ইদি আমিন
ইদি আমিন (১৯২৪ – আগস্ট ১৬, ২০০৩) উগান্ডার তৃতীয় রাষ্ট্রপ্রধান যিনি ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত উগান্ডা শাসন করে। তিনি পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপ্রধান মিল্টন অবোতেকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। শুরুর দিকে সাধারণ উগান্ডাবাসী তাকে নিজেদের রক্ষকর্তা বলে মনে করতো। কিন্তু অল্পকিছুদিনের মধ্যেই আমিন তার রাজনৈতিক সমালোচকদের নিষ্ঠুরভাবে দমনের মাধ্যমে তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করেন। ইদি আমিনের সরকার সর্বপ্রথম যুক্তরাজ্যের সমর্থন অর্জন করেন,যেহেতু পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ওবোতে কমিউনিস্টপন্থী ছিলেন। প্রেসিডেন্ট আমিন ছিলেন খুবই হামবড়া স্বভাবের। তিনি নিজেকে তাবৎ পশু ও সমুদ্রের মৎসকুলের অধিশ্বর বলে দাবী করতেন। প্রথমিক শিক্ষা শেষ না করা আমিন নিজেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী হিসেবে দাবী করতেন। ক্ষমতায় এসে ইদি আমিন বাণিজ্যের উপর স্বদেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্বান্ত নেন। এর আগে ভারতীয়রা এবং ব্রিটিশরা উগান্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো। আমিন ভারতীয়দের এবং ব্রিটিশদের উগান্ডা ত্যাগে বাধ্য করেন। হঠাৎ বণিক বনে যাওয়া উগান্ডিয়ানদের বাণিজ্যে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল খুবই কম। তাই উগান্ডার পণ্যা সরবরাহ ব্যবস্থা ধসে পড়ে। আমিন উগান্ডার সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত কফির উপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।
ইদি আমিন দাদা | |
---|---|
উগান্ডার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭১ – ১৯৭৯ | |
উপরাষ্ট্রপতি | মুস্তাফা আর্দ্রিসি |
পূর্বসূরী | মিল্টন ওবোতে |
উত্তরসূরী | ইউসুফু লুলে |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯২০-এর মাঝামাঝি সময় কোবোকো অথবা কাম্পালা[১] |
মৃত্যু | আগস্ট ১৬, ২০০৩ জেদ্দা, সৌদি আরব |
জাতীয়তা | উগান্ডীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | মালিয়ামু আমিন (বিচ্ছেদ) কেই আমিন (বিচ্ছেদ) নোরা আমিন (বিচ্ছেদ) মদিনা আমিন সারাহ্ আমিন |
জীবিকা | সামরিক কর্মকর্তা |
মৃত্যু
২০০৩ সালের ২০শে জুলাই ইদি আমিনের স্ত্রীদের একজন, মদিনা, জানান যে, আমিন সৌদি আরবের জেদ্দার কিং ফাহাদ হাসপাতালে কোমায় সংজ্ঞাহীন ও মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসাভেনির কাছে আবেদন জানান, যাতে আমিন দেশের মাটিতে মরতে পারেন। মুসাভেনি জবাব দেন, আমিন দেশে ফেরা মাত্র তার অপরাধের বিচার করা হবে। [২]
এর এক মাস পরে ২০০৩ সালের ১৬ই আগস্ট আমিনের মৃত্যু হয়, এবং তাকে জেদ্দার রুয়াইস কবরস্থানে দাফন করা হয়। [৩]