পেটার হান্ড‌কে

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (২০১৯) অস্ট্রীয় লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক

পেটার হান্ড‌কে (জার্মান: Peter Handke; জন্ম ৬ ডিসেম্বর ১৯৪২) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে জন্মগ্রহণ করা একজন জার্মানভাষী অস্ট্রীয় সাহিত্যিক, যিনি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একই সঙ্গে একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, কবি, প্রবন্ধকার ও অনুবাদক। এছাড়াও তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও কাজ করেছেন। নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় পেটার হান্ড‌কে সম্বন্ধে সুয়েডীয় অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়, "ভাষার অভিনবত্ব সহযোগে মানবিক অভিজ্ঞতার পরমান্ত ও সুনির্দিষ্টতা উন্মোচনের ক্ষেত্রে পেটার হান্ড‌কে প্রভাবশালী ভূমিকা রেখেছেন।”[১][ক]

পেটার হান্ড‌কে
জন্ম (1942-12-06) ৬ ডিসেম্বর ১৯৪২ (বয়স ৮১)
গ্রিফেন, অস্ট্রিয়া
পেশালেখালেখি, চলচ্চিত্র নির্মাণ
জাতীয়তা অস্ট্রিয়া অস্ট্রীয়
নাগরিকত্বঅস্ট্রীয় নাগরিক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগ্রাৎস‌ বিশ্ববিদ্যালয়
সময়কালবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ
ধরনকথাসাহিত্য, নাটক, কবিতা, সমালোচনা, অনুবাদ
বিষয়মানুষের অস্তিত্ব চেতনা
সাহিত্য আন্দোলনউত্তর-আধুনিকতা
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিThe Goalie's Anxiety at the Penalty Kick, Slow Homecoming
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০১৯
সঙ্গীলিবগার্ট শোয়ার্জ (১৯৬৬-১৯৯৪), সোফি সেমিন (১৯৯৫- )
সন্তানকন্যাসন্তান ২ জন

স্বাক্ষর

সমসাময়িক কালের গুরুত্বপূর্ণ জার্মানভাষী লেখকদের মধ্যে অস্ট্রিয়ার পেটার হান্ড‌কে অন্যতম। বিগত প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ তিনি ফ্রান্সে বসবাস করছেন।

১৯৬৫ সালে দ্য হর্নেট্‌স নামক উপন্যাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ। এ সরো বিয়ণ্ড ড্রিম, মোরেভিয়ান নাইট, দ্য গোলিস অ্যাংজাইটি অ্যাট দি পেনাল্টি কিক এবং রেপিটিশান ইত্যাদি তার সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত ক্যাস্পার একটি যুগশ্রেষ্ঠ নাটক হিসাবে খ্যাত। এই নিরীক্ষামূলক নাটকে হান্ড‌কে মানুষের মুখনিঃসৃত ভাষাকে "নির্যাতনের মাধ্যম" হিসাবে চিত্রায়িত করেছেন।[২][৩]

২০১৯ পর্যন্ত পেটার হান্ড‌কের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮০টিরও বেশি। তার গদ্যশৈলী কেবল অনবদ্যই নয়, তা একেবারেই মৌলিক ও তুলনারহিত। তার রচনায় ফুটে উঠেছে মানুষের অন্তর্প্রদেশ কী ভাবে অসংখ্য অন্তর্লীন ঝঞ্ঝায় উদ্বেলিত ও বিক্ষুব্ধ হয়ে থাকে। এই হ্রদয়সংবেদিতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিল্পসম্মতি যা তার রচনাকে করেছে অনবদ্য। তার বিশ্ববীক্ষা ১৯৭০-এর দশক থেকে মানুষকে প্রভাবান্বিত করে চলেছে; মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছে। বিস্তৃত অভিজ্ঞতার সঙ্গে হৃদয়ের অতল উপলব্ধি তার বয়ানকে করেছে অনন্যসাধারণ। তার লেখায় ফ্রান্‌ৎস কাফকা, উইলিয়াম ফকনার, রোলাঁ বার্থ ও ফ্রেইডরিখ হোল্ডার্লিন এর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তার ভাষা ও লিখনশৈলী সম্পূর্ণ মৌলিক ও অনন্যসাধারণ।[৪]

প্রারম্ভিক জীবন

পেটার হান্ড‌কে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার ক্ষুদ্র বাণিজ্যনগরী গ্রিফেন-এ নানার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। হান্ড‌কে ও তার মা ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত স্লোভেনীয় অধ্যুষিত বার্লিনের পানকৌতে বসবাস করতেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি জানতে পারেন যাকে এতো দিন পিতা বলে জেনেছেন তিনি আদৌ তার জন্মদাতা নন। ১৯৪৭-এ বোন মনিকা জন্মগ্রহণ করে। ১৯৪৯-এ তার ভাই হানস গ্রেগর জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৫৪ সালে তরুণ হান্ড‌কে ক্যারিনথিয়া অঙ্গরাজ্যের তানজেনবার্গ ক্যাসেল-এ অবস্থিত ‘ক্যাথলিক মারিয়াম বয়েজ বোর্ডিং স্কুলে’ ভর্তি হন।[৫]

কৈশোরেই তার পরিব্যাপ্ত পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে ওঠে। সারা পৃথিবীর বড় বড় লেখকদের বই পড়ে শেষ করেন যৌবনের প্রথম পর্বেই। ১৫ বছর বয়সে জর্জ বার্নানোসের ‘আন্ডার দ্য সান অব সাটান’ পড়ে তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। মারিয়াম বয়েজ বোর্ডিং স্কুলে পড়ার সময় স্কুলের পত্রিকাতে, ১৯৫৮ সালে, তার প্রথম রচনা "ফ্যাকেল" (মশাল) প্রকাশিত হয়।

১৯৫৯ সালে তিনি ক্লাজেনপুর্টে চলে যান; সেখানে গিয়ে তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হন। ১৯৬১ সালে তিনি হাইস্কুল ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

১৯৬১ সালে হান্ড‌কে ইউনিভার্সিটি অব গ্রাৎস্‌-এ ভর্তি হন আইন শাস্ত্র অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে নিয়ে। ১৯৬৪ সালে হান্ড‌কে তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য হর্ণেটস্‌’ লেখায় হাত দেন। এ বছর জুলাই-আগস্টে এক পুরোনো স্কুল বন্ধুর সঙ্গে তিনি কার্ক (Krk) দ্বীপে অবস্থান করেন এবং এ সময় উপন্যাসটির বড় অংশ লিখে ফেলতে সমর্থ হন। বছর ঘোরার আগেই তিনি উপন্যাসটি লেখা শেষ করেন। কিন্তু ১৯৬৫’র জানুয়ারিতে তিনি নতুন করে পাণ্ডুলিপি রচনা করেন এবং Luchterhand Verlag নামক প্রকাশনা সংস্থাকে দেন। তারা অসম্মত হলে তিনি পাণ্ডুলিপিটি Suhrkamp Verlag কে প্রদান করেন। প্রকাশনার জন্য ‘দ্য হর্ণেটস্‌’ গৃহীত হলে অল্প দিন পরেই তৃতীয় বার্ষিক পরীক্ষার কিছু আগে হান্ড‌কে আইন পড়া বাদ দিয়ে পুরোপুরি লেখালিখির জগতে নিজেকে সমর্পণ করেন। ফলে তার আর আইন ডিগ্রী অর্জন করা হয় নি।[৬]

তার প্রথম উপন্যাস "ডাই হর্নিজেন" (ইং: ‘দ্য হর্ণেটস্’) প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে। এ বছরই তিনি অভিনেত্রী লিবগার্ট শোয়ার্জ-এর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন ১৯৯৪-এ পর্যন্ত টিকে ছিল। বিবাহবিচ্ছেদের পর ১৯৯৫-এ তিনি সোফি সেমিন-এর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। হান্ড‌কে দুই কন্যা সন্তানের জনক যাদের নাম আমেনা হান্ড‌কে এবং লিওকাদি হান্ড‌কে।[৭]

১৯৬৯-এ তিনি এক বছরের জন্য বার্লিন গমন করেন। এ বছরই কন্যা আমেনার জন্ম হয়।

১৯৭০-এ বার্লিন থেকে প্যারিসে চলে যান। এরপর থেকে অদ্যাবধি ফ্রান্সেই বসবাস করছেন।

সাাহিত্যিক জীবন

Eine winterliche Reise zu den Flüssen Donau, Save, Morawa und Drina oder Gerechtigkeit für Serbien গ্রন্থের ১ম সংস্করণের প্রচ্ছদ ১৯৯৬।


আমার ছেলেটা বছরব্যাপী ভ্রমণের জন্য অনেক প্রস্তুতি নিয়েই বেরিয়েছিল; কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা সামলে নেয়ার জন্য যা কিছু দরকার সে সব ও সঙ্গে নিয়েছিল। তবে ওর আসল বোচ্‌কার মধ্যে ছিল গ্রীক ভাষায় লেখা পিথাগোরাসের প্রাচীন একটা জীবনী। তাতে যন্ত্রপাতি এবং পরিমাপ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে তেমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। বরং কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে স্মৃতিতে গেঁথে ফেলার লাগসই কৌশলের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ছিল। পিথাগোরাস বলেছিলেন, তার শিষ্যরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই গতকালের যা কিছু শেখা সব একটু মনে-মনে ঝালিয়ে নেবে; তারপর তার আগের দিনের যা কিছু। এই যে গতকালের-আগের-দিনের কাহিনী কোন সাহায্য ছাড়া কেবল স্মৃতির উপর নির্ভর করে স্মরণ করা — পিথাগোরাসের জীবনী লেখক লামব্লিকস-এর মতে এটাই ‘পিথাগোরিয়ান ডকট্রিনের’ নির্যাস।

— পেটার হান্ড‌কে: “আমার ছেলের গল্প”

হান্ড‌কে ছাত্রজীবনেই নিজেকে একজন লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তরুণ লেখকদের সংঘ গ্রেজার গ্রুপ-এ যোগ দেন।[৮] গ্রুপটি সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করতো। এটির সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এলফ্রিডে ইয়েলিনেক ও বারবারা ফ্রিস্কমুথজার্মান প্রকাশনা সংস্থ সুহারকাম্প তার লেখা উপন্যাস "ডাই হর্নিজেন" (‘দ্য হর্ণেটস্’) প্রকাশের জন্য গ্রহণ করার পর তিনি ১৯৬৫ সালে লেখাপড়া ছেড়ে দেন। শুরু থেকেই তার রচনাশৈলীতে নিরীক্ষাধর্মীতা পরিলক্ষিত হয়। বাস্তবের চিত্রায়নের পরিবর্তে মানুষের অন্তর্গত বিশ্বের অচেনা পৃথিবী তার লেখায় প্রতিফলিত হয়ে তাকে বিশিষ্ট করেছে। তার রচনার বিষয়বস্তু এবং লিখনশৈলী তাকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলে।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান ভাষা ও সাহিত্যে নতুন দর্শন ও শৈলী প্রবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রুপ ৪৭। এরই একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির প্রিন্সটনে। এখানে উপস্থাপিত হয় তার লেখা নাটক অফেন্ডিং দ্য অডিয়েন্স। আলোচনা অধিবেশনে তরুণ হান্ড‌কে সকলকে চমকে দিয়ে বলে বসলেন জার্মান সাহিত্য অসার হয়ে গেছে, আর আশা নেই। একে নতুন করে গড়তে হবে। এভাবেই তার প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার সূত্রপাত।

তিনি ১৯৬৯ সালে প্রকাশনা সংস্থা ভার্লেগ ডার অটোরেন (Verlag der Autoren) এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত গ্রাযের অটোরেনভার্সামলুঙ (Grazer Autorenversammlung) দলের সদস্য ছিলেন।

হান্ড‌কে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখেছিলেন।[৯]১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া Die linkshändige Frau এর পরিচালকও ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে হান্ড‌কে ইউরোপীয় সাহিত্য পুরস্কার প্যাট্রারকা প্রিস এ জুরি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন।গ্রাৎস্ থেকে চলে আসার পর তিনি বার্লিন, ফ্রান্স এবং ১৯৭৮-১৯৭৯ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার সালজবার্গ শহরে বসবাস করেন।

১৯৭০-এ তিনি লেখেন Die Angst des Tormanns beim Elfmeter (ইং: Goalkeeper's Anguish Before Penalty) যার ভিত্তিতে ভিম ভেন্ডার্স ১৯৭২-এ একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে নভেম্বর মধ্যরাতে তার মা মারিয়া হান্ড‌কে একান্ন বৎসর বয়সে আত্মহত্যা করেন। এর কিছুদিন পরে হান্ড‌কে একটি আধা-আত্মজৈবনিক উপন্যাস লেখেন যার নাম "Wunschloses Unglück" ("স্বপ্নাতীত এক যন্ত্রণা - একটি জীবনকাহিনী") তার মায়ের জীবনকাহিনী ছাড়াও নিজের অনুভূতির কথা এ গ্রন্থে বিশদ ব্যক্ত করেছেন।।[১০] এই রচনার মধ্যে দিয়ে তার লিখনশৈলীতে একটি পরিবর্তন আসে।

১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে গেয়র্গ বুশনার পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি শুরু হয়। এ পুরস্কারকে জার্মানভাষী লেখকদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। দুই বছর পরেই ১৯৭৫-এ তিনি লাভ করেন মর্যাদাপূর্ণ ফ্রানৎস্ কাফ্কা পুরস্কার।

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে টেলিভিশনে অভিনীত হয় তার ১৯৭১-এ প্রকাশিত নাটক The ride over Lake Constance। এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং হান্ড‌কের জন্য ব্যাপক খ্যাতি বয়ে আনে। এটি মঞ্চেও অভিনীত এবং রেডিওতেও প্রচারিত হয়।[১১]

১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফ্রান্সে চলে আসেন। বর্তমানে প্যারিস শহরে থেকে ১২ মাইল দূরে শহরতলী শাভেলে বনাচ্ছাদিত এলাকায় বিচ্ছিন্ন এক বাড়ীতে একা বসবাস করছেন।[১২]

‘ম্যানাস্ক্রিপ্ট‘ পত্রিকার সম্পাদক আলফ্রেড কোলারিচ এর সঙ্গে পেটার হান্ড‌কে, ২০১৩

১৯৯৩-এ আইসস্ট্যাটের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানজনক ডক্টরেট প্রদান করে। একই ধারায় বহু বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পরবর্তীকালে সম্মানজনক ডক্টরেটে ভূষিত করেছে।২০১২ খ্রিস্টাব্দে তাকে তার নিজ শহর গ্রিফিনের সম্মানিত নাগরিক-এর মর্যাদা প্রদান করা হয়।

২০০৬ সালে তাকে হাইনে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক ওঠায় তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় তিনি বলেছিলেন, তার কাছে প্যারিসের উপকণ্ঠে হাইনের সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই সহজতর।

২০০৮ সালে প্রকাশিত হয় তার অন্যতম বিখ্যাত উপন্যাস ‘মোরাভায় রাত্রি’ (মূল নাম: Die morawische Nacht)। এ বইয়ে বাস্তব এবং কল্পিত চক্রাকার ভ্রমণবৃত্তান্তের মধ্য দিয়ে হান্ড‌কের বহুস্তরীয় মানসিক অভিভূতি অভিব্যক্ত হয়েছে।

তাকে নিয়ে ২০১৬ সালে করিনা বেল্জ পরিচালনায় পেটার হান্ড‌কে: ইন দ্য ওডস, মাইট বি লেইট নামক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র তৈরি করেন।[১৩]

পেটার হান্ড‌কে সাহিত্যের পাতায় যৌনতাকে এড়িয়ে চলেন। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যৌনতার ব্যবহার তার কাছে বাজে লাগে। সিনেমার যৌন দৃশ্য শুরু হলে তিনি চোখ ফিরিয়ে রাখেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন একনায়ক হলে তিনি শিল্প-সাহিত্যে যৌনতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিতেন।[৫]

অনুবাদ

নিজের লেখার পাশাপাশি পেটার হান্ড‌কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখকের বই জার্মাণ ভাষায় অনুবাদ করেছেন। এদের মধ্যে আধুনিক ও প্রাচীন উভয় সময়ের কবি-লেখক রয়েছেন। যেমন, ইস্কিলুস, সিরিয়ার কবি আদুনিস, একিলো, দিমিত্রি আনালিস, ব্রুনো বায়েন, ইমানুয়েল বোভ, র‍্যনে শার, জঁ জ্যনে, অলিভার গোল্ডস্মিথ, জুলিয়েন গ্রিন, গুস্তাভ ইয়ানুস, ফ্লোরিয়ান রিফুস, ফরাসী নোবেল বিজয়ী পাত্রিক মোদিয়ানো, ওয়াকার পারসি। তিনি উইলিয়াম শেকসপিয়রসফোক্লিসের কাজও মূল থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন।

১৯৮০ সালে তিনি অনুবাদে হাত দেন এবং প্রথমত Walker Percy বিরচিত The Cinema Walker ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। স্লোভেনিয় ভাষায় রচিত Florian Lipus এর The pupil Tjaz জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন ১৯৮১তে। একই বছর ফরাসি ভাষায় লেখা Emanuel Bove এর My friends অনুবাদ করেন। পরের বছর, ১৯৮২ সালে একই লেখকের Armand জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। একই বছর Francis Ponge বিরচিত The notebook from the pine forest অনুবাদ করেন। প্রতিটি গ্রন্থে তিনি একটি স্বরচিত ভূমিকা সংযোজন করেছিলেন।

অনুবাদ Walker Percy: The Cinema Walker. Translated from the American and with an afterword by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1980. অনুবাদ Florian Lipus: The pupil Tjaz. Translated from Slovenian and with an afterword by Peter Handke. Salzburg: Residence, 1981.অনুবাদ Emanuel Bove: My friends. Translated from French and with an afterword by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1981. translation Emanuel Bove: Armand. Translated from French and with an afterword by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1982.

অনুবাদ Francis Ponge: The notebook from the pine forest. La Mounine. Translated from French and accompanied by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1982.

অনুবাদ Georges-Arthur Goldschmidt: The Mirror Day. Novel. Translated from French and accompanied by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1982.

অনুবাদ Gustav Janus: Poems. Translated from Slovenian and with a preliminary remark by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1983.

অনুবাদ Emanuel Bove: Bécon-les-Bruyères. Translated from French and with an afterword by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1984.

অনুবাদ René Char: return upstream. Poems 1964-1975. Translated from French by Peter Handke. Munich: Hanser, 1984.

অনুবাদ Marguerite Duras: The disease death. Translated from French by Peter Handke. Munich: Fischer, 1985.

অনুবাদ Walker Percy: The idiot of the South. Translated from the American by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1985.

অনুবাদ Patrick Modiano: A Youth. Translated from French by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1985.

অনুবাদ Aeschylus: Prometheus tied up. Translated from ancient Greek and with an afterword by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1986.

অনুবাদ Francis Ponge: Small Suite of the Vivarais. Translated from French and with an afterword by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1988.

অনুবাদ Julian Green: The other sleep. Translated from English by Peter Handke. Munich: Hanser, 1988.

অনুবাদ René Char: The neighborhoods of Van Gogh. Translated from French by Peter Handke. Munich: Hanser, 1990.

অনুবাদ René Char: The neighborhoods of Van Gogh. Translated from French. Munich: Renner, 1990.

গুস্তভ ইয়ানুসের কাব্যগ্রন্থ ‘বাক্যের মধ্যে’ স্লোভেনীয় ভাষা থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন ১৯৯১-এ। অনুবাদ Gustav Janus: In the middle of the sentence. Poems. Translated from Slovenian and with an afterword by Peter Handke. Salzburg: Residence, 1991.

১৯৯১ সালে উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘দ্য উন্টারস টেইল’ ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। অনুবাদ William Shakespeare: The Winter's Tale. Translated from English by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 1991.

১৯৯২ সালে জর্জ আর্থার গোল্ডস্মিটের ‘বিধ্বস্ত বনানী’ ফরাসী থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। অনুবাদ Georges-Arthur Goldschmidt: The Broken Forest. Translated from French by Peter Handke. Zurich: Ammann Verlag, 1992.

অনুবাদ Jean Genet: Splendid's. She. Translated from French by Peter Handke and Peter Krumme. Frankfurt / Main: Publisher of the authors, 1994.

অনুবাদ Bruno Bayen: Stay the trips. Novel. Translated from French by Peter Handke. Salzburg: Residence, 1997.

অনুবাদ Dimitri T. Analis: Land for itself. Translated from the French and with an afterword by Peter Handke. Salzburg: Residence, 1999.

অনুবাদ Bruno Bayen: The angry. Novel. Translated from French by Peter Handke. Salzburg: Residence, 2000.

অনুবাদ Adonis and Dimitri T. Analis: Under the Light of Time. Correspondence. Translated from French and with an afterword by Peter Handke. Salzburg: Young and Young, 2001.

হান্ড‌কে নোবেল বিজয়ী ফরাসী লেখক পাত্রিক মোদিয়ানো-র দ্য লিটল বিজু নামক উপন্যাসটি ফরাসি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে ২০০৩-এ প্রকাশ করেন। সফোক্লিসের ‘‘ঈদিপাস ইন কোলোনস’’ প্রাচীন গ্রীক ভাষা থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন তিনি যা ২০০৩-এ মুদ্রিত হয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে প্রকাশিত হয়। অনুবাদ Patrick Modiano: The little bijou. Novel. Translated from French by Peter Handke. Munich: Hanser, 2003. translation Sophocles: Oedipus in Kolonos. Translated from ancient Greek by Peter Handke. Frankfurt / Main: Suhrkamp, 2003.


কর্ম তালিকা

গ্রন্থপঞ্জি


কথাসাহিত্য

  • The Frelons (১৯৬৬)
  • Welcome to the Board of Directors (ছোটগল্প সংকলন) (১৯৬৭)
  • The Peddler (১৯৬৭)
  • The Anxiety of the goalkeeper at the time of the penalty (১৯৭০)
  • The Short Letter for a Long Farewell (১৯৭২, ইংরেজি অনুবাদক Georges-Arthur Goldschmidt )
  • I live in an ivory tower (১৯৭২)
  • The Unhappy Woe (1972, Anne Gaudu, 1975)
  • The Hour of the True Sensation (1975, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • False Movements (১৯৭৫)
  • The Left Woman (১৯৭৬, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • The Weight of the World (১৯৭৭, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • Slow Back (১৯৭৯, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • Children's Story (১৯৮১, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • The History of the Pencil , notebook (১৯৮২, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • The Chinese Pain (১৯৮৩)
  • The recommencement (১৯৮৬)
  • Absence (১৯৮৭, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • The Afternoon of a writer (১৯৮৭, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • My year in the Bay of Person (1994, Claude-Eusebe Porcell)
  • A winter journey to the Danube, Save, Morava and Drina (1996)
  • On a dark night I left my quiet home (১৯৯৭, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • The loss of the image or by the Sierra de Gredos (২০০২)
  • Don Juan (2004)
  • At my window in the morning , Paris, Verdier (২০০৬)
  • Kali (২০০৬, translated by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • The Moravian Night (২০০৮, translation by Olivier Le Lay)
  • Cuckoos by Velika Hoča (২০১১, translated by Marie-Claude Van Landeghem)
  • The Great Fall (২০১১, 2014 in French by Olivier Le Lay)
  • Yesterday on the way: Carnets, November 1987-July 1990 (২০১১, translation by Olivier Le Lay)
  • A year called out of the night (২০১২, translation by Anne Weber)

নাটক

  • 1966: Outrage to the public (L'Arche)
  • 1966: Introspection (1966)
  • 1966: Prediction (1966)
  • Call for help (1967)
  • Gaspard (The Ark, 1967)
  • The pupil wants to be tutor (1969)
  • Quodlibet (1970)
  • The Wind and the Sea (radio plays) (1970)
  • The Ride on Lake Constance (L'Arche, 1971)
  • Unreasonable People Are Endangered (L'Arche, 1974)
  • By the villages (1981, Über die Dörfer )
  • Journey to the Sound Country or the Art of the Question (1989)
  • The Hour We Did not Know About Each Other (1992)
  • Preparations for immortality (L'Arche, 1997)
  • Always the storm (2010, Olivier Le Lay, 2012)
  • The Beautiful Days of Aranjuez: A Summer Dialogue , The Sound of Time, 2012
  • Underground-Blues , Gallimard, 2013
  • The Innocents, me and the unknown at the edge of the departmental road , Gallimard, to appear the February 6 , 2020

প্রবন্ধ ও সাহিত্য সমালোচনা

  • Intermediate Spaces: Interviews (1969, Georges-Arthur Goldschmidt, 1992)
  • The Lesson of St. Victory (1980), Georges-Arthur Goldschmidt
  • Fatigue test (1989)
  • Again for Thucydide (1990, translation by Georges-Arthur Goldschmidt)
  • Essay on the jukebox (1990)
  • Essay on the successful day (1991)
  • Some notes on the work of Jan Voss (1995)
  • Milos Sobaïc (with Dimitri Analis), essay on the Yugoslav painter (2002)
  • Essay on the Quiet Place (2012, 2014 in French, translation by Olivier Le Lay)
  • Essay on the mushroom fou (2013, 2017 in french, translation by Pierre Deshusses)

কাব্য

  • Deutsche Gedichte (1969)
  • Ich bin ein Bewohner des Elfenbeinturms (1972)
  • Against deep sleep (1977), trad. Cecilia Dreymüller (Madrid: Nordic, 2017)
  • For the peoples (1981), trad. Eustaquio Barjau (Madrid: Alliance, 1986)
  • Gedichte (1987)

চলচ্চিত্রসমূহ

পেটার হান্ড‌কে, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব, ১৯৮৩।

[এই অংশ অনুবাদের অপক্ষোয় থাকলো।]

পেটার হান্ড‌কে মূলত কথাসাহিত্যিক হলেও লেখক জীবনের শুরু থেকেই তার আগ্রহ ছিল নাটকে ও চলচ্চিত্রে। ছাত্র জীবনে এমনও সময় গেছে যখন প্রতিদিন তিনি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখতেন। এমনকি একই চলচ্চিত্র তিনি বারবার দেখতেন।

তার যে রচনাগুলোর চিত্রনাট্য তিনি লিখেছেন সেগুলো হলো City of Angels (1998) (ছবির নাম: Wings of Desire, ১৯৮৭); The Absence (1995); The Left-Handed Woman (1977), Wrong Move (1974), The Goalkeepers Anxiety of the Penalty (1971); Chronik der laufenden Ereignisse (1970) (TV) এবং Three American LP's (1969) ।

যে তিনটি ক্ষেত্রে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালকের ভূমিকা পালন করেছেন সেগুলো হলো The Absence (1995), The Left-Handed Woman (1977) এবং টিভি নাটক Chronik der laufenden Ereignisse (1970)। এছাড়া অভিনয় করেছেন The Spirit of Time, (1985)। কণ্ঠ দিয়েছেন Three American LP's (1969) (TV)।[১৪]

হান্ড‌কে দ্য গোলি'স অ্যাংজাইটি অ্যাট দ্য পেনাল্টি কিক চলচ্চিত্রের পরিচালক উয়িম ওয়েন্ডার্স এর সহযোগী হিসেবে কাজ করেন, দ্য রং মুভ চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখক এবং উইংস অব ডিজায়ার ও দ্য বিউটিফুল ডেজ অব অ্যারানজুয়েজ এর চিত্রনাট্য লেখক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তার লেখা উপন্যাস নিয়ে তৈরি করা চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্য লেফ্ট হ্যান্ডেড উইমেন ও দ্য অ্যাবসেন্স।

পুরস্কার ও সম্মাননা

পেটার হান্ড‌কে তার সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতি স্বরূপ ৬০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন যার কয়েকটি নিম্নরূপ:

  • ১৯৭৩ - Büchner Prize
  • ১৯৭৯ - কাফকা পুরস্কার
  • ১৯৮৩ - Cultural Award of the Province of Carinthia
  • ১৯৮৩ - Grillparzer Prize
  • ১৯৮৫ - Anton Wild Goose Award
  • ১৯৮৬ - সালঝবার্গ নগরী সাহিত্য পুরস্কার
  • ১৯৮৭: ভিলেনিকা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব পুরস্কার
  • ১৯৮৮ - অস্টিয় রাষ্ট্রীয় সাহিত্য পুরস্কার
  • ১৯৮৮ - ব্রেমেন সাহিত্য পুরস্কার
  • ১৯৯১ - Franz Grillparzer Prize
  • ১৯৯৩ - Honorary Doctorate of the Catholic University Eichstätt,
  • ১৯৯৫ - শিলার স্মৃতি পুরস্কার
  • ১৯৯৬ - Opening of the Handke archive in Griffen (was extended and updated on the occasion of his 70th birthday)
  • ২০০০- সাহিত্যে আমেরিকা পুরস্কার
  • ২০০১ - Blue Salon Prize of the Literaturhaus Frankfurt
  • ২০০২ - Honorary Doctorate of the Alpen-Adria-Universität Klagenfurt
  • ২০০৩ - Honorary Doctorate of the Paris Lodron University Salzburg
  • ২০০৪ - Siegfried Unseld Prize
  • ২০০৭ - Berlin Heinrich Heine Prize
  • ২০০৮ - Thomas Mann Literature Prize of the Bavarian Academy of Fine Arts
  • ২০০৯ - Franz Kafka Literature Prize of the City of Prague
  • ২০১০ - Vinzenz Rizzi Prize of the Central Association of Slovenian Organizations and the Slovenian Cultural Association, 2010
  • ২০১১ - Nestroy Prize (Author's Award), 2011
  • ২০১২ - Mülheim Playwright Award for "Still Storm"
  • ২০১২ - Great Art Prize of the State of Salzburg
  • ২০১২ - Honorary citizenship of his hometown Griffen
  • ২০১৩ - Order of Merit (Medalja za zasluge) of the Republic of Serbia in Gold, 2013
  • ২০১৩ - One-player prize of the Carinthian Slovenes Council, Klagenfurt / Celovec, 2013
  • ২০১৪ - ইবসেন পুরস্কার
  • ২০১৪ - Else Lasker Pupil Dramatist Award (for his complete work),
  • ২০১৫ - Appointment as honorary citizen of Belgrade,
  • ২০১৬ - Würth Prize for European Literature,
  • ২০১৭ - Milovan Vidakovic Prize,
  • ২০১৭ - Honorary Doctorate of the Universidad de Alcalá, Spain
  • ২০১৮ - Carinthian Provincial Order in Gold
  • ২০১৮ - Nestroy Theater Prize for the Lifetime Achievement
  • ২০১৯ - নোবেল পুরস্কার
  • ১৯৭৩: গেয়র্গ বুশনার পুরস্কার
  • ২০০০: ব্রাদার্স কারিচ অ্যাওয়ার্ড
  • ২০০০: সাহিত্যে আমেরিকা পুরস্কার
  • ২০০৮: টমাস মান পুরস্কার
  • ২০০৯: ফ্রানৎস কাফকা পুরস্কার
  • ২০১২: মুলহাইমার ড্রামাটিকেরপ্রেইস
  • ২০১৪: আন্তর্জাতিক ইবসেন পুরস্কার[১৫][১৬]
  • ২০১৮: নিস্টর-থিয়েটারপ্রিস [১৭]

বিতর্ক

১৯৯৯-এ ন্যাটো সামরিক বলয়ের বোমা বর্ষণে নিহত রেডিও টেলিভিশন সার্বিয়ার কর্মচারীদের প্রতি শ্রদ্ধায় নিবেদিত স্মৃতিসৌধ The Zašto?(সার্বিয় সিরিলিয় ভাষায় লেখা Зашто, বঙ্গার্থে "কেন?")।

বলা হয়ে থাকে স্রোতের বিপরীতে চলতে, আপ্ত বাক্য ছুঁড়ে ফেলতে পেটার হান্ড‌কে কখনো দেরী করেন না।[১৮] পেটার হান্ড‌কে তার রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। বিংশ শতকের শেষ দশকে সংঘটিত যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিয়ার পক্ষাবলম্বন করায় এই সমলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল। ২০১৯-এ তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলে তাকে নিয়ে নুতন করে বেশ বিতর্ক ওঠে।[১৯]

১৯৯৯-এর ২৪শে মার্চ ন্যাটো সামরিক বলয় যুগোস্লাভিয়াতে বোমা বর্ষণ শুরু করে। জুনের ১০ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এই বোমাবর্ষণ যতক্ষণ না পর্যন্ত যুগোস্লাভিয়ার শাসকবর্গ কসোভো থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়। অন্যদিকে ন্যাটো তথা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট এই সামরিক আগ্রাসনকে একটি ‘মানবিক অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। ন্যাটোর তথাকথিত ’মানবিক‘ অভিযানে স্তম্ভিত হয়েছিলেন পেটার হান্ড‌কে। তার মনে হয়েছিল, ‘এটা তার পৃথিবী নয় – যারা বোমা ফেলে হাজার হাজার মানুষ মেরে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিচ্ছে তারা ইয়োরোপের কেউ নয়; এ পৃথিবীর মানুষ নয় তারা।’ বোমাবর্ষণ শুরুর দিন তার মনে পড়েছিল আততায়ীর গুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনেডির নিহত হওয়ার কথা। - এ কথা বলার পর থেকে বিশ্বব্যাপাী নিন্দাপ্রবাহের সূত্রপাত হয়। এমনকি পরিচিত কেউ কেউ তাকে এড়িয়ে চলতো। কোনো বই বিক্রেতা চিঠি লিখে তার বই আর বিক্রি না করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছিল।

২০০৬-এ সার্বিয় নেতা স্লোবোদান মিলোসেভিচের শেষকৃত্যানাষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এই বিশ্ব, তথাকিথত এই বিশ্ব যুগোস্লাভিয়া সম্পর্কে সবর্জ্ঞ; সার্বিয়া সম্পর্কেও সবজান্তা। এই বিশ্ব, তথাকিথত এই বিশ্ব, স্লোবোদান মিলোসেভিচ সম্পর্কেও সর্বজ্ঞ। কেবল তথাকথিত এই বিশ্বই যেনই ঠিক সত্যটা জানে। আর সে কারণেই তথাকিথত বিশ্ব আজ এখানে অনুপস্থিত। কিন্তু কেবল এখানে না, আজই শুধু নয়। সত্য কোন্‌টি আমি জানি না। কিন্তু আমি দেখি, আমি শুনিও। আমি উপলব্ধি করি। আমি মনে রাখি। আমি প্রশ্ন করি। এ কারণেই আমি আজ এখানে এসেছি। ঠিক যুগোস্লাভিয়ার পাশে, সার্বিয়ার পাশে, স্লোবোদান মিলোসেভিচের পাশে।‘ – এই বক্তব্য তাকে তীব্র ভর্ৎসনার লক্ষ্যে পরিণত করে। তবে মিথ্যা প্রচারণাও চালানো হয় এই বলে যে তিনি মিলোসেভিচের কবরে গোলাপ নিবেদন করেছিলেন, চুম্বন করেছিলেন তার শবাধারে। ক্রোয়েশিয়ার এক পত্রিকা লিখেছিন তিনি মিলোসেভিচকে নিয়ে উপন্যাস লিখছেন।

তবে স্মরণীয় আরো আগে, ১৯৯৬এ, তিনি সার্বিয়ার জন্য ন্যায় বিচার চেয়েছিলেন ‘এক শীতার্ত অভিযাত্রা’ শিরোনামীয় ভ্রমণকাহিনী প্রকাশ করে (A Winter Journey to the Danube, Sava, Morava and Drina Rivers or Justice for Serbia)।[১৯][খ]

এ রকম অবস্থায় ধারণা করা হয়েছিল শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হলেও নোবেল পুরস্কারের জন্য কখনো তিনি বিবেচিত হবেন না।[২০]

হান্ড‌কে বিষয়ক গ্রন্থাবলী

  • Hans Höhler কর্তৃক লিখিত Peter Handke, 9789543202010
  • W.G. Sebald’s কর্তৃক লিখিত Across the Border: Peter Handke’s ‘Repetition’

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ