সালমান বিন আবদুল আজিজ
সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (আরবি: سلمان ابن عبد العزيز آل سعود, সালমান বিন আব্দ্ আল-আজিজ আল সাউদ, ; জন্মঃ ডিসেম্বর ৩১, ১৯৩৫) হলেন সৌদি আরবের বাদশাহ, দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম এবং আল সৌদের প্রধান। তিনি ২০১১ সাল থেকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তারও আগে ১৯৬৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত ছিলেন। সালমান জানুয়ারি ২৩, ২০১৫ তারিখে তার সৎভাই বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের স্থলাভিষিক্ত হন।[১][২]
সালমান | |||||
---|---|---|---|---|---|
সৌদি আরবের বাদশাহ সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম | |||||
সৌদি আরবের বাদশাহ | |||||
রাজত্ব | জানুয়ারি ২৩, ২০১৫ – বর্তমান | ||||
Bay'ah | জানুয়ারি ২৩, ২০১৫ | ||||
পূর্বসূরি | আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ | ||||
উত্তরসুরি ঘোষণা | মুকরিন বিন আবদুল আজিজ (২০১৫) মুহাম্মদ বিন নায়েফ (২০১৫–২০১৭) মুহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭–বর্তমান | ||||
জন্ম | রিয়াদ, সৌদি আরব | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৫||||
| |||||
রাজবংশ | আল সৌদ | ||||
পিতা | আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ | ||||
মাতা | হাসসা আল সৌদাইরি | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
প্রাথমিক জীবন
সালমান ডিসেম্বর ৩১, ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি ইবনে সৌদের ২৫তম সন্তান।[৩][৪] তার মায়ের নাম হাসসা আল সৌদাইরি।[৫] সালমান এবং তার ছয় ভাই সৌদাইরি সেভেন হিসেবে পরিচিত।[৬] তিনি রিয়াদের ঐতিহাসিক মুরাব্বা প্রাসাদে বেড়ে ওঠেন।
সালমান রাজধানী রিয়াদের প্রিন্স স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এই বিদ্যালয়টি ইবনে সৌদ কর্তৃক শুধুমাত্র তার সন্তানদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।[৭] তিনি ধর্ম ও আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করেন।[৮]
প্রাথমিক অভিজ্ঞতা
সালমান শাসনকার্যের অভিজ্ঞতা লাভ করেন মাত্র ১৮ বছর বয়সে, যখন তার পিতা মার্চ ১৭, ১৯৫৪ সালে তাকে একজন আমির এবং রিয়াদের সহকারী গভর্নর নিযুক্ত করেন।[৩][৮] পরবর্তিতে এপ্রিল ১৯, ১৯৫৫ সালে তিনি মন্ত্রী পদমর্যাদায় রিয়াদের গভর্নর নিযুক্ত হন।[৩][৮] সালমান ডিসেম্বর ২৫, ১৯৬০ সালে এই দায়িত্ব পরিত্যাগ করেন।[৭]
রিয়াদের শাসনকর্তা
সালমান ফেব্রুয়ারি ৪, ১৯৬৩ সালে রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন।[৭] গভর্নর হিসেবে তিনি রিয়াদের উন্নয়নে অবদান রাখেন। তিনি তার দেশের পর্যটন রাজধানী প্রকল্প এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মৈত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পশ্চিম সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও বিশেষ অবদান রাখেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সালমান বিন আব্দুল আজিজ তিনবার বিবাহ করেন। তার প্রথম স্ত্রী সুলতানা বিনতে তুর্কি আল সৌদাইরি যিনি, জুলাই ২০১১ সালে ৭১ বছর বয়সে মারা যান, এবং ছিলেন তার মামা আসির প্রদেশের সাবেক গভর্নর তুর্কি বিন আহমদ আল সৌদাইরির কন্যা।[৯][১০][১১][১১][১২] সুলতানা ছিলেন সালমানের বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রমের অনুপ্রেরণা।[১৩] এই পরিবারের সালমানের সন্তানরা হলেন, প্রিন্স ফাহাদ, প্রিন্স আহমদ, প্রিন্স সুলতান, প্রিন্স আব্দুল আজিজ, প্রিন্স ফয়সাল এবং প্রিন্সেস হাসসা[১৩]