আমেরিসিয়াম

95প্লুটোনিয়ামঅ্যামেরিসিয়ামকুরিয়াম
Eu

Am

(Uqp)
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
নাম, প্রতীক, পারমাণবিক সংখ্যাঅ্যামেরিসিয়াম, Am, 95
রাসায়নিক শ্রেণীঅ্যাক্টিনাইড
Group, Period, Blockn/a, 7, f
Appearanceরূপালি সাদা
পারমাণবিক ভর(243) g/mol
ইলেক্ট্রন বিন্যাস[Rn] 5f7 7s2
প্রতি শক্তিস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা2, 8, 18, 32, 25, 8, 2
ভৌত বৈশিষ্ট্য
দশাকঠিন
ঘনত্ব (সাধারণ তাপ ও চাপে)12 g/cm³
গলনাঙ্ক1449 K
(1176 °C, 2149 °F)
স্ফুটনাঙ্ক2880 K
(2607 °C, 4725 °F)
গলনের লীন তাপ14.39 kJ/mol
তাপধারণ ক্ষমতা(২৫ °সে) 62.7 জুল/(মোল·কে)
বাষ্প চাপ
P/প্যাসকেল১০১০০১ কে১০ কে১০০ কে
T/কেলভিন তাপমাত্রায়12391356    
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য
কেলাসীয় গঠনhexagonal
জারণ অবস্থা6, 5, 4, 3
(amphoteric oxide)
তড়িৎ ঋণাত্মকতা1.3 (পাউলিং স্কেল)
Ionization energies1st: 578 kJ/mol
পারমাণবিক ব্যাসার্ধ175 pm
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য
Magnetic orderingno data
তাপ পরিবাহিতা(300 K) 10 W/(m·K)
সি এ এস নিবন্ধন সংখ্যা7440-35-9
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমস্থানিক
প্রধান নিবন্ধ: americiumের সমস্থানিক
isoNAhalf-lifeDMDE (MeV)DP
241Amsyn432.2 ySF--
α5.638237Np
242mAmsyn141 yIT0.049-
α5.637238Np
SF--
243Amsyn7370 ySF--
α5.438239Np
References

অ্যামেরিসিয়াম একটি কৃত্রিম মৌল, যার সংকেত Am এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৯৫।[১] এটি পর্যায় সারণির ৭ম শ্রেণি ও ৯ম পর্যায় এ অবস্থিত। পর্যায় সারণিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও ৯ম পর্যায়ে অবস্থিত মৌলের নাম ইউরোপিয়াম (ইউরোপের নামানুসারে), তাই মিল রক্ষা করতে আমেরিকার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় অ্যামেরিসিয়াম। এটি এ্যাকটিনাইড শ্রেণীর একটি তেজস্ক্রিয় ধাতব মৌল। অ্যামেরিসিয়ামের একটি বড় অংশ ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়ামকে নিউট্রন কণিকা দ্বারা আঘাত করে তৈরি করা হয়। পারমাণবিক চুল্লিতে এক টন ব্যবহৃত জ্বালানি তে ১০০ গ্রাম অ্যামেরিসিয়াম থাকে। এটি ইউরেনিয়াম-পরবর্তী কৃত্রিম মৌলগুলির মধ্যে চতুর্থ আবিষ্কার।

অ্যামেরিসিয়াম বোতাম
অ্যামারিসিয়াম

আবিষ্কার

গ্লেন থিওডোর সিবোর্গ, রাল্‌ফ এ জেম্‌স , লিয়ন ও মর্গ্যান এবং আলবার্ট ঘিওর্সো - এই চারজন বিজ্ঞানী ১৯৪৪ সালে পারমাণবিক চুল্লীর সাহায্যে প্লুটোনিয়াম-২৩৯ নামক আইসোটোপটি থেকে প্রথম অ্যামেরিসিয়াম-২৪১ আইসোটোপটি তৈরি করেন। এর কয়েকমাস আগে কুরিয়াম (পারমাণবিক সংখ্যা-৯৬) তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এটিকে চতুর্থ ইউরেনিয়ামোত্তর মৌল বলা যায়।

সাধারণ বৈশিষ্ট্য

অ্যামেরিসিয়াম একটি রুপালি রঙের নরম তেজস্ক্রিয় ধাতু, কিন্তু বাতাসের সংস্পরশে দ্রুত মলিন রঙ ধারণ করে। এর ঘনত্ব ১২ গ্রাম/সিসি। আর গলনাঙ্ক ১১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসস্ফুটনাঙ্ক ২৬০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ব্যবহার

শিল্পক্ষেত্রে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। অ্যামেরিসিয়াম থেকে প্রাপ্ত তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মির বিকিরণ কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি যন্ত্র কাজ করে। যেমন :

  1. ফ্লুইড-ডেনসিটি গজ (Fluid-Density Gauge)
  2. পুরুত্ব গজ (Thickness Gauge)
  3. বিমানের জ্বালানীর গজ (Aircraft Fuel Gauge)
  4. দূর নিয়ন্ত্রণ যণ্ত্রপাতি (Remote sensing devices)

নিবন্ধের উৎস

  • উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র - প্রফেসর মো. মহির উদ্দিন, লায়লা মুসতারিন, ড. তানভীর মুসলিম, হাছিনা বেগম।
  • উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র - ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, হারাধন নাগ।
  • ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ (Encyclopedia Britannica)

গ্যালারি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ