রোদ

সূর্য কর্তৃক বিকিরিত তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ

রোদ বা সূর্যের আলো বা সূর্যরশ্মি বা সূর্যালোক অথবা রোদের আলো হলো সূর্য হতে যে তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ বা আলোকরশ্মি পৃথিবীতে এসে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যরশ্মির অনেক অংশ শোষণ করে নেয়। বায়ুমণ্ডল ভেদ করে রোদের আলোকরশ্মি ও তাপ পৃথিবীর পৃষ্ঠে এসে পৌছায়। সূর্য হতে পৃথিবীতে আলোকরশ্মি এসে পৌঁছাতে প্রায় ৮.৩ মিনিট সময় লাগে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সংজ্ঞানুসারে পৃথিবীর পৃষ্ঠে সূর্যালোকের তীব্রতা প্রতি বর্গমিটারে অন্তত ১২০ ওয়াট হলে তাকে রোদ বলা যায়।[১]

মেঘের কোলে রোদ, ডান্সটানবার্গ, নর্দাম্বারল্যান্ড, ইংল্যান্ড।

সরাসরি সূর্যালোকের উজ্জ্বলতার পরিমাণ হলো প্রায় ৯৩ লুমেন। এর মধ্যে অবলোহিত, দৃশ্যমান, এবং অতিবেগুনী আলোক রশ্মি রয়েছে। উজ্জ্বল সূর্যালোক পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রতি বর্গমিটার এলাকায় প্রায় ১০০,০০০ ক্যান্ডেলা পরিমাণ আলোকরশ্মি দিয়ে থাকে।

রোদের আলোয় উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।

পরিমাপ

পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছানো আলোর পরিমাপ করার জন্য পৃথিবীর কক্ষপথ এবং বায়ুমণ্ডলের বিচ্যুতি হিসেবে আনতে হয়। রোদের তীব্রতা (Eext), বছরের (dn) তম দিনে নিচের সূত্রানুসারে পরিমাপ করা যায়।[২]

যেখানে জানুয়ারির ১ তারিখে dn=১, জানুয়ারির ২ তারিখে dn=২ ইত্যাদি। সূত্রে (dn−3) ব্যবহারের কারণ হলো আধুনিককালে পৃথিবীর পেরিহিলিওন, তথা সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকার এবং সর্বাধিক উজ্জ্বলতার সময়টি ঘটে জানুয়ারির ৩ তারিখে।

সূর্যের উজ্জ্বলতার ধ্রুবক (Esc), এর মান হলো 128×103 লাক্স। সরাসরি প্রমিত উজ্জ্বলতা (Edn), পরিমাপ করা যায় নিচের সূত্রানুসারে,

যেখানে c হলো বায়ুমন্ডলীয় প্রতিসরণের গুণাংক, এবং m তুলনামূলক আলোকীয় বায়ুভর।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ