মহাসড়ক

হাইওয়ে বা মহাসড়ক হল কোন পাবলিক বা প্রাইভেট রাস্তা বা অন্য কোনও সরকারী রাস্তা বোঝায়। এটি প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে অন্যান্য পাবলিক সড়ক ও জনসাধারণের রাস্তাও এতে অন্তর্ভুক্ত। এটি নিয়ন্ত্রিত-প্রবেশযোগ্য মহাসড়কের (কন্ট্রোল অ্যাক্সেস হাইওয়ে) সমতুল্য নয়, অথবা অটোবাহ্ন, অটোরুট ইত্যাদির অনুবাদও নয়। মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অনুসারে, হাইওয়ে শব্দটির ব্যবহার দ্বাদশ শতাব্দীতে শুরু হয়। এটিমনলাইন অনুযায়ী, "হাই" শব্দটি "প্রধান" অর্থে ব্যবহৃত হয়। উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলীয় ইংরেজিতে, নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ পথ বা আর্টেরিয়াল রাস্তার মতো প্রধান রাস্তাগুলো প্রায়শই রাজ্য মহাসড়ক হয়ে থাকে (কানাডা: প্রাদেশিক মহাসড়ক)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্টারিওতে অন্যান্য রাস্তাগুলোকে " কাউন্টি মহাসড়ক " বলা যেতে পারে। এই শ্রেণিবিভাগগুলি রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণকারী সরকারী কর্তৃপক্ষকে (রাজ্য, প্রদেশ, কাউন্টি) নির্দেশ করে।

মহাসড়ক বলতে যে কোন পাবলিক রাস্তা বোঝায়। এটি উত্তর ইংল্যান্ডের একটি কাঁচা মহাসড়কের ছবি।
জার্মানির হ্যানোভারের কাছাকাছি লেহেরে একটি অটোবাহান -একটি ব্যস্ত, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরওয়ে।
এভিটামিয়েন্টো হাইওয়ে, লিমা,পেরু
অন্টারিও হাইওয়ে ৪০১, অন্টারিও, কানাডা
আই-৭৫ / আই -৮৫ ডাউনটাউন কানেক্টর, আটলান্টা, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
A photo
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে এম-১৮৫ মহাসড়কে কয়েকজন সাইকেল আরোহী।
প্যান-আমেরিকান হাইওয়ে, গ্রেটার বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনা।
কিং ফয়সাল হাইওয়ে, মানামা, বাহরাইন
ভারতের ব্যাঙ্গালোরের কাছে অবস্থিত একটি মহাসড়ক
ভারতের দিল্লি নয়েদা ফ্লাইওয়ে
আইলন হাইওয়ে, ইজরায়েল
দুখান হাইওয়ে, কাতারের দোহা ও দুখানের মধ্যে যাতায়াত করে

ব্রিটিশ ইংরেজিতে, "হাইওয়ে" প্রাথমিকভাবে একটি আইন সংক্রান্ত শব্দ। প্রতিদিনের সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই শব্দটি দ্বারা রাস্তা বোঝানো হয়, আর আইনি ক্ষেত্রে জনসাধারণের যাতায়াতের সাথে সম্পর্কিত যে কোন রাস্তা বা পথকে বোঝায় যেমন, ফুটপাত ইত্যাদি। হাইওয়ে শব্দটি এর সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু অন্য শব্দের সাথে যুক্ত, যার মধ্যে হাইওয়ে সিস্টেম, হাইওয়ে কোড, হাইওয়ে প্যাট্রোল এবং হাইওয়েম্যান অন্তর্গত।

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সাধারণত প্রধান মহাসড়কগুলোর নামকরণ করা হয় যে সরকার সেগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে তাদের নামানুসারে। অস্ট্রেলিয়ার হাইওয়ে ১ বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় মহাসড়ক যা প্রায় ১৪,৫০০ কিমি অথবা ৯,০০০ মা বিস্তৃত এবং সারা মহাদেশ জুড়ে যাতায়াত করে। চীনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে যা আমেরিকার প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ। কিছু মহাসড়ক একাধিক দেশে বিস্তৃত যেমন, প্যান-আমেরিকান মহাসড়ক বা ইউরোপিয়ান রুট। কিছু মহাসড়কে ফেরি ব্যবস্থা রয়েছে যেমন, ইউ.এস. রুট ১০, যা মিশিগান হ্রদকে অতিক্রম করে।

আগের দিনে মহাসড়কগুলো পথচারী বা ঘোড়সওয়ারিদের দ্বারা ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে রাস্তা নির্মাণের অগ্রগতির ফলে ঘোড়ার গাড়ি, বাইসাইকেল এবং অবশেষে মোটরগাড়িও মহাসড়কে চলাচল করা শুরু করে। ১৯২০ এবং ১৯৩০-এর দশকে, অনেক দেশ বাণিজ্যিক অগ্রগতি এবং জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য প্রগতিশীল আধুনিক মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ শুরু করে।

সাধারণত উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিভিন্ন জনবহুল শহর সংযোগকারী প্রধান আধুনিক মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রাস্তার ধারণক্ষমতা, দক্ষতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে রাস্তায় প্রবেশের জন্য অবস্থানের সংখ্যা হ্রাস, দুই বা ততোধিক লেনবিশিষ্ট ডুয়েল ক্যারেজওয়ে এবং অন্যান্য রাস্তা ও পরিবহন মাধ্যমের সাথে গ্রেড-বিভাজিত জংশনের ব্যবহার । এই বৈশিষ্ট্যগুলো সাধারণত মোটরওয়ে বা ফ্রিওয়ে বা নিয়ন্ত্রিত-প্রবেশযোগ্য মহাসড়কে দেখা যায়।

পরিভাষা

ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মহাসড়কের সাধারণ আইনি সংজ্ঞা নির্মাণ গঠনের সাথে সম্পর্কিত না হয়ে ব্যবহারের ধরনের সাথে সম্পর্কিত; এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শব্দের ব্যবহারের থেকে আলাদা। ইংরেজ সাধারণ আইনে কয়েকটি একই রকম শব্দযুক্ত সংজ্ঞা দ্বারা মহাসড়ককে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যেমন "মহাসড়ক হল এমন একটি পথ যার উপর জনসাধারণের কোন প্রকার বাধা ছাড়াই অতিক্রম করা এবং পুনরতিক্রম করার অধিকার রয়েছে"। [১] এই সংজ্ঞাটির সাথে সাধারণত "সর্বদা" কথাটি যুক্ত থাকে। মহাসড়কের জায়গায় মালিকানা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রাসঙ্গিক হয়, তাই এই "সর্বদা" কথাটি জনসাধারণের মালিকানাধীন সবচেয়ে প্রশস্ত মহাসড়ক থেকে শুরু করে সবচেয়ে সরু ফুটপাথের জন্যেও প্রযোজ্য যা পথচারীদেরকে অবাধ যাতায়াতের অধিকার প্রদান করে।

একটি মহাসড়ক সকল ধরনের বৈধ স্থল যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে (যেমন, যানবাহন, ঘোড়ার গাড়ি, পথচারী) কিংবা এক বা একাধিক নির্দিষ্ট ধরনের যাতায়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে; সাধারণত যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত মহাসড়কগুলোতে পথচারী বা ঘোড়ার গাড়িও চলতে পারে তবে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে শুধুমাত্র যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত মহাসড়ক বা বিভিন্ন রকম নির্দিষ্ট ব্যবহারের জন্য সমান্তরালভাবে বিভক্ত মহাসড়ক।

কোন মহাসড়কের জমির মধ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির অংশ থাকতে পারে, যার ফলে জনগণের এটির পূর্ণ ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। এটি সাধারণত ঘটে থাকে খামার মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী রাস্তার ক্ষেত্রে যেখানে জমির মালিক এটিকে যেকোনোভাবে ব্যবহার করতে পারলেও সাধারণ জনগণ শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে এর মধ্যে দিয়ে যেতে পারেন। জনগণের স্থায়ী ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে অনেক পুরাতন সড়ককেমহাসড়ক পদবী প্রদান করা হয়েছে যেখানে নতুন সড়কগুলোকে সাধারণত ব্যবহার শুরুর সাথে সাথেই মহাসড়ক নামে আখ্যায়িত করা হয় (যেগুলো কোন সরকারী পরিষদ বা কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে)। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে গণ মহাসড়ক "দ্য কুইন্স হাইওয়ে" নামেও পরিচিত। [২]

একটি মহাসড়কের মূল সংজ্ঞা বিভিন্ন আইনে কয়েকটি কারণে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এরকম প্রতিটি আইনের অংশ সেই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরেই প্রয়োগ করা হয়।এটি সাধারণত ঘটে থাকে সেতু, টানেল ও অন্যান্য যেসকল স্থাপনার মালিকানা বা প্রাপ্যতার ধরন মহাসড়কের প্রচলিত সংজ্ঞার চেয়ে আলাদা তাদের ক্ষেত্রে। বর্তমানকালে এর সাধারণ উদাহরণ হচ্ছে টোল সেতু ও টানেল যাদের উপর মহাসড়কের সংজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে (কেবলমাত্র এই নির্দিষ্ট স্থাপনাটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনি ধারা অনুসারে); যাতে এদের ব্যবহারকারীদের উপর মহাসড়কের জন্য প্রযোজ্য অন্য সকল সাধারণ বাধ্যবাধকতা বা অধিকার আরোপ না করেই তাদেরকে অধিকাংশ ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা যায়।

স্কটল্যান্ড

মহাসড়কের ক্ষেত্রে স্কট আইন ইংরেজ আইনের অনুরূপ তবে এতে ব্যবহৃত শব্দ ও প্রণয়নে ভিন্নতা রয়েছে। ইংল্যান্ডে যেটিকে হাইওয়ে হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়ম স্কটল্যান্ডে সাধারণত সেটিকে এস.১৫১ রোড (স্কটল্যান্ড) আইন ১৯৮৪ অনুযায়ী (কেবলমাত্র "এই আইনেই" যদিও অন্যান্য আইনেও নকল করা হতে পারে) সাধারণ রাস্তা বলা হয়, যা হল :-

  • "যেকোনো পথ (জলপথ ব্যতীত) যার উপর দিয়ে নাগরিকদের অতিক্রম করার অধিকার রয়েছে (যেকোনো উপায়ে [এবং যাতে টোলের প্রয়োগ থাকুক আর নাই থাকুক]) এবং যাতে পথের কিনারা, ও যে কোন সেতু (স্থায়ী বা অস্থায়ী) যার উপর দিয়ে, বা টানেল যার মধ্যে দিয়ে পথটি অতিক্রম করে; এবং পথের প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো অংশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে; "

বর্তমান স্কট আইনে হাইওয়ে শব্দটি কোন সংবিধিবদ্ধ অভিব্যক্তি না হলেও [৩] সাধারণ আইনে এটি এখনও বিদ্যমান।

যুক্তরাষ্ট্র

আমেরিকান আইনে, "মহাসড়ক" শব্দটি কখনও কখনও যেকোনো যাতায়াতের পথ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা "রাস্তা, গলি ও পার্কওয়ে" হতে পারে। [৪] তবে, ব্যবহারিক ও কার্যকরী ব্যবহারে "মহাসড়ক" হচ্ছে একটি প্রধান ও উল্লেখযোগ্য, সুনির্মিত রাস্তা যা অধিক থেকে অধিকতর পরিমাণ যানবাহন ধারণ করতে সক্ষম। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সাধারণত মহাসড়কে একটি রুট নম্বর থাকে যা সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও ফেডারেল পরিবহন বিভাগের নামে আখ্যায়িত করা হয়। [স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] ক্যালিফোর্নিয়া যানবাহন আইনের ৩৬০, ৫৯০ ধারায় "মহাসড়ক" বলতে শুধুমাত্র মোটরযানের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত পথ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, তবে ক্যালিফোর্নিয়া সুপ্রিম কোর্ট "যানবাহন আইনে ব্যবহৃত 'মহাসড়কের সংজ্ঞাটি' শুধুমাত্র এই ধারার বিশেষ ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য" হিসেবে ব্যক্ত করেছে এবং লস এঞ্জেলসের আশেপাশে ক্যালিফোর্নিয়ার ভেনিসের খালগুলোকে "মহাসড়ক" হিসেবে রাজ্য মহাসড়ক তহবিল থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে। [৫] ছোট রাস্তাগুলোকে বাইওয়ে বলা যেতে পারে। [৬]

ইতিহাস

বিংশ শতকে মোটরগাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে আধুনিক মহাসড়ক ব্যবস্থা তৈরি হওয়া শুরু করে। বিশ্বের প্রথম লিমিটেড-অ্যাক্সেস রোড তৈরি হয় নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে যা লং আইল্যান্ড মোটর পার্কওয়ে বা ভ্যান্ডারবিল্ট মোটর পার্কওয়ে নামে পরিচিত। ১৯১১ সালে এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়।

১৯২৪ সালে ইতালিতে মিলানো থেকে ভারিসি পর্যন্ত ৪৯ কিমি (৩০ মা) দীর্ঘ অটোস্ট্রাডা বা মহাসড়ক খুলে দেয়া হয়।

১৯২৯ সালে বন-কলোন অটোবাহ্ন নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৩২ সালে কলোন, কোনরাড এডেনাউয়ের মেয়র এটির উদ্বোধন করেন।

আমেরিকায়, ১৯২১ সালের ফেডেরাল এইড মহাসড়ক অ্যাক্ট (ফিপস অ্যাক্ট) একটি সম্প্রসারিত মহাসড়ক ব্যবস্থা তৈরির জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়। ১৯২২ সালে, একটি জাতীয় মহাসড়ক ব্যবস্থার প্রথম নীলনকশা(পার্শিং ম্যাপ) প্রকাশিত হয়। ১৯২১ সালের ফেডেরাল এইড মহাসড়ক অ্যাক্ট ২০ বছর মেয়াদী ৪১,০০০-মাইল-দীর্ঘ (৬৬,০০০ কিমি) আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। [৭]

গ্রেট ব্রিটেনে, স্পেশাল রোডস অ্যাক্ট ১৯৪৯ সীমাবদ্ধ শ্রেণীর যানবাহন চলাচলের রাস্তা এবং নন-স্ট্যান্ডার্ড বা গতিসীমা ব্যতীত (পরবর্তীতে মোটরওয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে ঘণ্টাপ্রতি ৭০ মাইল গতির কম) রাস্তার জন্য আইনি ভিত্তি প্রণয়ন করে। [৮] সাধারণ সড়ক আইনের সাপেক্ষে এই আইনটি যানবাহন চলাচলের পথে যে ঘোড়ার গাড়ি বা পথচারীরাও চলাচল করে থাকে এই প্রচলিত ধারণাকে পাল্টে দেয়। যেমন একমাত্র ব্যবহারিক পরিবর্তন হিসেবে নন-মোটরওয়েসমূহকে স্পেশাল রোড হিসেবে পুনরায় শ্রেণীবদ্ধকরণ করা হয়। ১৯৫৮ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম মোটরওয়ের অংশ (এম৬ মোটরওয়ের অংশ) ও তারপর ১৯৫৯ সালে এম১ মোটরওয়ের প্রথম অংশ উন্মুক্ত করা হয়। [৯]

সামাজিক প্রভাব

কমনওয়েলথ অ্যাভিনিউ, ফিলিপাইনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ম্যানিলা মেট্রোপলিটন এলাকার একটি প্রধান আন্তঃনগর মহাসড়ক

নিয়ন্ত্রিত-প্রবেশাধিকার ও শ্রেণী বিভাজন যুক্ত মহাসড়কসমূহ, শহর অথবা নগরের রাস্তায় যাতায়াতের সময় হ্রাসের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ব্যবসা, বাণিজ্য, প্রমোদভ্রমণের সুযোগ এবং মালামালের বাণিজ্যপথ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। আধুনিক মহাসড়ক যাতায়াত ও অন্যান্য ভ্রমণের সময়কাল হ্রাস করলেও সড়কের অতিরিক্ত ধারণক্ষমতার ফলে সুপ্ত যানবাহনের চাহিদা উন্মুক্ত হতে পারে। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা না হলে, গাড়িমালিকানার সংখ্যা বাড়ার ফলে এই অতিরিক্ত যানবাহন নতুন রাস্তাগুলোকে ধারণার চেয়ে অধিক দ্রুত সময়ে যানজটপূর্ণ করে তোলে। অধিক রাস্তার ফলে গাড়িমালিকেরা তাদের গাড়ি ব্যবহার করার সুযোগ পায়, যা না হলে তারা হয় অন্যান্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন নাহয় তাদের যাত্রা বাতিল করতেন। এর থেকে বোঝা যায় যে, নতুন মহাসড়ক নির্মাণ যানজট সমস্যার কেবলমাত্র স্বল্পমেয়াদী সমাধান করে থাকে।

বিদ্যমান সম্প্রদায়ের মধ্য দিতে মহাসড়ক নির্মাণ করা হলে, সেখানে সম্প্রদায় সংহতির পরিমাণ হ্রাস ও স্থানীয় যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে, অনেক বিচ্ছিন্ন এলাকায় জমির মূল্যহ্রাস ও এর ফলে সময়ের সাথে সাথে নিম্নমানের বসতি সৃষ্টি হয়।

অর্থনৈতিক প্রভাব

পরিবহনে, মোট যাতায়াতের সংখ্যা অথবা মোট যাতায়াতে অতিক্রান্ত দূরত্বের সাহায্যে চাহিদা পরিমাপ করা যায় (বি.দ্র. গণপরিবহণের ক্ষেত্রে যাত্রী-কিলোমিটার বা ব্যক্তিগত পরিবহণের জন্য অতিক্রান্ত বাহন-কিলোমিটার (ভিকেটি))। যোগানকে ধারণক্ষমতার একটি পরিমাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পণ্যের মূল্য (পরিবহন) ভ্রমণের সাধারণীকৃত খরচের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়, যাতে অর্থমূল্যসময়মূল্য উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

লাইপজিগের নিকটে একটি ট্যাক্সিওয়ে অটোবাহ্ন অতিক্রম করছে।

সম্ভাব্য উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত ফলাফলের কারণে, পরিবহন অর্থনীতিতে (দেখুন আবিষ্ট চাহিদা) যোগান (ধারণক্ষমতা) বৃদ্ধির প্রভাব একটি বিশেষভাবে আলোচ্য বিষয়। (নিচের বাহ্যিকতা দেখুন)

পরিবহন ব্যবস্থা এর ব্যবহারকারীদের সাথে সাথে অব্যবহারকারীদের উপরেও ইতিবাচক ও নেতিবাচক বাহ্যিকতা উভয়ই আরোপ করে থাকে। এই সকল বাহ্যিকতা—বিশেষত নেতিবাচকগুলো পরিবহন অর্থনীতির একটি অংশ। পরিবহন ব্যবস্থার ইতিবাচক বাহ্যিকতার মধ্যে জরুরি সেবা ব্যবস্থা প্রদানের সক্ষমতা, জমির মূল্য বৃদ্ধি এবং সমাগম সুবিধা অন্তর্ভুক্ত। নেতিবাচক বাহ্যিকতা সুদূরপ্রসারী হয়ে থাকে এবং এতে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, আলোক দূষণ, নিরাপত্তা ঝুঁকি, সাম্প্রদায়িক বিচ্ছেদ ও যানজট অন্তর্ভুক্ত। সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের উপর পরিবহন ব্যবস্থার অবদান একটি উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক বাহ্যিকতা যা পরিমাণগতভাবে নির্ণয় করা কঠিন। এর ফলে এটিকে পরিবহন অর্থনীতি-ভিত্তিক গবেষণা ও বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন (তবে অসম্ভব নয়। যানজটকে পরিবহন অর্থনীতিবিদগণ একটি নেতিবাচক বাহ্যিকতা হিসেবে বিবেচনা করেন। [১০]

২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে "কোন অঞ্চলের মহাসড়ক তহবিলের ১০% বৃদ্ধির ফলে পাঁচ বছরে আঞ্চলিক পেটেন্টের পরিমাণ ১.৭% বৃদ্ধি পায়।"[১১]

পরিবেশগত প্রভাব

মহাসড়কের আশেপাশে শব্দ, আলো ও বায়ুদূষণের মত নেতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব দেখা দিতে পারে।

মহাসড়ক হচ্ছে দূষণের একটি সম্প্রসারিত রৈখিক উৎস।

গাড়িচালনার গতি বাড়ার সাথে সাথে সড়কের শব্দদূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, অতএব প্রধান মহাসড়কে শাখা পথগুলোর চেয়ে অধিক শব্দ উৎপন্ন হয়। এর ফলে মহাসড়ক ব্যবস্থাগুলোর কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব দেখা দিতে পারে। আশেপাশের সংবেদনশীল রিসেপ্টরগুলোতে কাছাকাছি শব্দের পরিমাণ হ্রাসের জন্য উচ্চ শব্দ প্রশমনের ব্যবস্থা থাকে। মহাসড়কের নকশা যে শাব্দিক প্রকৌশলের বিবেচ্য বিষয় হতে পারে এই ধারণাটি ১৯৭৩ সালের দিকে প্রথম উদ্ভূত হয়। [১২][১৩]

বায়ুর গুণাবলীর সমস্যাসমূহ: একই পরিমাণ যানবাহন চলাচল করলেও, মহাসড়কসমূহে শাখা পথের চেয়ে কম নির্গমন ঘটে। এর কারণ হচ্ছে, একই গতিতে চলাচলকারী যানবাহন ক্রমাগত থামা ও চালু হওয়া যানবাহনের চেয়ে কম নির্গমন ঘটে। তবে অধিক যানবাহনের পরিমাণের মহাসড়কের কাছাকাছি বায়ু দূষণের পরিমাণ ফলে বেশি থাকতে পারে। অতএব, মহাসড়ক থেকে উচ্চমাত্রার বায়ুদূষকের সংস্পর্শে আসার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে, যা যানজটপূর্ণ মহাসড়কে আরও বৃদ্ধি পায়।

নতুন মহাসড়কের ফলে আবাস বিভাজন ঘটতে পারে, যা নগর সম্প্রসারণকে উদ্বুদ্ধ করে এবং অনাহত অঞ্চলে মানুষের অনুপ্রবেশNঘটায়। এর ফলে ইন্টারসেকশনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ঘনবসতির সৃষ্টি হয়।

এর ফলে গণপরিবহনের ব্যবহার হ্রাস পায়, যা পরোক্ষভাবে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

উত্তর আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে কারপুলিং ও গণপরিবহনকে উৎসাহিত করার জন্যে কিছু নতুন/পুনর্নির্মিত মহাসড়কে উচ্চ-ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট বাহন লেন যুক্ত করা হচ্ছে। এই লেনগুলোতে চলতে কারপুলিং ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় যা মহাসড়কে গাড়ির পরিমাণ ও এর ফলে দূষণ ও যানজট কমাতে সাহায্য করে। তবে, এর ফলে মহাসড়কে নিবেদিত লেন তৈরির প্রয়োজন হয়, যা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায় তৈরি করা কষ্টকর যেখানে এই ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।

আবাস বিভাজনের সমস্যা সমাধানে অনেক দেশে বন্যপ্রাণী পারাপার অত্যন্ত জনপ্রিয়। বন্যপ্রাণী পারাপার ব্যবহার করে পশুরা মহাসড়কের মত মানব-সৃষ্ট বাধা নিরাপদে অতিক্রম করতে পারে। [১৪]

রাস্তার ট্রাফিক নিরাপত্তা

রাস্তার ট্রাফিক নিরাপত্তা বলতে বোঝায় রাস্তা ও সড়কে নিরাপত্তামূলক ক্রিয়াকলাপ এবং মহাসড়ক ব্যবস্থায় যানবাহনের সংঘর্ষের ফলে ক্ষতির পরিমাণ (মৃত্যু, জখম ও ম্পত্তির ক্ষতি )হ্রাসে গৃহীত পদ্ধতিসমূহ । এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সড়কের নকশা, নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণ, এতে চলাচলকারী যানবাহন এবং চালক ও অন্যান্য পথচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে যে বিশ্বে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ নিহত ও প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ আহত হন। [১৫] এছাড়াও এটি ১০–১৯ বছরের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে এই সমস্যাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবচেয়ে প্রকট এবং সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। [১৬] স্পষ্ট উপাত্ত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র যানবাহনের সাথে সম্পৃক্ত দুর্ঘটনা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। [১৭] কোন মানুষের প্রাণঘাতীভাবে হোঁচট খাওয়া কিংবা চলাচলের রাস্তায় কোন অসংশ্লিষ্ট কারণবশত মৃত্যুকে এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

পরিসংখ্যান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ক্রস ব্রংক্স এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাসফাল্ট ও কংক্রিটের ফুটপাথ ব্যবহৃতuহয়েছে। এ দুটিই মহাসড়কের রাস্তার পৃষ্ঠ হিসেবে জনপ্রিয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে, যার মধ্যে আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ব্যবস্থা ও ইউ.এস. মহাসড়ক ব্যবস্থা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি রাজ্যেই এই নেটওয়ার্কের অন্তত একটি শাখা অবস্থিত যা অধিকাংশ প্রধান শহরকে সংযুক্ত করেছে।

চিনের মহাসড়ক নেটওয়ার্ক বিশ্বের দ্বিতীয় বিস্তৃত মহাসড়ক ব্যবস্থা, যার মোট দৈর্ঘ্য ৩৫,৭৩,০০০ কিলোমিটার (২২,২০,০০০ মা)। [১৮][১৯][২০][২১][২২] চীনের এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক বিশ্বের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে, এবং এটি দ্রুত বর্ধনশীল। ২০১১ সালের শেষদিকে এটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮৫,০০০ কিলোমিটার (৫৩,০০০ মা)। [২৩][২৪] শুধুমাত্র ২০০৮ সালেই এই নেটওয়ার্কে ৬,৪৩৩ কিলোমিটার (৩,৯৯৭ মা) এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হয়। [২৫]

দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক মহাসড়ক
২০০৫ এর হিসাব অনুযায়ী, প্যান-আমেরিকান মহাসড়ক প্রায় ২৫,০০০ কিলোমিটার (১৫,৫০০ মা) দীর্ঘ, যা আমেরিকার বহু দেশকে সংযুক্ত করেছে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্যান-আমেরিকান মহাসড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে কারণ এর দক্ষিণপূর্ব পানামার অংশে একটি উল্লেখযোগ্য ফাঁক রয়েছে, যেখানে ভারী বর্ষণ ও ভূখণ্ডের প্রকৃতির কারণে মহাসড়ক নির্মাণের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়।
দীর্ঘতম জাতীয় মহাসড়ক (পয়েন্ট টু পয়েন্ট)
ট্রান্স-কানাডা মহাসড়কে (টিসিএইচ) একটি প্রধান রাস্তা, পশ্চিম প্রদেশের মধ্যে দিয়ে একটি নর্দার্ন রাস্তা এবং মধ্য ও পূর্ব প্রদেশে বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে। ২০০৬ এর হিসাব অনুযায়ী, প্রধান রাস্তাটি একাই ৭,৮২১ কিমি (৪,৮৬০ মা) দীর্ঘ ও সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটির দৈর্ঘ্য ১০,৭০০ কি.মি.। টিসিএইচ দক্ষিণ কানাডায় পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত, যা দেশটির জনবহুল অংশ। এটি এর গতিপথে সকল প্রদেশের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে বহু প্রধান নগরকেন্দ্র সমূহকে যুক্ত করে ও এদের প্রায় সবকয়টির রাজধানীতে পৌঁছায়। [২৬] টিসিএইচ নিউফাউন্ডল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু হয়ে দ্বীপটিকে আড়াআড়িভাবে অতিক্রম করে ফেরির মধ্যমে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছায়। এটি পূর্ব কানাডার উপকূলীয় প্রদেশগুলোকে অতিক্রম করে এবং একটি শাখা সড়ক ফেরি ও সেতুর দ্বারা প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপে পৌঁছায়। দেশটির মূল ভূখণ্ডের বাকি অংশ অতিক্রম করে এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভারে পৌঁছায় যেখানে একটি ফেরি ব্যবস্থা এটিকে ভ্যানকুভার দ্বীপপুঞ্জে ও ভিক্টোরিয়ার প্রাদেশিক রাজধানীতে নিয়ে যায়। এর সংখ্যাতাত্ত্বিক নামকরণের দায়ভার প্রদেশের উপর ন্যাস্ত ও সারাদেশে রুটের একটি মাত্র নম্বরের অস্তিত্ব নেই।
দীর্ঘতম জাতীয় মহাসড়ক (পরিসীমা)
অস্ট্রেলিয়ার হাইওয়ে ১ এর দৈর্ঘ্য ১৪,৫০০ কিমি (৯,০০০ মা) এর বেশি। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এটি এই মহাদেশের সমগ্র উপকূলরেখা জুড়ে বিস্তৃত। অভ্যন্তরীণ অংশে অবস্থিত ফেডেরাল ক্যাপিটাল অফ ক্যানবেরা ছাড়া হাইওয়ে ১ অস্ট্রেলিয়ার সকল প্রধান শহরগুলোকে যুক্ত করে। যদিও ব্রিসবেন ও ডারউইন সরাসরি যুক্ত না হয়ে কিছুদূর বাইপাস দ্বারা সংযুক্ত। এছাড়াও, দ্বীপরাজ্য তাসমানিয়ার সাথে এর একটি ফেরি সংযোগ রয়েছে। এরপর হাইওয়ে ১ এর একটি দীর্ঘ শাখা লন্সেস্টন ও হোবার্টের (রাজ্যের রাজধানী) মত প্রধান শহরগুলোকে যুক্ত করে।
সর্ববৃহৎ জাতীয় মহাসড়ক ব্যবস্থা
২০০৮ সাল মোতাবেক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেের সীমানার মধ্যে প্রায় ৬.৪৩ নিযুত কিলোমিটার (৪০,০০,০০০ মা) মহাসড়ক রয়েছে। [২৭]
ব্যাস্ততম মহাসড়ক
২০০৬ এর হিসাব অনুযায়ী অন্টারিও, কানাডার হাইওয়ে ৪০১ এর টরন্টোর কিছু অংশের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০,০০০টি যানবাহন অতিক্রম করে। [২৮][২৯]
প্রশস্ততম মহাসড়ক (সর্বোচ্চ লেনের সংখ্যার সাপেক্ষে)
২০০৭ এর হিসাব অনুযায়ী, টেক্সাসের হিউস্টনের কেটি ফ্রিওয়ে (ইন্টারস্টেট ১০ এর অংশ) এর কিছু অংশে মোট ২৬টি লেন রয়েছে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন][৩০] তবে, এরা সাধারণ সড়ক/সম্মুখী সড়ক/ এইচওভি লেনে বিভক্ত যা আড়াআড়িভাবে যাতায়াতকে বাধাগ্রস্ত করে।
প্রশস্ততম মহাসড়ক (সর্বোচ্চ থ্রু লেনের সংখ্যার সাপেক্ষে)
০০৭ সালের এপ্রিলে নির্মিত ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোতে অবস্থিত ইন্টারস্টেট ৮০৫ ও ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট রুট ৫৬ এর মধ্যবর্তী দুই-মাইল-দীর্ঘ (৩.২ কিমি) ইন্টারস্টেট ৫ অংশটিতে ২২টি লেন রয়েছে। [৩১]
উচ্চতম আন্তর্জাতিক মহাসড়ক
পাকিস্তান ও চিনের মধ্যবর্তী কারাকোরাম হাইওয়ে ৪,৬৯৩ মিটার (১৫,৩৯৭ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বাস লেন

দক্ষিণ কোরিয়ার গাইংবু এক্সপ্রেসওয়েতে মহাসড়ক বাস লেন।

কিছু দেশের মহাসড়কে আলাদা বাস লেন রয়েছে।

দেশহাইওয়েবাস লেন (কিমি)অংশ
অস্ট্রেলিয়াএম ২ হিলস মোটরওয়েঅ্যাবট রোড-বেক্রফ্ট রোড (সিডনি)
ভারতজাতীয় মহাসড়ক (ভারত)১৯৩০ লেনস রোড (মুম্বাই)
কানাডাডন ভ্যালি পার্কওয়ে০.৪৫৮কাঁধ লরেন্স এভিনিউ পূর্ব থেকে ইয়র্ক মিলস রোড বাইপাস লেন রূপান্তরিত
কানাডাঅন্টারিও হাইওয়ে ৪১৭ইগলসন রোড-অন্টারিও হাইওয়ে ৪১৭ (অটোয়া)
কানাডাঅন্টারিও হাইওয়ে ৪০৩মভিস রোড-উইনস্টন চার্চিল বুলেভার্ড (মিসিসিগ)
হংকংতুই মুন রোড
দক্ষিণ কোরিয়াগিয়ংবু এক্সপ্রেসওয়ে১৩৭.৪হ্যানাম আইসি ( সিউল ) ~ সিন্টাঞ্জিন আইসি (মধ্যে দেজন )
নেদারল্যান্ডসএ১ মোটরওয়ে (নেদারল্যান্ডস)এ৬-ভেখবুর্গ (মাইডেন) এ শেষ

দক্ষিণ কোরিয়া

১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনগুলোর জন্য নর্দার্ন টার্মিনাস এবং সিন্টাঞ্জিনের মধ্যে একটি বাস লেন (মূলত একটি এইচওভি-৯) স্থাপিত হয়েছিল। ১লা জুলাই ২০০৮ সালে সিউল ও ওসান (ছুটির দিনে সিন্টাঞ্জিন) এর মধ্যে সকাল ৬.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত প্রতিদিন বাস চলাচল শুরু হয়। ১লা অক্টোবর থেকে এই সময়সূচী পরিবর্তন করে কর্মদিবসে সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত, এবং ছুটির দিনে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত করা হয়েছিল।

হংকং

হংকংয়ে, ট্রাফিক সংকোচনের সমাধান করতে কিছু মহাসড়ক আলাদা বাসের লেন রাখা হয়।

জেলাহাইওয়েঅধ্যায়
তুই মুনসংযোগ= তুই মুন রোডতাই কিউন ওয়াট শাম সেংকে
শা টিনসংযোগ= সিংহ রক টানেলটানেল এন্ট্রি

ফিলিপাইন

ফিলিপাইনের প্রধান সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যানজট একটি প্রধান সমস্যা ছিল, বিশেষত করে মেট্রো ম্যানিলা এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে। সরকার ইপিফ্যানিও ডেলোস সান্টোস এভিনিউয়ের মত মেট্রো ম্যানিলায় কিছু বাস লাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

গ্যালারী

আরও দেখুন

সাধারণ

দেশ অনুযায়ী

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ