প্রেরিত থোমা
প্রেরিত থোমা (হিব্রু ভাষায়: תוֹמָאס הקדוש; প্রাচীন গ্রিক: Θωμᾶς; আরবি: توما; কিবতীয়: ⲑⲱⲙⲁⲥ; সিরীয়: ܬܐܘܡܐ ܫܠܝܚܐ; মালয়ালম: തോമസ് അപ്പസ്തോലൻ; মৃত্যু ৭২ খ্রীষ্টাব্দ), যিনি দিদিমুস নামেও পরিচিত, ছিলেন নূতন নিয়ম অনুযায়ী যীশুর একজন প্রেরিত। থোমাকে সাধারণভাবে অভিশঙ্কী থোমা হিসেবে অবিহিত করা হয় কেননা তিনি যীশুর পুনরুত্থান সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন; পরবর্তীতে যীশুর ক্রুশারোপণজনিত জখম দেখে আমার প্রভু ও আমার ঈশ্বর বলে তিনি তাঁর বিশ্বাসের স্বীকারোক্তি জানিয়েছিলেন।
প্রেরিত থোমা | |
---|---|
প্রেরিত ধর্মপ্রচারক সাক্ষী | |
জন্ম | খ্রীষ্টীয় ১ম শতাব্দী গালীল, রোমীয় যিহূদিয়া প্রদেশ, রোমীয় সাম্রাজ্য (অধুনা ইসরায়েল)[১] |
মৃত্যু | ২১ ডিসেম্বর ৭২ খ্রীষ্টাব্দ মায়ালপুর, চেন্নাই, তামিল নাড়ু (অধুনা ভারত)[২][৩] |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | সন্ত থোমা খ্রীষ্টানসহ সকল খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী |
সিদ্ধ ঘোষণা | প্রাক-মণ্ডলী |
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান | সাধু থোমার বাসিলিকা, মায়ালপুর, চেন্নাই, ভারত সন্ত থোমার বাসিলিকা, অর্তোনা, ইতালি |
উৎসব |
|
বৈশিষ্ট্যাবলী | The Twin, placing his finger in the side of Christ, spear (means of his Christian martyrdom), square (his profession, a builder) |
এর রক্ষাকর্তা | ভারত; Saint Thomas Christians; শ্রীলঙ্কা; Pula, Croatia; and Archdiocese of Madras-Mylapore |
অধুনা ভারতের কেরল অঙ্গরাজ্যের সন্ত থোমা খ্রীষ্টানদের ঐতিহ্য অনুসারে প্রেরিত থোমা সুসমাচার প্রচারের উদ্দেশ্যে রোমান সাম্রাজ্যের বাইরে গমন করেছিলেন এবং দূরবর্তী মালাবার উপকূলে এসে পৌঁছেছিলেন, যা বর্তমানে ভারতের কেরলে অবস্থিত।[১][৬][৭][৮] তাদের ঐতিহ্যমতে থোমা ৫২ খ্রীষ্টাব্দে মুজিরিসে গিয়েছিলেন।[২][৩][১] ১২৫৮ সালে তাঁর কিছু দেহাবশেষ ইতালির অর্তনোর আব্রুজ্জোতে নিয়ে আসা হয়েছিল যেখানে সন্ত থোমার গির্জা অবস্থিত।[৯] তাঁকে প্রায়শই ভারতের পৃষ্ঠপোষক সন্ত গণ্য করা হয়[১০][১১] এবং থোমা নামটি ভারতের সন্ত থোমা খ্রীষ্টানদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।