ্রাহাম বুল প্রাইজ (1998)
- দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ব্লাড পিউরিপিক্যাশন অ্যাওয়ার্ড (2002)
- একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্স এর ফেলোশিপ নির্বাচিত (2002)
- রয়েল সোসাইটির ফেলোশিপ নির্বাচিত (2002)
- EMBO এর ফেলোশিপ নির্বাচিত (2006)
- আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স এর অবৈতনিক মেম্বারশিপ লাভ (2007)
- দ্য লুইস জিনটেট প্রাইজ (2009)[৬][৭]
- কানাডা গায়ার্ডনার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড (2010)[৪]
- কার্ডিওভাস্কুলার গবেষণার জন্য ২৪তমবার্ষিক রবার্ট জে. ও ক্লায়ার পাসারো ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড লাভ (2011)
- দ্য রয়েল কলেজ অব পিজিসিয়ান কর্তৃক বেলি পদক লাভ (2011)
- দ্য পিজিওলজওক্যাল সোসাইটি কর্তৃক বার্ষিক রিভিউ পুরস্কার (2013)
- গ্র্যান্ড প্রিক্স সায়েন্টিফিক অ্যাওয়ার্ড (2012)
- জ্যাকব হার্জ প্রেইস পুরস্কার লাভ (2013)
- বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সে উইলি অ্যাওয়ার্ড (2014)
- বেসিক মেডিক্যাল রিসার্চের জন্য লাসকার পুরস্কার(2016)
- রয়েল সোসাইটি কর্তৃক বুচানান পদক লাভ (2017) [৮]
- মাসরি পুরস্কার (2018)
- নোবেল পুরস্কার (2019)