লাইম রোগ
লাইম রোগ (যা লাইম বোরেলিওসিস নামেও পরিচিত) হলো বোরেলিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি ভেক্টর-বাহিত রোগ, যা আইক্সোডস গণের আটুঁলির কামড়ে হয়ে থাকে। [৩] [৮] [৯] সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল প্রসারিত লাল ফুসকুড়ি। যা এরিথেমা মাইগ্রানস (EM) নামে পরিচিত। এগুলো আটুঁলি কামড়ের জায়গায় প্রায় এক সপ্তাহ পরে উপস্থিত হয়। [১] ফুসকুড়ি সাধারণত চুলকানি বা বেদনাদায়ক হয় না। [১] আনুমানিক ৭০-৮০% সংক্রামিত লোকে ফুসকুড়ি তৈরি করে। [১] প্রাথমিক রোগ নির্ণয় করা কঠিন হতে পারে। [১০] অন্যান্য প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। [১]
লাইম রোগ | |
---|---|
প্রতিশব্দ | লাইম বরেলিওসিস |
একটি প্রাপ্তবয়স্ক জোডেস স্ক্যাপুলারিস আটুঁলি (অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরিণত আটুঁলি দিয়ে লাইম রোগ হয়ে থাকে) | |
বিশেষত্ব | সংক্রামক ব্যাধি |
লক্ষণ | লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি[১] |
জটিলতা | ফেসিয়াল স্নায়ুর প্যারালাইসিস], অস্থিসন্ধির প্রদাহ, মেনিনজাইটিস[১] হৃৎপিণ্ডের অস্বাভাবিক ছন্দ[২] |
রোগের সূত্রপাত | কামড়ের এক সপ্তাহের মধ্যে[১] |
কারণ | বরেলিয়া'[৩] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | লক্ষণের উপর নির্ভর করে, রক্ত পরীক্ষা [৪] |
প্রতিরোধ | আটুঁলির কামড় প্রতিরোধ করা, ডক্সিসাইক্লিন[৩] |
ঔষধ | ডক্সিসাইক্লিন, এমোক্সিসিলিন, সেফট্রায়াক্সন, সেফুরক্সিম[৩] |
সংঘটনের হার | যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ~৪,৭৬,০০০ হাজার, ইউরোপে প্রতিবছর ~ ২,০০,০০০[৫][৬][৭] |
চিকিৎসা করা না হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।যেমন মুখের এক বা উভয় পাশের নড়াচড়া করার ক্ষমতা হ্রাস, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া, মেনিনজাইটিস এবং মাথাব্যথা হতে পারে। [১] কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পরে, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা এবং ফোলার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। [১] মাঝে মাঝে বাহু ও পায়ে ঝাঁকুনি হতে পারে। [১] উপযুক্ত চিকিৎসা সত্ত্বেও, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ২০% অন্তত ছয় মাস ধরে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, স্মৃতিশক্তির সমস্যা এবং ক্লান্তি অনুভব করে। [১] [১১]
লক্ষণ ও উপসর্গ
কারন
রোগ নির্ণয়
আরও পড়া
- Ostfeld R (২০১২)। Lyme Disease: The Ecology of a Complex System। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-992847-7।
- Barbour AG (২০১৫)। Lyme disease: why it's spreading, how it makes you sick, and what to do about it। আইএসবিএন 978-1-4214-1721-9।
- Halperin JJ, সম্পাদক (২০১৮)। Lyme disease: an evidence-based approach (2nd সংস্করণ)। CABI। আইএসবিএন 978-1-78639-207-7।
- Radolf JD, Samuels DS, সম্পাদকগণ (২০২১)। Lyme disease and relapsing fever spirochetes: genomics, molecular biology, host interactions and disease pathogenesis। Caister। আইএসবিএন 978-1-913652-61-6।
- "We Used to Have a Lyme Disease Vaccine. Are We Ready to Bring One Back?"। জুন ১৭, ২০২১।
বহি:সংযোগ
- সিডিসি - লাইম রোগ
- অ্যাসোসিয়েশন ফর পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিজ গাইড - প্রস্তাবিত রিপোর্টিং ভাষা, লাইম ডিজিজ সেরোলজিক পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কিত ব্যাখ্যা এবং নির্দেশিকা
- NIH - লাইম রোগ
- NICE নির্দেশিকা - লাইম রোগ
শ্রেণীবিন্যাস | |
---|---|
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |