স্পেনের পঞ্চম ফিলিপ

পঞ্চম ফিলিপ (১৯ ডিসেম্বর ১৬৮৩ - ৯ জুলাই ১৭৪৬) পয়লা নভেম্বর ১৭০০ থেকে ১৪ জানুয়ারি ১৭২৪ সালে তার পুত্র লুই এর জন্য সিংহাসন ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত এবং ৬ সেপ্টেম্বর ১৭২৪ সালে তার পুত্রের মৃত্যুর কারণে পুনরায় সিংহাসনে আরোহণ থেকে ৯ জুলাই ১৭৪৬ সালে তার নিজের মৃত্যু পর্যন্ত স্পেনের রাজা ছিলেন।

পঞ্চম ফিলিপ
প্রতিকৃতি এঁকেছেন জিয়ান র‍্যান্স, ১৭২৩
স্পেনের রাজা (আরও...)

  • স্পেনের রাজা ১৭০০–১৭৪৬
    নেপলসের রাজা ১৭০০–১৭১৩
    সার্দিনিয়ার রাজা ১৭০০–১৭১৩
    সিসিলির রাজা ১৭০০–১৭১৩
    মিলানের ডিউক ১৭০০–১৭১৩
    লোথিয়ার ডিউক ১৭০০–১৭১৩
    ব্রাবান্টের ডিউক ১৭০০–১৭১৩
    লিমবার্গের ডিউক ১৭০০–১৭১৩
    লুক্সেমবার্গের ডিউক ১৭০০–১৭১৩
    নামুরের অভিজাতসম্প্রদায় ১৭০০–১৭১৩
    ফ্ল্যান্ডার্সের কাউন্ট ১৭০০–১৭১৩
    হাইনুটের কাউন্ট ১৭০০–১৭১৩
রাজত্ব১ নভেম্বর ১৭০০ – ১৫ জানুয়ারি ১৭২৪
পূর্বসূরিদ্বিতীয় চার্লস
উত্তরসূরিপ্রথম লুইস
রাজত্ব৬ সেপ্টেম্বর ১৭২৪ – ৯ জুলাই ১৭৪৬
পূর্বসূরিপ্রথম লুইস
উত্তরসূরিপঞ্চম ফার্ডিনান্ড
জন্ম১৯ ডিসেম্বর ১৬৮৩
ভার্সেই প্রাসাদে, ফ্রান্স
মৃত্যু৯ জুলাই ১৭৪৬ (৬২ বছর)
মাদ্রিদ,স্পেন
সমাধি
লা গ্রানজা ডি স্যান আইডিফনসো রাজপ্রাসাদ
দাম্পত্য সঙ্গী
  • স্যাভয় এর মারিয়া লুইসা
  • এলিজাবেথ ফার্নেস
বংশধর
আরও...
  • স্পেনের প্রথম লুইস
  • ইনফ্যান্ট ফিলিপ পিটার
  • স্পেনের ষষ্ঠ ফার্ডিনান্ড
  • স্পেনের তৃতীয় চার্লস
  • মারিয়া আনা ভিক্টোরিয়া, পর্তুগালের রানী
  • ফিলিপ, পারমার ডিউক
  • মারিয়া টেরেসা রাফায়েলা, ফ্রান্সের ডুফিন
  • ইনফ্যান্ট লুইস, কাউন্ট অফ চিনচোন
  • মারিয়া আন্তোনিয়া ফার্ডিন্যান্ড,সারদানিয়ার রানী
পূর্ণ নাম
স্পেনীয়: ফিলিপ ডি বোর্বন y ব্যাভেরিয়া
ফরাসি: ফিলিপ ডি ফ্রান্স
রাজবংশবোর্বন
পিতালুই, গ্রান্ড ডুফিন
মাতাব্যাভেরিয়ার মারিয়া আন্না ভিক্টোরিয়া
ধর্মরোমান ক্যাথোলিক
স্বাক্ষরস্পেনের পঞ্চম ফিলিপ স্বাক্ষর

তার রাজত্বের আগে, ফিলিপ রাজা চতুর্দশ লুইয়ের নাতি হিসাবে ফ্রান্সে রাজপরিবারের একটি উঁচু স্থান দখল করেছিলেন। ১৭০০ সালে স্পেনের সিংহাসন শূন্য হওয়ার পর এটির উপর তার পিতা লুই গ্রান্ড ডুফিনের শক্ত বংশানুক্রমিক দাবি ছিল।যেহেতু গ্র্যান্ড ডাউফিন অথবা ফিলিপের বড় ভাই, বার্গুন্ডির ডিউক লুই তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ফরাসি সিংহাসন থেকে বঞ্চিত হতে পারত, গ্র্যান্ড ডাউফিন এর মামা স্পেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস তার উইলে উত্তরাধিকারী হিসেবে ফিলিপের নাম ঘোষণা করে গিয়েছিলেন। এটা সবাই জানত যে এক রাজার অধীনে ফ্রান্স ও স্পেনের সংযোজন ইউরোপের ক্ষমতার ভারসাম্যকে বিনষ্ট করবে এবং অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিগুলো এটি প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রকৃতপক্ষে ফিলিপের স্প্যানিশ সিংহাসন অধিগ্রহণ স্পেনের সিংহাসনের উত্তরাধিকারীদের ১৩ বছর ব্যাপী এক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয় যা আটারচেট (নেদারল্যান্ড এর একটি শহর ) এর চুক্তির আগ পর্যন্ত চলমান ছিল ,যেখানে ফরাসি এবং স্প্যানিশ সিংহাসন একত্রিত করার ভবিষ্যৎ সম্ভবনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

ফিলিপ ফ্রেঞ্চ হাউস অফ বোর্বনের প্রথম সদস্য ছিলেন যিনি রাজা হিসেবে স্পেন শাসন করেছিলেন। তার দুটি রাজত্বের মোট সময়কাল ছিল ৪৫ বছর ২১ দিন , যা আধুনিক স্পেনের ইতিহাস এ সর্বোচ্চ।

প্রারম্ভিক জীবন

ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনের প্রকৃত উত্তরাধিকারী লুই গ্রান্ড ডুফিন এবং তার স্ত্রী বাভারিয়ার (মিউনিখের একটি শহর) মারিয়া আনা ভিক্টোরিয়া বা ডুফিন ভিক্টোরিয়ার দ্বিতীয় পুত্র হিসেবে ফ্রান্সের ভার্সেই প্রাসাদে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পঞ্চদশ লুই এর পিতা ও বার্গুন্ডির ডিউক লুই এর ছোট ভাই ছিলেন। জন্মের সময়, ফিলিপকে ফ্রেঞ্চ রাজ পরিবারের ছোট ছেলেদের জন্য ঐতিহ্যবাহী উপাধি হিসেবে আঞ্জোয়ের ডিউক ঘোষণা করা হয়েছিল। স্পেনের রাজা হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই নামেই পরিচিত ছিলেন। যেহেতু ফিলিপের বড় ভাই বার্গুন্ডির ডিউক ফরাসি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার পিতার পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন ,তাই ছোট একটা সম্ভবনা ছিল যে সে অথবা তার ছোট ভাই বেরির ডিউক চার্লস ফ্রান্স শাসন করবে।

ফিলিপ তার প্রথম বছর রাজ পরিচারিকা লুই ডি প্রাই এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তার পরেই সে তার ভাইদের সাথে ক্যামব্রাই এর ঊর্ধ্বতন যাজক ফ্রান্সিস ফ্যানলন এর অধীনে শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকে। পল ডি বেউভিলিয়ার্স ও তাদের  তিনজন কে শিক্ষাদান করেছিলেন।

স্প্যানিশ সিংহাসন দাবি

১৭০০ সালের ১৬ নভেম্বর ভার্সাই প্রাসাদে স্পেনের রাজা হিসাবে পঞ্চম ফিলিপের ঘোষণাপত্র

১৭০০ সালে স্পেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস কোনো সন্তান না রেখেই মারা যান। তার উইলে উত্তরাধিকারী হিসেবে  তিনি চতুর্দশ লুই এর প্রথম স্ত্রী ও চার্লসের সৎবোন মারিয়া থেরেসার নাতি ফিলিপের নাম উল্লেখ করে যান। যদি কেউ এটা (মুকুট) গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাতো তবে তা বেরির ডিউক ফিলিপের বড় ভাই না হলে অস্ট্রিয়ার আর্চডিউক চার্লস না হলে পরবর্তীতে পবিত্র রোমের সম্রাট ষষ্ঠ চার্লসের স্পেনের মুকুট গ্রহণের সুযোগ ছিল। স্পেনের সিংহাসনের উপর ফিলিপের শক্ত বংশানুক্রমিক দাবি ছিল , কারণ তার মাতামহীপ্রমাতামহী অস্ট্রিয়ার আর্চডিউক চার্লসের পূর্বপুরুষদের চেয়ে বড় ছিল। তবে অস্ট্রিয়ানরা বলত যে ফিলিপের মাতামহী তার বিয়ের চুক্তির অংশ হিসাবে নিজের এবং তার বংশধরদের জন্য স্প্যানিশ সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন। ফরাসীরা দাবি করত যে এটা যৌতুকের ভিত্তিতে ছিল যা কখনো প্রদান করা হয় নি।

ডুফিন তার পুত্রের অধিকারের পক্ষে ফ্রান্সের এক দীর্ঘ রাজ্ সভায় কথা বলেছিলেন যেখানে সম্মত হয় যে ফিলিপ সিংহাসনে আরোহণ করবেন কিন্ত তিনি তার নিজের জন্য ও তার বংশধরদের জন্য ফ্রান্সের সিংহাসনের দাবি চিরতরে ত্যাগ করবেন। সেই রাজ্ সভায় দ্বিতীয় চার্লসের উইলে স্পেনের রাজা হিসেবে ফিলিপের নামকরণের বিধান গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তার নতুন রাজার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত তার ছেলে সহ ফিলিপের সামনে নতজানু হয়ে স্প্যানিশ ভাষায় এক দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন যা ফিলিপের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় নি।

প্রথম বিবাহ

১৭০১ সালের ২ নভেম্বর প্রায় ১৮ বছর বয়স্ক ফিলিপ ১৩ বছর বয়স্ক স্যাভয় এর মারিয়া লুইসাকে বিবাহ করেন যা তার ৬৩ বছর বয়স্ক দাদা রাজা চতুর্দশ লুই ঠিক করে রেখেছিলেন। সে ছিল স্যাভয় এর ডিউক দ্বিতীয় ভিক্টর অ্যামেদিউস এবং ফিলিপের দ্বিতীয় চাচাতো বোন , বার্গুন্ডির ডিউকের পত্নীর অভিভাবক অ্যানি মেরি ডি অরলানসের কন্যা। ১১ সেপ্টেম্বর ভার্সাইতে এবং স্যাভয় এর ডাচির রাজধানী তুরিনে একটি বদলি অনুষ্ঠান হয়েছিল।

মারিয়া লুইসা স্পেনের রানী হিসেবে খুব জনপ্রিয় প্রমাণিত হয়েছিলেন। তিনি তার স্বামীর জন্য বেশ কয়েকবার রাজপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার সবচেয়ে সফল মেয়াদটি ছিল মাত্র ১৪ বছর বয়সে যখন ফিলিপ ১৭০২ সালে নয় মাসের জন্য তার ইতালিয়ান রাজ্য গুলো ভ্রমণের কারণে বাইরে ছিলেন। সে বছর নেপলসে প্রবেশের সময় তাকে কার্লো বার্নিনির তৈরী বয় উইথ এ ড্রাগন  নামক ভাস্কর্য উপহার দেয়া হয়। মারিয়া লুইসা ১৭১৪ সালে ২৬ বছর বয়সে যক্ষারোগে মারা যান যা ছিল তার স্বামীর জন্য এক বিধ্বংসী মানসিক আঘাত।

স্প্যানিশ উত্তরাধিকারের জন্য যুদ্ধ

টেমপ্লেট:প্রধান অনুচ্ছেদ

শিকারের পোষাকে স্পেনের পঞ্চম ফিলিপ
ভিলাভিসিওসার যুদ্ধে ফিলিপ (ডানদিকে)
১৭০৭ সালে জাটিভা শহরটি পুড়িয়ে দেয়ার জন্য শহরের আলমডো[স্প্যানিশ ভাষায়] জাদুঘরে স্পেনের পঞ্চম ফিলিপের প্রতিকৃতি উল্টো করে প্রদর্শন করা হয়েছে।

চতুর্দশ লুই এর এই কাজ গুলো ইংরেজ , ওলন্দাজ , অস্ট্রিয়ান ও অন্যদের ভয় বৃদ্ধি করেছিল। ১৭০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চতুর্দশ লুই প্যারিসের পার্লামেন্টে ( আদালত )  একটি ফরমান জারি করেন যে ফিলিপের বড় ভাই পেটিট ডুফিন লুই যদি কোন উত্তরাধিকারী না রেখে মারা যান তবে ইউরোপের সর্ববৃহৎ স্থলশক্তিতে রাজবংশীয় ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনের উত্তরাধিকারীদের জন্য স্পেনের সিংহাসন ত্যাগ করবে।

তবে ফরাসি রাজার আর একটি কাজকে বিরোধপূর্ণ বিবেচিত হত যে স্পেনের সাথে চুক্তি অনুসারে লুই স্পেন অধিকৃত নেদারল্যান্ডসের (বর্তমান বেলজিয়াম এবং নর্দ-পাস-দে-কালাস) বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছিলেন। এটা ছিল সেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ যা অগসবুর্গের সঙ্ঘবদ্ধ রাষ্ট্রসমূহের যুদ্ধের (১৬৮৯ - ৯৭) অমীমাংসিত বিষয়গুলো এবং স্পেনের উত্তরাধিকারী হিসেবে চতুর্দশ লুই এর নাতির গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ক সমস্যা গুলোকে পুনরায় প্রজ্জ্বলিত করেছিল।

প্রায় তখনই স্প্যানিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।এটি ইউরোপীয় অন্যান্য শক্তির উদ্বেগ এর কারণ হয়েছিল যে একক বার্বন রাজার অধীনে স্পেন ও ফ্রান্স এর সংযোজন শক্তিশালী ফ্রান্স এবং দুর্বল স্পেনের বিপক্ষে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রিয়ার মহাজোটের বিদ্যমান ক্ষমতার  ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করবে।

স্পেনের অভ্যন্তরে, ক্রাউন অব কাস্টিল (একটি রাজ্য) ফ্রান্সের ফিলিপকে সমর্থন করেছিল। অন্যদিকে, ক্রাউন অব অ্যারাগনের (একটি সম্মিলিত রাজতন্ত্র) বেশিরভাগ  অভিজাত সম্প্রদায় পবিত্র রোমান সম্রাট প্রথম লিওপোল্ডের পুত্র অস্ট্রিয়ার চার্লসকে সমর্থন করেছিলেন যে তার দাদী স্পেনের মারিয়া আন্নার বংশধর হিসেবে স্পেনের সিংহাসনের দাবিদার। চার্লস এমনকি তৃতীয় চার্লস নামে অ্যারাগনের রাজা হিসাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন।

যুদ্ধটি স্পেন এবং পশ্চিম-মধ্য ইউরোপের (প্রধানত নিম্ন ভূমির দেশগুলো) সাথে সাথে জার্মানি এবং ইতালির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লড়াই গুলোকে কেন্দ্র করে হচ্ছিল। স্যাভয় এর প্রিন্স ইউজিন এবং মার্লবোরোর ডিউক নিম্ন দেশগুলোর সামরিক কমান্ডার হিসাবে নিজেদের চিহ্নিত করেছিলেন। উত্তর আমেরিকার ঔপনিবেশগুলোর ইংরেজ ঔপনিবেশিকদের কাছে এই লড়াইটি রানী অ্যানের যুদ্ধ হিসাবে পরিচিত ছিল যারা ফরাসি এবং স্প্যানিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ চলাকালে প্রায় চার লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল।  

এই যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭০৭ সালের শুরুতে ফিলিপ নাইবা প্লানটা আদেশ জারি করেন যা ক্যাস্তিলিয়ান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আদর্শের অধীনে স্পেনীয় নিয়মকে কেন্দ্রীভূত করেছিল এবং এই পদ্ধতিতে স্পেনের মধ্যে স্বতন্ত্রতভাবে পরিচালিত রাজ্য গুলোর  রাজশাসনপত্র রহিত করা হয়েছিল - ক্রাউন অব অ্যারাগন  তাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যারা যুদ্ধের সময় ষষ্ঠ চার্লসকে সমর্থন করেছিল - তবে নাভারে রাজ্য এবং বাস্ক এর অবশিষ্ট এলাকা ব্যতিক্রম ছিল যারা এই স্প্যানিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকার যুদ্ধে ফিলিপকে সমর্থন করেছিল এবং তাদের আধা-স্বায়ত্তশাসিত নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। কেন্দ্রীয়করণ নীতিটি চতুর্দশ লুইয়ের শাসনামলে ফরাসি রাজ্যের আদর্শ হিসেবে ছিল এবং সার্দিনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী রাজনৈতিক দার্শনিক ভিসেন্তে বাকালারজোসেপ ডি সলিসের মত রাজনীতিবিদদের দ্বারা দৃঢভাবে সমর্থিত ছিল।

১৭১২ সালের এক পর্যায়ে ফিলিপকে স্পেনের সিংহাসন ত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যাতে তিনি ফ্রান্সের উত্তরাধিকারী হতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

ফিলিপ এক শর্তে ফ্রান্সে তার উত্তরাধিকারের অধিকার ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন : স্পেনে আধা-সালিক আইনের প্রবর্তন। এই আইনের অধীনে, স্প্যানিশ মুকুটের উত্তরাধিকারটি কোনও মহিলা উত্তরসূরির কাছে যাওয়ার আগে তা সম্পূর্ণভাবে পুরুষ উত্তরসূরিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল , সিংহাসন পরিত্যাগের এই শর্তটি আটারচেট (নেদারল্যান্ড এর একটি শহর ) এর চুক্তির প্রথম দিকে মিত্রদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। এটি ততক্ষন পর্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন হয় ( ১০ মে ১৭১৩ ) নি যতক্ষণ না পর্যন্ত আটারচেট এর দ্বিতীয় চুক্তিতে স্পেন এবং গ্রেট ব্রিটেন তাদের নিজস্ব শান্তির শর্ত তৈরী করেছিল ( চুক্তিতে নতুন আইন সংযুক্ত করা )। আটারচেট এর যুদ্ধ সমাপ্তিকারী শর্ত অনুযায়ী, ফিলিপ স্পেনের রাজা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তবে স্পেনকে মেনোর্কা এবং জিব্রাল্টার গ্রেট ব্রিটেনের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল ; স্পেনের নেদারল্যান্ডস, নেপলস, মিলানসার্ডিনিয়া অস্ট্রিয়ান হাবসবার্গসকে এবং সিসিলিমিলানের কিছু অংশ স্যাভয়কে

এই বিয়োজনের ফলে ইউরোপে স্প্যানিশ সম্রাজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল যা ইতোমধ্যে পতনের মুখে পড়েছিল। তার রাজত্বকালের পুরো সময় ধরে ফিলিপ স্প্যানিশ শক্তির এই পতনকে রোধ করতে চেষ্টা করেছিলেন। আটারচেট এর চুক্তির শর্তগুলো বানচাল করে, চতুর্মুখী জোটের যুদ্ধের (১৭১৮ - ১৭২০) সূত্রপাতের মধ্যে দিয়ে তিনি ইতালিতে স্পেনীয় দাবি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যেখানে স্পেন চারটি প্রধান শক্তির একটি জোটের সাথে লড়াই করেছিল। পঞ্চম ফিলিপিকে শান্তির জন্য আবেদন করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় বিবাহ

১৭১৪ সালে রানী মারিয়া লুইসার মৃত্যুর পর খুব শীঘ্রই রাজা পুনরায় বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল পারমার এলিজাবেথ , পারমার বংশানুক্রমিক যুবরাজ ওডোয়ারডো ফার্নেস এবং প্যালেটিনেটের ডরোথিয়া সোফির কন্যা। ১৭১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর , ২২ বছর বয়সে পারমার স্থানাপন্ন মহিলা হিসেবে তিনি ৩১ বছর বয়স্ক ফিলিপিকে বিবাহ করেন। স্পেনের রাজার গৃহস্থলী প্রধান ক্যামারেরা মেয়র ডি প্যালাসিও এবং রাজকুমারী দেস উরসিনস এর সম্মতিতে কার্ডিনাল আলবেরনি এই বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।

পদত্যাগ

পঞ্চম ফিলিপের ব্যবহৃত একটি পুনঃব্যবহারযোগ্য কার্টিজ সহ একটি ব্রিচ লোডিং মিকলেট ম্যাসকেট, তৈরী করেছেন এ. তিয়েনজা, মাদ্রিদ, সিরকা ১৭১৫

১৭২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ফিলিপ তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ১৭ বছর বয়স্ক লুই এর জন্য সিংহাসন ছেড়ে দেন যার কারণটি এখনো বিতর্কের বিষয়। একটি মতবাদ প্রচলিত যে পঞ্চম ফিলিপ তার রাজত্বকালে ব্যাপক মানসিক অস্থিরতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং ক্রমবর্ধমান মানসিক অধ:পতন এর কারণে তিনি আর রাজত্ব করতে চান নি। দ্বিতীয় মতবাদ বোর্বন রাজবংশকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে মনে করে। এই ফরাসি রাজপরিবারটি সম্প্রতি রোগের করনে বহু স্বগোত্রীয় ঔরস হারিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, অরলানিয়াসের  ডিউকের মৃত্যুর ঠিক একমাসের পরে পঞ্চম ফিলিপের পদত্যাগ ঘটেছিল , যিনি পঞ্চদশ লুই এর রাজপ্রতিনিধি ছিলেন। উত্তরাধিকারীর অভাব আরো একটি মহাদেশীয় উত্তরাধিকার যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। পঞ্চম ফিলিপ ছিল চতুর্দশ লুই এর প্রকৃত বংশধর , তবে আটারচেটের চুক্তি বিষয়গুলোকে জটিল করে তোলে, যেখানে ফরাসি এবং স্প্যানিশ সিংহাসন একত্রিত করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মতবাদটি এটি অনুমান করে যে পঞ্চম ফিলিপ আশা করেছিলেন স্পেনের রাজমুকুট ত্যাগের কারণে তিনি চুক্তিটিকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবেন এবং ফরাসি সিংহাসন লাভ করতে পারবেন।

যা-ই হোক না কেন কোন সমস্যা ছাড়া মাত্র সাত মাস রাজত্ব করার পর  লুই ৩১ আগস্ট ১৭২৪ সালে গুটি বসন্তে আক্রান্ত হয়ে মাদ্রিদে মৃত্যু বরণ করেন। ফিলিপের কনিষ্ঠ পুত্র , পরবর্তী ষষ্ঠ ফার্ডিন্যান্ড , পরিণত বয়সে উপনীত হয় না হওয়ার কারণে তাকে পুনরায় স্পেনের সিংহাসনে ফিরে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল।

পরবর্তী রাজত্ব

পবিত্র ট্রিনিটির কলেজিয়েট চার্চে পঞ্চম ফিলিপ ও এলিজাবেথ ফার্নিসের সমাধি, লা গ্রানজা ডি স্যান আইডিফনসো রাজপ্রাসাদে (সেগোভিয়া) ।

পোলিশ উত্তরাধিকার যুদ্ধে ফিলিপ তার বোর্বন আত্মীয়দের আঞ্চলিক সফলতা লাভে এবং অস্ট্রিয়ান উত্তরাধিকার যুদ্ধে অস্ট্রিয়া থেকে নেপলস ও সিসিলি এবং অটোম্যানদের থেকে ওরান পুনরায় দখল করে এবং পোলিশ উত্তরাধিকার যুদ্ধে আঞ্চলিক সফলতা লাভের মাধ্যমে ফিলিপ তার বোর্বন আত্মীয়দের সহায়তা করেছিলেন। পরিশেষে , তার রাজত্বের শেষের দিকে জেনকিনস কানের যুদ্ধের ( ১৭৩৯ - ১৭৪৮ ) সময় স্পেনীয় বাহিনী তাদের আমেরিকান ভূখণ্ডগুলো বৃহৎ ব্রিটিশ আক্রমণ থেকে সফলভাবে রক্ষা করেছিল।

স্প্যানিশ হাবসবার্গ রাজবংশের গোধূলিবেলায় যে স্থবিরতার শিকার হয়েছিল , ফিলিপের রাজত্বের সময় স্পেন তা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। যদিও স্পেনের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল , স্পেনের অর্থনৈতিক ও করআরোপণ ব্যবস্থা গুলো প্রাচীন ধরনের ছিল এবং কোষাগারে ঘাটতি ছিল। রাজা তার রাজপ্রাসাদগুলোতে হাজার হাজার উচ্চ বেতনের কর্মচারী নিযুক্ত করেছিলেন - যারা দেশ শাসনের জন্য নয় বরং রাজ পরিবার গুলোর দেখাশোনার জন্য ছিলেন। সেনাবাহিনী এবং আমলাশ্রেণী বেশ কয়েক মাস ধরে কোন বেতন ছাড়াই চলত এবং নতুন বিশ্ব থেকে আসা রৌপের চালান শুধুমাত্র ব্যবস্থাটিকে সচল রেখেছিল। স্পেন ১৭৩৯ সালে তার ঋণ পরিশোধ স্থগিত করে - কার্যকরভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়।

মৃত্যু

ফিলিপ খেদোন্মত্ত মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন এবং ধীরে ধীরে গভীর বিষাদরোগের শিকার হচ্ছিলেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলিজাবেথ ফার্নেস সম্পূর্ণভাবে তার নিষ্ক্রিয় স্বামীর উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। তিনি উপরন্তু পুত্র সন্তান , স্পেনের তৃতীয় চার্লসকে জন্ম দিয়ে আরো একটি উত্তরাধিকারী যুক্ত করলেন। ১৭৩৭ সালের আগস্টের শুরুতে কাস্ট্রাটো গায়ক ফারিনেল্লি দ্বারা তার যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হয় যিনি পরবর্তীতে “মিউজিকো ডি ক্যামারা অফ দেয়ার ম্যাজেটিস ” (মহান সংগীতজ্ঞ) হন। ফারিনেল্লি প্রতি রাতে, সাধারণত সংগীতজ্ঞদের একটি ত্রয়ী নিয়ে রাজা ও রানীর জন্য আট থেকে নয়টি অপেরা গাইতেন।  

ফিলিপ ৯ জুলাই ১৭৪৬ সালে মাদ্রিদের এল এসকোরিয়ালে মৃত্যুবরণ করেন , কিন্তু সেগোভিয়ার নিকটবর্তী তার প্রিয় রাজপ্রাসাদ লা গ্রানজা ডি স্যান আইডিফনসোতে সমাধিস্থ হন। তার প্রথম রানী স্যাভয় এর মারিয়া লুইসার পুত্র স্পেনের ষষ্ঠ ফার্ডিন্যান্ড তার স্থলাভিষিক্ত হন।

উত্তরাধিকার

ঐতিহাসিকগণ রাজার প্রতি সদয় হননি। লিঞ্চ বলেছেন , পঞ্চম ফিলিপ সরকার ব্যবস্থাকে তার পূর্বপুরুষদের চেয়ে সামান্য পরিমাণ উন্নত করেছিলেন এবং অক্ষম দ্বিতীয় চার্লসের চেয়ে তার দায়বদ্ধতা বেশি ছিল। যখন স্পেন ও ফ্রান্সের স্বার্থ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় , তখন তিনি সাধারণত ফ্রান্সের পক্ষে থাকতেন। যাহোক ফিলিপ সরকার পুনর্গঠনের কিছু কাজ করেছিলেন এবং প্রাদেশিকের তুলনায় কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করেছিলেন। মেধা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল , যদিও বেশিরভাগ উচ্চ পদগুলো জমিদার অভিজাত-শ্রেণীর দখলে চলে যায়। অভিজাত স্তরের নিচে, দ্বিতীয় চার্লসের সময়ে যে অদক্ষতা এবং দুর্নীতি ছিল তা আগের মতোই বিস্তৃত ছিল। পঞ্চম ফিলিপের শুরু করা পুনর্গঠনের কাজ গুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ তৃতীয় চার্লসের সময়ে চূড়ান্ত পরিণতি পায়। ব্যাপক উৎপাদনশীলতা এবং কমসংখ্যক দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর সাথে সাথে বিগত অর্ধশতাব্দীর তুলনায় সমগ্র অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছিল।

স্পেনের উত্তরাধিকার যুদ্ধের আলমানসা যুদ্ধে ফিলিপের বিজয়ের পর জাটিভা শহরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ,(ফিলিপকে) অমর্যাদা করার স্মৃতি স্মরণে রাখার জন্য সে শহরটি পুড়িয়ে ফেলার এবং স্যান ফিলিপে  নামকরণের নির্দেশ দেয় , স্থানীয় এল’আলমডো জাদুঘরে এই সম্রাটের প্রতিকৃতি উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।          

সেইসাথে ,১৮৮৩ সালে , পঞ্চম ফিলিপের বড় ভাই লুইয়ের সর্বশেষ বৈধ পুরুষ বংশধর, চ্যামবোর্ড এর কাউন্ট হেনরি মারা যাওয়ার পরে , চতুর্দশ লুই এর বাকী সব বৈধ স্বগোত্রীয় বংশধর অতঃপর পঞ্চম ফিলিপের বংশধর ছিল।

পঞ্চম ফিলিপ স্পেনের আমেরিকান অধিকৃত সম্পত্তি সহ আটলান্টিক বাণিজ্যের পক্ষে ছিল ও উন্নত করেছিল। আটলান্টিক বাণিজ্যের সময় স্পেনের নৌ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের উত্থান হয়েছিল , যাদের মধ্যে জলদস্যু আমারো পার্গো অন্যতম। পঞ্চম ফিলিপ প্রায়শই তার ব্যবসায়িক আক্রমণে জলদস্যুদের দ্বারা উপকৃত হত : তিনি ১৭১৪ সালে মাদ্রিদের এল পার্ডো রাজপ্রাসাদে একটি রাজ আদেশ জারি করেছিলেন যেখানে তিনি নিজেকে কারাকাসের উদ্দেশ্যে গমনোদ্যত একটি বাণিজ্য জাহাজের অধিনায়ক নিযুক্ত করেছিলেন। এই সম্রাট কাদিজ এর কাসা ডি কন্ট্রাটাসিওনে আমারোর কারাবাসের সময় তার মুক্তির জন্য আদেশ দিয়েছিলেন এবং তাকে ক্যামপিছি যাওয়ার জন্য জলদস্যু অস্ত্রে সজ্জিত একটি জাহাজ তৈরির অনুমতি দেন।

সন্তানসন্ততি

১৭০১ সালের ৩ নভেম্বর ফিলিপ তার দ্বিতীয় চাচাতো বোন স্যাভয় এর মারিয়া লুইসকে(১৭ সেপ্টেম্বর ১৬৮৮ - ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৭১৪) বিয়ে করেন[১] এবং তাদের ৪টি সন্তান হয়:

  1. স্পেনের প্রথম লুইস (২৫ আগস্ট ১৭০৭ – ৩১ আগস্ট ১৭২৪) লুইস এলিসাবেথ ডি'অরলানিয়াসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তবে তাদের কোনও সন্তান ছিল না।
  2. ফিলিপ (2 জুলাই ১৭০৯ – ১৮ জুলাই ১৭০৯) অল্প বয়সে মারা যান।
  3. স্পেনের ইনফ্যান্ট ফিলিপ (৭ জুন ১৭১২ – ২৯ ডিসেম্বর ১৭১৯) অল্প বয়সে মারা যান।
  4. স্পেনের ষষ্ঠ ফার্ডিনান্ড (২৩ সেপ্টেম্বর ১৭১৩ – ১০ আগস্ট ১৭৫৯) পর্তুগালের বারবারার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তবে তাদের কোনও সন্তান ছিল না।

১৭১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর[২] ফিলিপ এলিজাবেথ ফার্নেসকে(২৫ অক্টোবর ১৬৯২ - ১১ জুলাই ১৭৬৬) বিয়ে করেন, তাদের ৬টি সন্তান ছিল :

  1. স্পেনের তৃতীয় চার্লস (২০ জানুয়ারি ১৭১৬ - ১৪ ডিসেম্বর ১৭৮৮) স্যাক্সনির মারিয়া আমালিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাদের সন্তান ছিল।
  2. স্পেনের ইনফ্যান্টা মারিয়ানা ভিক্টোরিয়া (৩১ মার্চ ১৭১৮ - ১৫ জানুয়ারি ১৭৮১) পর্তুগালের রাজা প্রথম জোসেপের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের সন্তান ছিল।  
  3. Infante Philip of Spain (15 March 1720 – 18 July 1765), Duke of Parma and founder of the line of Bourbons of Parma, married Louise Élisabeth of France and had children.
  4. Infanta Maria Teresa of Spain (11 June 1726 – 22 July 1746), married Louis of France, Dauphin of France and had children.
  5. Infante Louis of Spain (25 July 1727 – 7 August 1785), known as the Cardinal Infante. Was Archbishop of Toledo, Primate of Spain and Cardinal since 1735. In 1754, renounced his ecclesiastical titles and became Count of Chinchón. In 1776, he married morganatically María Teresa de Vallabriga and had children, but without royal titles.
  6. Infanta Maria Antonia of Spain (17 November 1729 – 19 সেপ্টেম্বর 1785), married Victor Amadeus III of Sardinia and had children.

Ancestry

Coins

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ