স্ট্রেঞ্জার থিংস
স্ট্রেঞ্জার থিংস হল ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় দ্বারা নির্মিত, লিখিত এবং পরিচালিত একটি মার্কিন কল্পবিজ্ঞান-ভৌতিক ওয়েব টেলিভিশন ধারাবাহিক।ডাফ ভ্রাতৃদ্বয়, শন লেভি এবং ড্যান কোহেন হল এই ধারাবাহিকের নির্বাহী প্রযোজক।এই ধারাবাহিকের প্রথম মরশুম ২০১৬ সালে মুক্তি পায়, এবং এটির প্রধান অভিনেতারা হলেন উইনোনা রাইডার, ডেভিড হারবার, ফিন উল্ফহার্ড, মিলি ববি ব্রাউন, গেটন ম্যাটার্যাজো, কেলেব ম্যাকলখলিন, ন্যাটালিয়া ডায়ার, চার্লি হিটন, কারা বুয়োনো, ম্যথিউ মোডাইন, নোয়া শ্ন্যাপ এবং জো কিরি।দ্বিতীয় মৌসুমে শ্ন্যাপ এবং কিরিকে ধারাবাহিকে নিয়মিত করে দেওয়া হয়, এবং স্যাডি সিঙ্ক, ডেকার মন্টগোমেরি, শন অ্যাস্টিন এবং পল রেইজার নতুন চরিত্রে যোগ দেন।তৃতীয় মৌসুমে মায়া হক এই ধারাবাহিকে যোগ দেন।
স্ট্রেঞ্জার থিংস | |
---|---|
ধরন |
|
নির্মাতা | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় |
অভিনয়ে |
|
সুরকার |
|
মূল দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মূল ভাষা | (ইংরেজি) |
মৌসুমের সংখ্যা | ০৩ |
পর্বের সংখ্যা | ২৫ (পর্বের তালিকা) |
নির্মাণ | |
নির্বাহী প্রযোজক |
|
নির্মাণের স্থান | জ্যাকসন, জর্জিয়া |
চিত্রগ্রাহক |
|
ব্যাপ্তিকাল | ৪২-৬২ মিনিট |
নির্মাণ কোম্পানি |
|
পরিবেশক | নেটফ্লিক্স |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | নেটফ্লিক্স |
ছবির ফরম্যাট |
|
অডিওর ফরম্যাট | ডলবি ডিজিটাল ৫.১ |
মূল মুক্তির তারিখ | ১৫ জুলাই ২০১৬ বর্তমান | –
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট |
ধারাবাহিকটির প্রেক্ষাপট হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি কাল্পনিক শহর হকিন্স।প্রথম মৌসুমটি হকিন্স শহরে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার মধ্যে এক অল্প বয়স্ক ছেলের অন্তর্ধান রহস্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।দ্বিতীয় মৌসুমটি প্রথমটির এক বছর পরের ঘটনা, এবং এর বিষয়বস্তু হল প্রথম মৌসুমের ঘটনাগুলি কীভাবে চরিত্রগুলির উপর প্রভাব ফেলে এবং তারা কীভাবে সেগুলি থেকে সামলে ওঠে।তৃতীয় মৌসুমটির সময়কাল হলো ১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়।
ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়রা ধারাবাহিকটি অনুসন্ধানমূলক নাটকের পাশাপাশি শিশুসুলভ ভাবপ্রবণতার সঙ্গে অতিপ্রাকৃতিক উপাদানগুলির একটি সংমিশ্রণে তৈরি করেছেন,এবং ১৯৮০-র দশকের একটি সময়সীমা প্রতিষ্ঠা করে সেই দশকের পপ সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।ধারাবাহিকটির বেশকিছু বিষয় এবং নির্দেশনামূলক দিক স্টিভেন স্পিলবার্গ, জন কারপেন্টার, স্টিভেন কিং সহ অন্যান্যদের কাজ এবং বিভিন্ন চলচ্চিত্র, অ্যানিমে এবং ভিডিও গেমের দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং নান্দনিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।
প্রথম মৌসুমটি নেটফ্লিক্সে ১৫ই জুলাই ২০১৬ সালে মুক্তি পায়।ধারাবাহিকটির চরিত্রায়ন, গতি, পরিবেশায়ন, অভিনয়, আবহ সঙ্গীত, নির্দেশনা, লিখন এবং ১৯৮০-র চলচ্চিত্রের রীতিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ তারিখে নেটফ্লিক্স ৯টি পর্বের একটি দ্বিতীয় মৌসুমের জন্য ধারাবাহিকটি পুনর্নবনীকরণ করে এবং ২৭শে অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে সেটা মুক্তি পায়।২০১৭ সালের ডিসেম্বরে নেটফ্লিক্স তৃতীয় মৌসুমের অনুমোদন দেয়, এবং ৮টি পর্বের এই মৌসুমের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে,এবং এর প্রথম পর্বটি মুক্তি পাবে ৪ঠা জুলাই, ২০১৯।ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়েরা জানিয়েছেন যে ধারাবাহিকটি চতুর্থ অথবা পঞ্চম মৌসুমে সমাপ্তি পাবে।ধারাবাহিকটি এখন অবধি অনন্য নাট্য ধারাবাহিক সহ ৩১টি এমি পুরস্কার, ৪টি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার মনোনয়ন এবং ২০১৬ সালে নাট্যধর্মী ধারাবাহিকের অভিনেতামন্ডলি দ্বারা অনন্য অবদান-এর জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার পেয়েছে।
কাহিনী সংক্ষেপ
স্ট্রেঞ্জার থিংস-এর প্রেক্ষাপট হল ১৯৮০-র দশকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কাল্পনিক শহর হকিন্স।নিকটবর্তী হকিন্স জাতীয় গবেষণাগার আপাতদৃষ্টিতে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির হয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে, কিন্তু গোপনে প্যারানরমাল এবং অতিপ্রাকৃতি বিষয়ক গবেষণা করে থাকে, এমনকি এমন গবেষণা করে যেখানে মানুষের উপর বিভিন্ন পরিক্ষা করা হয়।অজান্তেই তারা বিকল্প আয়ামের যাওয়ার দ্বার সৃষ্টি করে ফেলেছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে "দি আপসাইড ডাউন"।এই "আপসাইড ডাউন" হকিন্সের অনবগত বাসিন্দাদের জীবনে উপর দুর্ঘটনাপ্রবন প্রভাব ফেলতে থাকে।[১][২]
প্রথম মরশুমের গল্প শুরু হয় নভেম্বর ১৯৮৩-তে, যখন উইল বায়ার্সকে আপসাইড ডাউনের এক জীব অপহরণ করে, এবং তার মা, জয়েস বায়ার্স, এবং হকিন্সের পুলিশ প্রধান জিম হপার উইলের খোঁজ করা শুরু করে।একই সময় ইলেভেন (এগারো) নামে এক সাইকোকাইনেটিক ক্ষমতা সম্পন্ন এক যুবতী সেই গবেষণাগার থেকে পালিয়ে যায় এবং উইলকে খুঁজে পাওয়ার জন্য উইলের বন্ধু মাইক, ডাস্টিন এবং লুকাসকে সহায়তা করে।[৩]
দ্বিতীয় মরশুমের ঘটনা শুরু হয় এক বছর পরে, ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে।উইলকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলির বিস্তারিত কম লোক জানেন।যখন এটি আবিষ্কৃত হয় যে উইল এখনও আপসাইড ডাউনের বিভিন্ন সত্তা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে,তার বন্ধুরা এবং পরিবার জানতে পারে যে তাদের এই বিশ্বের জন্য আরও বড়ো বিপদ আপসাইড ডাউনে বিদ্যমান।[৪]
তৃতীয় মরশুমের ঘটনা আরও কয়েক মাস পরে, ১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে,চলচ্চিত্রে ব্যাক টু দ্য ফিউচারের জনপ্রিয়তার প্রেক্ষাপটে।মাইক আর ইলেভেনের মধ্যে এবং লুকাস আর বিলির সৎ-বোন ম্যাক্সের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।[৫][৬]
অভিনেতা এবং চরিত্রসমূহ
- জয়েস বায়ার্সের ভূমিকায় উইনোনা রাইডার[৭]: জয়েস বায়ার্স হলেন উইল এবং জোনাথান বায়ার্সের মা। লনি বায়ার্সের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। দ্বিতীয় মরশুমে তিনি তাঁর উচ্চ-বিদ্যালয়ের সহপাঠি ববের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পরেছেন, মরশুমের শেষের দিকে ববের মৃত্যুর আগে অবধি। তাঁর এবং হপারের একে অপরের প্রতি অনুভূতি আছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
- জিম হপারের ভূমিকায় ডেভিড হারবার[৭]: জিম হপার হলেন হকিন্স পুলিশ বিভাগের কর্তা। ক্যান্সারে তার অল্প বয়স্কা কন্যা মারা যাওয়ার পর তিনি নিজের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান এবং মদ্যাশক্ত হয়ে পড়েন। অবশেষে উইলকে বাঁচিয়ে এবং ইলেভেনকে দত্তক নিয়ে আরও দায়ীত্বশীল হয়ে ওঠেন। তাঁর এবং জয়েসের একে অপরের প্রতি অনুভূতি আছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
- মাইক হুইলারের ভূমিকায় ফিন উল্ফহার্ড[৮]: মাইক ক্যারেন এবং টড হুইলারের পুত্র, ন্যান্সি হুইলারের ছোট ভাই, এবং উইল বায়ার্সের তিন বন্ধুর মধ্যে একজন। সে একজন বুদ্ধিমান এবং বিবেকবান ছাত্র এবং তার বন্ধুদের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার ইলেভেনের প্রতি প্রেমানুভূতি গড়ে ওঠে।
- ইলেভেনের (ডাকনাম “এল”) ভূমিকায় মিলি ববি ব্রাউন[৮]: সে একজন সাইকোকাইনেটিক ক্ষমতা সম্পন্ন কম বয়সি এবং স্বল্পবক্তা মেয়ে। তার আসল নাম জেন এবং তার জন্মদাত্রী হলেন টেরি আইভস। হকিন্স গবেষণাগারে তার উপর গবেষণা করা হচ্ছিল এবং সেখান থেকে পালিয়ে সে উইল, ডাস্টিন এবং লুকাসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। তার মাইকের প্রতি প্রেমানুভূতি গড়ে ওঠে।
- ডাস্টিন হেন্ডার্সনের ভূমিকায় গেটন ম্যাটার্যাজো[৮]: ডাস্টিন উইল বায়ার্সের তিন বন্ধুর মধ্যে একজন। তার ক্লাইডোক্রেনিয়াল ডিসপ্লেসিয়ার জন্য সে আধো আধো উচ্চারণে কথা বলে। দ্বিতীয় মরশুমে সে তার সামনের নতুন দাঁতের জন্য গর্বিত এবং ম্যাক্সের প্রতি আকৃষ্ট।
- লুকাস সিনক্লেয়ারের ভূমিকায় ক্যালেব ম্যাকলখলিন[৮]: লুকাস উইল বায়ার্সের তিন বন্ধুর মধ্যে একজন। প্রথমদিকে ইলেভেনের প্রতি সতর্ক থাকলেও পরে সে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেয়। দ্বিতীয় মরশুমে সে ম্যাক্সের ভালবাসার পাত্র হয়ে ওঠে।
- ন্যান্সি হুইলারের ভূমিকায় ন্যাটালিয়া ডায়ার[৮]: ন্যান্সি ক্যারেন এবং টড হুইলারের মেয়ে, মাইক হুইলারের দিদি। প্রথম মরশুমে সে স্টিভ হ্যারিংটনের প্রেমিকা। দ্বিতীয় মরশুমে ন্যান্সি জোনাথান বায়ার্সের প্রেমিকা হয়ে যায়।
- জোনাথান বায়ার্সের ভূমিকায় চার্লি হিটন[৮]: চার্লি জয়েস বায়ার্সের বড় ছেলে এবং উইল বায়ার্সের দাদা। সে স্বল্পবক্তা কিশোর, বিদ্যালয়ে একজন বহিরাগত হিসাবে গন্য হয়, এবং একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী চিত্রগ্রাহক। তার মায়ের এবং ভাইয়ের সঙ্গে তার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দ্বিতীয় মরশুমে সে ন্যান্সির প্রেমিক হয়ে যায়।
- ক্যারেন হুইলারের ভূমিকায় কারা বুয়োনো[৯]: ইনি ন্যান্সি, মাইক এবং ছোট্ট হলির মা এবং টড হুইলারের স্ত্রী।
- মার্টিন ব্রেনারের ভূমিকায় ম্যথিউ মোডাইন[১০]: ইনি হলেন হকিন্স গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক। তিনি ধান্দাবাজ এবং উদাসীন। তিনি এবং তাঁর দল ইলেভেনকে খুঁজছে। দ্বিতীয় মরশুমে তাঁকে পুনরায় অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়।
- উইল বায়ার্সের ভূমিকায় নোয়া শ্ন্যাপ[৮]: উইল হল জয়েস বায়ার্সের ছোট ছেলে এবং জোনাথান বায়ার্সের ভাই। হকিন্স গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক দ্বারা আবিষ্কৃত বিকল্প আ্য়াম "আপসাইড ডাউন"-এর দানব তাকে অপহরণ করে।[১১] প্রথম মরশুমে অল্প সময়ের জন্য দেখা গেলেও দ্বিতীয় মরশুমে তাকে নিয়মিতভাবে দেখতে পাওয়া যায়।[১২]
- ম্যাক্সাইন "ম্যাক্স" মেফিল্ডের ভূমিকায় স্যাডি সিঙ্ক: ম্যাক্স বা "ম্যডম্যাক্স" হল বিলির ছোট সৎবোন, এবং লুকাস এবং ডাস্টিন উভয়েরই নজরে আসে। ম্যাক্সকে আমরা দ্বিতীয় মরশুমে দেখতে পাই।[১২]
- স্টিভ হ্যারিংটনের ভূমিকায় জো কিরি: স্টিভ উচ্চ-বিদ্যালয়ের এক জনপ্রিয় ছাত্র এবং ন্যান্সি হুইলারের প্রেমিক। প্রথমদিকে জোনাথান বায়ার্সকে বিরক্ত করে, পরে সে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নেয়। প্রথম মরশুমে ন্যন্সির প্রেমিক থাকলেও দ্বিতীয় মরশুমে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।[১৩] প্রথম মরশুমে অল্প সময়ের জন্য দেখা গেলেও দ্বিতীয় মরশুমে তাকে নিয়মিতভাবে দেখতে পাওয়া যায়।[১২]
- বিলি হারগ্রোভের ভূমিকায় ডেকার মন্টগোমেরি: বিলি হল ম্যাক্সের হিংসাত্মক এবং মেজাজী দাদা। তাকে দ্বিতীয় মরশুমে দেখতে পাওয়া যায়।[১২] সে স্টিভের জনপ্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
- ববি নিউবির ভূমিকায় শন অ্যাস্টিন: বব জয়েস বায়ার্স এবং জিম হপারের প্রাক্তন সতীর্থ। আমরা তাঁকে দ্বিতীয় মরশুমে দেখতে পাই। সে হকিন্স রেডিওশ্যাক চালায়[১৪]। তিনি জয়েসের প্রেমিক হওয়ার ফলে হপারের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ বাজে।[১৫]
- স্যাম ওয়েনসের ভূমিকায় পল রেইজার: ইনি ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির আধিকারিক। তিনি মার্টিন ব্রেনারের পরিবর্ত হিসাবে হকিন্স গবেষণাগারে অধিকর্তা হিসাবে এসেছেন। তিনি একগুঁয়ে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু হকিন্সের বাসিন্দাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাঁকে আমরা দ্বিতীয় মরশুমে দেখতে পাই।[১৪]
পর্বসমূহ
মৌসুম | পর্ব | মূল মুক্তি | |||
---|---|---|---|---|---|
১ | ৮ | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |||
২ | ৯ | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ | |||
৩ | ৮ | ৪ জুলাই ২০১৯ | |||
৪ | ঘোষিত হবে | ২০২২ |
মরশুম ১ (২০১৬)
সামগ্রিক নং. | মৌসুমে নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল মুক্তির তারিখ |
---|---|---|---|---|---|
১ | ১ | "চ্যাপ্টার ওয়ান: দ্য ভ্যানিশিং অফ উইল বায়ার্স" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
২ | ২ | "চ্যাপ্টার টু: দি উইয়ের্ডো অন মেপেল স্ট্রীট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
৩ | ৩ | "চ্যাপ্টার থ্রি: হলি, জলি" | শন লেভি | জেসিকা মেক্লেনবার্গ | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
৪ | ৪ | "চ্যাপ্টার ফোর: দ্য বডি" | শন লেভি | জাস্টিন ডবেল | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
৫ | ৫ | "চ্যাপ্টার ফাইভ: দ্য ফ্লী অ্যান্ড দ্য অ্যাক্রোব্যাট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | অ্যালিসন ট্যাট্লক | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
৬ | ৬ | "চ্যাপ্টার সিক্স: দ্য মন্স্টার" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | জেসিকা নিকসন-লোপেজ | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
৭ | ৭ | "চ্যাপ্টার সেভেন: দ্য বাথটাব" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | জাস্টিন ডবেল | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
৮ | ৮ | "চ্যাপ্টার এইট: দি আপসাইড ডাউন" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | কাহিনী: পল ডিখটার টেলিনাট্যকার: ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
মরশুম ২ (২০১৭)
নং. | মরশুমে নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল মুক্তির তারিখ |
---|---|---|---|---|---|
৯ | ১ | "চ্যাপ্টার ওয়ান: ম্যাডম্যাক্স" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১০ | ২ | "চ্যাপ্টার টু: ট্রিক অর ট্রিট, ফ্রিক" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১১ | ৩ | "চ্যাপ্টার থ্রি: দ্য পলিওয়গ" | শন লেভি | জাস্টিন ডবেল | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১২ | ৪ | "চ্যাপ্টার ফোর: উইল দি ওয়াইজ" | শন লেভি | পল ডিখটার | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১৩ | ৫ | "চ্যাপ্টার ফাইভ: ডিগ ডাগ" | অ্যান্ড্রু স্ট্যান্টন | জেসিকা নিকসন-লোপেজ | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১৪ | ৬ | "চ্যাপ্টার সিক্স: দ্য স্পাই" | অ্যান্ড্রু স্ট্যান্টন | কেট ট্রেফ্রি | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১৫ | ৭ | "চ্যাপ্টার সেভেন: দ্য লস্ট সিস্টার" | রেবেকা থমাস | জাস্টিন ডবেল | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১৬ | ৮ | "চ্যাপ্টার এইট: দ্য মাইন্ড ফ্লেয়ার" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
১৭ | ৯ | "চ্যাপ্টার নাইন: দ্য গেট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ২৭ অক্টোবর ২০১৭ |
মরশুম ৩ (২০১৯)
নং. | মরশুমে নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল মুক্তির তারিখ |
---|---|---|---|---|---|
১৮ | ১ | "চ্যাপ্টার ওয়ান: সুজি, ডু ইউ কপি?" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়[১৬] | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়[১৭] | ৪ জুলাই ২০১৯ |
১৯ | ২ | "চ্যাপ্টার টু: দ্য মল র্যাটস" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়[১৬] | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
২০ | ৩ | "চ্যাপ্টার থ্রী: দ্য কেস অফ দ্য মিসিং লাইফগার্ড" | শন লেভি[১৬] | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
২১ | ৪ | "চ্যাপ্টার ফোর: দ্য সনা টেস্ট" | শন লেভি[১৬] | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
২২ | ৫ | "চ্যাপ্টার ফাইভ: দ্য সোর্স" | উটা ব্রিসউইটজ[১৮] | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
২৩ | ৬ | "চ্যাপ্টার সিক্স: দ্য বার্থডে" | উটা ব্রিসউইটজ[১৮] | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
২৪ | ৭ | "চ্যাপ্টার সেভেন: দ্য বাইট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
২৫ | ৮ | "চ্যাপ্টার এইট: দ্য ব্যাটেল অফ স্টারকোর্ট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | TBA | ৪ জুলাই ২০১৯ |
প্রযোজনা
সম্প্রসার
স্ট্রেঞ্জার থিংসের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন ম্যাট এবং রস ডাফার, যাদের পেশাদারী নাম হচ্ছে "দ্য ডাফার ব্রাদার্স" বা ডাফার্স ভ্রাতৃদ্বয়।[১৯]দুজনে ২০১৫ সালে তাদের হিডেন নামক চলচ্চিত্রের লেখার এবং প্রযোজনার কাজ শেষ করেন।এই চলচ্চিত্রে তারা এম নাইট শ্যামালানের শৈলী অনুকরণ করার চেষ্টা করেছিলেন।কিন্তু সেই সময়ে চলচ্চিত্রটির পরিবেশক ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অভ্যন্তরীন পরিবর্তনের ফলে চলচ্চিত্রটি তেমনভাবে প্রচার এবং মুক্তি পায়নি, এবং ভ্রাতৃদ্বয়েরা তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে অনিশ্চিত হয়ে পরেন।[২০]তবে তাদেরকে অবাক করে দিয়ে হিডেনের চিত্রনাট্য টেলিভিশন প্রযোজক ডোনাল্ড ডি লাইনের মনে প্রভাব ফেলে এবং তিনি তাদের ওয়েওয়ার্ড পাইন্সে শ্যামালানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেন।এই ধারাবাহিকের প্রযোজনার কাজের সময়ে শ্যামালান তাদের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেন, এবং এই কাজ শেষে হওয়ার পরে ভ্রাতৃদ্বয়েরা মনে করেন যে তারা তাদের নিজস্ব টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজের জন্য তৈরি করতে প্রস্তুত।[২১]
ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়রা ধারাবাহিকটিকে কোন নেটওয়ার্কে বিপণন করার জন্য একটি ২০ পাতার বই এবং এমন একটি চিত্রনাট্য তৈরি করলেন যা ধারাবাহিকের পাইলট পর্বের অনুরূপ হবে।[২২] ডাফাররা পনেরটির বেশি কেবল নেটওয়ার্কে তাদের কাজটিকে দেখিয়েছিলেন, কিন্তু সব জায়গা থেকেই প্রত্যাখাত হয়ছিলেন।[২৩]কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল যে দর্শকরা প্রধান চরিত্র হিসাবে শিশুদের মেনে নেবে না,এবং তাদের বলা হলো হয় এটিকে শিশুদের জন্য ধারাবাহিক করা হোক অথবা শিশুচরিত্র সরিয়ে দিয়ে হপারের অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার তদন্তকে ধারাবাহিকের কেন্দ্রবিন্দু করতে।[২১]২০১৫-এর শুরুর দিকে ২১ ল্যাপ্স এন্টার্টেইনমেন্টের সহসভাপতি ড্যান কোহেন চিত্রনাট্যটিকে তার সহকর্মি শন লেভির কাছে নিয়ে আসে।পরবর্তীকালে তারা ডাফার ভ্রাতৃদ্বয়েকে তাদের অফিসে ডাকেন এবং চিত্রনাট্যের সম্পূর্ণ কাহিনীকর্তৃত্ব ভাইয়েদের দিয়ে ধারাবাহিকের স্বত্ত কিনে নেন।পাইলট পর্বের চিত্রনাট্য পড়ার পর নেটফ্লিক্স সম্পূর্ণ মরশুমটি অপ্রকাশিত মূল্যে কিনে নেন।[২৪]২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে নেটফ্লিক্স ধারাবাহিকটির ২০১৬ সালের মুক্তির পরিকল্পনার ব্যপারে ঘোষণা করে।[২৫] ডাফার ভাইরা জানান যে যখন তারা ধারাবাহিকটি নেটফ্লিক্সে দেখান তখন নেটফ্লিক্স হাউজ অফ কার্ডস এবং অরেঞ্জ ইজ দ্য নিউ ব্ল্যাক এর মত মৌলিক ধারাবাহিকের জন্য স্বিকৃতি অর্জন করেছে,এবং নবাগত প্রযোজকদের সুযোগ দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে।[২২]ডাফার ভাইরা ধারাবাহিকটি লিখতে শুরু করেন এবং চরিত্রায়ন এবং চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু করার জন্য লেভি এবং কোহেনকে নির্বাহী প্রযোজক হিসাবে নিয়ে আসেন।[২৬]
"Montauk is an eight-hour sci-fi horror epic. Set in Long Island in 1980 and inspired by the supernatural classics of that era, we explore the crossroads where the ordinary meet the extraordinary...emotional, cinematic and rooted in character, Montauk is a love letter to the golden age of Steven Spielberg and Stephen King – a marriage of human drama and supernatural fear."
— মানটক সম্বন্ধে ডাফার ভাইদের মূল বক্তব্য[২৭]
প্রথমে ধারাবাহিকটির ঘটনাস্থল ছিল নিউ ইয়র্কের মানটক এবং পার্শ্ববর্তী লং আইল্যান্ড, এবং সেই কারণে এর নাম রাখা হয়েছিল মানটক।[২৫][২৮]মানটককে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল স্টিভেন স্পিলবার্গের জস চলচ্চিত্রটির শুটিং এইখানেই হয়েছিল।[২৯]পরে ঘটনাস্থলকে হকিন্স নামক কাল্পনিক শহরে পরিবর্তন করার ফলে ভ্রাতৃদ্বয়েরা মনে করেছিলেন যে তারা এটির সদব্যবহার করতে পারবেন এবং এই শহরে কোয়ারেন্টাইনের মতো এমন কিছু পরিস্থিতি গল্পে আনতে পারবেন যা বাস্তবের শহরে চলচ্চিত্রায়ন করা সম্ভব হতো না।[২৯]গল্পের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে নেটফিক্সের টেড সারান্দোসের নির্দেশে জনসাধারণের কাছে এটি প্রচার করার জন্য তাদের ধারাবাহিকের নতুন শিরোনাম ভাবতে হয়ছিলো।ডাফাররা প্রথমে শিরোনামের ফন্ট এবং রূপ বিবেচনা করার জন্য স্টিভেন কিঙের ফায়ারস্টার্টার উপন্যাসটির প্রচ্ছদ বেছে নিয়েছিলেন এবং সম্ভাব্য বিকল্প নামের দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছিলেন।স্টিভেন কিঙের অন্য একটি উপন্যাস নীডফুল থিংসের অনুরূপ হওয়ায় স্ট্রেঞ্জার থিংস নামটা বাছাই করা হয়েছিলো, তবে ম্যাট ডাফারের জানিয়েছিলন যে এই নামটা চূড়ান্ত করতে অনেক বাকবিতন্ডা করতে হয়েছিলো।[৩০]ধারাবাহিকটির চরিত্র বোঝানোর জন্য এবং বিপণনের জন্য ডাফার ভাইরা ১৯৮০-র দশকের বিভিন্ন চলচ্চিত্র, যেমন ইটি দি এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল, ক্লোজ এনকাউন্টারস অফ দ্য থার্ড কাইন্ড, পোল্টারগাইস্ট, হেলরেইজার (চলচ্চিত্র), স্ট্যান্ড বাই মি, ফায়ারস্টার্টার, এ নাইটমেয়ার অন এল্ম স্ট্রিট, এবং জসের মতো চলচ্চিত্র থেকে চিত্র, ফুটেজ এবং সঙ্গীত প্রদর্শন করেছিলেন।[২৭]