১৯৭২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক

১৯৭২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক (জার্মান: Olympische Sommerspiele 1972), সরকারীভাবে বিংশতম অলিম্পিয়াডের ত্রীড়া অলিম্পিক নামে পরিচিত। এটি পশ্চিম জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি আন্তর্জাতিক বহ-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এটি ১৯৭২ এর ২৬ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই পুরো ক্রীড়ানুষ্ঠানের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় অনুষ্ঠান চলার দ্বিতীয় সপ্তাহে ফিলিস্তিনী আততায়ী গোষ্ঠী কালো সেপ্টেম্বর দ্বারা ১১ জন ইসরাইলি খেলোয়াড় ও কোচকে হত্যার মাধ্যমে। যা ইতিহাসে মিউনিখ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।

১৯৭২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক; বার্লিনের ১৯৩৬ খেলার পর জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিতীয় গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক, যা নাৎসী জার্মানির শাসনকালে হয়েছে। পশ্চিম জার্মানি; মিউনিখ অলিম্পিকের মাধ্যমে বিশ্বকে এটা দেখাতে বেশি উদগ্রীব ছিল যে, তারা কতটা গনতান্ত্রিক ও আশাবাদী। খেলার স্লোগান ছিল "ডাই হেইটার্ন স্পিল",[১] অথবা "আনন্দদায়ক ক্রীড়া"।[২] এই ক্রীড়ার লোগো ছিল ওটিল এইচার এর নীলবর্ণের সৌর প্রতীক ("উজ্জ্বল সূর্য")।[৩] অলিম্পিকে ঘোষিত মাস্কট ছিল ডাচশুন্ড "ওয়ালদি"। হার্বার্ট রেহবিন অলিম্পিকের ফ্যানফেয়ার কম্পোজ করেছিলেন।[৪]

অলিম্পিক পার্ক (অলিম্পিয়াপার্ক) ফ্রেই অট্টোর পরিকল্পনা অনুসারে গড়ে উঠেছে। প্রতিযোগিতার সাইটের নকশা; স্থাপত্যশিল্পী গানথার বেসনিছ করেন। তার কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অলিম্পিক হল, অলিম্পিক স্টেডিয়াম (অলিম্পিয়াস্টেডিওন), এবং অলিম্পিক গ্রাম, যা পার্কের খুব কাছেই অবস্থিত। আক্রিলিক কাচেঁর তৈরী চলনসক্ষম চাঁদোয়া দিয়ে করা স্টেডিয়ামের নকশা বৈপ্লবিক ছিল। এই ধরনের নকশা সেবারই প্রথম ছিল।[৫]

স্বাগতিক শহর নির্বাচন

১৯৭২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফলাফল[৬]
শহরদেশপ্রথম রাউন্ডদ্বিতীয় রাউন্ড
মিউনিখ  পশ্চিম জার্মানি২৯৩১
মাদ্রিদটেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Francoist Spain Spain১৬১৬
মনট্রিল  কানাডা১৩
ডেট্রয়েট  যুক্তরাষ্ট্র

১৯৬৬ সালের ২৬ এপ্রিল ইতালীর রোমে অনুষ্ঠিত ৬৪ তম আইওসি অধিবেশনে মিউনিখ তার অলিম্পিক নিলামে ডেট্রয়েড, মাদ্রিদ ও মন্ট্রিলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়। মন্ট্রিলে পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পক অনুষ্ঠিত হয়।[৭]

মিউনিখ হত্যাকাণ্ড

এই খেলার আনন্দধারায় কালো ছায়ার চিহ্ন পরে মিউনিখ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। ৫ সেপ্টেম্বর ভোর হবার পূর্বে ফিলিস্তিনী সন্ত্রাসী সংগঠন কালো সেপ্টেম্বর অলিম্পিক গ্রামে প্রবেশ করে এবং ১১ জন ইসরায়েলী খেলোয়াড়, কোচ এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মানুষদের তাদের এপার্টমেন্ট থেকে জিম্মী করে। ২ জন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সেখানেই খুন হন। পরবর্তী আঠারোো ঘণ্টা তারা সেখানেই থাকে।

একইদিন ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে আততায়ী ও তাদের ৯ জন জিম্মীরা হেলিকপ্টার দ্বারা ফুরস্টেনফেল্ডব্রুকের সামরিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হয়। কারণ সন্ত্রাসীরা কোনো আরব দেশকে নির্ধারণ করতে পারে নি। জার্মান সংস্থা তাদেরকে সেখানেই এম্বুশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু সন্ত্রাসীদের থেকে কী পরিমাণ প্রতিরোধ আসবে, সে বিষয়ে সঠিক চিন্তা না করায়, সৈন্য কম পাঠায়। উদ্ধার কাজ চলার সময়, সমস্ত ইসরায়েলী জিম্মীরা মারা যায়। চারজন সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়; একজন সন্ত্রাসী জিম্মীরা যেখানে বসে ছিল, সেখানে আআত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। ৫ জন জিম্মী মেশিনগানের গুলিতে মারা যায়।

"আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে জানাচ্ছি যে, সন্ত্রাসীদের জিম্মায় ১১ জন ছিল। যাদের মধ্যে ২ জন গতকাল সকালে খুন গিয়েছেন এবং আজ রাতে ৯ জন খুন হয়েছেন। তারা সবাই চলে গিয়েছেন।"

—দফায় দফায় সংঘর্ষের খবরের নানামুখি গুজবের পর এবিসিএ জিম ম্যাককে স্থানীয় সময় ৩:২৪ এ এই খবর সম্প্রচার করেন।[৮]

তিনজন বাদে সমস্ত সন্ত্রাসীই মারা যান। তারা গ্রেফতার হন এবং যাবজ্জীবনের বিচার চলাকালে পশ্চিম জার্মানি সরকার কর্তৃক ১৯৭২ সালের ২৯ অক্টোবর জামিন পান ছিনতাইকৃত লুফথানসা বিমানের বিনিময়ে। অনুমান করা হয়, এদের মধ্যে দুইজন পরবর্তীতে মোসাদ কর্তৃক খুঁজে বের করে গুপ্তহত্যা করা হয়[৯] বিশ্বাস করা হয় একমাত্র আততায়ী জামাল আল-গেসে আজো বেচেঁ আছে, এবং লুকিয়ে আফ্রিকার কোনো দেশে বাস করছে, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। অলিম্পিক এই আক্রমণের পর কিছু ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল। কিন্তু পুরো ঘটনা শেষ হবার পর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি এভ্রে ব্রুন্ডেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন, "এই গেম চলবে"। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে একটি স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২৪ ঘমটা বন্ধ থাকার পর প্রতিযোগিতা পুনরায় চালু হয়। এই আক্রমণের পর কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়, ১৯৭৬ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে। এরপর ২০০২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ সেটা ছিল ওয়ান ইলেভেনের পরের অলিম্পিক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, জার্মানি যে শান্তিকামী চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোচ্ছিল,তার কেন্দ্রীয় সরকার,এই হত্যাকান্ডের পর সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা শুরু করে। এরপর তারা অভিজাত সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট GSG 9 গঠন করে; যা ব্রিটিশ সাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এরপর ইসরায়েল ঈশ্বরের প্রতিশোধ নামে একটা ক্যাম্পেইন তৈরী করে, যার মূল কাজ ছিল এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করা ও গুপ্তহত্যা করা।

এই ঘটনা নিয়ে অস্কার বিজয়ী প্রামাণ্যচ্চিত্র ওয়ান ডে ইন সেপ্টেম্বর নির্মিত হয়।[১০] এর উপর ভিত্তি করে হয়েছে তিনটি চলচ্চিত্রঃ ১৯৭৬ সালে টিভি চলচ্চিত্র মিউনিখে ২১ ঘণ্টা, ১৯৮৬ সালে সোর্ড অব গিডিওন[১১] এবং স্টিভেন স্পেইলবার্গের ২০০৫ সালের চলচ্চিত্র মিউনিখ[১২] তার ১৯৭২ এর চলচ্চিত্রে সারাগ মোরিস ড. জিওগের সাক্ষাৎ নেন, যিনি পূর্বে পুলিশ মনস্তাত্ত্বিক ছিলেন। অলিম্পিকে হামলা চলার সময় তিনি পুলিশকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।[১৩]

শিরোনাম

অটেল এইচারের পিক্টোগ্রাম; যা মিউনিখ অলিম্পিকের জন্য নকশা করা
জার্মানির মিউনিখে ১৯৭২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদদের শোভাযাত্রা
  • এটা ছিল আইওসি সভাপতি এভ্রি ব্রুনডেজ এর নের্তৃত্বে সর্বশেষ অলিম্পিক প্রতিযোগিতা
  • মার্ক স্পিটজ, যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাঁতারু; তিনি সাতটা স্বর্ণপদক বিজয় করে বিশ্ব রেকর্ড করেন। তিনি ৪ বছর পূর্বে মেক্সিকো শহরের খেলায় আরো ২ টি স্বর্ণপদক জিতে মোট ৯ টি স্বর্ণপদক জিতেন)। স্পিটজের রেকর্ড ২০০৮ সালে মাইকেল ফিলিপ্স অতিক্রম করে।
  • অল্গা করবু৫, একজন সোভিয়েত শারীর-ক্রিয়াবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন দলগত ভাবে স্বর্ণ পদক পাওয়ার পর।
  • পুরুষদের বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায়, যুক্তরাষ্ট্রকে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিযোগিতায় হারায়; যা আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত প্রতিযোগিতা হিসেবে প্রখ্যাত।[১৪] টানটান সেই খেলায় যুক্তরাষ্ট্র ৫০-৪৯ এ ছিল। এরপর শেষ ৩ সেকেন্ডে সোভিয়েত ৫১-৫০ এ এগিয়ে যায়। সেসময় খেলাটি ৩ বার পুনরাবৃত্ত হয়েছিল[১৫] সবশেষে যুক্তরাষ্ট্র তাদের রৌপ্য পদক স্বীকারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে ও তাদের পদক সুইজারল্যান্ডের লুজানে সংরক্ষিত আছে।
  • ভ্যালেরি বরযোভ সোভিয়েত ইউনিয়নের, তিনি ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার ট্র্যাক ও ফিল্ড বিজয়ী হন। দুইজন শীর্ষ যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার রেয় রবিনসন ও এডি হার্ট, কোয়ার্টার ফাইনাল হেরে যান কারণ তারা ভুল সময়ে শুরু করেছিলেন।
  • দুইজন মার্কিন দৌড়বিদ ভিঞ্চেন্ট ম্যাথিউ ও ওয়াইন কলেট তাদের পদক (স্বর্ণ ও রোপ্য) কে ঘুরিয়েছেন একে অপরের সাথে মজা করেছেন এবং আমেরিকার পতাকাকে জাতীয় সংগীত দ্য স্টার স্প্যাংগল্ড ব্যানার বাজার সময় মুখ দেখাননি। তারা ১৯৬৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে টমি স্মিথ ও জন কারলোসের ন্যায় আজীবন অলিম্পিক থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যান।
  • যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াবিদ ডেভ ওটেল পুরুষের ৮০০ মি. এ বিজয়ী হবার পর, আনন্দ উৎযাপনের সময় নিজে গলফ টুপি খুলতে ভুলে যান। একে অনেকে ব্যাখ্যা করেন, ভিয়েতনামের যুদ্ধের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ হিসাবে। পরবর্তীতে ওটেল একে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে তার জন্য ক্ষমা চান।
  • অস্ট্রেলীয় সাতারু; ১৫ বছর বয়সেই সান গুল্ড তিনটি স্বর্ণপদক, একটি ব্রোঞ্জ ও একটি সিলভার পদক জয় করেন
  • আবডালা বুকারাম ইকুয়েডরের পতাকা বহন করেন। তার ২৪ বছর পর তিনি ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি হন।
  • হ্যান্ডবল (১৯৩৬ সালে শেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল) এবং ধনুর্বিদ্যা (১৯২০ সালে শেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল) দীর্ঘসময় পর পুনরায় ফিরে আসে।
  • প্রতিবন্ধক ক্যানো চালনা সেবারই প্রথম অলিম্পিকে আয়োজিত হয়েছিল।
  • ড্যান গেবল কুস্তিতে স্বর্ণ পদক জিতেছেন; প্রতিপক্ষকে তার বিরুদ্ধে কোনো স্কোর করার সুযোগ না দিয়েই। অন্য কোনো খেলোয়াড় অলিম্পিকের ময়দানে আজ পর্যন্ত তার এ রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে নি।
  • উইম রুস্কা প্রথম জুডো খেলোয়াড় যিনি ২ টি স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
  • প্রথমবারের মত রেফারীদের প্রতিনিধি অলিম্পিক শপথ নেন।
  • মার্কিন ফ্রাঙ্ক সর্টার জন্মগ্রহণ করেছেন মিউনিখে, তিনি ৬৪ বছরে তার দেশের প্রথম যিনি অলিম্পিক ম্যারাথনে স্বর্ণ জিতেছেন। জার্মান শিক্ষার্থী নোবার্ট সুধাস প্রতিযোগিতার ইউনিফর্ম পরে খেলায় ঢুকেন ও দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি শেষ কিলোমিটার অবধি দৌড়ান। জনগণ তাকেই বিজয়ী মনে করে, চিৎকার দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। এরপরই তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা বের করে দেয়। কিছু সেকেন্ড পর সর্টার পৌছানোর পর হতবিহ্বল হয়ে দেখতে পান, জনতা অন্যজনকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটা অলিম্পিকের ইতিহাসে তৃতীয়বার ঘটেছে।
মিউনিখ অলিম্পিকে স্মরণীয় ১০ চিহ্ন সংবলিত মুদ্রা, ১৯৭২
  • ব্যাডমিন্টন এবং পানিতে স্কিং করার নিয়মাবলী আরো বিস্তৃত হয়েছে।

স্থানসমূহ

অলিম্পিয়াপার্ককে আকাশথেকে দেখা
  • মিউনিখ অলিম্পিয়াপার্ক (অলিম্পিয়াপার্ক)
    • অলিম্পিক স্টেডিয়াম (অলিম্পিয়াস্টেডিওন) – অনুষ্ঠানের শুরু এবং সমাপ্তি এখানে হয়েছিল, ইসরায়েলের খেলোয়াড়দের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন নির্মিত
    • বক্সিং হল (বক্সহলে) – বক্সিং, জুডো (ফাইনাল)
    • সাইকেল স্টেডিয়াম (রাডস্টেডিওন) – সাইক্লিং
    • অলিম্পিক স্পোর্টস হল (স্পোর্থালে) – ব্যায়াম, হ্যান্ডবল (ফাইনাল)
    • হকি সুবিধা (হকিএংলাজ) – ফিল্ড হকি
    • সাতারের হল (সুইমহলে) – সাঁতার, ডাইভিং, জলফুটবল (ফাইনাল)।
    • ভলবল হল (ভলিবলহলে) – ভলিবল
    • অলিম্পক গ্রাম (অলিম্পিসেস ডর্ফ)
  • গ্রেট মিউনিখে
    • রিগাটা কোর্স (রিগাটাসট্রিকে), অবারস্কলেইবেহেম নৌকাবাইচ; নৌচালনা
    • বাস্কেটবল হল (বাস্কেটবল হলে), বাস্কেটবল, জুডো
    • ফেয়ারগ্রায়ন্ড, ফেঞ্চিং হল প্রথম (মেসেগেলান্ডে
    • ফেয়ার গ্রাউন্ড; দ্বিতীয় ফেঞ্চিং হল (মেসেগ্লেন্ডে, দ্বিতীয় ফেঞ্চহল) – অসিক্রীড়া, আধুনিক পেন্থালন
    • ফেয়ারগ্রাউন্ড (মেসেগ্লেন্ডে, গিউইঁচবারহল) – ভারোত্তলন
    • ফেয়ারগ্রাউন্ড, জুডো এবং কুস্তির জন্য হল (মেসেগ্লান্ডে, জুড়ো এবং পরিবেষ্টনীতে কুস্তি) – জুডো, কুস্তি
    • দান্তে সাতার সুবিধা (দান্তেবাদ) – ওয়াটার পোলো
    • শুটিং সুবিধা (স্কাইবাংলে), হোচব্রুক – শুটিং, আধুনিক পেন্থালন
    • ধনুর্বিদ্যার সুযোগ সমৃদ্ধ (বগিংসে), ইংলিসেচার গার্টেন – ধনুর্বিদ্যা
    • ঘোড়দোড় সুবিধা, রিম – অশ্বারোহীদের জন্য, আধুনিক পেন্থালন
    • পোশাক পরিবর্তনের সুবিধা, নিম্ফেনবার্গ – ঘোড়দৌড়
    • গ্রুনওয়াল্ড – সাইকেল চালানো
  • অন্যান্য স্থান
    • অলিম্পিক ইয়াচিং সেন্টার, কাইয়েল – পানিতে স্কিং
    • আর্বান স্টেডিয়াম (নুরেমবার্গ) – ফূটবল সূচনা
    • রেগেন্সবার্গ – ফূটবল সূচনা
    • ড্রেই ফ্লুসে স্টেডিওন (পাসাউ) – ফূটবল সূচনা
    • ইএসভি-স্টেডিওন (ইংগোলস্টাড) – ফূটবল সূচনা
    • অগসবার্গ – নৌকা বাইচ (এইস্কানাল), ফূটবল ভূমিকা (রোসেনাউস্টেডিওন), হ্যাণ্ডবল (স্পোর্থালে অগসবার্গ)
    • ডোনাউহলে – হ্যাণ্ডবল
    • এরিনা (গুপিংজেন) – হ্যাণ্ডবল
    • ববলিংজেন স্পোর্টসশেল – হ্যান্ডবল সূচনা
    • বুন্ডেসাউতোবাহন – সাইকেল চালনা (রাস্তায় সময়ের মধ্যে)

খরচ

অক্সফোর্ড অলিম্পিক স্টাডি ১৯৭২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে খরচের উপাত্ত তুলে ধরে। তাদের হিসাবে ২০১৫ সালের ডলার হিসেব ইউএসডি ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে।[১৬] এই হিসাবে শুধুমাত্র ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট হিসাবকেই পরিমাপ করা হয়েছে; অর্থাৎ যা ক্রীড়ার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যেমনঃ ক্রীড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত খরচ; ক্রীড়াবিদদের পরিবহন; সেখানে কর্মক্ষেত্র, প্রশাসন, নিরাপত্তা, খাদ্যাদি পরিবেশন, অনুষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রের সরাসরি অর্থের হিসাব যেমন ভেন্যু নির্বাচন, অলিম্পিক গ্রাম তৈরী, মিডিয়া ও সাংবাদিক সম্মেলন এসবকিছুর খরচ হিসাব করা হয়েছে। পরোক্ষ খরচ যেমন; এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে; রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, হোটেলের নানামুখি কর্মসুচি এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকে হিসাবে আনা হয় নি। মিউনিখ ১৯৭২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে খরচের হিসাবকে তুলনা করা হয় ২০১৬ সালের রিওর ৪.৬ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রীয় ডলারের সাথে। তুলনা করা হয় ২০১২ সালের লণ্ডনের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ১৫ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সাথে, (যা গ্রীষ্মকালের অলিম্পিকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি) তুলনা করা হয় ২০১৪ সালে সোচির ৫১ বিলিয়ন অর্থব্যয় করে আয়োজিত হওয়া অলিম্পিক ক্রীড়ার সাথে;যা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল অলিম্পিক ক্রীড়ানুষ্ঠান।[১৭] ১৯৬০ থেকে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেম এর হিসাবে গড়পড়তায় খরচ ৫.২ বিলিয়ন ইউএসডি ডলার।

পদক বিজয়ী

নিম্নোক্ত ২১ টি ক্রীড়ার জন্য ১৯৫ টি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল

প্রদর্শিত ক্রীড়া

  • ব্যাডমিন্টন
  • পানিতে স্কিং

অংশগ্রহণকারী জাতীয় ন্যাশনাল কমিটি

অংশগ্রহণকারী
দেশ অনুসারে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা

মিউনিখে ১১ জাতি অলিম্পিকে প্রথম পদার্পণ করে। এখানে আছে: আলবেনিয়া, দাহমে (বর্তমানে বেনিম), গাবন, উত্তর কোরিয়া, লেসোথো, মালওয়াই, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সোয়াজিল্যান্ড, টোগো, আপার ভল্টা (এখন বুর্কিনা ফাসো).

কুচকাওয়াজে জাতিগোষ্ঠী, জার্মান বর্ণঅনুসারে অংশগ্রহণ করে। এজন্য মিশর (ইজিপ্ট) থাকা সত্ত্বেও আগে গ্রিস গিয়েছে। পূর্ব জার্মানিকে সূচিত করা হয়েছে ডিডিআর হিসাবে, সোভিয়েত ইউনিয়নকে সূচিত করা হয়েছে ইউডিএসএসআর হিসাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সূচিত করা হয়েছে ইউএসএ হিসাবে।[১৮]

রোডেসিয়ার ১৯৭২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে আমন্ত্রণ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি দ্বারা অনুষ্ঠান শুরুর ৪ দিন পূর্বে বাতিল করা হয়। কারণ, আফ্রিকার দেশগুলোতে রোডেসিয়ার সরকারের যে প্রতিরোধ চালু রেখেছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় অলিম্পিক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও রোডেসিয়া গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের কিছুদিন পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া হেইডেলবার্গের ১৯৭২ সালের প্যারা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছিল।[১৯][২০]

অংশগ্রহণকারী জাতীয় অলিম্পক কমিটি
  •  আফগানিস্তান (৮)
  •  আলবেনিয়া (৫)
  •  আলজেরিয়া (৫)
  •  আর্জেন্টিনা (৯২)
  •  অস্ট্রেলিয়া (১৬৮)
  •  অস্ট্রিয়া (১১১)
  •  বাহামা দ্বীপপুঞ্জ (২০)
  •  বার্বাডোস (১৩)
  •  বেলজিয়াম (৮৮)
  •  বারমুডা (৯)
  •  বলিভিয়া (১১)
  •  ব্রাজিল (৮১)
  •  ব্রিটিশ হন্ডুরাস (১)
  •  বুলগেরিয়া (১৩০)
  •  বার্মা (১৮)
  •  ক্যামেরুন (১১)
  •  কানাডা (২০৮)
  •  সিলন (৪)
  •  চাদ (৪)
  •  চিলি (১১)
  •  কলম্বিয়া (৫৯)
  •  কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৬)
  •  কোস্টা রিকা (৩)
  •  কিউবা (১৩৭)
  •  চেকোস্লোভাকিয়া (১৮১)
  •  বেনিন (৩)
  •  ডেনমার্ক (১২৬)
  •  ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র (৫)
  •  ইকুয়েডর (২)
  •  মিশর (২৩)
  •  এল সালভাদোর (১১)
  •  ইথিওপিয়া (৩১)
  •  ফিজি (২)
  •  ফিনল্যান্ড (৯৬)
  •  ফ্রান্স (২২৭)
  •  গ্যাবন (১)
  •  পূর্ব জার্মানি (২৯৭)
  •  পশ্চিম জার্মানি (৪২৩) (আয়োজক)
  •  ঘানা (৩৫)
  •  গ্রেট ব্রিটেন (২৮৪)
  •  গ্রিস (৬০)
  •  গুয়াতেমালা (৮)
  •  গায়ানা (৩)
  •  হাইতি (৭)
  •  হংকং (১০)
  •  হাঙ্গেরি (২৩২)
  •  আইসল্যান্ড (২৫)
  •  ভারত (৪১)
  •  ইন্দোনেশিয়া (৬)
  •  ইরান (৪৮)
  •  আয়ারল্যান্ড (৫৯)
  •  ইসরায়েল (১৪)
  •  ইতালি (২২৪)
  •  কোত দিভোয়ার (১১)
  •  জ্যামাইকা (৩৩)
  •  জাপান (১৮৪)
  •  কেনিয়া (৫৭)
  •  খেমের প্রজাতন্ত্র (৯)
  •  উত্তর কোরিয়া (৩৭)
  •  দক্ষিণ কোরিয়া (৪২)
  •  কুয়েত (৪)
  •  লেবানন (১৯)
  •  লেসোথো (১)
  •  লাইবেরিয়া (৫)
  •  লিশটেনস্টাইন (৬)
  •  লুক্সেমবুর্গ (১১)
  •  মাদাগাস্কার (১১)
  •  মালাউই (১৬)
  •  মালয়েশিয়া (৪৫)
  •  মালি (৩)
  •  মাল্টা (৫)
  •  মেক্সিকো (১৭৪)
  •  মোনাকো (৫)
  •  মঙ্গোলিয়া (৩৯)
  •  মরক্কো (৩৫)
  •  নেপাল (২)
  •  নেদারল্যান্ডস (১১৯)
  •  নেদারল্যান্ডস এন্টিলস (২)
  •  নিউজিল্যান্ড (৮৯)
  •  নিকারাগুয়া (৮)
  •  নাইজার (৪)
  •  নাইজেরিয়া (২৫)
  •  নরওয়ে (১১২)
  •  পাকিস্তান (২৫)
  •  পানামা (৭)
  •  প্যারাগুয়ে (৩)
  •  পেরু (২০)
  •  ফিলিপাইন (৫৩)
  •  পোল্যান্ড (২৯০)
  •  পর্তুগাল (২৯)
  •  পুয়ের্তো রিকো (৫৩)
  •  রোমানিয়া (১৫৯)
  •  সান মারিনো (৭)
  •  সৌদি আরব (১০)
  •  সেনেগাল (৩৮)
  •  সিঙ্গাপুর (৭)
  •  সোমালিয়া (৩)
  •  সোভিয়েত ইউনিয়ন (৩৭১)
  •  স্পেন (১২৩)
  •  সুদান (২৬)
  •  সুরিনাম (২)
  •  সোয়াজিল্যান্ড (২)
  •  সুইডেন (১৩১)
  •  সুইজারল্যান্ড (১৫১)
  •  সিরিয়া (৫)
  •  তাইওয়ান (২১)
  •  তানজানিয়া (১৫)
  •  থাইল্যান্ড (৩৩)
  •  টোগো (৭)
  •  ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (১৯)
  •  তিউনিসিয়া (৩৫)
  •  তুরস্ক (৪৩)
  •  উগান্ডা (৩৩)
  •  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৪০০)
  •  উর্ধ্ব ভোল্টা (১)
  •  উরুগুয়ে (১৩)
  •  ভেনেজুয়েলা (২৩)
  •  ভিয়েতনাম (২)
  •  ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ (১৬)
  •  যুগোস্লাভিয়া (১২৬)
  •  জাম্বিয়া (১১)

পঞ্জিকা

সকল সময় মধ্য ইউরোপীয় সময় (ইউটিসি+১) অনুসারে
OCউদ্বোধনী অনুষ্ঠানইভেন্ট প্রতিযোগিতাস্বর্ণ পদকের ইভেন্টMSস্মারক সেবাCCসমাপনী অনুষ্ঠান
আগস্ট/সেপ্টেম্বর২৬
শনি
২৭
রবি
২৮
সোম
২৯
মঙ্গল
৩০
বুধ
৩১
বৃহ

শুক্র

শনি

রবি

সোম

মঙ্গল

বুধ

বৃহ

শুক্র

শনি
১০
রবি
১১
সোম
ইভেন্ট
উদ্বোধনীOCMSCC
ধনুর্বিদ্যা
শরীরচর্চা৩৮
বাস্কেটবল
বক্সিং১১১১
নৌকা বাইচ১১
সাইকেল চালনা
ডাইভিং
ঘোড়দৌড়
অসিক্রীড়া
মাঠে হকি
ফুটবল
ব্যায়াম (জিমন্যাস্টিকস)১৪
হ্যান্ডবল
জুডো
আধুনিক পেনথালটন
রোয়িং
সেইলিং
শুটিং
সাতাঁর২৯
ভলিবল
জলে ফুটবল
ভারোত্তোলন
কুস্তি১০১০২০
দৈনিক পদকের ইভেন্ট১২২৭১৬২৩১৪১৩১৬২৬২৩১৯৫
ক্রমবর্ধমান মোট১০১৮৩১৫৮৭৪৯৭১১১১২৪১২৬১৪২১৪৫১৭১১৯৪১৯৫
আগস্ট/সেপ্টেম্বর২৬
শনি
২৭
রবি
২৮
সোম
২৯
মঙ্গল
৩০
বুধ
৩১
বৃহ

শুক্র

শনি

রবি

সোম

মঙ্গল

বুধ

বৃহ

শুক্র

শনি
১০
রবি
১১
সোম
মোট ইভেন্ট


‡ ৫ সেপ্টেম্বর কোনো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিতও হয় নি ও পুরস্কার দেওয়াও হয় নি এবং মিউনিখ হত্যাকান্ডের দরুণ পরদিন ২৪ ঘন্টা সকল প্রতিযোগিতামুলক কর্মকান্ড স্থগিত করা হয়েছিল

‡ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৬ সেপ্টেম্বত স্মরণীয় স্তম্ভ তৈরী করা হয়েছিল। সেখানে ৮০ হাজার দর্শক ও ৩০০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহন করেছিল। পরদিন থেকে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা পুনরায় চালু হয়েছিল।


পদক গণনা

১৯৭২ সালের অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় নিম্নোক্ত দশটি দেশ পদক জয়ে শীর্ষে থাকে।

অবজাতিস্বর্ণরৌপ্যব্রোঞ্জমোট
 সোভিয়েত ইউনিয়ন৫০২৭২২৯৯
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৩৩৩১৩০৯৪
 পূর্ব জার্মানি২০২৩২৩৬৬
 পশ্চিম জার্মানি*১৩১১১৬৪০
 জাপান১৩২৯
 অস্ট্রেলিয়া১৭
 পোল্যান্ড২১
 হাঙ্গেরি১৩১৬৩৫
 বুলগেরিয়া১০২১
১০  ইতালি১০১৮
মোট (১০টি জাতি)১৬১১৩৮১৪১৪৪০
চাবি

  *   স্বাগতিক জাতি (পশ্চিম জার্মানি)

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

  • "Munich 1972"Olympic.org। International Olympic Committee। 
  • "Results and Medalists" [ফলাফল ও পদক তালিকা]। Olympic.org (ইংরেজি ভাষায়)। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। 
  • The main theme of the 1972 Summer Olympics by Gunther Noris and the Big Band of Bundeswehr "Munich Fanfare March-Swinging Olympia ইউটিউবে ভিডিও

আরো পড়ুন

  • Schiller, Kay, and Christopher Young. The 1972 Munich Olympics and the Making of Modern Germany (University of California Press; 2010) 348 pages
  • Preuss, Holger. The Economics of Staging the Olympics: A Comparison of the Games, 1972–2008 (2006)
  • Oxlade, Chris, et al. Olympics. Rev. ed. London: DK, 2005. Print.
ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
মেক্সিকো সিটি
গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস
মিউনিখ

১৯৭২
উত্তরসূরী
মন্ট্রিয়ল
🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ