মার্গারেট অ্যাটউড

কানাডীয় লেখিকা

মার্গারেট এলিনর অ্যাটউড সিসি ওওএনটি সিএইচ এফআরএসসি এফআরএসএল (ইংরেজি: Margaret Eleanor Atwood; জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৩৯) হলেন একজন কানাডীয় কবি, ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সমালোচক, প্রাবন্ধিক, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ ও পরিবেশবাদী। তিনি সতেরোটি কবিতার বই, ষোলটি উপন্যাস, আটটি ছোটগল্প সংকলন, এবং একটি গ্রাফিক উপন্যাসসহ একাধিক ছোট কবিতা ও কথাসাহিত্যের সংস্করণ প্রকাশ করেছেন। অ্যাটউড ও তার লেখনী একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে, তন্মধ্যে রয়েছে ম্যান বুকার পুরস্কার (২০০০ ও ২০১৯ সাল), আর্থার সি. ক্লার্ক পুরস্কার, গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার, ফ্রানৎস কাফকা পুরস্কার, ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস ও পিইএন সেন্টার ইউএসএ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। অ্যাটউড লংপেন ও এর সহায়ক প্রযুক্তির উদ্ভাবক ও ডেভলাপার।

মার্গারেট অ্যাটউড

সিসি OOnt সিএইচ এফআরএসসি
২০১৭ সালে অ্যাটউড
২০১৭ সালে অ্যাটউড
স্থানীয় নাম
Margaret Atwood
জন্মমার্গারেট এলিনর অ্যাটউড
(1939-11-18) ১৮ নভেম্বর ১৯৩৯ (বয়স ৮৪)
অটোয়া, অন্টারিও, কানাডা
শিক্ষাটরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ)
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (এমএ)
সময়কাল১৯৬১–বর্তমান
ধরনঐতিহাসিক কাহিনী
কল্পসাহিত্য
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী
Dystopian fiction
দাম্পত্যসঙ্গীজিম পোক (বি. ১৯৬৮; বিচ্ছেদ. ১৯৭৩)
সঙ্গীগ্রায়াম গিবসন

স্বাক্ষর
ওয়েবসাইট
margaretatwood.ca

অ্যাটউড তার উপন্যাস ও কবিতা বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ভাষার ক্ষমতা, লিঙ্গ ও পরিচয়, ধর্ম ও পুরাণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষমতার রাজনীতি।[২] তিনি ছোটবেলা থেকে পৌরাণিক ও কল্পকাহিনি প্রতি আসক্ত ছিলেন এবং তার অনেক কবিতা এগুলো থেকে অনুপ্রাণিত।[৩] কানাডীয় সাহিত্যে তার অবদানের মধ্যে অন্যতম হল তিনি গ্রিফিন পোয়েট্রি প্রাইজ ও রাইটার্স ট্রাস্ট অব কানাডার প্রতিষ্ঠাতা।

প্রারম্ভিক জীবন

অ্যাটউড ১৯৩৯ সালের ১৮ নভেম্বর কানাডার অন্টারিওর অটোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার পিতা কার্ল এডমান্ড অ্যাটউড একজন কীটতত্ত্ববিদ[৫] এবং মাতা মার্গারেট ডরোথি (প্রদত্ত নাম: কিলাম) ছিলেন নোভা স্কটিয়ার উডভিলের একজন পুষ্টিবিদ।[৬] তিনি তার পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। বন কীটতত্ত্ব বিষয়ে তার পিতার গবেষণার কারণে অ্যাটউড তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় উত্তর কেবেকের পিছনে কাটিয়েছেন এবং অটোয়া, সল্ট স্টে. মারি ও টরন্টোতে ভ্রমণ করেছেন। বারো বছরে পৌঁছানোর আগে তিনি পূর্ণসময় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি। এই সময়ে তিনি সাহিত্যের বই পড়তেন এবং তার পঠিত বইসমূহের ছিল ডেল পাবলিশিঙের পকেটবুক মিস্টিস, গ্রিম ভ্রাতৃদ্বয়ের রূপকথার গল্প, কানাডীয় প্রানীদের গল্প এবং কমিক বই। তিনি টরন্টোর লিসাইডের লিসাইড হাই স্কুল থেকে ১৯৫৭ সালে পড়াশোনা সমাপ্ত করেন।[৭] অ্যাটউড ছয় বছর বয়স থেকে নাটক ও কবিতা লেখা শুরু করেন।[৮]

কর্মজীবন

১৯৬০-এর দশক

অ্যাটউডের প্রথম কবিতার বই হল ডাবল পারসেফোন। ১৯৬১ সালে হসখেড প্রেস থেকে প্রকাশিত বইটি ই.জে. প্র্যাট পদক লাভ করে।[৯] লেখনীর পাশাপাশি অ্যাটউড ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৫ সালে ভ্যাঙ্কুভারের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক, ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সালে মন্ট্রিঅলের স্যার জর্জ উইলয়ামস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির প্রশিক্ষক, এবং ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সালে অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।[১০] ১৯৬৬ সালে তার রচিত দ্য সার্কেল গেম প্রকাশিত হয়, যা গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার অর্জন করে।[১১] এই সংকলন প্রকাশিত হওয়ার পর তার কবিতার আরও তিনটি ছোট প্রেস সংকলন প্রকাশ করেন, সেগুলো হল ক্র্যানব্রুক অ্যাকাডেমি অব আর্ট থেকে প্রকাশিত ক্যালাইডোস্কোপ্স বারোক: আ পোয়েম (১৯৬৫), তালিসমান্স ফর চিলড্রেন (১৯৬৫) ও স্পিচস ফর ডক্টর ফ্রাঙ্কেস্টাইন (১৯৬৬)। এছাড়া তার কবিতার সংকলন দি অ্যানিমেলস ইন দ্যাট কান্ট্রি (১৯৬৮) প্রকাশিত হয়। অ্যাটউডের প্রথম উপন্যাস, দি এডিবল ওম্যান, ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। উত্তর আমেরিকান ভোগবাদের উপর লেখা সামাজিক ব্যঙ্গধর্মী এই বইটিকে অনেক সমালোচক অ্যাটউডের কাজে প্রাপ্ত নারীবাদী বিষয়াবলির প্রারম্ভিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।[১২]

১৯৭০-এর দশক

অ্যাটউড ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালে টরন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করতেন এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২/৭৩ শিক্ষাবর্ষে লেখিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[১০] এই দশকে তার কবিতার সর্বোত্তম সময়ে তিনি ছয়টি কবিতার সংকলন প্রকাশ করেন, সেগুলো হল দ্য জার্নালস অব সুজানা মুডি (১৯৭০), প্রসিডিউরস ফর আন্ডারগ্রাউন্ড (১৯৭০), পাওয়ার পলিটিকস (১৯৭১), ইউ আর হ্যাপি (১৯৭৪), সিলেক্টেড পোয়েমস ১৯৬৫-১৯৭৫ (১৯৭৬), এবং টু-হেডেড পোয়েমস (১৯৭৮)। অ্যাটউড এই সময়ে তিনটি উপন্যাসও প্রকাশ করেন, সেগুলো হল সার্ফিন (১৯৭২), লেডি ওরাকল (১৯৭৬) ও লাইফ বিফোর ম্যান (১৯৭৯)। এই তিনটি উপন্যাসই দি এডিবল ওম্যান-এর মত লিঙ্গ পরিচয় ও সামাজিক বন্ধন নিয়ে রচিত এবং এগুলো জাতীয়তাবাদ ও লৈঙ্গিক রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত।[১৩] বিশেষ করে, তার প্রথম নন-ফিকশন মনোগ্রাফ সারভাইভাল: আ থিমেটিক গাইড টু কানাডিয়ান লিটারেচার (১৯৭২)-এর সাথে সার্ফিং তাকে কানাডীয় সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ও বিকশিত কণ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[১৪] লাইফ বিফোর ম্যান উপন্যাসটি গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কারের ফাইনালিস্ট নির্বাচিত হয়।[১১] ১৯৭৭ সালে অ্যাটউডের প্রথম ছোটগল্প সংকলন ড্যান্সিং গার্ল প্রকাশিত হয়, যা কথাসাহিত্যে সেন্ট লরেন্স পুরস্কার এবং দ্য পিরিয়ডিক্যাল ডিস্ট্রিবিউটর্স অব কানাডা পুরস্কার অর্জন করে।[১০]

১৯৮০-এর দশক

১৯৮০-এর দশকে বডিলি হার্ম (১৯৮১), দ্য হ্যান্ডমেইড্‌স টেল (১৯৮৫), ও ক্যাট্‌স আই (১৯৮৮) প্রকাশিত হলে অ্যাটউডের সাহিত্যিক সুনাম আরও বৃদ্ধি পায়। দ্য হ্যান্ডমেইড্‌স টেল বইটি আর্থার সি. ক্লার্ক পুরস্কার ও ১৯৮৫ সালের গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার অর্জন করে[১১] এবং ১৯৮৬ সালের বুকার পুরস্কারের ফাইনালিস্ট নির্বাচিত হয়;[১৫] এবং ক্যাট্‌স আই বইটি ১৯৮৮ সালের গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার[১১] ও ১৯৮৯ সালের বুকার পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়। অ্যাটউড তার কাজে কোন সাহিত্যিক লেবেল যুক্ত করতে অপছন্দ করেন এবং দ্য হ্যান্ডমেইড্‌স টেল বইটিকে তিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, বা আরও স্পষ্টভাবে কল্পসাহিত্য বলে উল্লেখ করতে নারাজ।[১৬][১৭] তিনি প্রায়ই উল্লেখ করেন, "বইটিতে সবকিছুর বাস্তব জীবনের নজির রয়েছে। আমি অন্য কেউ অন্য কোথাও ইতোমধ্যেই ব্যবহার করেছে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।"[১৮]

১৯৯০-এর দশক

দ্য রবার ব্রাইড (১৯৯৩) ও অ্যালিয়াস গ্রেস (১৯৯৬) উপন্যাস প্রকাশের পর লেখিকা হিসেবে অ্যাটউডের সুনাম বাড়তে থাকে। দ্য রবার ব্রাইড উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালের গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়[১১] এবং জেমস ট্রিপট্রি জুনিয়র পুরস্কারের ক্ষুদ্রতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়;[১৯] এবং অ্যালিয়াস গ্রেস ১৯৯৬ সালের জিলার পুরস্কার অর্জন করে, ১৯৯৬ সালের বুকার পুরস্কার,[২০] ১৯৯৬ সালের গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়[১১] ও ১৯৯৭ সালে কথাসাহিত্যে অরেঞ্জ পুরস্কারের ক্ষুদ্রতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।[২১] অনেকাংশে ভিন্ন বিষয় ও ধারার হওয়া সত্ত্বেও উভয় উপন্যাসে নারী খলচরিত্রের চিত্রায়নের মধ্য দিয়ে তিনি ভালো ও মন্দ ও নৈতিকতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। দ্য রবার ব্রাইড সম্পর্কে অ্যাটউড বলেন, "আমি মন্দ আচরণের উদাহরণ দিচ্ছি না, কিন্তু আপনি যদি কয়েকটি নারী চরিত্রকে খল চরিত্রে না দেখান, তবে আপনি পুরো বিষয়টি ধরতে পারেননি।"[২২] দ্য রবার ব্রাইড উপন্যাসের পটভূমি সমসাময়িক টরন্টো, অন্যদিকে অ্যালিয়াস গ্রেস একটি ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী, যেখানে টমার কিনার ও তার গৃহপরিচারিকা ন্যান্সি মন্টগামারির ১৮৪৩টি খুনের বর্ণনা রয়েছে। অ্যাটউড ১৯৭৪ সালে সিবিসি টেলিভিশনে প্রচারিত টিভি চলচ্চিত্র দ্য সারভেন্ট গার্ল রচনা করেন। এটি তরুণী গৃহকর্মী গ্রেস মার্কসের জীবনী সম্পর্কিত, যে জেমস ম্যাকডারমটের সাথে যৌথভাবে একটি অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।[২৩]

২০০০-এর দশক

২০০০ সালে অ্যাটউডের দশক উপন্যাস দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন প্রকাশিত হয়। বইটি সমাদৃত হয় এবং ২০০০ সালে বুকার পুরস্কার[২৪] ও হ্যামেট পুরস্কার অর্জন করে।[২৫] এছাড়া বইটি ২০০০ সালে গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার,[১১] কথাসাহিত্যে অরেঞ্জ পুরস্কার ও ২০০২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ডাবলিন লিটারেরি পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়।[২৬] ২০০১ সালে কানাডার ওয়াক অব ফেমে অ্যাটউডের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।[২৭]

২০০৫ সালে অ্যাটউড দ্য ক্যাননগেট মিথ ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে দ্য পেনেলোপিয়াড উপন্যাসিকা প্রকাশ করেন। এতে পেনেলোপি ও ১২জন গৃহপরিচারিকার দলের দৃষ্টিকোণ থেকে ওডিসি পুনবিবৃত করেন। ২০০৭ সালে দ্য পেনেলোপিয়াড মঞ্চস্থ হয়। ২০০৮ সালে অ্যাটউড ২০০৮ সালের ১২ই অক্টোবর থেকে ১লা নভেম্বরে ম্যাসি বক্তৃতার অংশ হিসেবে প্রদানকৃত পাঁচটি বক্তৃতার সংকলন পেব্যাক: ডেট অ্যান্ড শ্যাডো সাইড অব ওয়েলথ প্রকাশ করেন। বইটির বক্তৃতাগুলো সিবিসি রেডিও ওয়ানের আইডিয়াস অনুষ্ঠানে রেকর্ড ও সম্প্রচারও করা হয়।[২৮]

২০১০-এর দশক

২০১৬ সালে অ্যাটউড পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউজের হোগার্থ শেকসপিয়ার ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে হ্যাগ-সিড উপন্যাস প্রকাশ করেন, এটি শেকসপিয়ারীয় দ্য টেমপেস্ট নাটকের আধুনিক বর্ণনা।[২৯] এই বছর তিনি অতিমানবীয় কমিক বই ধারাবাহিক অ্যাঞ্জেল ক্যাটবার্ড রচনা শুরু করেন, যার সহ-রচনা ও চিত্রাঙ্কন করেন জনি ক্রিসমাস। ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র বিজ্ঞানী স্ট্রিগ ফেলিডুস দুর্ঘটনাবশত শারীরিক পরিবর্তন হয় এবং তার শরীরে বিড়াল ও পাখির ক্ষমতা চলে আসে।[৩০] ২০১৮ সালের ২৮শে নভেম্বর অ্যাটউড ঘোষণা দেন যে তিনি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দ্য হ্যান্ডমেইড্‌স টেল-এর অনুবর্তী পর্ব দ্য টেস্টামেন্টস প্রকাশ করবেন। উপন্যাসটিকে তিনজন নারী বর্ণনাকারী থাকবে এবং ঘটনাবলি দ্য হ্যান্ডমেইড্‌স টেল-এর অফরেডের শেষ দৃশ্য থেকে পনের বছর পরে শুরু হবে।[৩১]এছাড়াও তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে ব্রিটিশ লেখক বার্নারডাইন এভারিস্টোর এর সাথে সম্মানজনক সাহিত্য পুরস্কার বুকার জয়ী হন।টেস্টামেন্টস সিরিজের ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেল’ উপন্যাসের জন্য অটউডকে এবং ‘গার্ল, ওম্যান, আদার’ বইটির জন্য বার্নারডাইনকে পুরস্কৃত করা হয়। সম্মানী হিসেবে তারা প্রায় ৬৩ হাজার মার্কিন ডলার ভাগাভাগি করবেন। সবচেয়ে বয়স্ক বুকারজয়ী হিসেবে ৭৯ বছর বয়সে দ্বিতীয়বারের মতো বুকার পুরস্কার পেলেন মার্গারেট।উল্লেখ্য, অটউড এর আগে ২০০০ সালে তার ‘ব্লাইন্ড অ্যাসাসিয়ান’ বইয়ের জন্যও বুকার জিতেন। ৩৩ বছর আগে তিনি ‘দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেলের’ জন্য তিনি মনোনীত হয়েছিলেন। দুটি বুকারজয়ীর তালিকায় তিনি চতুর্থ।[৩২]

পুরস্কার ও সম্মাননা

গ্রন্থতালিকা

উপন্যাস
  • দি এডিবল ওম্যান (১৯৬৯)
  • সার্ফিং (১৯৭২)
  • লেডি ওরাকল (১৯৭৬)
  • লাইফ বিফোর ম্যান (১৯৭৯; গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কারের ফাইনালিস্ট)
  • বডিলি হার্ম (১৯৮১)
  • দ্য হ্যান্ডমেইড্‌স টেল (১৯৮৫; গভর্নর জেলারেল্‌স পুরস্কার ১৯৮৫ ও আর্থার সি. ক্লার্ক পুরস্কার ১৯৮৭ বিজয়ী, এবং বুকার পুরস্কার ১৯৮৬-এর ফাইনালিস্ট)
  • ক্যাট্‌স আই (১৯৮৮; গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার ১৯৮৮ ও বুকার পুরস্কার ১৯৮৯-এর ফাইনালিস্ট)
  • দ্য রবার ব্রাইড (১৯৯৩; গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার ১৯৯৪-এর ফাইনালিস্ট এবং জেমস ট্রিপট্রি জুনিয়র পুরস্কারের ক্ষুদ্রতালিকায় অন্তর্ভুক্তি)
  • অ্যালিয়াস গ্রেস (১৯৯৬; গিলার পুরস্কার ১৯৯৬ বিজয়ী, বুকার পুরস্কার ১৯৯৬ ও গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার ১৯৯৬-এর ফাইনালিস্ট, এবং কথাসাহিত্যে অরেঞ্জ প্রাইজ ১৯৯৭-এর ক্ষুদ্রতালিকায় অন্তর্ভুক্তি)
  • দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন (২০০০; বুকার পুরস্কার ২০০০ বিজয়ী, গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার ২০০০-এর ফাইনালিস্ট এবং কথাসাহিত্যে অরেঞ্জ প্রাইজ ২০০১-এর ক্ষুদ্রতালিকায় অন্তর্ভুক্তি)
  • দ্য পেনেলোপিয়াড (২০০৫; মাইথোপোয়েটিক ফ্যান্টাসি পুরস্কার ২০০৬-এর মনোনীত এবং ইন্টারন্যাশনাল ডাবলিন লিটারেরি পুরস্কার ২০০৭-এর দীর্ঘতালিকায় অন্তর্ভুক্তি)
  • স্ক্রিবলার মুন (২০১৪; ফিউচার লাইব্রেরি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে লিখিত)
  • দ্য হার্ট গোজ লাস্ট (২০১৫)
  • হ্যাগ-সিড (২০১৬)
  • দ্য টেস্টামেন্টস (২০১৯)
কবিতা সংকলন
  • ডাবল পারসেফোন (১৯৬১)
  • দ্য সার্কেল গেম (১৯৬৪; গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কার ১৯৬৬ বিজয়ী)
  • এক্সপেডিশন্স (১৯৬৫)
  • স্পিচস ফর ডক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন (১৯৬৬)
  • দি অ্যানিমেলস ইন দ্যাট কান্ট্রি (১৯৬৮)
  • দ্য জার্নালস অব সুজানা মুডি (১৯৭০)
  • প্রসিডিউরস ফর আন্ডারগ্রাউন্ড (১৯৭০)
  • পাওয়ার পলিটিকস (১৯৭১)
  • ইউ আর হ্যাপি (১৯৭৪, সং অব দ্য ওয়ার্মস কবিতাও অন্তর্ভুক্ত)
  • সিলেক্টেড পোয়েমস (১৯৭৬)
  • টু-হেডেড পোয়েমস (১৯৭৮)
  • ট্রু স্টোরিজ (১৯৮১)
  • লাভ সংস অব আ টারমিনেটর
  • স্নেক পোয়েমস (১৯৮৩)
  • ইন্টারলুনার (১৯৮৪)
  • সিলেক্টেড পোয়েমস ১৯৬৬-১৯৮৪ (কানাডা)
  • সিলেক্টেড পোয়েমস ১৯৬৬-১৯৮৪ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
  • মর্নিং ইন দ্য বার্নড হাউজ (১৯৯৫, ম্যাক্লিল্যান্ড অ্যান্ড স্টুয়ার্ট)
  • ইটিং ফায়ার: সিলেক্টেড পোয়েমস, ১৯৬৫-১৯৯৫ (১৯৯৮, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
  • ইউ বিগিন (১৯৭৮)
  • দ্য ডোর (২০০৭)
ছোটগল্প সংকলন
  • ড্যান্সিং গার্লস (১৯৭৭; কথাসাহিত্যে সেন্ট লরেন্স পুরস্কার ও পিরিয়ডিক্যাল ডিস্ট্রিবিউটর্স অব কানাডা পুরস্কার বিজয়ী
  • মার্ডার ইন দ্য ডার্ক (১৯৮৩)
  • ব্লুবেয়ার্ড্‌স এগ (১৯৮৩)
  • ওয়াইল্ডারনেস টিপস (১৯৯১; গভর্নর জেনারেল্‌স পুরস্কারের ফাইনালিস্ট)
  • গুড বোনস (১৯৯২)
  • গুড বোনস অ্যান্ড সিম্পল মার্ডারস (১৯৯৪)
  • দ্য ল্যাব্রেডর ফিয়াস্কো (১৯৯৬)
  • দ্য টেন্ট (২০০৬)
  • মোরাল ডিজঅর্ডার (২০০৬)
  • স্টোন ম্যাট্রেস (২০১৪)

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ