বংবং মার্কোস
বংবং মার্কোস, মূলনাম ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র[৩][৪][৫] ( Tagalog: [ˈmaɾkɔs], ইংরেজি: /ˈmɑːrkɔːs/ MAR-kawss ;[৬] জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭), সাধারণত বংবং মার্কোস নামে পরিচিত। সংক্ষেপে BBM বলা হয়। তিনি একজন ফিলিপিনো রাজনীতিবিদ। তিনি ফিলিপাইনের ১৭তম এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি ।[৭][৮][৯] তিনি এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ও প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি ইমেল্ডা রোমুয়াল্ডেজ মার্কোসের দ্বিতীয় সন্তান ও একমাত্র পুত্র।[৩]
মহামান্য রাষ্ট্রপতি বংবং মার্কোস | |
---|---|
১৭তম ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩০ জুন ২০২২ | |
উপরাষ্ট্রপতি | সারা দুতের্তে |
পূর্বসূরী | রদ্রিগো দুতের্তে |
কৃষি সচিব | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩০ জুন ২০২২ | |
রাষ্ট্রপতি | নিজে |
পূর্বসূরী | উইলিয়াম দার |
ফিলিপাইনের সিনেটর | |
কাজের মেয়াদ ৩০ জুন ২০১০ – ৩০ জুন ২০১৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র. ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ সান্তা মেসা, মেনিলা, মেট্র মেনিলা[১] |
রাজনৈতিক দল | প্ওিফপি (২০২১–বর্তমানজাতীয়তাবাদী (২০০৯–২০২১)কিলুসাং বগং লিপুনন (১৯৮০–২০০৯) |
দাম্পত্য সঙ্গী | লুইস আরানেটা, (বিবাহ ১৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে)[২] |
সন্তান | ৩ জন |
পিতামাতা | ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ইমেল্ডা মার্কোস |
বাসস্থান | মালাকানাং প্রাসাদ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সেন্ট এডমন্ড হল, অক্সফোর্ড (বিশেষ ডিপ্লোমা) হার্টন বিজনেস স্কুল, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (স্নাতক হননি) |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | www |
১৯৮০ সালে, মার্কোস ইলোকোস নর্টের ভাইস গভর্নর হন। তার পিতার কিলুসাং ব্যাগং লিপুনান পার্টির সাথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। তার পিতা সামরিক আইনের অধীনে সে সময় ফিলিপাইন শাসন করেন।[১০] তার পরিবার জনগণের বিপ্লবের দ্বারা ক্ষমতাচ্চুত হওয়া পর্যন্ত তিনি ১৯৮৩ সালে ইলোকোস নর্টের গভর্নর ছিলেন। তারপর ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাওয়াইতে নির্বাসনে পালিয়ে যান[১১] ১৯৮৬ সালে পিতার মৃত্যুর পর, রাষ্ট্রপতি কোরাজন অ্যাকুইনো তার পরিবারকে বিভিন্ন অভিযোগের মুখোমুখি হতে অব্যাহতি দিয়ে ফিলিপাইনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন।[১২] মার্কোস ও তার মা ইমেলদা, তার পিতার স্বৈরশাসনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের প্রতিশোধের জন্য ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের জন্য আদালতের আদেশ অমান্য করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হন।[১৩]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
বংবং মার্কোস ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭-এ ফার্দিনান্দ মারকোস ও ইমেল্ডা মার্কোসের ঐরোশে ফার্দিনান্দ রোমুয়াল্ডেজ মার্কোস জুনিয়র জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার বাবা ইলোকোস নর্টের জেলার দ্বিতীয় প্রতিনিধি ছিলেন এবং দুই বছর পরে সিনেটর হন। তার নেতাদের মধ্যে বিশিষ্ট মার্কোস বন্ধু এডুয়ার্ডো "ড্যান্ডিং" কোজুয়াংকো জুনিয়র[১৪] (p286) এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যাগনেট হোসে ইয়াও ক্যাম্পোস ছিলেন।[১৫]
শিক্ষা
মার্কোস প্রথমে ম্যানিলার ইনস্টিটিউশন টেরেসিয়ানা এবং লা স্যালে গ্রিন হিলস-এ পড়াশোনা করেন। যেখানে তিনি যথাক্রমে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।[১৬][১৭]
১৯৭০ সালে, মার্কোসকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। যেখানে তিনি ওয়েস্ট সাসেক্সের একটি সববয়সীদের জন্য বেনেডিক্টাইন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্থ স্কুলে থাকতেন এবং পড়াশোনা করতেন।[৩][১৮] ১৯৭২ সালে যখন তার বাবা ফিলিপাইনে সামরিক আইন জারি করেন তখন তিনি সেখানে অধ্যয়নরত ছিলেন।[৩][১৮]
তারপর তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি (পিপিই) পড়ার জন্য অক্সফোর্ডের সেন্ট এডমন্ড হলে ভর্তি হন। পিপিই-তে স্নাতক[১৯] ডিগ্রি পাননি।[২০][২১][২২] মার্কোস দর্শনে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু অর্থনীতিতে ব্যর্থ হন এবং দুবার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ব্যর্থ হন।[২৩][২৪] পরিবর্তে, তিনি সামাজিক বিষয়ে অধ্যয়ন করে বিশেষ ডিপ্লোমা পান।[২২] যা সাধারণত অ-স্নাতকদের দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় তা দেওয়া হয় না।[২০][২৫] মার্কোস এখনও মিথ্যাভাবে দাবি করেন যে, তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করেছেন। যদিও ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড নিশ্চিত করেছে যে, মার্কোস তার ডিগ্রি শেষ করেননি।[২৬]মার্কোস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ার্টন স্কুল অফ বিজনেস- এ মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রোগ্রামে ভর্তি হন। তবে তা সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হন। মার্কোস দাবি করেন যে, তিনি ১৯৮০ সালে ইলোকোস নর্টের ভাইস গভর্নর হিসাবে তার নির্বাচনের জন্য এ ডিগ্রী প্রত্যাহার করে[২৭] । রাষ্ট্রপতির কমিশন অন গুড গভর্নমেন্ট পরে রিপোর্ট করে যে, তার টিউশন ফি মাসিক মার্কিন $১০,০০০ ( ২০২৪ সাল) এবং ওয়ার্টনে অধ্যয়নের সময় তিনি যে এস্টেটে বসবাস করতেন এবং যে ব্যয় করেন তা গোয়েন্দা রিপোর্টে পাওয়া যায়। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, আমেরিকার ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউরন্ট এ অর্থ গোপনে পাঠায়।[২৮]
সিনেট ক্যারিয়ার
রাষ্ট্রপতি (২০২২-বর্তমান)
৩০ জুন, ২০২২-এ, মার্কোস জুনিয়র ফিলিপাইনের জাতীয় জাদুঘরে ফিলিপাইনের ১৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং প্রধান বিচারপতি আলেকজান্ডার গেসমুন্ডো শপথ বাক্য পাঠ করান।
ফিল্ম
শিরোনাম | ভূমিকা | বছর |
---|---|---|
ইগিনুহিত এন তাধানা: ফার্ডিনান্ড ই. মার্কোস স্টোরি | নিজেকে | ১৯৬৫ |
ব্যক্তিগত জীবন
মার্কোস লুইস "লিজা" ক্যাচো অ্যারানেটাকে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী বিশিষ্ট অ্যারানেটা পরিবারের সদস্য। তাদের তিনটি পুত্র রয়েছে: ফার্দিনান্দ আলেকজান্ডার তৃতীয় "স্যান্ড্রো" (জন্ম ১৯৯৪), জোসেফ সাইমন (জন্ম ১৯৯৫) এবং উইলিয়াম ভিনসেন্ট "ভিনি" (জন্ম ১৯৯৭)।[৩০][৩১][৩২] তিনি জাতিগতভাবে বংশানুক্রমে ইলোকানো। কিন্তু তিনি একটি ম্যানিলেনো পরিবারে বড় হন এবং ইলোকানো ভাষায় কথা বলেন না।[৩৩][৩৪] মার্কোস স্যাক্সোফোন বাজাতে পারেন।[৩৫]
বহিঃসংযোগ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- Senate biography
- মার্কোস পরিবার
- ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের থার্ড ওয়ার্ল্ড স্টাডিজ সেন্টারের মার্কোস রেজিম রিসার্চ (MRR) প্রোগ্রাম
- মার্শাল ল মেমোরিয়াল মিউজিয়াম
- মার্শাল ল ক্রনিকলস প্রজেক্ট