মৈথিলী ভাষা
মৈথিলী (মৈথিলী ভাষায়: मैथिली/𑒧𑒻𑒟𑒱𑒪𑒲) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। এটি মূলত ভারতের বিহার রাজ্য ও নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় তেরাই এলাকায় প্রচলিত। ভাষাবিজ্ঞানীরা মৈথিলীকে একটি পূর্ব ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ এর একটি হিসেবে গণ্য করেন, তাই এটি কেন্দ্রীয় ইন্দো-আর্য ভাষা যেমন হিন্দি ভাষার চেয়ে আলাদা, এবং বাংলা, অসমীয়া ও ওড়িয়ার সাথে এর সম্পর্ক বেশি।
মৈথিলী | |
---|---|
मैथिली/𑒧𑒻𑒟𑒱𑒪𑒲 | |
দেশোদ্ভব | ভারত এবং নেপাল |
অঞ্চল | ভারতে উত্তর বিহার; নেপালে তরাই |
জাতি | মৈথিল |
মাতৃভাষী | ১২ মিলিয়ন ভারতে (২০০১)[১] ৩.১ মিলিয়ন নেপালে [২] |
উপভাষা |
|
পূর্ব নাগরী লিপি (মৈথিলী বর্ণমালা) কৈথী লিপি (মৈথিলী শৈলী) দেবনাগরী | |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | নেপাল অন্তর্বর্তী সংবিধানের ২০০৭এবং সংবিধানের ২০১৬ ভারত ভারতের সংবিধানের ৮ম সময়সূচী, বিহার |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-২ | mai |
আইএসও ৬৩৯-৩ | mai |
গ্লোটোলগ | mait1250 [৩] |
স্বীকৃতি
পূর্বে ভারতের আদমশুমারিতে এটিকে হিন্দির একটি উপভাষা হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে এটি ভারতের একটি স্বতন্ত্র সরকারি ভাষা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়। ২০০৭ সালে নেপালের সংবিধান মৈথিলী ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়।
লিখন পদ্ধতি
মৈথিলী ভাষা মৈথিলী বর্ণমালাতে লেখা হত, যার সাথে বাংলা লিপির যথেষ্ট মিল আছে। মৈথিলী বর্ণমালা পূর্ব নাগরী লিপি থেকে সৃষ্ট। তবে বর্তমানে এটি দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়। মৈথিলী ভাষার নাম প্রাচীন ভারতীয় রাজ্য মিথিলা থেকে এসেছে। প্রায় সাড়ে চার কোটি লোক মৈথিলী ভাষায় কথা বলেন। এ ভাষার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক হলেন কবি বিদ্যাপতি।